নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
পুনেতে গতকাল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৮ উইকেটে হেরে ২০২৩ বিশ্বকাপ শেষ করেছে বাংলাদেশ দল। গত কয়েক ওয়ানডে বিশ্বকাপ বিবেচনায় তাদের এবার একদমই ভালো কাটেনি বললে ভুল হবে না। রাউন্ড রবিন লিগে ৯ ম্যাচের মধ্যে মাত্র ২ ম্যাচে জয় পেয়েছে তারা। বিশ্বকাপ শেষে আজ দেশেও ফিরেছে বাংলাদেশ দল।
ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি দরজা দিয়ে খেলোয়াড়দের অনেকগুলো গাড়িই বেরিয়ে যায়। হঠাৎ একটি নীল রঙের গাড়ি ঘিরে ধরেছে সংবাদকর্মীদের ক্যামেরা। গাড়ির চারপাশে ঘিরে রীতিমতো গতিরোধ, বিমানবন্দরের নিরাপত্তাকর্মীরা হুইসেল বাজিয়ে গাড়িটি যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিতে একটু সময়ও লাগল। সেই গাড়ির ভেতরে ছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
বিশ্বকাপের আগমুহূর্তের ঘটনার সঙ্গে পরের দৃশ্যটি যেন ঠিক বিপরীত মেরুতে দাঁড়িয়ে। বয়স, ফিটনেস, পারফরম্যান্সের সব চ্যালেঞ্জকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সেরা পারফরমার মাহমুদউল্লাহই। অথচ বিশ্বকাপের ১৫ জনের দলে তাঁর জায়গা হবে কি না—এ ব্যাপারে ছিল সবচেয়ে বেশি আলোচনা।
অজস্র আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেও নীরবে-নিভৃতে দলের জন্য নিজেকে প্রস্তুত রেখেছেন মাহমুদউল্লাহ। দলে জায়গা হোক বা না হোক, মিরপুর শেরেবাংলা থেকে একাডেমি মাঠ—এই অলরাউন্ডারের প্রস্তুতি বিচরণে প্রতিটা দিনের সাক্ষী ছিল হয়তো ইট-বালি-কংক্রিটও। ৩৭ বছরে এসে কংক্রিটের মতো শক্ত হয়ে ফিরেছেন আবারও।
বিশ্বকাপে দল ভালো না করলেও মাহমুদউল্লাহ পেয়েছেন নিভৃত প্রস্তুতির সাফল্য। নিজের শেষ বিশ্বকাপ রাঙিয়েছেন বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রান (৩২৮) সংগ্রহ করে। বাংলাদেশের হয়ে সবকিছুতে সবার বুড়ো মাহমুদউল্লাহ নিজের নাম তুলে এই বিশ্বকাপ শেষ করেছেন। নিজেরও শেষ বিশ্বকাপ শেষ করেছেন।
২০২৩ বিশ্বকাপে ৭ ইনিংসে ৩২৮ রান করেছেন মাহমুদউল্লাহ, নজরকাড়া গড় ৫৪.৬৬। ধর্মশালায় বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ের সুযোগ হয়নি তাঁর। এর পরের ম্যাচেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে একাদশে রাখা হয়নি তাঁকে। নিউজিল্যান্ড ম্যাচ দিয়ে আবারও ফেরেন একাদশে। এরপর আর বাদ পড়েননি।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েই ‘সাইলেন্ট কিলার’ স্বরূপে দেখা মেলে মাহমুদউল্লাহর। খেলেছেন ৪১ রানের অপরাজিত এক ইনিংস। এরপর তাঁকে বাদ দেওয়ার ব্যাপারটি হয়তো আর মাথায় আসেনি বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্টের। ৭ ম্যাচে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়ে ২০ রানের নিচে কোনো ইনিংস নেই মাহমুদউল্লাহর। সব ম্যাচেই দুই অঙ্কের রান।
এই বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে একমাত্র সেঞ্চুরিও এসেছে মাহমুদউল্লাহর কাছ থেকে। সব মিলিয়ে বিশ্বকাপ ইতিহাসে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ৩ সেঞ্চুরি তাঁর। এবারের বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দলের ব্যাটিং বিপর্যয়ে মাহমুদউল্লাহ খেলেছেন ১১১ রানের অসাধারণ এক ইনিংস।
এই বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ১৪টি ছক্কাও মেরেছেন মাহমুদউল্লাহ। তাঁর ফিল্ডিং নিয়েও অনেক কথা হয়েছিল, কিন্তু বিশ্বকাপে এই বিভাগেও তিনি ছিলেন তরুণ। বাংলাদেশ দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫টি ক্যাচও নিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ।
তাই অনেকগুলো গাড়ির মধ্যে শাহজালাল বিমানবন্দরে কালো কাচের আড়ালে মাহমুদউল্লাহকে চিনতে ভুল করেননি সাংবাদিকেরা। তাই তো ক্যামেরায় তুলে রাখার চেষ্টা সবার।
পুনেতে গতকাল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৮ উইকেটে হেরে ২০২৩ বিশ্বকাপ শেষ করেছে বাংলাদেশ দল। গত কয়েক ওয়ানডে বিশ্বকাপ বিবেচনায় তাদের এবার একদমই ভালো কাটেনি বললে ভুল হবে না। রাউন্ড রবিন লিগে ৯ ম্যাচের মধ্যে মাত্র ২ ম্যাচে জয় পেয়েছে তারা। বিশ্বকাপ শেষে আজ দেশেও ফিরেছে বাংলাদেশ দল।
ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি দরজা দিয়ে খেলোয়াড়দের অনেকগুলো গাড়িই বেরিয়ে যায়। হঠাৎ একটি নীল রঙের গাড়ি ঘিরে ধরেছে সংবাদকর্মীদের ক্যামেরা। গাড়ির চারপাশে ঘিরে রীতিমতো গতিরোধ, বিমানবন্দরের নিরাপত্তাকর্মীরা হুইসেল বাজিয়ে গাড়িটি যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিতে একটু সময়ও লাগল। সেই গাড়ির ভেতরে ছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
বিশ্বকাপের আগমুহূর্তের ঘটনার সঙ্গে পরের দৃশ্যটি যেন ঠিক বিপরীত মেরুতে দাঁড়িয়ে। বয়স, ফিটনেস, পারফরম্যান্সের সব চ্যালেঞ্জকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সেরা পারফরমার মাহমুদউল্লাহই। অথচ বিশ্বকাপের ১৫ জনের দলে তাঁর জায়গা হবে কি না—এ ব্যাপারে ছিল সবচেয়ে বেশি আলোচনা।
অজস্র আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেও নীরবে-নিভৃতে দলের জন্য নিজেকে প্রস্তুত রেখেছেন মাহমুদউল্লাহ। দলে জায়গা হোক বা না হোক, মিরপুর শেরেবাংলা থেকে একাডেমি মাঠ—এই অলরাউন্ডারের প্রস্তুতি বিচরণে প্রতিটা দিনের সাক্ষী ছিল হয়তো ইট-বালি-কংক্রিটও। ৩৭ বছরে এসে কংক্রিটের মতো শক্ত হয়ে ফিরেছেন আবারও।
বিশ্বকাপে দল ভালো না করলেও মাহমুদউল্লাহ পেয়েছেন নিভৃত প্রস্তুতির সাফল্য। নিজের শেষ বিশ্বকাপ রাঙিয়েছেন বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রান (৩২৮) সংগ্রহ করে। বাংলাদেশের হয়ে সবকিছুতে সবার বুড়ো মাহমুদউল্লাহ নিজের নাম তুলে এই বিশ্বকাপ শেষ করেছেন। নিজেরও শেষ বিশ্বকাপ শেষ করেছেন।
২০২৩ বিশ্বকাপে ৭ ইনিংসে ৩২৮ রান করেছেন মাহমুদউল্লাহ, নজরকাড়া গড় ৫৪.৬৬। ধর্মশালায় বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ের সুযোগ হয়নি তাঁর। এর পরের ম্যাচেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে একাদশে রাখা হয়নি তাঁকে। নিউজিল্যান্ড ম্যাচ দিয়ে আবারও ফেরেন একাদশে। এরপর আর বাদ পড়েননি।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েই ‘সাইলেন্ট কিলার’ স্বরূপে দেখা মেলে মাহমুদউল্লাহর। খেলেছেন ৪১ রানের অপরাজিত এক ইনিংস। এরপর তাঁকে বাদ দেওয়ার ব্যাপারটি হয়তো আর মাথায় আসেনি বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্টের। ৭ ম্যাচে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়ে ২০ রানের নিচে কোনো ইনিংস নেই মাহমুদউল্লাহর। সব ম্যাচেই দুই অঙ্কের রান।
এই বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে একমাত্র সেঞ্চুরিও এসেছে মাহমুদউল্লাহর কাছ থেকে। সব মিলিয়ে বিশ্বকাপ ইতিহাসে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ৩ সেঞ্চুরি তাঁর। এবারের বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দলের ব্যাটিং বিপর্যয়ে মাহমুদউল্লাহ খেলেছেন ১১১ রানের অসাধারণ এক ইনিংস।
এই বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ১৪টি ছক্কাও মেরেছেন মাহমুদউল্লাহ। তাঁর ফিল্ডিং নিয়েও অনেক কথা হয়েছিল, কিন্তু বিশ্বকাপে এই বিভাগেও তিনি ছিলেন তরুণ। বাংলাদেশ দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫টি ক্যাচও নিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ।
তাই অনেকগুলো গাড়ির মধ্যে শাহজালাল বিমানবন্দরে কালো কাচের আড়ালে মাহমুদউল্লাহকে চিনতে ভুল করেননি সাংবাদিকেরা। তাই তো ক্যামেরায় তুলে রাখার চেষ্টা সবার।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ও বিপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি চিটাগং কিংসের মধ্যে দীর্ঘদিনের টানাপোড়েন এখন চরমে। সমঝোতার সব দরজা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিসিবি ফ্র্যাঞ্চাইজিটির সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেছে। চিটাগং কিংসের স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠান এস. কিউ. স্পোর্টস এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের কাছে বিসিবির পাওনা ৩৭ লাখ ৮২
১ ঘণ্টা আগেঅস্ট্রেলিয়ায় টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে হার দিয়ে শুরু করল বাংলাদেশ ‘এ’ দল। টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে আজ তারা ৭৯ রানে হরে গেছে পাকিস্তান শাহিনস তথা পাকিস্তান ‘এ’ দলের কাছে।
১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে তাওহীদ হৃদয় ফেসবুকে সাধারণত যেকোনো বিষয়ে পোস্ট দেন বিস্তারিত লিখে। আজ ফেসবুকে তিনি যেটা লিখেছেন, সেখানে রীতিমতো ক্ষোভই ঝেড়েছেন। কিন্তু কী নিয়ে খেপলেন বাংলাদেশ দলের তরুণ ক্রিকেটার?
২ ঘণ্টা আগেবাবা কিংবদন্তি ক্রিকেটার। ছেলে নিজেও ক্রিকেট খেলেন। কিন্তু বাবা এতই বড় ক্রিকেটার ছিলেন যে—তাঁর ছায়া থেকে বেরিয়ে আসা হয়নি অর্জুন টেন্ডুলকারের। এতক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝে ফেলার কথা, বলা হচ্ছে শচীন টেন্ডুলকার তনয় অর্জুনের কথা।
২ ঘণ্টা আগে