নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ঠিক এক বছর আগে এ রকম একটা অঘটন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে হিউস্টনে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হেরে গেল বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হারের এক বছর ‘পূর্তি’তে নতুন সংযোজন, শারজায় আরব আমিরাতের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হার। কদিন আগে সিলেটে জিম্বাবুয়ের কাছে টেস্ট হার, আমিরাতে বাজে পারফরম্যান্স, ক্রিকেট বোর্ডের মতো বাংলাদেশ দলও যেন চলছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে!
ক্রিকেটারদের নিবেদন, টিম ম্যানেজমেন্টের পরিকল্পনা, সার্বিক পেশাদারি নিয়ে শুরু হয়েছে সমালোচনার ঝড়। বোলিং বৈচিত্র্য, পাওয়ারপ্লেতে রান তোলার গতি, স্ট্রাইক রোটেশন, ফিল্ডিং—সবকিছুতে বাংলাদেশকে হারিয়ে দিয়েছে আমিরাত। জাতীয় দলের এমন ভঙ্গুর পারফরম্যান্সে হতবাক দেশের ক্রিকেটাঙ্গন। সমর্থকেরা যেমন সমালোচনায় সরব, তেমনি প্রশ্নবিদ্ধ ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত। সিরিজ পরাজয়ের পর অধিনায়ক লিটন দাস বলেছেন, ‘এই হারকে জীবনের অংশ হিসেবে দেখতে হবে। ক্রিকেট খেললে এমন হবে। মাঝে মাঝে প্রতিপক্ষও ভালো খেলবে, তাদের কৃতিত্ব দিতেই হবে।’
অধিনায়ক চরম বাস্তবতা তুলে ধরলেও সাবেক নির্বাচক হান্নান সরকার এমন ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট নন। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেট নিয়ে এখন কিছু বলতে ইচ্ছে করে না। যারা খেলেছে, তারা স্কিলফুল, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু ম্যাচ টেম্পারমেন্টে ঘাটতি ছিল। দ্বিতীয় ম্যাচে হারের পর থেকেই দল চাপে পড়ে যায়। ফলে তৃতীয় ম্যাচে আর ঘুরে দাঁড়ানো যায়নি।’ তিনি আরও যোগ করলেন, ‘একদিক দিয়ে হয়তো ভালোই হয়েছে। পাকিস্তান সিরিজে এখন দল নির্ভার হয়ে খেলতে পারবে, হারার কিছু নেই, এমন মনোভাবেই খেলবে। তাতে হয়তো ইতিবাচক কিছু বেরিয়ে আসবে।’
রফিক মনে করেন, বাংলাদেশ দল সিরিজটিকে হালকাভাবে নিয়েছে, আর তারই মাশুল দিতে হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এই সিরিজে আমরা অনেক বেশি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছি। এক সিরিজে এত ক্রিকেটার ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে দেখা ঠিক নয়। জাতীয় দলের ম্যাচে এভাবে চলতে পারে না। আত্মতুষ্টির ফলে পচা শামুকে পা কেটেছে।’ আরও অনেকের মতো রফিকও অবাক চোখে দেখেছেন, একটা টেস্ট খেলুড়ে দলকে হারিয়ে আরব আমিরাত প্রথমবারের মতো একটা সিরিজ জিতেছে। সাবেক বাঁহাতি স্পিনার বলেন, ‘আমার জীবনে এই প্রথম দেখলাম, আমিরাত ট্রফি জিতল। এত দিন ওরা জানত না ট্রফি জিনিসটা কী! পাকিস্তানের কাছে হারলে একটা ব্যাখ্যা থাকে—ওরা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দল ছিল। কিন্তু কোয়ালিফায়ার খেলা দলের কাছেও হার? এটা হতাশাজনক। বাংলাদেশ ক্রিকেট আসলে কোথায় দাঁড়িয়ে?’
রফিক যে প্রশ্নটা করেছেন, সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট সেটিরই যেন উত্তর দিলেন, ‘জিম্বাবুয়ের সঙ্গে হার, এরপর আরব আমিরাতের কাছে সিরিজ হার—সবকিছুই বাংলাদেশ ক্রিকেটের ক্রমাবনতি। টিম ম্যানেজমেন্টে পেশাদারির অভাব স্পষ্ট। টিম ম্যানেজমেন্টকে আরও মনোযোগী ও দায়িত্বশীল হতে হবে। এই অবস্থায় বোর্ড আসলে কী ধরনের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়েছে—সেটাও প্রশ্নবিদ্ধ।’
বাংলাদেশ ‘এ’ দলের বর্তমান পেস বোলিং কোচ এবং জাতীয় দলের সাবেক পেসার নাজমুল হোসেন বললেন ডেথ ওভারে বোলিংয়ে একেবারেই ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ, ‘টি-টোয়েন্টিতে ডেথ ওভারে সফল হতে হলে নির্ভরযোগ্য বোলার লাগবেই। আমিরাত সিরিজে আমরা অনেককে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খেলিয়েছি। সঠিক কম্বিনেশন খোঁজার চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দ্রুত ঘুরে দাঁড়ানো সবচেয়ে জরুরি। আমরা সেটা পারিনি।’
দুবাইয়ে আগামী দুই দিন অনুশীলন ক্যাম্প করে পাকিস্তানে রওনা দেবে বাংলাদেশ। আমিরাত সিরিজ হারের পর বাংলাদেশের ওপর প্রত্যাশার চাপ সেভাবে আর থাকার কথা নয়। চাপ কমলেও লিটনদের আত্মবিশ্বাসটা যে নেমে গেছে তলানিতে!
ঠিক এক বছর আগে এ রকম একটা অঘটন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে হিউস্টনে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হেরে গেল বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হারের এক বছর ‘পূর্তি’তে নতুন সংযোজন, শারজায় আরব আমিরাতের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হার। কদিন আগে সিলেটে জিম্বাবুয়ের কাছে টেস্ট হার, আমিরাতে বাজে পারফরম্যান্স, ক্রিকেট বোর্ডের মতো বাংলাদেশ দলও যেন চলছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে!
ক্রিকেটারদের নিবেদন, টিম ম্যানেজমেন্টের পরিকল্পনা, সার্বিক পেশাদারি নিয়ে শুরু হয়েছে সমালোচনার ঝড়। বোলিং বৈচিত্র্য, পাওয়ারপ্লেতে রান তোলার গতি, স্ট্রাইক রোটেশন, ফিল্ডিং—সবকিছুতে বাংলাদেশকে হারিয়ে দিয়েছে আমিরাত। জাতীয় দলের এমন ভঙ্গুর পারফরম্যান্সে হতবাক দেশের ক্রিকেটাঙ্গন। সমর্থকেরা যেমন সমালোচনায় সরব, তেমনি প্রশ্নবিদ্ধ ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত। সিরিজ পরাজয়ের পর অধিনায়ক লিটন দাস বলেছেন, ‘এই হারকে জীবনের অংশ হিসেবে দেখতে হবে। ক্রিকেট খেললে এমন হবে। মাঝে মাঝে প্রতিপক্ষও ভালো খেলবে, তাদের কৃতিত্ব দিতেই হবে।’
অধিনায়ক চরম বাস্তবতা তুলে ধরলেও সাবেক নির্বাচক হান্নান সরকার এমন ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট নন। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেট নিয়ে এখন কিছু বলতে ইচ্ছে করে না। যারা খেলেছে, তারা স্কিলফুল, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু ম্যাচ টেম্পারমেন্টে ঘাটতি ছিল। দ্বিতীয় ম্যাচে হারের পর থেকেই দল চাপে পড়ে যায়। ফলে তৃতীয় ম্যাচে আর ঘুরে দাঁড়ানো যায়নি।’ তিনি আরও যোগ করলেন, ‘একদিক দিয়ে হয়তো ভালোই হয়েছে। পাকিস্তান সিরিজে এখন দল নির্ভার হয়ে খেলতে পারবে, হারার কিছু নেই, এমন মনোভাবেই খেলবে। তাতে হয়তো ইতিবাচক কিছু বেরিয়ে আসবে।’
রফিক মনে করেন, বাংলাদেশ দল সিরিজটিকে হালকাভাবে নিয়েছে, আর তারই মাশুল দিতে হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এই সিরিজে আমরা অনেক বেশি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছি। এক সিরিজে এত ক্রিকেটার ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে দেখা ঠিক নয়। জাতীয় দলের ম্যাচে এভাবে চলতে পারে না। আত্মতুষ্টির ফলে পচা শামুকে পা কেটেছে।’ আরও অনেকের মতো রফিকও অবাক চোখে দেখেছেন, একটা টেস্ট খেলুড়ে দলকে হারিয়ে আরব আমিরাত প্রথমবারের মতো একটা সিরিজ জিতেছে। সাবেক বাঁহাতি স্পিনার বলেন, ‘আমার জীবনে এই প্রথম দেখলাম, আমিরাত ট্রফি জিতল। এত দিন ওরা জানত না ট্রফি জিনিসটা কী! পাকিস্তানের কাছে হারলে একটা ব্যাখ্যা থাকে—ওরা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দল ছিল। কিন্তু কোয়ালিফায়ার খেলা দলের কাছেও হার? এটা হতাশাজনক। বাংলাদেশ ক্রিকেট আসলে কোথায় দাঁড়িয়ে?’
রফিক যে প্রশ্নটা করেছেন, সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট সেটিরই যেন উত্তর দিলেন, ‘জিম্বাবুয়ের সঙ্গে হার, এরপর আরব আমিরাতের কাছে সিরিজ হার—সবকিছুই বাংলাদেশ ক্রিকেটের ক্রমাবনতি। টিম ম্যানেজমেন্টে পেশাদারির অভাব স্পষ্ট। টিম ম্যানেজমেন্টকে আরও মনোযোগী ও দায়িত্বশীল হতে হবে। এই অবস্থায় বোর্ড আসলে কী ধরনের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়েছে—সেটাও প্রশ্নবিদ্ধ।’
বাংলাদেশ ‘এ’ দলের বর্তমান পেস বোলিং কোচ এবং জাতীয় দলের সাবেক পেসার নাজমুল হোসেন বললেন ডেথ ওভারে বোলিংয়ে একেবারেই ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ, ‘টি-টোয়েন্টিতে ডেথ ওভারে সফল হতে হলে নির্ভরযোগ্য বোলার লাগবেই। আমিরাত সিরিজে আমরা অনেককে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খেলিয়েছি। সঠিক কম্বিনেশন খোঁজার চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দ্রুত ঘুরে দাঁড়ানো সবচেয়ে জরুরি। আমরা সেটা পারিনি।’
দুবাইয়ে আগামী দুই দিন অনুশীলন ক্যাম্প করে পাকিস্তানে রওনা দেবে বাংলাদেশ। আমিরাত সিরিজ হারের পর বাংলাদেশের ওপর প্রত্যাশার চাপ সেভাবে আর থাকার কথা নয়। চাপ কমলেও লিটনদের আত্মবিশ্বাসটা যে নেমে গেছে তলানিতে!
চলতি মাসে জুভেন্তুদের বিপক্ষে জোড়া গোল করে এভাবেই জাতীয় দলে ফেরার জন্য বার্তা দিয়েছিলেন নেইমার। সেপ্টেম্বরে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দুটি ম্যাচের জন্য দলে দেখা যাবে তাঁকে; এমন প্রত্যাশায় বুদ হয়ে থাকেন ব্রাজিল ভক্তরা। কিন্তু দিনশেষে তাদের হতাশই হতে হয়।
২ মিনিট আগেআমরা প্রতিটি ম্যাচই জেতার জন্য খেলি। ম্যাচ জিতলে সিরিজ জেতার ভাবনাও আসে। আশা করি, এই সিরিজেও ম্যাচ জিততে পারব। (২০২৬) বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ভালো করায় (খেলার যোগ্যতা অর্জন করা) আমরা আত্মবিশ্বাসী মনেই আসছি।
৩৫ মিনিট আগেঅ্যাথলেটিকসে দূরপাল্লার দৌড় নিয়ে খুব একটা আলোচনা হয় না কখনো। রিনকী বিশ্বাস রেকর্ডের পর রেকর্ডের জন্ম না দিলে এবারও কি হতো! সে ক্ষেত্রে ‘না’র পাল্লাই হয়তো ভারী হবে। ৩০০০, ৫০০০ ও ১০০০০ মিটার—খালি পায়ে দৌড়ে তিনটি ইভেন্ট রেকর্ডময় করেছেন রিনকী।
১ ঘণ্টা আগেযেকোনো বড় টুর্নামেন্টে খেলতে যাওয়ার আগে বাংলাদেশ দলের জার্সির নকশা কেমন হচ্ছে, সেটি এক কৌতূহলের বিষয়। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টি কিংবা ওয়ানডে বিশ্বকাপের মতো এশিয়া কাপের জার্সি নিয়ে সেভাবে আলোচনা না হলেও এবার লিটনদের জার্সি নিয়ে ভিন্ন একটা বিষয় জানা গেল।
১ ঘণ্টা আগে