নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম থেকে
হারারে থেকে চট্টগ্রাম—দূরত্ব প্রায় ৮ হাজার কিলোমিটার। মাঝে কেটে গেছে প্রায় চার বছর। ২০২১ সালে হারারেতে সাদমান ইসলাম টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। ক্রিকেটের রাজকীয় সংস্করণে এরপর ২৬ ইনিংসে পাননি সেঞ্চুরির দেখা। অবশেষে আজ সেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই সাদমান তুলে নিলেন টেস্টের আরেকটি সেঞ্চুরি।
চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে গতকাল শুরু হয়েছে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে দ্বিতীয় টেস্ট। আজ দ্বিতীয় দিনে যখন সাদমান সেঞ্চুরি ছুঁয়েছেন, তখন যেন তার কাঁধ থেকে নেমে গেল দীর্ঘ এক বোঝা। অফফর্ম, বাজেভাবে আউটসহ নানা কারণে যাঁকে নিয়ে হচ্ছিল সমালোচনা, সেই সাদমান সবকিছুর জবাব দিলেন ব্যাটে।
সিলেট টেস্টে জিম্বাবুয়ের কাছে হারের পর বাংলাদেশ ছিল চাপে। মাঠে ছিল না লড়াইয়ের ছাপ। ফিল্ডিংয়েও ছিল ভুলের ছড়াছড়ি। এমন এক পরিস্থিতিতে চট্টগ্রামে দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নামে বাংলাদেশ। প্রথম দিনের শেষ বিকেল থেকে শুরু তাইজুল ইসলামের স্পিন ভেলকি। আজ সকালে দিনের প্রথম বলেই সফরকারী দলের ইনিংসের শেষ উইকেট তুলে নেন তাইজুল। সফরকারীরা থেমে যায় ২২৭ রানে। জিম্বাবুয়ের ১০ উইকেটের ৬টিই নিয়েছেন তাইজুল।
জিম্বাবুয়ে অলআউট হওয়ার পর ব্যাটিংয়ে নামেন সাদমান ও এনামুল হক বিজয়। জিম্বাবুয়ের পেসার রিচার্ড এনগারাভা তিন স্লিপ ও গালির আক্রমণাত্মক ফিল্ডিং সাজিয়ে শুরু করেন বোলিং আক্রমণ। শুরুতে এনগারাভা ও ব্লেসিং মুজারাবানি মিলেই চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা চালান। তবে সাদমান আর জয়ের দৃঢ়তায় বাংলাদেশের ওপেনিং জুটিই হয়ে ওঠে সেই প্রাচীর, যেখানে চিড় ধরাতে পারেনি সফরকারীরা। ৩২ ইনিংস পর বাংলাদেশের ওপেনিংয়ে আসে শতরানের জুটি। যেটার জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে ২৮ মাস।
বিজয় ৩৯ রানে বিদায় নিলে ভেঙে যায় বাংলাদেশের ১১৮ রানের উদ্বোধনী জুটি। তিন নম্বরে এরপর ব্যাটিংয়ে নামেন মুমিনুল হক। মুমিনুলের সঙ্গে সেই জুটিতেই এগিয়ে চলেন সাদমান। মিড অন, মিড উইকেট, কাভার, এক্সট্রা কাভার কিংবা পুল শট—সব দিকেই ছিল সাদমানের নিয়ন্ত্রিত আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিং।১৪২ বলে এক্সট্রা কাভার দিয়ে চার মেরে টেস্টের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন সাদমান। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১৭২ বলে ১৭ চার ও এক ছক্কায় করেছেন ১১৭ রান। আর ৫০ ওভারে ১ উইকেটে ১৮৪ রান করেছে বাংলাদেশ।
২০২৪ সালে রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৯৩ রানে আউট না হলে সেঞ্চুরিটা সাদমানের আরও আগেই চলে আসত। দেরিতে এলেও সেই সেঞ্চুরিটা পেলেন তিনি। পরিসংখ্যান বিচার-বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চলমান চট্টগ্রাম টেস্টে ৯১ শতাংশ শটে নিয়ন্ত্রণ ছিল সাদমানের। যেটা তাঁর পরিপক্ব ও আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিংয়েরই পরিচায়ক।
হারারে থেকে চট্টগ্রাম—দূরত্ব প্রায় ৮ হাজার কিলোমিটার। মাঝে কেটে গেছে প্রায় চার বছর। ২০২১ সালে হারারেতে সাদমান ইসলাম টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। ক্রিকেটের রাজকীয় সংস্করণে এরপর ২৬ ইনিংসে পাননি সেঞ্চুরির দেখা। অবশেষে আজ সেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই সাদমান তুলে নিলেন টেস্টের আরেকটি সেঞ্চুরি।
চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে গতকাল শুরু হয়েছে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে দ্বিতীয় টেস্ট। আজ দ্বিতীয় দিনে যখন সাদমান সেঞ্চুরি ছুঁয়েছেন, তখন যেন তার কাঁধ থেকে নেমে গেল দীর্ঘ এক বোঝা। অফফর্ম, বাজেভাবে আউটসহ নানা কারণে যাঁকে নিয়ে হচ্ছিল সমালোচনা, সেই সাদমান সবকিছুর জবাব দিলেন ব্যাটে।
সিলেট টেস্টে জিম্বাবুয়ের কাছে হারের পর বাংলাদেশ ছিল চাপে। মাঠে ছিল না লড়াইয়ের ছাপ। ফিল্ডিংয়েও ছিল ভুলের ছড়াছড়ি। এমন এক পরিস্থিতিতে চট্টগ্রামে দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নামে বাংলাদেশ। প্রথম দিনের শেষ বিকেল থেকে শুরু তাইজুল ইসলামের স্পিন ভেলকি। আজ সকালে দিনের প্রথম বলেই সফরকারী দলের ইনিংসের শেষ উইকেট তুলে নেন তাইজুল। সফরকারীরা থেমে যায় ২২৭ রানে। জিম্বাবুয়ের ১০ উইকেটের ৬টিই নিয়েছেন তাইজুল।
জিম্বাবুয়ে অলআউট হওয়ার পর ব্যাটিংয়ে নামেন সাদমান ও এনামুল হক বিজয়। জিম্বাবুয়ের পেসার রিচার্ড এনগারাভা তিন স্লিপ ও গালির আক্রমণাত্মক ফিল্ডিং সাজিয়ে শুরু করেন বোলিং আক্রমণ। শুরুতে এনগারাভা ও ব্লেসিং মুজারাবানি মিলেই চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা চালান। তবে সাদমান আর জয়ের দৃঢ়তায় বাংলাদেশের ওপেনিং জুটিই হয়ে ওঠে সেই প্রাচীর, যেখানে চিড় ধরাতে পারেনি সফরকারীরা। ৩২ ইনিংস পর বাংলাদেশের ওপেনিংয়ে আসে শতরানের জুটি। যেটার জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে ২৮ মাস।
বিজয় ৩৯ রানে বিদায় নিলে ভেঙে যায় বাংলাদেশের ১১৮ রানের উদ্বোধনী জুটি। তিন নম্বরে এরপর ব্যাটিংয়ে নামেন মুমিনুল হক। মুমিনুলের সঙ্গে সেই জুটিতেই এগিয়ে চলেন সাদমান। মিড অন, মিড উইকেট, কাভার, এক্সট্রা কাভার কিংবা পুল শট—সব দিকেই ছিল সাদমানের নিয়ন্ত্রিত আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিং।১৪২ বলে এক্সট্রা কাভার দিয়ে চার মেরে টেস্টের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন সাদমান। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১৭২ বলে ১৭ চার ও এক ছক্কায় করেছেন ১১৭ রান। আর ৫০ ওভারে ১ উইকেটে ১৮৪ রান করেছে বাংলাদেশ।
২০২৪ সালে রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৯৩ রানে আউট না হলে সেঞ্চুরিটা সাদমানের আরও আগেই চলে আসত। দেরিতে এলেও সেই সেঞ্চুরিটা পেলেন তিনি। পরিসংখ্যান বিচার-বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চলমান চট্টগ্রাম টেস্টে ৯১ শতাংশ শটে নিয়ন্ত্রণ ছিল সাদমানের। যেটা তাঁর পরিপক্ব ও আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিংয়েরই পরিচায়ক।
গলে ম্যাচ ড্র হওয়া অনেকটা চোখ কপালে ওঠার মতো। সমুদ্রঘেঁষা এই ভেন্যুতে সবশেষ ২৬ ম্যাচে কোনো দলই ড্রয়ের জন্য সমঝোতা করেনি। বাংলাদেশের ম্যাচ দিয়ে ইতি টানল সেই ধারাবাহিকতার। ম্যাচটি কি জেতার জন্য খেলতে পারত না বাংলাদেশ? পারত না আরেকটু আগে ইনিংস ঘোষণা করতে? সেই প্রশ্নগুলোই রাখা হয়েছিল সংবাদ সম্মেলনে...
৯ ঘণ্টা আগেএক টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরি আগেও দেখেছে বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্ত প্রায় দুই বছর আগে সেই ক্লাবে নাম লেখান। এবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গলে জোড়া সেঞ্চুরি করে নতুন কীর্তি গড়লেন তিনি। বাংলাদেশের কোনো অধিনায়কই এর আগে এক টেস্টে দুই সেঞ্চুরি হাঁকাতে পারেননি। এই রেকর্ডে নাম লেখানোর কথা আগে থেকে জানতেন না শান্ত।
১০ ঘণ্টা আগেকিছু কি মনে পড়ছে? না পড়লেও অবশ্য দোষের কিছু নেই। মেলবোর্নে গত বছর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৩৭ বলে ২৮ রানের ইনিংস খেলে তোপের মুখে পড়েন ঋষভ পন্ত। তাঁর আউটের ধরন দেখে রীতিমত ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কার। ধারাভাষ্যকক্ষে মাইক হাতে তিরস্কার করতে থাকেন ‘স্টুপিড, স্টুপিড, স্টুপিড’ বলে
১১ ঘণ্টা আগেদিন শেষ হতে তখনো বাকি আরও ৫ ওভার। ৩০ বলে শ্রীলঙ্কার ৬ উইকেট পড়ে যাবে এমন ভাবাটা আকাশ-কুসুম কল্পনার মতো। বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত তাই বাস্তবতা মেনে নিয়ে ছুটে গেলেন লঙ্কান অধিনায়ক ধনঞ্জয়া ডি সিলভার সঙ্গে করমর্দন করতে। বাকিরাও তা অনুসরণ করতে থাকেন।
১১ ঘণ্টা আগে