তাসনীম হাসান, ঢাকা
গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে ওয়াসিম আকরাম শরণ নিতেন মনোবিদের। কখনো সমুদ্রের ধারে বসে মনোবিদের সহায়তায় নিজেকে তৈরি করতেন। পাকিস্তানের কিংবদন্তি ফাস্ট বোলার অবশ্য ‘মনের চিকিৎসক’ হিসেবে পেয়েছিলেন নিজের স্ত্রীকেই। হার্ট ও কিডনির সমস্যায় ২০০৯ সালে পরপারে চলে যাওয়া হুমা মুফতিকে এখনো জীবন বদলে দেওয়ার পেছনের বড় শক্তি হিসেবে মানেন ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই ফাস্ট বোলার।
তাসকিন আহমেদও পেয়েছেন একজন মনোবিদের সন্ধান। বাংলাদেশ পেসারের এই মনোচিকিৎসকের নাম সাবিত রায়হান। প্রায় হারিয়ে যেতে বসা তাসকিনের ফিরে আসার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান আছে তাঁর। শুধু তাসকিনই নন; সাবিতের সেশনে অংশ নিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ, ইমরুল কায়েস, লিটন দাস, সৌম্য সরকার, এনামুল হক বিজয়রাও। ‘তাসকিনের পরিচিত একজনের মাধ্যমে আমার সঙ্গে প্রথম যোগাযোগ’–ক্রিকেটারদের সঙ্গে তাঁর পরিচয়ের প্রথম অভিজ্ঞতার কথা আজকের পত্রিকাকে বলছিলেন সাবিত।
২০১৯ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) চলার সময়ে শুরু, এরপর দেশে কিংবা বিদেশে সফর–যেখানেই থাকুন প্রায় প্রতিদিনই সাবিতের সেশনে নিয়মিত অংশ নেন তাসকিন। দেশে থাকলে সামনাসামনি, আর দেশের বাইরে থাকলে মুঠোফোনের পর্দায় চলে ক্লাস।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শুরুতে দারুণ সাফল্য পাওয়া তাসকিনের ভিন্ন পৃথিবী দেখতেও সময় লাগেনি। ২০১৮ সাল থেকে ক্রমেই হারিয়ে ফেলেন বোলিংয়ের ধার। চোট, পারফরম্যান্স তো আছেই, মাঠের বাইরের জীবন নিয়েও কম আলোচিত ছিলেন না তাসকিন। ধারাবাহিক ব্যর্থতায় হাবুডুবু খেতে থাকা তাসকিনের আত্মবিশ্বাসও ঠেকেছিল তলানিতে। ব্যর্থতার সাগরে যখন তলিয়ে যাচ্ছিলেন, সেই অন্ধকার সময়েই তাসকিন খোঁজ পান সাবিতের। ‘তিনি আমার মাইন্ড ট্রেনার। কোচের মতো। শরীর সুস্থ রাখতে ফিটনেস ট্রেনিং করি, মনের জন্য যে ট্রেনিং দরকার, সেটি করান সাবিত ভাই’—জিম্বাবুয়ে যাওয়ার আগে বলছিলেন তাসকিন।
সাবিতের সেশনে অংশ নিয়ে এনামুলও পেয়েছেন উপকার। বাংলাদেশ দলের বাইরে থাকা এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান কাল বলছিলেন, ‘আমি তাঁর (সাবিত) সেশনে অংশ নিয়ে বেশ উপকৃত হয়েছি।’
তাসকিন–ইমরুলদের মনের রোগ সারাতে নোটবুকে কী কী থাকে—এ প্রশ্নে মোবাইল ফোনে সাবিত বলছিলেন, ‘মন ও শরীর একসঙ্গেই কাজ করে। ক্রিকেটারদের স্কিল ও ফিটনেস ঠিকঠাক কাজে লাগাতে যে মানসিকতা দরকার, সেসব নিয়ে ক্রিকেটারদের সঙ্গে কাজ করি। নেতিবাচক কিছু মনে এলে সেটা পারফরম্যান্সেও প্রভাব পড়ে। এসব বিষয় কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, সেটিও থাকে সেশনে। মনের পরিবর্তনটা যাতে দীর্ঘমেয়াদি হয়, সেসবই শেখাই।’
ক্রিকেটারদের সঙ্গে অনলাইন–অফলাইন দুভাবেই সেশনে যুক্ত হন সাবিত। ক্রিকেটাররা দেশের বাইরে থাকলে চলে অনলাইন সেশন। অবশ্য ক্রিকেটারদের মনোবিদের শরণ নেওয়া নতুন নয়। গত কয়েক বছরে একাধিকবার কানাডাপ্রবাসী মনোবিদ আলী আজহার খানের ক্লাসে অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়েরা। তবে এটি নিয়মিত নয়, হয় মাঝেমধ্যে। হতাশা, অবসাদ, তীব্র চাপ সামলাতে এখন বেশির ভাগ ক্রিকেটার শরণ নিচ্ছেন সাবিতের মতো মাইন্ড ট্রেনারের।
সাবিতের স্বপ্ন, একদিন পুরো বাংলাদেশ দলের জন্যই কাজ করবেন তিনি, ‘দলের অনেকের সঙ্গে কাজ করছি। যদি বিসিবি থেকে সুযোগ আসে, ক্রিকেটারদের মানসিকতা এভাবেই গড়তে চাইব, যাতে তাঁরা বিশ্বকাপ জয় নিয়ে চিন্তা করতে পারেন। এটি করতে কীভাবে নিজেদের মানসিকতা গড়ে তুলবেন তাঁরা, সেসব নিয়ে কাজ করতে চাই।’
গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে ওয়াসিম আকরাম শরণ নিতেন মনোবিদের। কখনো সমুদ্রের ধারে বসে মনোবিদের সহায়তায় নিজেকে তৈরি করতেন। পাকিস্তানের কিংবদন্তি ফাস্ট বোলার অবশ্য ‘মনের চিকিৎসক’ হিসেবে পেয়েছিলেন নিজের স্ত্রীকেই। হার্ট ও কিডনির সমস্যায় ২০০৯ সালে পরপারে চলে যাওয়া হুমা মুফতিকে এখনো জীবন বদলে দেওয়ার পেছনের বড় শক্তি হিসেবে মানেন ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই ফাস্ট বোলার।
তাসকিন আহমেদও পেয়েছেন একজন মনোবিদের সন্ধান। বাংলাদেশ পেসারের এই মনোচিকিৎসকের নাম সাবিত রায়হান। প্রায় হারিয়ে যেতে বসা তাসকিনের ফিরে আসার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান আছে তাঁর। শুধু তাসকিনই নন; সাবিতের সেশনে অংশ নিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ, ইমরুল কায়েস, লিটন দাস, সৌম্য সরকার, এনামুল হক বিজয়রাও। ‘তাসকিনের পরিচিত একজনের মাধ্যমে আমার সঙ্গে প্রথম যোগাযোগ’–ক্রিকেটারদের সঙ্গে তাঁর পরিচয়ের প্রথম অভিজ্ঞতার কথা আজকের পত্রিকাকে বলছিলেন সাবিত।
২০১৯ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) চলার সময়ে শুরু, এরপর দেশে কিংবা বিদেশে সফর–যেখানেই থাকুন প্রায় প্রতিদিনই সাবিতের সেশনে নিয়মিত অংশ নেন তাসকিন। দেশে থাকলে সামনাসামনি, আর দেশের বাইরে থাকলে মুঠোফোনের পর্দায় চলে ক্লাস।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শুরুতে দারুণ সাফল্য পাওয়া তাসকিনের ভিন্ন পৃথিবী দেখতেও সময় লাগেনি। ২০১৮ সাল থেকে ক্রমেই হারিয়ে ফেলেন বোলিংয়ের ধার। চোট, পারফরম্যান্স তো আছেই, মাঠের বাইরের জীবন নিয়েও কম আলোচিত ছিলেন না তাসকিন। ধারাবাহিক ব্যর্থতায় হাবুডুবু খেতে থাকা তাসকিনের আত্মবিশ্বাসও ঠেকেছিল তলানিতে। ব্যর্থতার সাগরে যখন তলিয়ে যাচ্ছিলেন, সেই অন্ধকার সময়েই তাসকিন খোঁজ পান সাবিতের। ‘তিনি আমার মাইন্ড ট্রেনার। কোচের মতো। শরীর সুস্থ রাখতে ফিটনেস ট্রেনিং করি, মনের জন্য যে ট্রেনিং দরকার, সেটি করান সাবিত ভাই’—জিম্বাবুয়ে যাওয়ার আগে বলছিলেন তাসকিন।
সাবিতের সেশনে অংশ নিয়ে এনামুলও পেয়েছেন উপকার। বাংলাদেশ দলের বাইরে থাকা এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান কাল বলছিলেন, ‘আমি তাঁর (সাবিত) সেশনে অংশ নিয়ে বেশ উপকৃত হয়েছি।’
তাসকিন–ইমরুলদের মনের রোগ সারাতে নোটবুকে কী কী থাকে—এ প্রশ্নে মোবাইল ফোনে সাবিত বলছিলেন, ‘মন ও শরীর একসঙ্গেই কাজ করে। ক্রিকেটারদের স্কিল ও ফিটনেস ঠিকঠাক কাজে লাগাতে যে মানসিকতা দরকার, সেসব নিয়ে ক্রিকেটারদের সঙ্গে কাজ করি। নেতিবাচক কিছু মনে এলে সেটা পারফরম্যান্সেও প্রভাব পড়ে। এসব বিষয় কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, সেটিও থাকে সেশনে। মনের পরিবর্তনটা যাতে দীর্ঘমেয়াদি হয়, সেসবই শেখাই।’
ক্রিকেটারদের সঙ্গে অনলাইন–অফলাইন দুভাবেই সেশনে যুক্ত হন সাবিত। ক্রিকেটাররা দেশের বাইরে থাকলে চলে অনলাইন সেশন। অবশ্য ক্রিকেটারদের মনোবিদের শরণ নেওয়া নতুন নয়। গত কয়েক বছরে একাধিকবার কানাডাপ্রবাসী মনোবিদ আলী আজহার খানের ক্লাসে অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়েরা। তবে এটি নিয়মিত নয়, হয় মাঝেমধ্যে। হতাশা, অবসাদ, তীব্র চাপ সামলাতে এখন বেশির ভাগ ক্রিকেটার শরণ নিচ্ছেন সাবিতের মতো মাইন্ড ট্রেনারের।
সাবিতের স্বপ্ন, একদিন পুরো বাংলাদেশ দলের জন্যই কাজ করবেন তিনি, ‘দলের অনেকের সঙ্গে কাজ করছি। যদি বিসিবি থেকে সুযোগ আসে, ক্রিকেটারদের মানসিকতা এভাবেই গড়তে চাইব, যাতে তাঁরা বিশ্বকাপ জয় নিয়ে চিন্তা করতে পারেন। এটি করতে কীভাবে নিজেদের মানসিকতা গড়ে তুলবেন তাঁরা, সেসব নিয়ে কাজ করতে চাই।’
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি পদে আমিনুল ইসলাম বুলবুলের তিন মাসও পূর্ণ হয়নি। এই আড়াই মাসেই দেশের ক্রিকেটে আমূল পরিবর্তন আনতে নতুন অনেক উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি। এর মধ্যে আছে জাতীয় দলের ক্রিকেটার ও কোচিং স্টাফদের নিয়ে চালানো জরিপ।
৩৩ মিনিট আগেশেফিল্ড ওয়েডনেজদের বিপক্ষে ১০ আগস্ট খেলেননি হামজা চৌধুরী। চ্যাম্পিয়নশিপের সেই ম্যাচে তাঁর দল লেস্টার সিটি হেরেছিল ২-১ গোলে। হাডার্সফিল্ড টাউনের ঘরের মাঠ জন স্মিথস স্টেডিয়ামে গত রাতে হামজা খেলেছেন শুরুর একাদশেই।
১ ঘণ্টা আগেশিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ যদি রোমাঞ্চ না ছড়ায় তাহলে সেই ম্যাচ নিয়ে মজাই বা কী থাকে! উদিনেসের ব্লু এনার্জি স্টেডিয়ামে গত রাতে সুপার কাপের প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি)-টটেনহাম ফাইনালটা ছিল রোমাঞ্চে ভরপুর। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে ২০২৫ সুপার কাপের শিরোপা জিতল পিএসজি।
১ ঘণ্টা আগেবিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল অস্ট্রেলিয়া থেকে ঢাকায় ফিরবেন আগামী সোমবার। এবার ঢাকায় ফিরে তাঁর মূল কাজ হবে হাতে থাকা সময়ের মধ্যে নিজের উদ্যোগগুলো পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন করা।
২ ঘণ্টা আগে