জহির উদ্দিন মিশু
এরই নাম বুঝি জীবন! সেই ছোটবেলায় বাবাকে হারান রুপনা চাকমা। বাবা কেমন ছিলেন, কতটা তাঁকে ভালোবাসতেন, সেটাও জানা হয়নি। এখনো বাবার ছবি আঁকড়ে নীরবে চোখের জল ফেলেন। বিভীষিকাময় সেই দিনগুলো আর না ফিরুক, সেটাই চান রুপনা। তবে এখনো যে ভালো আছেন, তা-ও নয়। দূর থেকে হয়তো অনেক কিছুই বোঝা যায় না। কিন্তু রুপনা জানেন কতটা ত্যাগ, কতটা বাধা পেরিয়ে তাঁকে ফুটবলের রুপালি জগতে আসতে হয়েছে। গতকাল আজকের পত্রিকাকে সেই ত্যাগ আর বাধা পেরোনোর গল্প শুনিয়েছেন দক্ষিণ এশিয়ার এই সেরা গোলকিপার।
একসময় মায়ের সঙ্গে মাঠের কাজও করতে হতো রুপনাকে। বেঁচে থাকার জন্য মেয়েকে কঠিন সংগ্রাম করতে দেখে মন গলে মায়ের। মেলে ফুটবল খেলার সবুজ সংকেত। সেখানেও পদে পদে বিপদ। একটা বল কেনার সামর্থ্য ছিল না তাঁর পরিবারের। রুপনার মুখেই শুনুন বাকিটা, ‘সে সময়ের কথা বলে শেষ করা যাবে না। বোধবুদ্ধি হওয়ায় আগে বাবাকে হারাই। তাঁর ছবি দেখলে বুকটা ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। একবার যদি বাবাকে দেখতে পারতাম! মায়ের সঙ্গে মাঠেও অনেক কাজ করেছি। এরপর ফুটবলে এসেও শান্তি নেই। কত কী প্রয়োজন হয়! একটা বল কেনার সামর্থ্য ছিল না। শহর থেকে আমাদের বাড়ি ভালোই দূরে। রাস্তাঘাট এখনো ভালো নয়। আর তখন ছিল আরও খারাপ। তাই অনুশীলন করার জন্য অন্যের বাড়িতে গিয়ে থাকতাম। তখন কত মানুষের কত কথা শুনেছি!’ সেই দুঃসময় পেছনে ফেলে এলেও রুপনা বলছেন, ‘সেখান থেকে এখন একটু ভালো আছি, তবে সমস্যার শেষ নেই।’
রুপনার গোলকিপার হওয়ার পেছনেও দারুণ একটা ঘটনা আছে। তাঁর পছন্দের পজিশন ছিল স্ট্রাইকার। সেই পজিশন থেকে ফুটবলে হাতেখড়ি। একবার পাড়ার একটি প্রতিযোগিতায় তাঁদের দলে সব পজিশনের খেলোয়াড় থাকলেও ছিল না গোলকিপার। তখন কোচ বললেন, কাউকে গোলকিপার হতে হবে। কিন্তু কেউ রাজি হচ্ছে না। কয়েক মিনিট পর এগিয়ে এলেন রুপনা, ‘স্যার, আমি পারব’। সেই যে শুরু, তারপর গোলপোস্টই তাঁর জায়গা।
টানা দুবার মেয়েদের সাফ জয়ে দলের গোলপোস্টের সেনানী রুপনা। দুবারই হয়েছেন সেরা গোলরক্ষক। অথচ বৃষ্টি হলেই তাঁর শোয়ার ঘরে পানি পড়ে। তাঁর বৃদ্ধ মায়ের রুমেরও একই অবস্থা। রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলার ঘিলাছড়ির দুর্গম ভুইয়াদাম গ্রামে বাড়ি রুপনাদের। বাড়ি থেকে বের হয়ে শহরে কিংবা গঞ্জের হাটে যাওয়ার জন্য দুস্তর পথ পাড়ি দিতে হয়। নেই কোনো চলাচলের সুন্দর রাস্তা। সেই দুর্গম অঞ্চলের মেয়েই দক্ষিণ এশিয়ার সেরা গোলরক্ষক। তবে রুপনার কণ্ঠে বড় আফসোস আর আক্ষেপ, ‘অনেক কিছুরই আশ্বাস পেয়েছি, কিন্তু এখনো চোখেই দেখিনি। অনেকে অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, কিন্তু কেউ কথা রাখেনি। বাড়িতে গেলে এখনো দেখি টিনের চালা দিয়ে পানি পড়ে মায়ের থাকার ঘরটা ভিজে একাকার। ঘুমের মধ্যে হঠাৎ বৃষ্টিতে একদিন আমিও ভিজেছিলাম। ঘরের চালাটা ফুটো, কিন্তু ঠিক করতে পারিনি। বাড়ি থেকে বের হয়ে গঞ্জে বা শহরে যেতে চাইলেও রীতিমতো পরীক্ষা দিতে হয়। সোজা পথ রেখে দূরদূরান্ত ঘুরে তারপর যেতে হয়। একটা ভালো রাস্তা পেলাম না। আসলে বলে কী হবে। কষ্ট আগেও করেছি, এখনো করছি।’
রুপনা ভীষণ স্বপ্নবাজ। এত সমস্যার পরও তাঁর আশা, একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে। আঁধার পেরিয়ে একদিন ঠিকই আলো আসবে। সেদিন তিনিও বলতে পারবেন, ‘এই বেশ ভালো আছি।’
এরই নাম বুঝি জীবন! সেই ছোটবেলায় বাবাকে হারান রুপনা চাকমা। বাবা কেমন ছিলেন, কতটা তাঁকে ভালোবাসতেন, সেটাও জানা হয়নি। এখনো বাবার ছবি আঁকড়ে নীরবে চোখের জল ফেলেন। বিভীষিকাময় সেই দিনগুলো আর না ফিরুক, সেটাই চান রুপনা। তবে এখনো যে ভালো আছেন, তা-ও নয়। দূর থেকে হয়তো অনেক কিছুই বোঝা যায় না। কিন্তু রুপনা জানেন কতটা ত্যাগ, কতটা বাধা পেরিয়ে তাঁকে ফুটবলের রুপালি জগতে আসতে হয়েছে। গতকাল আজকের পত্রিকাকে সেই ত্যাগ আর বাধা পেরোনোর গল্প শুনিয়েছেন দক্ষিণ এশিয়ার এই সেরা গোলকিপার।
একসময় মায়ের সঙ্গে মাঠের কাজও করতে হতো রুপনাকে। বেঁচে থাকার জন্য মেয়েকে কঠিন সংগ্রাম করতে দেখে মন গলে মায়ের। মেলে ফুটবল খেলার সবুজ সংকেত। সেখানেও পদে পদে বিপদ। একটা বল কেনার সামর্থ্য ছিল না তাঁর পরিবারের। রুপনার মুখেই শুনুন বাকিটা, ‘সে সময়ের কথা বলে শেষ করা যাবে না। বোধবুদ্ধি হওয়ায় আগে বাবাকে হারাই। তাঁর ছবি দেখলে বুকটা ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। একবার যদি বাবাকে দেখতে পারতাম! মায়ের সঙ্গে মাঠেও অনেক কাজ করেছি। এরপর ফুটবলে এসেও শান্তি নেই। কত কী প্রয়োজন হয়! একটা বল কেনার সামর্থ্য ছিল না। শহর থেকে আমাদের বাড়ি ভালোই দূরে। রাস্তাঘাট এখনো ভালো নয়। আর তখন ছিল আরও খারাপ। তাই অনুশীলন করার জন্য অন্যের বাড়িতে গিয়ে থাকতাম। তখন কত মানুষের কত কথা শুনেছি!’ সেই দুঃসময় পেছনে ফেলে এলেও রুপনা বলছেন, ‘সেখান থেকে এখন একটু ভালো আছি, তবে সমস্যার শেষ নেই।’
রুপনার গোলকিপার হওয়ার পেছনেও দারুণ একটা ঘটনা আছে। তাঁর পছন্দের পজিশন ছিল স্ট্রাইকার। সেই পজিশন থেকে ফুটবলে হাতেখড়ি। একবার পাড়ার একটি প্রতিযোগিতায় তাঁদের দলে সব পজিশনের খেলোয়াড় থাকলেও ছিল না গোলকিপার। তখন কোচ বললেন, কাউকে গোলকিপার হতে হবে। কিন্তু কেউ রাজি হচ্ছে না। কয়েক মিনিট পর এগিয়ে এলেন রুপনা, ‘স্যার, আমি পারব’। সেই যে শুরু, তারপর গোলপোস্টই তাঁর জায়গা।
টানা দুবার মেয়েদের সাফ জয়ে দলের গোলপোস্টের সেনানী রুপনা। দুবারই হয়েছেন সেরা গোলরক্ষক। অথচ বৃষ্টি হলেই তাঁর শোয়ার ঘরে পানি পড়ে। তাঁর বৃদ্ধ মায়ের রুমেরও একই অবস্থা। রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলার ঘিলাছড়ির দুর্গম ভুইয়াদাম গ্রামে বাড়ি রুপনাদের। বাড়ি থেকে বের হয়ে শহরে কিংবা গঞ্জের হাটে যাওয়ার জন্য দুস্তর পথ পাড়ি দিতে হয়। নেই কোনো চলাচলের সুন্দর রাস্তা। সেই দুর্গম অঞ্চলের মেয়েই দক্ষিণ এশিয়ার সেরা গোলরক্ষক। তবে রুপনার কণ্ঠে বড় আফসোস আর আক্ষেপ, ‘অনেক কিছুরই আশ্বাস পেয়েছি, কিন্তু এখনো চোখেই দেখিনি। অনেকে অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, কিন্তু কেউ কথা রাখেনি। বাড়িতে গেলে এখনো দেখি টিনের চালা দিয়ে পানি পড়ে মায়ের থাকার ঘরটা ভিজে একাকার। ঘুমের মধ্যে হঠাৎ বৃষ্টিতে একদিন আমিও ভিজেছিলাম। ঘরের চালাটা ফুটো, কিন্তু ঠিক করতে পারিনি। বাড়ি থেকে বের হয়ে গঞ্জে বা শহরে যেতে চাইলেও রীতিমতো পরীক্ষা দিতে হয়। সোজা পথ রেখে দূরদূরান্ত ঘুরে তারপর যেতে হয়। একটা ভালো রাস্তা পেলাম না। আসলে বলে কী হবে। কষ্ট আগেও করেছি, এখনো করছি।’
রুপনা ভীষণ স্বপ্নবাজ। এত সমস্যার পরও তাঁর আশা, একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে। আঁধার পেরিয়ে একদিন ঠিকই আলো আসবে। সেদিন তিনিও বলতে পারবেন, ‘এই বেশ ভালো আছি।’
তিন সেঞ্চুরির পরও ভারত হেডিংলি টেস্টের প্রথম ইনিংসে তুলেছিল ৪৭১ রান। জবাবে এক সেঞ্চুরির সুবাদেই ভারতের স্কারের কাছাকাছি রান তুলেছে ইংল্যান্ড। জাসপ্রিত বুমরার ৫ উইকেটের পরও স্বাগতিকেরা প্রথম ইনিংসে করেছে ৪৬৫।
৩ ঘণ্টা আগেকৈশোরের একটা আভা এখনও চোখে মুখে লেগে আছে তাঁর। ১৯ বছর বয়সী সেই জোব বেলিংহামকে এ মাসেই যখন সান্ডারল্যান্ড থেকে ৩ কোটি ৩০ লাখ ইউরোয় কিনে নিল বরুসিয়া ডর্টমুন্ড, তখন কিন্তু কেউ প্রশ্ন তোলেনি—এক টিনেজারের পিছনে এত ব্যয়!
৪ ঘণ্টা আগেআলজেরিয়ায় পছন্দের ক্লাবের শিরোপা জয় উদ্যাপনে অংশ হতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন এক সমর্থক। এমসি আলজেরের টানা দ্বিতীয় লিগ শিরোপা নিশ্চিত হওয়ার পর গ্যালারির ওপরের স্ট্যান্ড ভেঙে পড়ে আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক। দেশটির রাজধানীর ‘৫ জুলাই স্টেডিয়ামে’ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি ঘটে। ইয়োনেস নামের ওই সমর্থকের মৃত্যুতে
৭ ঘণ্টা আগেএকদিনের সফরে রাজশাহী এসেছেন বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। সকালে আসার পরে একটু বসার ফুসরত পাননি। একবার মাঠে তো একবার ইনডোরে ছোটাছুটি। এর মধ্যেই কিছুক্ষণের জন্য একান্তে বসলেন আজকের পত্রিকার সঙ্গে। বললেন, ‘রাজশাহী এসে তিনি মুগ্ধ। অনেক কিছুই করার আছে এখানে। রাজশাহী ঘিরে জেগেছে নতুন স্বপ্ন।’
৮ ঘণ্টা আগে