Ajker Patrika

৯ বছরে একটা ‘শুরু’র সুযোগ পাওয়া নাহিদুল

ওমর ফারুক, ঢাকা
আপডেট : ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৫: ২৮
৯ বছরে একটা ‘শুরু’র সুযোগ পাওয়া নাহিদুল

এখন তাঁর ২৮ চলছে। এই বয়সে অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডে অনেক ক্রিকেটারের আন্তর্জাতিক অভিষেকই হয়। বাংলাদেশের ক্রিকেট সংস্কৃতিতে অবশ্য ‘২৮’ মানে একজন ক্রিকেটার ক্যারিয়ারের মাঝ পর্ব কিংবা শেষ দিকে এসে পড়ে। এই বয়সে আন্তর্জাতিক অভিষেক দূরের বাতিঘর। ২৮ বছর বয়সী স্পিনিং অলরাউন্ডার নাহিদুল ইসলাম অবশ্য এই বাতিঘরে পৌঁছাতেই ছুটছেন।

ঘরোয়া ক্রিকেটে তিনি পরিচিত মুখ। তবে সর্বশেষ বিপিএল আলাদা পরিচিতি দিয়েছে নাহিদুলকে। টুর্নামেন্টের শুরুতেই দারুণ খেলে পাদপ্রদীপের আলোয় এসেছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের হয়ে খেলা এই স্পিনিং অলরাউন্ডার। বিশেষ করে তাঁর অফ স্পিন বোলিংয়ের ধারাবাহিকতা বিশেষ নজর কেড়েছে নির্বাচকদের। 

আর তাতেই নাহিদুল প্রথমবার সুযোগ পেয়েছেন বিসিবির কোনো দলে। আজ বগুড়ায় প্রথমবারের মতো শুরু হওয়া বাংলাদেশ টাইগার্সের অনুশীলন ক্যাম্পে আছেন খুলনা থেকে উঠে আসা এই ক্রিকেটার। সুযোগটা কাজে লাগিয়ে আরও সামনে এগিয়ে যেতে চান নাহিদুল। ক্যাম্পে যোগ দেওয়ার আগে আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেছেন, ‘নিজেকে প্রমাণের জন্য উন্মুখ হয়ে আছি। চেষ্টা করব যেখানেই সুযোগ আসুক না কেন, আমার শতভাগ দিতে।’ 

এবার বিপিএলের শুরুর দিকে দারুণ ছন্দে ছিলেন নাহিদুল। ১০ ম্যাচে ৬.৪১ ইকোনমিতে ১১ উইকেট, এই পরিসংখ্যান অবশ্য তাঁর অসাধারণ বোলিংয়ের পুরোটা তুলে ধরে না। পাওয়ার প্লেতে বেশির ভাগ সময় কুমিল্লার ভরসা ছিলেন তিনি। নতুন বলে নিজের দারুণ বোলিং নিয়ে নাহিদুল বলছেন, ‘নতুন বলে বোলিং করতে আমার আত্মবিশ্বাস ভালোই থাকে। সামর্থ্য অনুযায়ী ভালো বোলিং করতে পারি।’

২০১৬ বিপিএল দিয়ে শুরুর পর কয়েক বছর ধারাবাহিক ভালো করলেও বিসিবির কোনো দলে সুযোগ পাননি নাহিদুল। ভাগ্যকেও অবশ্য তিনি পাশে পাননি অনেক সময়। অনূর্ধ্ব-১৫ দলে ডাক পেয়েও খেলা হয়নি। সেবার সফর পরিত্যক্ত হওয়ায় বাদ পড়েছিলেন। অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ৩০ জনের তালিকায় থাকলেও মূল দলে আর জায়গা হয়নি। 

এত না পাওয়ার মাঝে বাংলাদেশ টাইগার্সে ডাক পাওয়াটা ক্যারিয়ারের একটা ‘লাইফ লাইন’ মনে হচ্ছে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ৯ বছর কাটিয়ে দেওয়া নাহিদুলের। বলছিলেন, ‘সব খেলোয়াড়ই চায় জাতীয় দলের হয়ে খেলতে, আমি এর ব্যতিক্রম নই। হ্যাঁ, অনেক দিন ধরেই সেই সুযোগ খুঁজছি যে কখন, কবে বিসিবির নজরে আসব। আমি মনে করি এটা আমার একটা শুরু। আশা করি ভালো কিছু করতে পারব।’ 

জাতীয় দলের খেলোয়াড় হলে তো কথাই নেই। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো করে প্রচারের আলোয় আসা যেকোনো খেলোয়াড়ও এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খুব সক্রিয়। এখানেও নাহিদুল ব্যতিক্রম। বললেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমার আইডি থাকলেও সেখানে অনিয়মিত। সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতি আমার আকর্ষণও তেমন নেই। আমার মনে হয় এর চেয়ে বাসায় পরিবারকে সময় দেওয়া অনেক ভালো।’ 

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আকর্ষণ না থাকতে পারে, তবে খেলাটার প্রতি সম্পর্কটা স্বাভাবিকভাবেই গভীর। এই গভীরতাই তাঁকে শিখিয়েছে অনেক না পাওয়ার মাঝে কীভাবে ধৈর্য ধরতে হয়। তাঁর এই ধৈর্যের ফল কতটা মধুর হবে, সময় বলে দেবে। তবে প্রায় ত্রিশের কাছে চলে আসা নাহিদুল স্বপ্ন দেখেন, চেষ্টা আর কঠোর পরিশ্রম করলে একটা সময় মধুর ফল পাবেন। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চাকরির নামে মিরপুর-শেওড়াপাড়ায় বাসায় ডেকে নারীর সঙ্গে ভিডিও ধারণের পর টাকা হাতিয়ে নিত ‘হানি ট্র্যাপ’ চক্র

দনবাস চান পুতিন—ন্যাটো তো নয়ই, পশ্চিমা সেনাও থাকবে না ইউক্রেনে

দুস্থদের ৩৪ লাখ টাকা নিয়ে লাপাত্তা মোহনগঞ্জ সমাজসেবা কর্মকর্তা

ফরিদপুরে চিকিৎসকের ওপর হামলার প্রতিবাদে সেবা বন্ধের ঘোষণা

তথ্য যাচাইয়ের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করবেন—ইউটিউব চ্যানেলে সিইসির বার্তা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত