Ajker Patrika

সবাই ‘আরামে’ ব্যাটিং করছে, কিন্তু শান্তরা…

রানা আব্বাস, চেন্নাই থেকে 
সবাই ‘আরামে’ ব্যাটিং করছে, কিন্তু শান্তরা…

চেন্নাইয়ের এম এ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে গতকাল সন্ধ্যায় দলের অনুশীলনে আসেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নিয়মিত অধিনায়ক ‘ঐচ্ছিক অনুশীলনে’ আসেননি। তাঁর ডেপুটি নাজমুল হোসেন শান্ত দলের প্রতিনিধি হয়ে তাই এলেন ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে। 

বিশ্বকাপে যেখানে ৪০০ রান উঠে যাচ্ছে, সেখানে ৩০০ রানকেও বড় স্কোর বলতে দ্বিধায় পড়ে যাওয়ার কথা। এই বিশ্বকাপে গতকাল পর্যন্ত যে ১০ ম্যাচ হয়েছে,৭ টিতেই দলীয় স্কোর ৩০০ পেরিয়েছে। প্রতিপক্ষের রানবন্যায় ভেসে যাওয়ার অভিজ্ঞতা হয়েছে বাংলাদেশেরও। 

বিশ্বকাপের হাই-স্কোরিং উইকেটে রান উৎসব হবে, সে তো জানাই। কিন্তু সেই উৎসবে বাংলাদেশ এখনো যোগ দিতে পারেনি। বরং বারবার তারা কাঠগড়ায় উঠছে ব্যাটিং ব্যর্থতায়। বাংলাদেশের ব্যাটিং ব্যর্থতার ভিড়ে গত এক বছর দারুণ ছন্দে থাকা নাজমুল হোসেন শান্তর চোখে সবাই ‘আরামে’ ব্যাটিং করছে। কিন্তু তাঁরা কেন আরামে ব্যাটিং করতে পারছেন না? গতকাল সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ টপ অর্ডার ব্যাটার বললেন, ‘একটা বিষয় মনে হয়েছে, আমরা কত বেশি সাহস নিয়ে ব্যাটিং করছি। মন খুলে কতটা স্বাধীনতা নিয়ে ব্যাটিং করতেছি। এটা জরুরি। প্রতিটি দলের ব্যাটার, যারা রান করছে, আমার মনে হচ্ছে খুব আরামেই করছে। মন খুলে, স্বাধীনতা নিয়ে ব্যাটিং করাটা জরুরি। সবাই এখানে স্কিলফুল। যদি আমরা ওই স্বাধীনতা নিয়ে ব্যাটিং করি, তাহলে ভালো করা সম্ভব। কোচিং স্টাফ, অধিনায়ক—সবার কাছে আমাদের ওই স্বাধীনতা আছে।’ 

এশিয়া কাপ থেকেই দৃশ্যটা নিয়মিত দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশ না পারছে বড় স্কোর করতে, না পারছে বড় লক্ষ্য তাড়া করতে। দায়টা মাথা পেতেই নিচ্ছেন শান্ত, ‘অবশ্যই আমরা ভালো ব্যাটিং করিনি। দুটো ম্যাচ হয়েছে মাত্র। প্রথম ম্যাচে বোলার-ব্যাটাররা বেশ ভালোভাবে শেষ করেছে। সামনের ম্যাচে ব্যাটাররা কীভাবে ভালো ব্যাটিং করে, সেটাই জরুরি। চেষ্টা করব সামনের ম্যাচে ওভাবে ব্যাটিং করার।’ 

ব্যাটিং ব্যর্থতার মূলে ওপেনারদের ধারাবাহিক ব্যর্থতা। ওপেনিংয়ের এই রোগ আরও অনেক আগে থেকেই। একই বিষয়ে ব্যর্থ হতে হতে আর এ নিয়ে কথা শুনতে শুনতে শান্ত বোধ হয় ক্লান্তই। এই বিষয়ে তাঁর আরজি, ‘আমার মনে হয়, ওপেনিং নিয়ে আর চিন্তাই না করি। ওপেনিংটা বাদ দিয়ে দিই। (হাসি) এখানে টপ অর্ডারে যারাই আছে, তারা খুব ভালো প্রস্তুতি নিয়ে আসছে। আমার মনে হয়, একটা-দুটো ভালো ইনিংস যেকোনো ব্যাটারকে ভালো আত্মবিশ্বাস এনে দেবে। এখানে কেউই এমন নয় যে চিন্তামুক্ত আছে। দলের জন্য সবাই চেষ্টা করছে। আশা করছি, টপ অর্ডার থেকে সামনের ম্যাচ থেকে ভালো স্কোর আসবে।’ 

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হারলেও স্বস্তির খবর, লিটন দাস রানে ফিরেছেন। তবে ভালো স্কোর পেতে সংগ্রাম করতে হচ্ছে তরুণ ওপেনার তানজিদ তামিমকে। তানজিদের কাঁধে অবশ্য শান্তর আস্থার হাত রয়েছে। বাংলাদেশ দলের সহঅধিনায়ক বললেন, ‘কারও হয়তো কম সময় লাগে, কারও বেশি। আমরা যেন ওর ওপর আস্থা রাখি ও সমর্থন করি। যারা এখানে আসছে, সবার সামর্থ্য আছে ভালো করার।’ চেন্নাইয়ের তুলনামূলক ঘূর্ণি উইকেটে বাংলাদেশের ব্যাটারদের কঠিন পরীক্ষা নিতে প্রতিপক্ষ দলে আছে মিচেল স্যান্টনারের মতো বাঁহাতি স্পিনার। শান্তর চাওয়া, কিউইদের যেমন বোলিং আক্রমণই থাকুক, দারুণ কিছু করতে তাঁদের প্রথম চার ব্যাটারের অন্তত তিনজনকে জ্বলে উঠতে হবে। এ চাওয়া তো পুরো বাংলাদেশেরই।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত