তাসনীম হাসান, চট্টগ্রাম
নব্বইয়ের দশকে ভাতিজা তামিম ইকবালকে হাতে ধরে চট্টগ্রামের আউটার স্টেডিয়ামে নিয়ে এসেছিলেন ছোট চাচা আকবর খান। এভাবেই বাঁহাতি ব্যাটারের ক্রিকেটের হাতেকড়িটা হয়েছিল চাচার হাত ধরেই। এরপরের গল্পটা তো সবারই জানা। একের পর এক চূড়া ছুঁয়ে তামিম হয়ে উঠেছেন দেশের ক্রিকেটের সফলতম ব্যাটার। ওয়ানডে অধিনায়কের ভিত গড়ে দেওয়া আকবর আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সেই মাঠেই আবার এলেন। তবে এবার ক্রিকেট শেখাতে নয়। নিজেই যে এলেন অ্যাম্বুলেন্সে চড়ে, স্ট্রেচারে শুয়ে।
তামিমের সেই প্রথম কোচ ও আকরাম খানের ছোট ভাই আকবর খান মারা গেছেন বুধবার দিবাগত রাত ৩টা ৪০ মিনিটে (ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইজি রাজিউন)। অনেকদিন ধরেই কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন ৪৫ বছরের আকবর। সেই রোগ চট্টগ্রামের বিখ্যাত খান ভাইদের ছোটজনকে নিয়ে গেল মৃত্যুর দেশে।
কদিন পরেই আফগানিস্তান সিরিজ। করোনার এই সময়ে তাই হয়তো জনসমাগম এড়াতে নিজের প্রথম গুরুর শেষ যাত্রায় হাজির হননি তাঁর সেরা ছাত্র তামিম। তবে ছোট চাচার জন্য তামিমের মনটা যে পুড়ছে তা বোঝা যাবে ফেসবুকে দেওয়া তাঁর শোকবার্তাটা পড়লে। দীর্ঘ বার্তায় তামিম অকপটে স্বীকার করেছেন তাঁর ক্রিকেটের হওয়ার পেছনে আকবরের কতটা অবদান।
কোচ হিসেবে তামিমকে ছোট থেকে তৈরি করা আকবরকে নিয়ে তামিম লিখেছেন, ‘উনি (আকবর) নিজেও একসময় ক্রিকেটার ছিলেন। অনেকেই হয়তো জানেন না, আমার প্রথম ক্রিকেট কোচ ছিলেন তিনিই। ক্রিকেটের মৌলিক শিক্ষার অনেকটুকুই আমি পেয়েছিলাম তাঁর কাছ থেকে। ক্রিকেট বলে আমার প্রথম ম্যাচটিও খেলেছিলাম তাঁর তত্ত্বাবধানে। ক্রিকেটের পথে আজ যতদূর আসতে পেরেছি, উনি যত্ন করে ভিত গড়ে দিয়েছিলেন বলেই।’
তামিম আসতে না পারলেও আকবরকে বিদায় দিতে আউটার স্টেডিয়ামে হাজির হন বড় ভাই আকরাম খান, ভাতিজা নাফিস ইকবাল খান, ছেলে আহনাফ খানসহ খান পরিবারের সবাই। আসেন চট্টগ্রামের সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, নগর বিএনপির আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেন প্রমুখ। জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় আকবরকে।
আকরাম খানের নাম বললেই অনেকের চোখের পর্দায় ভেসে ওঠে ১৯৯৭ সালে আইসিসি ট্রফি জয়ের পর ট্রফি উচিয়ে আকরাম খানের সেই বিখ্যাত হাসিটা। মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে কেনিয়াকে হারিয়ে শিরোপা জয়ের সেই ক্ষণটি দেশের ক্রিকেটেরই সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপনই হয়ে আছে। সেই আকরামকে আজ কাঁদতে দেখল চট্টগ্রাম। জানাজার আগে পরিবারের পক্ষে কথা বলতে গিয়ে আকরাম বলেন, ‘ছোটকাল থেকেই সে আমাদের সান্নিধ্য বেড়ে উঠেছে। আজ তাঁর জানাযায় অভিভাবক হিসেবে আসতে হলো। আমি জানি ওর সঙ্গে সবার হৃদ্ধতাপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। এরপরও যদি কোনো ভুল করে থাকে, তাহলে তাঁকে ক্ষমা করে দেবেন।’
এরপর আর কথা বাড়াতে পারেননি আকরাম। আইসিসি ট্রফি জয়ী অধিনায়কের বাকি কথারা হারিয়ে যায় কান্নায়। চোখ মুছতে মুছতে শেষ বিদায় দেন ছোট ভাইকে।
নব্বইয়ের দশকে ভাতিজা তামিম ইকবালকে হাতে ধরে চট্টগ্রামের আউটার স্টেডিয়ামে নিয়ে এসেছিলেন ছোট চাচা আকবর খান। এভাবেই বাঁহাতি ব্যাটারের ক্রিকেটের হাতেকড়িটা হয়েছিল চাচার হাত ধরেই। এরপরের গল্পটা তো সবারই জানা। একের পর এক চূড়া ছুঁয়ে তামিম হয়ে উঠেছেন দেশের ক্রিকেটের সফলতম ব্যাটার। ওয়ানডে অধিনায়কের ভিত গড়ে দেওয়া আকবর আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সেই মাঠেই আবার এলেন। তবে এবার ক্রিকেট শেখাতে নয়। নিজেই যে এলেন অ্যাম্বুলেন্সে চড়ে, স্ট্রেচারে শুয়ে।
তামিমের সেই প্রথম কোচ ও আকরাম খানের ছোট ভাই আকবর খান মারা গেছেন বুধবার দিবাগত রাত ৩টা ৪০ মিনিটে (ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইজি রাজিউন)। অনেকদিন ধরেই কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন ৪৫ বছরের আকবর। সেই রোগ চট্টগ্রামের বিখ্যাত খান ভাইদের ছোটজনকে নিয়ে গেল মৃত্যুর দেশে।
কদিন পরেই আফগানিস্তান সিরিজ। করোনার এই সময়ে তাই হয়তো জনসমাগম এড়াতে নিজের প্রথম গুরুর শেষ যাত্রায় হাজির হননি তাঁর সেরা ছাত্র তামিম। তবে ছোট চাচার জন্য তামিমের মনটা যে পুড়ছে তা বোঝা যাবে ফেসবুকে দেওয়া তাঁর শোকবার্তাটা পড়লে। দীর্ঘ বার্তায় তামিম অকপটে স্বীকার করেছেন তাঁর ক্রিকেটের হওয়ার পেছনে আকবরের কতটা অবদান।
কোচ হিসেবে তামিমকে ছোট থেকে তৈরি করা আকবরকে নিয়ে তামিম লিখেছেন, ‘উনি (আকবর) নিজেও একসময় ক্রিকেটার ছিলেন। অনেকেই হয়তো জানেন না, আমার প্রথম ক্রিকেট কোচ ছিলেন তিনিই। ক্রিকেটের মৌলিক শিক্ষার অনেকটুকুই আমি পেয়েছিলাম তাঁর কাছ থেকে। ক্রিকেট বলে আমার প্রথম ম্যাচটিও খেলেছিলাম তাঁর তত্ত্বাবধানে। ক্রিকেটের পথে আজ যতদূর আসতে পেরেছি, উনি যত্ন করে ভিত গড়ে দিয়েছিলেন বলেই।’
তামিম আসতে না পারলেও আকবরকে বিদায় দিতে আউটার স্টেডিয়ামে হাজির হন বড় ভাই আকরাম খান, ভাতিজা নাফিস ইকবাল খান, ছেলে আহনাফ খানসহ খান পরিবারের সবাই। আসেন চট্টগ্রামের সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, নগর বিএনপির আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেন প্রমুখ। জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় আকবরকে।
আকরাম খানের নাম বললেই অনেকের চোখের পর্দায় ভেসে ওঠে ১৯৯৭ সালে আইসিসি ট্রফি জয়ের পর ট্রফি উচিয়ে আকরাম খানের সেই বিখ্যাত হাসিটা। মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে কেনিয়াকে হারিয়ে শিরোপা জয়ের সেই ক্ষণটি দেশের ক্রিকেটেরই সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপনই হয়ে আছে। সেই আকরামকে আজ কাঁদতে দেখল চট্টগ্রাম। জানাজার আগে পরিবারের পক্ষে কথা বলতে গিয়ে আকরাম বলেন, ‘ছোটকাল থেকেই সে আমাদের সান্নিধ্য বেড়ে উঠেছে। আজ তাঁর জানাযায় অভিভাবক হিসেবে আসতে হলো। আমি জানি ওর সঙ্গে সবার হৃদ্ধতাপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। এরপরও যদি কোনো ভুল করে থাকে, তাহলে তাঁকে ক্ষমা করে দেবেন।’
এরপর আর কথা বাড়াতে পারেননি আকরাম। আইসিসি ট্রফি জয়ী অধিনায়কের বাকি কথারা হারিয়ে যায় কান্নায়। চোখ মুছতে মুছতে শেষ বিদায় দেন ছোট ভাইকে।
গলে ম্যাচ ড্র হওয়া অনেকটা চোখ কপালে ওঠার মতো। সমুদ্রঘেঁষা এই ভেন্যুতে সবশেষ ২৬ ম্যাচে কোনো দলই ড্রয়ের জন্য সমঝোতা করেনি। বাংলাদেশের ম্যাচ দিয়ে ইতি টানল সেই ধারাবাহিকতার। ম্যাচটি কি জেতার জন্য খেলতে পারত না বাংলাদেশ? পারত না আরেকটু আগে ইনিংস ঘোষণা করতে? সেই প্রশ্নগুলোই রাখা হয়েছিল সংবাদ সম্মেলনে...
৮ ঘণ্টা আগেএক টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরি আগেও দেখেছে বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্ত প্রায় দুই বছর আগে সেই ক্লাবে নাম লেখান। এবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গলে জোড়া সেঞ্চুরি করে নতুন কীর্তি গড়লেন তিনি। বাংলাদেশের কোনো অধিনায়কই এর আগে এক টেস্টে দুই সেঞ্চুরি হাঁকাতে পারেননি। এই রেকর্ডে নাম লেখানোর কথা আগে থেকে জানতেন না শান্ত।
১০ ঘণ্টা আগেকিছু কি মনে পড়ছে? না পড়লেও অবশ্য দোষের কিছু নেই। মেলবোর্নে গত বছর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৩৭ বলে ২৮ রানের ইনিংস খেলে তোপের মুখে পড়েন ঋষভ পন্ত। তাঁর আউটের ধরন দেখে রীতিমত ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কার। ধারাভাষ্যকক্ষে মাইক হাতে তিরস্কার করতে থাকেন ‘স্টুপিড, স্টুপিড, স্টুপিড’ বলে
১১ ঘণ্টা আগেদিন শেষ হতে তখনো বাকি আরও ৫ ওভার। ৩০ বলে শ্রীলঙ্কার ৬ উইকেট পড়ে যাবে এমন ভাবাটা আকাশ-কুসুম কল্পনার মতো। বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত তাই বাস্তবতা মেনে নিয়ে ছুটে গেলেন লঙ্কান অধিনায়ক ধনঞ্জয়া ডি সিলভার সঙ্গে করমর্দন করতে। বাকিরাও তা অনুসরণ করতে থাকেন।
১১ ঘণ্টা আগে