তাসনীম হাসান, ঢাকা
‘এক ভাই ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে তিন দিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। দ্রুত বি-নেগেটিভ রক্ত প্রয়োজন। রক্তদানে আগ্রহীরা জরুরি ভিত্তিতে এগিয়ে আসুন।’
গত মাসের শুরুর দিকের কথা। দেশে তখন ডেঙ্গুর প্রকোপ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। কঠিন পরিস্থিতিতে জীবন সংশয়ে থাকা এক অসহায় রোগীর পরিস্থিতি এভাবেই নিজের ফেসবুকে তুলে ধরেন ক্রিকেটার আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। সেই পোস্টে সাড়াও মেলে দ্রুত। কিছুক্ষণের মধ্যেই পাওয়া যায় রক্ত। বিপ্লবের এক শুভাকাঙ্ক্ষীর দেওয়া রক্তে বাঁচে সেই রোগীর প্রাণ। কদিন পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন তিনি।
বিপ্লবের মানবিকতার এটা একটা উদাহরণ মাত্র। নিয়মিতই ফেসবুকে নিজের পেজটা কাজে লাগিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের অসহায় রোগীদের রক্ত সংগ্রহ করে দেওয়ার মানবিক কাজটা করে আসছেন ২১ বছর বয়সী লেগ স্পিনার। এখন পর্যন্ত অন্তত ২০ জন মানুষ বিপ্লবের মাধ্যমে উপকৃত হয়েছেন। কেউ কেউ পেয়েছেন আর্থিক সহায়তাও।
লড়াই করে এত দূর আসা বিপ্লব ভোলেননি তাঁর ফেলে আসা দুঃখ-কষ্টের দিনগুলো। নিজের সাধ্যমতো হাত বাড়িয়ে দেন অসহায়দের দিকে। রক্তের ব্যবস্থা করে বিপদে পড়া মানুষের পাশে দাঁড়ানোর এই চিন্তা তাঁর শুরু গত বছরের জুনে। বাবা আবদুল কুদ্দুসের (দুই মাস আগে মারা গেছেন) হঠাৎ শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। অসুস্থ বাবাকে নিয়ে দুই দিন পাঁচ হাসপাতাল ঘুরেও বেড পাননি বিপ্লব। পরে তামিম ইকবালের সহায়তায় একটি হাসপাতালে ভর্তি করাতে পারেন বাবাকে। বিপ্লবের তখন উপলব্ধি হয়, জাতীয় দলের একজন ক্রিকেটার হয়েও তাঁকে যেভাবে বাবাকে নিয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে, সেখানে সাধারণ মানুষকে কী কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয়!
আজকের পত্রিকাকে বিপ্লব শুনিয়েছেন তাঁর দুঃখজাগানিয়া গল্প, ‘আব্বু যখন অসুস্থ ছিল তখন বুঝেছি বিপদে পড়লে কী হয়! দ্রুত রক্ত পেতে অনেক সময় লেগে যায়। তাতে রোগীর পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে থাকে। আমার মাধ্যমে কেউ যদি উপকৃত হয় সেটি আমার অনেক বড় পাওয়া।’
যত দিন সম্ভব এই মহতী উদ্যোগ চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে বিপ্লবের। বললেন, ‘ফেসবুকে আমাদের অনেকে অনুসরণ করেন। নিয়মিত ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে রক্ত সংগ্রহ কাজ করে যাচ্ছি। আল্লাহর রহমতে যত জনের জন্য রক্ত চেয়েছি, পেয়েছি।’
অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে শিগগির প্রতিষ্ঠা করতে চান ফাউন্ডেশন। বিপ্লবের মানবিক উদ্যোগের সঙ্গে চলে আসে ক্রিকেট-প্রসঙ্গও। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সব দলই একজন করে লেগ স্পিনার নিয়ে যাচ্ছে। এখানে বাংলাদেশ দলের পরিকল্পনা একটু ভিন্ন। লেগ স্পিনার বিপ্লবকে বাংলাদেশ নিয়ে যাচ্ছে রিজার্ভ খেলোয়াড় হিসেবে। এ প্রসঙ্গে দলের স্পিন বোলিং পরামর্শক রঙ্গনা হেরাথ আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, ‘আমাদের দলে বিপ্লব আছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সে মূল দলে নেই।’
যেটা নিজের হাতে নেই সেটি নিয়ে বেশি ভাবতে চান না বিপ্লব। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে তরুণ লেগ স্পিনার দেখছেন শেখার মঞ্চ হিসেবে। বললেন, ‘এটা নিয়ে ভাবছি না। আল্লাহ যেটা করেন ভালোর জন্যই করেন। তাঁর ওপর ভরসা রাখছি।’
‘এক ভাই ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে তিন দিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। দ্রুত বি-নেগেটিভ রক্ত প্রয়োজন। রক্তদানে আগ্রহীরা জরুরি ভিত্তিতে এগিয়ে আসুন।’
গত মাসের শুরুর দিকের কথা। দেশে তখন ডেঙ্গুর প্রকোপ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। কঠিন পরিস্থিতিতে জীবন সংশয়ে থাকা এক অসহায় রোগীর পরিস্থিতি এভাবেই নিজের ফেসবুকে তুলে ধরেন ক্রিকেটার আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। সেই পোস্টে সাড়াও মেলে দ্রুত। কিছুক্ষণের মধ্যেই পাওয়া যায় রক্ত। বিপ্লবের এক শুভাকাঙ্ক্ষীর দেওয়া রক্তে বাঁচে সেই রোগীর প্রাণ। কদিন পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন তিনি।
বিপ্লবের মানবিকতার এটা একটা উদাহরণ মাত্র। নিয়মিতই ফেসবুকে নিজের পেজটা কাজে লাগিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের অসহায় রোগীদের রক্ত সংগ্রহ করে দেওয়ার মানবিক কাজটা করে আসছেন ২১ বছর বয়সী লেগ স্পিনার। এখন পর্যন্ত অন্তত ২০ জন মানুষ বিপ্লবের মাধ্যমে উপকৃত হয়েছেন। কেউ কেউ পেয়েছেন আর্থিক সহায়তাও।
লড়াই করে এত দূর আসা বিপ্লব ভোলেননি তাঁর ফেলে আসা দুঃখ-কষ্টের দিনগুলো। নিজের সাধ্যমতো হাত বাড়িয়ে দেন অসহায়দের দিকে। রক্তের ব্যবস্থা করে বিপদে পড়া মানুষের পাশে দাঁড়ানোর এই চিন্তা তাঁর শুরু গত বছরের জুনে। বাবা আবদুল কুদ্দুসের (দুই মাস আগে মারা গেছেন) হঠাৎ শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। অসুস্থ বাবাকে নিয়ে দুই দিন পাঁচ হাসপাতাল ঘুরেও বেড পাননি বিপ্লব। পরে তামিম ইকবালের সহায়তায় একটি হাসপাতালে ভর্তি করাতে পারেন বাবাকে। বিপ্লবের তখন উপলব্ধি হয়, জাতীয় দলের একজন ক্রিকেটার হয়েও তাঁকে যেভাবে বাবাকে নিয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে, সেখানে সাধারণ মানুষকে কী কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয়!
আজকের পত্রিকাকে বিপ্লব শুনিয়েছেন তাঁর দুঃখজাগানিয়া গল্প, ‘আব্বু যখন অসুস্থ ছিল তখন বুঝেছি বিপদে পড়লে কী হয়! দ্রুত রক্ত পেতে অনেক সময় লেগে যায়। তাতে রোগীর পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে থাকে। আমার মাধ্যমে কেউ যদি উপকৃত হয় সেটি আমার অনেক বড় পাওয়া।’
যত দিন সম্ভব এই মহতী উদ্যোগ চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে বিপ্লবের। বললেন, ‘ফেসবুকে আমাদের অনেকে অনুসরণ করেন। নিয়মিত ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে রক্ত সংগ্রহ কাজ করে যাচ্ছি। আল্লাহর রহমতে যত জনের জন্য রক্ত চেয়েছি, পেয়েছি।’
অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে শিগগির প্রতিষ্ঠা করতে চান ফাউন্ডেশন। বিপ্লবের মানবিক উদ্যোগের সঙ্গে চলে আসে ক্রিকেট-প্রসঙ্গও। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সব দলই একজন করে লেগ স্পিনার নিয়ে যাচ্ছে। এখানে বাংলাদেশ দলের পরিকল্পনা একটু ভিন্ন। লেগ স্পিনার বিপ্লবকে বাংলাদেশ নিয়ে যাচ্ছে রিজার্ভ খেলোয়াড় হিসেবে। এ প্রসঙ্গে দলের স্পিন বোলিং পরামর্শক রঙ্গনা হেরাথ আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, ‘আমাদের দলে বিপ্লব আছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সে মূল দলে নেই।’
যেটা নিজের হাতে নেই সেটি নিয়ে বেশি ভাবতে চান না বিপ্লব। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে তরুণ লেগ স্পিনার দেখছেন শেখার মঞ্চ হিসেবে। বললেন, ‘এটা নিয়ে ভাবছি না। আল্লাহ যেটা করেন ভালোর জন্যই করেন। তাঁর ওপর ভরসা রাখছি।’
জয়ের জন্য ১৩৬ রানের লক্ষ্যটা কি খুব বড় ছিল? মোটেও না। কিন্তু মাঝারি মানের এই লক্ষ্যতাড়ায় শুরু থেকেই বাংলাদেশের ব্যাটাররা যে অস্থিরতা দেখালেন, স্ট্যাম্পের বাইরের বল চেজ করে খেলতে গিয়ে আত্মাহুতি দিলেন নিজেদের, তাতে ম্যাচটি যাঁরা দেখেছেন তাঁদের উপলব্ধি এটাই—এই দলের শেখার এখনো অনেক বাকি!
২ ঘণ্টা আগেরাজস্থান রয়্যালসের প্রধান কোচের ভূমিকায় এর আগেও ছিলেন কুমার সাঙ্গাকারা। আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিটিতে পুরোনো দায়িত্বে ফিরছেন শ্রীলঙ্কার এই কিংবদন্তি ক্রিকেটার। এমনটাই জানিয়েছে ভারতের ক্রিকেটভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইএসপিএনক্রিকইনফো।
৩ ঘণ্টা আগেআগের দিন বাংলাদেশকে হারিয়ে ফাইনালে নাম লেখায় ভারত। তাই আজ বাংলাদেশ-পাকিস্তানের সুপার ফোরের লড়াইটি হয়ে দাঁড়ায় এশিয়া কাপের অলিখিত সেমিফাইনাল। যে দল জিতবে সে দলই নাম লেখাবে ফাইনাল।
৪ ঘণ্টা আগেমোস্তাফিজুর রহমানের বল সালমান আলী আগার ব্যাট ছুঁয়ে চলে গিয়েছিল উইকেটের পেছনে থাকা জাকের আলীর গ্লাভসে। বোলার-ফিল্ডাররা আবেদন করলেও আউট দেননি আম্পায়ার। তবে রিভিউ নিয়ে জয়ী হয়েছে বাংলাদেশ। দলের বিপর্যয়ে যখন ব্যাটিং দৃঢ়তা দেখানোর কথা, তখনই দলের বিপদ বাড়িয়ে ফিরে গেলেন অধিনায়ক সালমান।
৫ ঘণ্টা আগে