Ajker Patrika

মিরাজদের নিয়ে কতটা আশা

নিজস্ব প্রতিবেদক
মিরাজদের নিয়ে কতটা আশা

ঢাকা: পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামটা নামাঙ্কিত ক্যান্ডিরই বিখ্যাত সন্তান মুত্তিয়া মুরালিধরনের নামে। পরিসংখ্যান বলছে, ঘূর্ণি জাদুকরের ঘরের মাঠ স্পিন-সহায়কই হবে।
যদিও এই মাঠে কখনো খেলেননি মুমিনুলরা। এখানকার উইকেটের চরিত্র সম্পর্কে বাংলাদেশ দলের জানাশোনা একটু কমই বলা চলে। পাল্লেকেলেতে আসন্ন টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশের স্পিনাররা কতটা প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবেন, প্রশ্ন এখন সেটাই।

পাল্লেকেলেতে এখন পর্যন্ত যে ২০৩ উইকেট পড়েছে, তার বেশির ভাগই (১২১টি) গেছে স্পিনারদের দখলে। স্পিনাররা তুলে নিয়েছেন প্রায় ৬০ শতাংশ উইকেটই। বিশেষ করে বাঁহাতি স্পিনাররা এই মাঠে একটু বেশিই ছড়ি ঘুরিয়েছেন। ৩ টেস্টে ২০ উইকেট নিয়ে এই মাঠের সেরা বোলার রঙ্গনা হেরাথ। দুই ম্যাচে ১২ উইকেট নিয়ে আরেক লঙ্কান লাকসান সান্দাকান দ্বিতীয় সেরা বোলার। তৃতীয় সেরা বোলার লিচ। এক টেস্টে নিয়েছেন ৮ উইকেট।

এই মাঠে যে ৬ বোলার ইনিংসে ৫ উইকেট পেয়েছেন তার পাঁচজনই স্পিনার। সেরা তিন বাঁহাতি স্পিনারের ইনিংসে পাঁচ উইকেট আছে। এবার হেরাথ না থাকলেও লঙ্কানদের আছে সান্দাকান আর এমবুলদুনিয়া। নিজেদের ডেরায় যেহেতু এত এত বিশ্বমানের স্পিনার, নিশ্চয় লঙ্কানরা এবারও হয়তো ঘূর্ণি উইকেটেই তামিম–লিটনদের ঘায়েল করতে চাইবে!

বাংলাদেশের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার ‘রণনীতি’ যদি ঘূণিনির্ভর হয়, বাংলাদেশের স্পিনাররা কতটা পরীক্ষা নিতে পারবেন করুনারত্নে–চান্দিমালদের? প্রশ্নটা এবার বড় করে উঠছে সাকিব আল হাসান না থাকায়। চার স্পিনার নিয়ে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কায় উড়ে গেলেও সাকিবের জায়গা চাইলেও যে পূরণ করা কঠিন।

সাকিবের অনুপস্থিতি ভুলিয়ে দিতে ক্যান্ডিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে হবে দলে থাকা চার স্পিনার—তাইজুল ইসলাম, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাঈম হাসান ও শুভাগত হোমকে। নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাল কলম্বো থেকে মিরাজ সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘শ্রীলঙ্কার মাঠে লাইন–লেংথ ধরে রেখে বোলিং করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এভাবে বোলিং করে গেলে তিন–চার দিনে এখানকার উইকেট থেকে ভালো সুবিধা আদায় করতে পারেন স্পিনাররা। এই সুবিধা নিতে চাই।’

কোয়ারেন্টিন পর্ব শেষে গত দুদিন কলম্বোর কাটুনায়েকে অনুশীলন সেরেছে বাংলাদেশ। আজ দুই ভাগ হয়ে দুদিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবেন ক্রিকেটাররা। অনুশীলনে বাঁহাতি স্পিনার তাইজুলকে একটু বেশিই সক্রিয় দেখা গেছে। কাল তো আলাদা করে স্পিন কোচ কাজ করেছেন তাঁর সঙ্গে। তাইজুলও বেশ ছন্দে আছেন। গত ফেব্রুয়ারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে দল ধবলধোলাই হলেও ভালো বোলিং করেছেন এই বাঁহাতি। সিরিজে পেয়েছিলেন ১২ উইকেট। জাতীয় ক্রিকেট লিগে (এনসিএল) রাজশাহীর হয়ে মাঠে নেমেও আলো ছড়িয়েছেন, দুই ম্যাচে তুলে নিয়েছেন ১৩ উইকেট। গত আড়াই বছরের পারফরম্যান্সেও দলের সেরা বোলার তিনি, ৬ টেস্টে পেয়েছেন ২১ উইকেট।

সর্বশেষ টেস্ট সিরিজে ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে দলের অন্যদের ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন মিরাজ। ১০ উইকেটের সঙ্গে করেছিলেন ১৯৮ রান। সেই পারফরম্যান্সই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তাঁকে একাদশে রাখতে পারে। অবশ্য এই অলরাউন্ডারকে লড়তে হবে আরেক অফ স্পিনার নাঈম হাসানের সঙ্গে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পর এনসিএলেও নিষ্প্রভ নাঈমকে একটু হলেও পিছিয়েই রেখেছে। পাঁচ বছর পর দলে ঢুকলেও শুভাগত হোম চৌধুরীর একাদশে থাকার সম্ভাবনা বেশি। নির্বাচকেরা বলেছেন, তাঁকে নেওয়া হয়েছে সাকিবের বদলি হিসেবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত