রানা আব্বাস, কলম্বো থেকে
টুকটুক কিংবা রেস্তোরাঁ–গতকাল কলম্বোয় যেখানেই বাংলাদেশি পরিচয় শুনেছেন শ্রীলঙ্কানরা, সহাস্যে অভিনন্দন জানাচ্ছেন। গত পরশু ভারতকে বাংলাদেশ হারিয়ে দেওয়ায় লঙ্কানরাও যারপরনাই খুশি।
গতকাল সকালে টুকটুকচালক নালাকা হাসতে হাসতেই বলছিলেন, ‘এবার আমাদের পালা। কিন্তু ফাইনালে ভারতকে হারানো এত সহজ হবে না।’ ক্রিকেটের ভালো খোঁজখবর রাখা নালাকা ভারতের সম্ভাব্য একাদশ সামনে এনে বললেন, ‘দেখুন, ওদের প্রতিটি পজিশনে সব বড় বড় তারকা খেলোয়াড়। দল হিসেবে শ্রীলঙ্কাও ভালো খেলছে। তবে একটি জায়গায় আমরা ভারতের চেয়ে এগিয়ে থাকব আজ, প্রেমাদাসার গ্যালারিতে বিপুল লঙ্কান সমর্থন।’ ভুল বলেননি। আজকের ফাইনালে প্রেমাদাসার গ্যালারির গর্জনে শ্রীলঙ্কা যদি ঠিকঠাক জ্বলে উঠতে পারে, টানা দুবার তাদের এশিয়া কাপ জয় অসম্ভব কিছু নয়।
যতই শ্রীলঙ্কার বিপুল সমর্থন থাক আর টুর্নামেন্টজুড়ে ভালো খেলুক, ভারত কি আর এসবে চুপসে যাওয়া দল? গত মঙ্গলবার প্রেমাদাসাকে নৈঃশব্দ্যে ডুবিয়ে ২১৩ রান করেও জিতেছেন রোহিতরা। পাঁচ বছর আগে এশিয়া কাপ জেতা ভারত ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ খেলার আগে আত্মবিশ্বাসের স্কেল ওপরে তুলে রাখতে চাইবে মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করে। গত পরশু বাংলাদেশের কাছে হারা ভারত চাইবে আজ সর্বশক্তি নিয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঝাঁপিয়ে পড়তে।
লড়াইটা ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে এক বনাম আটের হলেও এই শ্রীলঙ্কার অনুপ্রেরণা হতে পারে টুর্নামেন্টে তাদের পারফরম্যান্স। এশিয়া কাপের আগেই দলের গুরুত্বপূর্ণ কিছু বোলারকে হারালেও পারফরম্যান্সে এর প্রভাব পড়েনি। বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তানকে হারিয়ে তারা এখন শিরোপার দাবিদার। সুপার ফোরে ভারতকেও প্রায় ধরাশায়ী করে ফেলেছিল। ২১৩ রানে অলআউট হওয়া ভারতের ১০ উইকেটই নিয়েছিল লঙ্কান স্পিনাররা। স্বাগতিকদের স্পিন আক্রমণ কতটা শক্তিশালী, এতেই প্রমাণিত। টানা ৯ দিনের মধ্যে ৬ ম্যাচ হওয়া প্রেমাদাসার মন্থর আর ঘূর্ণি উইকেটে শ্রীলঙ্কার স্পিনাররা আজও জাদু দেখানোর সুযোগ পাবেন নিশ্চিত। ফাইনালের আগে শ্রীলঙ্কার দুঃসংবাদ, সাদা বলে ইনিংসের যেকোনো পর্যায়ে উইকেট শিকারে সিদ্ধহস্ত মাহিশ তিকশানাকে তারা পাচ্ছে না হ্যামস্ট্রিং চোটে পড়ায়। তাঁর জায়গায় একাদশে জায়গা পেতে পারেন লেগ স্পিনার দুশান হেমন্ত। বোলিং আক্রমণ যথেষ্ট শক্তিশালী হলেও শ্রীলঙ্কাকে ভাবাচ্ছে তাদের ব্যাটিং।
চোটে পড়ে ছিটকে পড়েছেন ভারতের অলরাউন্ডার অক্ষর প্যাটেল। তবু ভারতের তারকায় ঠাসা একাদশ সাজাতে কোনো অসুবিধাই নেই। আগুনে ফর্মে থাকা বিরাট কোহলি, শুবমান গিল, লোকেশ রাহুলকে নিয়ে ভারতের শক্তিশালী টপ অর্ডার তো আছেই। রোহিতের দলের পেস বোলিং আক্রমণটাও যথেষ্ট ভীতিজাগানিয়া—জসপ্রীত বুমরা, মোহাম্মদ সিরাজ, হার্দিক পান্ডিয়া প্রেমাদাসার মন্থর উইকেটেও তোপ দাগতে সক্ষম।
শক্তিমত্তা, দুই দলের সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান-রেকর্ড পাশে সরিয়ে রেখে এক জমজমাট ফাইনাল দেখার অপেক্ষায় সবাই। কলম্বোয় এই সময়ে আকাশের দিকেও তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে নিয়মিত। বিকেলে হালকা বর্ষণের পূর্বাভাস থাকলেও ফাইনাল ভাসিয়ে নেওয়ার মতো নয় বলে অনুমান করা হচ্ছে। সর্বোচ্চ ১২ বার এশিয়া কাপের ফাইনালে ওঠা শ্রীলঙ্কার সুযোগ সপ্তমবারের মতো শিরোপা জেতার। আর ১০ বার ফাইনাল খেলা ভারতের সুযোগ সংখ্যাটা ‘৮’ করে ফেলার। রোহিত শর্মা নাকি দাসুন শানাকা—কে হাসবেন শিরোপা জয়ের আনন্দে, সেই মীমাংসা আজ রাতেই।
টুকটুক কিংবা রেস্তোরাঁ–গতকাল কলম্বোয় যেখানেই বাংলাদেশি পরিচয় শুনেছেন শ্রীলঙ্কানরা, সহাস্যে অভিনন্দন জানাচ্ছেন। গত পরশু ভারতকে বাংলাদেশ হারিয়ে দেওয়ায় লঙ্কানরাও যারপরনাই খুশি।
গতকাল সকালে টুকটুকচালক নালাকা হাসতে হাসতেই বলছিলেন, ‘এবার আমাদের পালা। কিন্তু ফাইনালে ভারতকে হারানো এত সহজ হবে না।’ ক্রিকেটের ভালো খোঁজখবর রাখা নালাকা ভারতের সম্ভাব্য একাদশ সামনে এনে বললেন, ‘দেখুন, ওদের প্রতিটি পজিশনে সব বড় বড় তারকা খেলোয়াড়। দল হিসেবে শ্রীলঙ্কাও ভালো খেলছে। তবে একটি জায়গায় আমরা ভারতের চেয়ে এগিয়ে থাকব আজ, প্রেমাদাসার গ্যালারিতে বিপুল লঙ্কান সমর্থন।’ ভুল বলেননি। আজকের ফাইনালে প্রেমাদাসার গ্যালারির গর্জনে শ্রীলঙ্কা যদি ঠিকঠাক জ্বলে উঠতে পারে, টানা দুবার তাদের এশিয়া কাপ জয় অসম্ভব কিছু নয়।
যতই শ্রীলঙ্কার বিপুল সমর্থন থাক আর টুর্নামেন্টজুড়ে ভালো খেলুক, ভারত কি আর এসবে চুপসে যাওয়া দল? গত মঙ্গলবার প্রেমাদাসাকে নৈঃশব্দ্যে ডুবিয়ে ২১৩ রান করেও জিতেছেন রোহিতরা। পাঁচ বছর আগে এশিয়া কাপ জেতা ভারত ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ খেলার আগে আত্মবিশ্বাসের স্কেল ওপরে তুলে রাখতে চাইবে মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করে। গত পরশু বাংলাদেশের কাছে হারা ভারত চাইবে আজ সর্বশক্তি নিয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঝাঁপিয়ে পড়তে।
লড়াইটা ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে এক বনাম আটের হলেও এই শ্রীলঙ্কার অনুপ্রেরণা হতে পারে টুর্নামেন্টে তাদের পারফরম্যান্স। এশিয়া কাপের আগেই দলের গুরুত্বপূর্ণ কিছু বোলারকে হারালেও পারফরম্যান্সে এর প্রভাব পড়েনি। বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তানকে হারিয়ে তারা এখন শিরোপার দাবিদার। সুপার ফোরে ভারতকেও প্রায় ধরাশায়ী করে ফেলেছিল। ২১৩ রানে অলআউট হওয়া ভারতের ১০ উইকেটই নিয়েছিল লঙ্কান স্পিনাররা। স্বাগতিকদের স্পিন আক্রমণ কতটা শক্তিশালী, এতেই প্রমাণিত। টানা ৯ দিনের মধ্যে ৬ ম্যাচ হওয়া প্রেমাদাসার মন্থর আর ঘূর্ণি উইকেটে শ্রীলঙ্কার স্পিনাররা আজও জাদু দেখানোর সুযোগ পাবেন নিশ্চিত। ফাইনালের আগে শ্রীলঙ্কার দুঃসংবাদ, সাদা বলে ইনিংসের যেকোনো পর্যায়ে উইকেট শিকারে সিদ্ধহস্ত মাহিশ তিকশানাকে তারা পাচ্ছে না হ্যামস্ট্রিং চোটে পড়ায়। তাঁর জায়গায় একাদশে জায়গা পেতে পারেন লেগ স্পিনার দুশান হেমন্ত। বোলিং আক্রমণ যথেষ্ট শক্তিশালী হলেও শ্রীলঙ্কাকে ভাবাচ্ছে তাদের ব্যাটিং।
চোটে পড়ে ছিটকে পড়েছেন ভারতের অলরাউন্ডার অক্ষর প্যাটেল। তবু ভারতের তারকায় ঠাসা একাদশ সাজাতে কোনো অসুবিধাই নেই। আগুনে ফর্মে থাকা বিরাট কোহলি, শুবমান গিল, লোকেশ রাহুলকে নিয়ে ভারতের শক্তিশালী টপ অর্ডার তো আছেই। রোহিতের দলের পেস বোলিং আক্রমণটাও যথেষ্ট ভীতিজাগানিয়া—জসপ্রীত বুমরা, মোহাম্মদ সিরাজ, হার্দিক পান্ডিয়া প্রেমাদাসার মন্থর উইকেটেও তোপ দাগতে সক্ষম।
শক্তিমত্তা, দুই দলের সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান-রেকর্ড পাশে সরিয়ে রেখে এক জমজমাট ফাইনাল দেখার অপেক্ষায় সবাই। কলম্বোয় এই সময়ে আকাশের দিকেও তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে নিয়মিত। বিকেলে হালকা বর্ষণের পূর্বাভাস থাকলেও ফাইনাল ভাসিয়ে নেওয়ার মতো নয় বলে অনুমান করা হচ্ছে। সর্বোচ্চ ১২ বার এশিয়া কাপের ফাইনালে ওঠা শ্রীলঙ্কার সুযোগ সপ্তমবারের মতো শিরোপা জেতার। আর ১০ বার ফাইনাল খেলা ভারতের সুযোগ সংখ্যাটা ‘৮’ করে ফেলার। রোহিত শর্মা নাকি দাসুন শানাকা—কে হাসবেন শিরোপা জয়ের আনন্দে, সেই মীমাংসা আজ রাতেই।
লাফ দিয়ে আকাশ ছোঁয়া যদি সম্ভব হতো, হয়তো সেটাও করে ফেলতেন আরমান্দ ডুপ্লান্টিস। পোল ভল্টে বিস্ময় জাগিয়ে তোলাটা রীতিমতো অভ্যাসে পরিণত করেছেন এই সুইডিশ অ্যাথলেট। গতকাল গড়েছেন নতুন বিশ্ব রেকর্ড। হাঙ্গেরির গ্রাঁ প্রিতে ৬ দশমিক ২৯ মিটার উচ্চতায় লাফিয়ে মাধ্যাকর্ষণকে আরেকবার বুড়ো আঙুল দেখালেন তিনি।
৪ ঘণ্টা আগেসকাল থেকে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি। এমন আবহাওয়ায় মিরপুরে ক্রিকেটারদের আলস্য আসাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বাংলাদেশ দলের কন্ডিশনিং ও স্ট্রেংথ ট্রেইনার নাথান কেলির কাছে এসবের গুরুত্ব নেই। গুমোট আবহাওয়া হোক বা গরম, কাজের বেলায় তিনি একচুল ছাড় দেন না—এটাই বোঝা গেছে শেষ এক সপ্তাহের ফিটনেস ক্যাম্পে।
৪ ঘণ্টা আগেইউরোপিয়ান ফুটবলে নতুন মৌসুম শুরু হওয়ার তোড়জোড় চলছে। ১৫ আগস্ট থেকে পর্দা উঠবে লা লিগার ৯৫তম মৌসুমের। বার্সেলোনা নামবে শিরোপা ধরে রাখার মিশনে। জাবি আলোনসোকে নিয়ে নতুন স্বপ্ন দেখা রিয়াল মাদ্রিদও চায় আধিপত্য ফেরাতে। সব মিলিয়ে নতুন মৌসুমে লা লিগায় ফুটবলপ্রেমীদের আগ্রহের কেন্দ্রে থাকা বিষয়াদি নিয়েই এই উপস
৮ ঘণ্টা আগেসিঙ্গাপুর ম্যাচের পরপরই একটা ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল, সেপ্টেম্বরে ফিফা উইন্ডোতে হামজা চৌধুরী খেলবেন তো। সে অনিশ্চয়তা কাটেনি এখনো। যদিও হামজাকে দলে রেখেই ২৪ জনের স্কোয়াড সাজিয়েছেন কোচ হাভিয়ের কাবরেরা।
৯ ঘণ্টা আগে