Ajker Patrika

শেষ ওভারে চার-ছক্কা খেতে চাননি শহিদুল

আপডেট : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১২: ০৫
শেষ ওভারে চার-ছক্কা খেতে চাননি শহিদুল

বিপিএলের ফাইনালটা হলো সত্যিকারের ফাইনালের মতোই। শেষ ওভারে জয়ের জন্য বরিশালের যখন দরকার ১০ রান, বোলিংয়ে এসেছিলেন শহিদুল ইসলাম। এর আগেও শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে শেষ ওভারে বোলিং করে ম্যাচ জেতানোর অভিজ্ঞতা ছিল এই পেসারের। বরিশালের বিপক্ষেও যেভাবে শহিদুল চেয়েছেন, সেভাবেই ওভারটি শেষ করে দলকে শিরোপা জেতাতে পেরেছেন।

ম্যাচের নায়ক একেক সময় একেকজন হলেও শেষ ওভারে রোমাঞ্চে কুমিল্লার জয়ের অন্যতম নায়ক শহিদুল। প্রথম বলে তৌহিদ হৃদয়ের ব্যাট থেকে বুলেট গতিতে আসা বলে নিজেই ফিল্ডিং করেছেন। প্রথম বলে শহিদুল চেয়েছিলেন বাউন্ডারি না দিতে। প্রতিটি বলেই তার পরিকল্পনা ছিল এটি। জয়ের পর শহিদুল জানালেন, ‘টি-টোয়েন্টিতে ১০ রান একটু কম। কিন্তু গত দু-তিনটা ফাইনালে এরকম শেষ ওভার করা হয়েছে। সেগুলোতে অবশ্য প্রতিপক্ষের টার্গেটটা একটু বেশি ছিল। আমার কাছে তাই মনে হয়েছে প্রথম বলটাই খেলা ঘুরিয়ে দিতে পারে। চেষ্টা করেছি প্রথম বলে বাউন্ডারি না দিতে। ওই পরিকল্পনাতেই বোলিং করেছি, আলহামদুলিল্লাহ হয়ে গেছে।’

নিজের পরিকল্পনা অনুযায়ী ওভারের পরের দুই বলেও বড় শট খেলতে দেননি শহিদুল । চতুর্থ বলে ওয়াইড কি ওয়াইড নয় তা নিয়ে এক দফা নাটক হয়েছে । শেষ পর্যন্ত ওয়াইডের সিদ্ধান্ত এলে চাপ বাড়ে শহিদুলের। তিনি অবশ্য বলেছেন, এটা তার কাজেই লেগেছে , ‘ওয়াইড দেওয়ার ওই সময়টায় একটু চিন্তা করার সময় পেয়েছি।’ পরের বলে তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন হৃদয়। ক্যাচ ফেলেন তানভির ইসলাম। ক্যাচ মিস করায় শহিদুল খুব বেশি ঘাবড়ে যাননি, ‘তানভীর ক্যাচ ফেলায় সেভাবে ভয় কাজ করছিল না। ও চেষ্টা করেছে। ওটা ক্যাচ নিতে পারলে হয়তো শেষ বলে চাপটা আরেকটু কম থাকত । তবে আমার মনে হচ্ছিল শেষ বলে ৩ রানই যথেষ্ট।’

শেষ ওভারে শহিদুলকে বারবার অধিনায়ক ইমরুল কায়েসের সঙ্গে কথা বলতে দেখা গেছে। ওই সময় ইমরুল আসলে কী পরামর্শ দিচ্ছিলেন? শহিদুল বললেন, ‘ইমরুল ভাই বলছিল, যেটা চিন্তা করবি বোলিং সেভাবেই করবি। দুই চিন্তা করার দরকার নেই। যেটাই করবি মন থেকে করবি। আমারও লক্ষ্য ছিল প্রতিটা বলে নজর দেওয়া। প্রথম বল শুরু করার সময় চিন্তা ছিল এই বলে যেন বাউন্ডারি না হয়। আমার পরিকল্পনা ছিল বাউন্ডারি ছাড়া বোলিং করব।’

শহিদুলের হাতে বল তুলে দেওয়ার আগে আরেকটি কথাও বলেছিলেন ইমরুল। অফ স্টাম্পের বাইরে ফুল লেংথে বোলিং করার পরামর্শ দিয়েছিলেন,‘সবাই এ অবস্থা থেকে নায়ক হতে পারে না। আজ (গতকাল) তোর সামনে নায়ক হওয়ার সুযোগ। তুই অফ স্টাম্পের বাইরে ফুল লেংথের বল করে যা, আমি সেভাবেই ফিল্ডিং সেট করছি।’

কুমিল্লা ভালো শুরুর পরও প্রত্যাশামতো রান করতে পারেনি। তবে ড্রেসিং রুমে তাদের বার্তা দেওয়া হয়েছিল, যে রান হবে তা দিয়েই লড়াই করা। চাপের মধ্যে ভুল কম করা। কুমিল্লার ক্রিকেটাররা সেটিই করেছেন। ম্যাচ শেষে শহিদুল জানালেন ড্রেসিংরুমের তাদের কী বার্তা দেওয়া হয়েছিল, ‘আরও ১৫-২০ রান কম ছিল। তবে আমাদের পরিকল্পনা ছিল স্কোর যেটাই হবে, তা দিয়েই লড়াই করা । ফাইনাল ম্যাচ বলে কথা । চাপ থাকবেই। দুই দলের দিকেই চাপ থাকবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চাকরির নামে মিরপুর-শেওড়াপাড়ায় বাসায় ডেকে নারীর সঙ্গে ভিডিও ধারণের পর টাকা হাতিয়ে নিত ‘হানি ট্র্যাপ’ চক্র

দনবাস চান পুতিন—ন্যাটো তো নয়ই, পশ্চিমা সেনাও থাকবে না ইউক্রেনে

দুস্থদের ৩৪ লাখ টাকা নিয়ে লাপাত্তা মোহনগঞ্জ সমাজসেবা কর্মকর্তা

তথ্য যাচাইয়ের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করবেন—ইউটিউব চ্যানেলে সিইসির বার্তা

ফরিদপুরে চিকিৎসকের ওপর হামলার প্রতিবাদে সেবা বন্ধের ঘোষণা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত