অনলাইন ডেস্ক
বাংলাদেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগ বিপিএল বরাবরই হাই প্রোফাইল কোচ দেখে এসেছে। টম মুডি, মাহেলা জয়াবর্ধনে, ল্যান্স ক্লুজনার, ওয়াকার ইউনিসের মতো কিংবদন্তি কোচরা অতীতে বিপিএলের বিভিন্ন দলে কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৩ সালে চিটাগাং কিংসের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে যুক্ত হয়েছিলেন ক্যারিবীয় কিংবদন্তি ব্রায়ান লারাও। তবে তাঁদের কেউ নন, দেশি এক কোচই বিপিএলে সবচেয়ে সফল। তিনি মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের হয়ে জিতেছেন রেকর্ড চারটি শিরোপা। সফল এই কোচই নেই এবারের বিপিএলে।
জাতীয় দলে সহকারী কোচের দায়িত্ব নেওয়ায় এবারের বিপিএলের বাইরে সালাহউদ্দিন। তবে ডাগআউটের বাইরে থেকে এবার বিপিএল দেখবেন তিনি, দেখবেন বিভিন্ন কোচের কৌশলের লড়াই। এবারের ৭ দলের তিনটির ডাগআউটে থাকবেন তিন বিদেশি কোচ। বাকি ৪ দলের হাল ধরছেন চার স্থানীয় কোচ।
রংপুর রাইডার্সের প্রধান কোচ হিসেবে আছেন দক্ষিণ আফ্রিকান কোচ মিকি আর্থার। কোচ হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পরিচিত এক নামই মিকি আর্থার। পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ আফ্রিকা—এসব দলের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা তাঁর। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটেও তাঁর অবদান কম নয়। সম্প্রতি গায়ানায় গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি সুপার লিগে রংপুর রাইডার্সের দায়িত্ব নিয়ে প্রথম অ্যাসাইনমেন্টে দলকে শিরোপা এনে দিয়েছেন। এবার বিপিএলেও তাঁর লক্ষ্য সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখা।
চিটাগাং কিংসের ডাগআউট এবার থাকবেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক গতি তারকা শন টেইট। কোচিং ক্যারিয়ার শুরু করার পর থেকেই নিজের দক্ষতা প্রমাণ করে চলেছেন অস্ট্রেলীয় এই কোচ। পাকিস্তান জাতীয় দলের বোলিং কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। আগেও বিপিএলে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। পেসার হিসেবে ছিলেন আগ্রাসী মেজাজের। কোচ হিসেবেও তিনি যেমন কৌশলী, তেমনি আক্রমণাত্মক।
এদিকে দুর্বার রাজশাহীর দায়িত্ব পেয়েছেন পাকিস্তানের আরেক অভিজ্ঞ কোচ ইজাজ আহমেদ। দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তানের অনূর্ধ্ব-১৯ দলসহ বিভিন্ন পর্যায়ে কোচিং করানোর অভিজ্ঞতা তাঁর। পাকিস্তানি এই কোচের আজই ঢাকায় এসে দুর্বার রাজশাহী দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা।
তো এবারের বিপিএলে দেশি কোচ থাকছেন কারা? ফরচুন বরিশালের দায়িত্বে আছেন মিজানুর রহমান, যিনি ঘরোয়া ক্রিকেটে একজন সফল কোচ। আর ঢাকা ক্যাপিটালসের হাল ধরছেন অভিজ্ঞ খালেদ মাহমুদ সুজন। মিজানুর ও সুজনের রয়েছে বিপিএলের অতীত আসরে দলকে চ্যাম্পিয়ন করার অভিজ্ঞতা। শুধু কৌশল নয়, খেলোয়াড়দের চাঙা রাখা এবং প্রতিপক্ষের পরিকল্পনা ভেস্তে দেওয়ার ক্ষেত্রেও অতীতে নিজেদের দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছেন তাঁরা।
কোচদের কৌশলের লড়াই নতুন কিছু নয়। কিন্তু কৌশলের বাইরেও কোচদের আরও করণীয় আছে বলে মনে করে বিপিএলের সফলতম কোচ সালাহউদ্দিন। তাঁর ভাষায়, ‘বিপিএলের মতো বড় মঞ্চে কোচিং শুধু কৌশল তৈরি করাই নয়, খেলোয়াড়দের মানসিকভাবে উজ্জীবিত রাখা, প্রতিপক্ষের কৌশল বিশ্লেষণ এবং তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাও থাকা জরুরি। বিদেশি কোচদের আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা বেশি হলেও দেশি কোচরা ঘরোয়া পরিস্থিতির সঙ্গে বেশি মানানসই। বিদেশি ক্রিকেটারদের সঙ্গে নিজ দলের সেরা ক্রিকেটারের কম্বিনেশনটা ঠিক করাটাও তার জন্য বেশি সহজ। তাই এবারে বিপিএলে (কোচদের) লড়াই বেশ জমজমাট হবে।’
বিপিএলে মিকি আর্থার, শন টেইট কিংবা ইজাজ আহমেদের মতো অভিজ্ঞ বিদেশি কোচদের কৌশলগত লড়াইয়ে নিজেদের উপস্থিতি জানান দেওয়াটাই হবে দেশি কোচদের বড় চ্যালেঞ্জ। তবে মিজানুর রহমান, বাবুল বা সুজনের মতো কোচরা জানেন, কীভাবে ঘরোয়া মাটিতে খেলোয়াড়দের থেকে সেরাটা বের করে আনতে হয়। সালাহউদ্দিনের মতে, ‘দেশি কোচরা খেলোয়াড়দের মনের ভাষা বুঝতে পারেন এবং প্রয়োজন অনুযায়ী দ্রুত সমাধান দিতে পারেন, যা ঘরোয়া ক্রিকেটে অনেক বড় প্রভাব ফেলে।’
তাই এবারের বিপিএলটা শুধুই ক্রিকেটারদের ব্যাট আর বলের লড়াই নয়, কোচদের কৌশল আর পরিকল্পনার লড়াইও।
বাংলাদেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগ বিপিএল বরাবরই হাই প্রোফাইল কোচ দেখে এসেছে। টম মুডি, মাহেলা জয়াবর্ধনে, ল্যান্স ক্লুজনার, ওয়াকার ইউনিসের মতো কিংবদন্তি কোচরা অতীতে বিপিএলের বিভিন্ন দলে কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৩ সালে চিটাগাং কিংসের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে যুক্ত হয়েছিলেন ক্যারিবীয় কিংবদন্তি ব্রায়ান লারাও। তবে তাঁদের কেউ নন, দেশি এক কোচই বিপিএলে সবচেয়ে সফল। তিনি মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের হয়ে জিতেছেন রেকর্ড চারটি শিরোপা। সফল এই কোচই নেই এবারের বিপিএলে।
জাতীয় দলে সহকারী কোচের দায়িত্ব নেওয়ায় এবারের বিপিএলের বাইরে সালাহউদ্দিন। তবে ডাগআউটের বাইরে থেকে এবার বিপিএল দেখবেন তিনি, দেখবেন বিভিন্ন কোচের কৌশলের লড়াই। এবারের ৭ দলের তিনটির ডাগআউটে থাকবেন তিন বিদেশি কোচ। বাকি ৪ দলের হাল ধরছেন চার স্থানীয় কোচ।
রংপুর রাইডার্সের প্রধান কোচ হিসেবে আছেন দক্ষিণ আফ্রিকান কোচ মিকি আর্থার। কোচ হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পরিচিত এক নামই মিকি আর্থার। পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ আফ্রিকা—এসব দলের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা তাঁর। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটেও তাঁর অবদান কম নয়। সম্প্রতি গায়ানায় গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি সুপার লিগে রংপুর রাইডার্সের দায়িত্ব নিয়ে প্রথম অ্যাসাইনমেন্টে দলকে শিরোপা এনে দিয়েছেন। এবার বিপিএলেও তাঁর লক্ষ্য সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখা।
চিটাগাং কিংসের ডাগআউট এবার থাকবেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক গতি তারকা শন টেইট। কোচিং ক্যারিয়ার শুরু করার পর থেকেই নিজের দক্ষতা প্রমাণ করে চলেছেন অস্ট্রেলীয় এই কোচ। পাকিস্তান জাতীয় দলের বোলিং কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। আগেও বিপিএলে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। পেসার হিসেবে ছিলেন আগ্রাসী মেজাজের। কোচ হিসেবেও তিনি যেমন কৌশলী, তেমনি আক্রমণাত্মক।
এদিকে দুর্বার রাজশাহীর দায়িত্ব পেয়েছেন পাকিস্তানের আরেক অভিজ্ঞ কোচ ইজাজ আহমেদ। দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তানের অনূর্ধ্ব-১৯ দলসহ বিভিন্ন পর্যায়ে কোচিং করানোর অভিজ্ঞতা তাঁর। পাকিস্তানি এই কোচের আজই ঢাকায় এসে দুর্বার রাজশাহী দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা।
তো এবারের বিপিএলে দেশি কোচ থাকছেন কারা? ফরচুন বরিশালের দায়িত্বে আছেন মিজানুর রহমান, যিনি ঘরোয়া ক্রিকেটে একজন সফল কোচ। আর ঢাকা ক্যাপিটালসের হাল ধরছেন অভিজ্ঞ খালেদ মাহমুদ সুজন। মিজানুর ও সুজনের রয়েছে বিপিএলের অতীত আসরে দলকে চ্যাম্পিয়ন করার অভিজ্ঞতা। শুধু কৌশল নয়, খেলোয়াড়দের চাঙা রাখা এবং প্রতিপক্ষের পরিকল্পনা ভেস্তে দেওয়ার ক্ষেত্রেও অতীতে নিজেদের দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছেন তাঁরা।
কোচদের কৌশলের লড়াই নতুন কিছু নয়। কিন্তু কৌশলের বাইরেও কোচদের আরও করণীয় আছে বলে মনে করে বিপিএলের সফলতম কোচ সালাহউদ্দিন। তাঁর ভাষায়, ‘বিপিএলের মতো বড় মঞ্চে কোচিং শুধু কৌশল তৈরি করাই নয়, খেলোয়াড়দের মানসিকভাবে উজ্জীবিত রাখা, প্রতিপক্ষের কৌশল বিশ্লেষণ এবং তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাও থাকা জরুরি। বিদেশি কোচদের আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা বেশি হলেও দেশি কোচরা ঘরোয়া পরিস্থিতির সঙ্গে বেশি মানানসই। বিদেশি ক্রিকেটারদের সঙ্গে নিজ দলের সেরা ক্রিকেটারের কম্বিনেশনটা ঠিক করাটাও তার জন্য বেশি সহজ। তাই এবারে বিপিএলে (কোচদের) লড়াই বেশ জমজমাট হবে।’
বিপিএলে মিকি আর্থার, শন টেইট কিংবা ইজাজ আহমেদের মতো অভিজ্ঞ বিদেশি কোচদের কৌশলগত লড়াইয়ে নিজেদের উপস্থিতি জানান দেওয়াটাই হবে দেশি কোচদের বড় চ্যালেঞ্জ। তবে মিজানুর রহমান, বাবুল বা সুজনের মতো কোচরা জানেন, কীভাবে ঘরোয়া মাটিতে খেলোয়াড়দের থেকে সেরাটা বের করে আনতে হয়। সালাহউদ্দিনের মতে, ‘দেশি কোচরা খেলোয়াড়দের মনের ভাষা বুঝতে পারেন এবং প্রয়োজন অনুযায়ী দ্রুত সমাধান দিতে পারেন, যা ঘরোয়া ক্রিকেটে অনেক বড় প্রভাব ফেলে।’
তাই এবারের বিপিএলটা শুধুই ক্রিকেটারদের ব্যাট আর বলের লড়াই নয়, কোচদের কৌশল আর পরিকল্পনার লড়াইও।
২০২৭ সালের মার্চে অস্ট্রেলিয়ায় দুই টেস্টের সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। সে সফর এখনো বেশ দেরি হলেও অস্ট্রেলিয়ার উইকেট-কন্ডিশন নিয়ে একটা ধারণা মিলতে পারে শেফিল্ড শিল্ডের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আসন্ন চার দিনের ম্যাচ। বাংলাদেশ ‘এ’ দলে ১৪ সদস্যের অভিজ্ঞ স্কোয়াড ঘোষণা করেছে বিসিবি।
৬ ঘণ্টা আগেঅস্ট্রেলিয়ার ডারউইনে টপ এন্ড টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ ‘এ’ দল এক ম্যাচ জিতছে তো আরেক ম্যাচ হারছে। নিজেদের প্রথম ম্যাচ হারের পর গতকাল ৩২ রানে নেপালকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ ‘এ’। আজ আবার হারের স্বাদ পেয়েছে নুরুল হাসান সোহানের দল। টিআইও স্টেডিয়ামে বিগ ব্যাশর দল পার্থ স্করচার্সের একাডেমির কাছে তারা হেরেছে ৫
৭ ঘণ্টা আগেনিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে হকি এশিয়া কাপ থেকে নাম প্রত্যাহার করেছে পাকিস্তান। আজ এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছে তারা। পাকিস্তানের জায়গায় এশিয়া কাপে খেলার অপেক্ষায় রয়েছে বাংলাদেশ।
৮ ঘণ্টা আগেইংল্যান্ডের ‘দ্য হান্ড্রেডে’ চলছে রেকর্ডের বন্যা। বোলারদের চেয়েও ব্যাটাররা রেকর্ড গড়ছেন মুড়ি-মুড়কির মতো। এবার ইংল্যান্ডের এই ১০০ বলের টুর্নামেন্টে ভেঙে গেল তিন বছরের পুরোনো রেকর্ড। এই ম্যাচে হয়েছে ছক্কার বন্যা।
৯ ঘণ্টা আগে