Ajker Patrika

শেবাগকে তাহলে কী উত্তর দিলেন সাকিব

রানা আব্বাস, সেন্ট ভিনসেন্ট থেকে
শেবাগকে তাহলে কী উত্তর দিলেন সাকিব

চ্যাম্পিয়নদের নিয়ে শেষ কথা লিখতে নেই, মুশফিকুর রহিম এক ফেসবুক  স্ট্যাটাসে সেটাই আবার মনে করিয়ে দিলেন কাল ৷ তার আগে সাকিব আল হাসান নিজেই কথাটা মনে করিয়ে দিয়েছেন মাঠের পারফরম্যান্সে ৷ 

জয়ের পর ফুরফুরে সাকিবের দেখাই মিলল সেন্ট ভিনসেন্টের আর্নস ভেলে।  এ ম্যাচের আগে কত আলোচনা তাঁকে নিয়ে। সেন্ট ভিনসেন্টে পরশু তারকা অলরাউন্ডারের অনুশীলনের তীব্রতা দেখে বোঝা যাচ্ছিল রানে ফিরতে তিনি উন্মুখ। কাল সকালে ম্যাচের আগে নেক গার্ড পরে ঝালিয়ে নিচ্ছিলেন ৷ মূলত হেড পজিশন ঠিক রাখার প্রস্তুতি এটা ৷ পূর্ণ প্রস্তুতি আর ফেরার প্রতিজ্ঞা মিলিয়ে সেই সাকিব, চ্যাম্পিয়ন সাকিবের ফেরা পয়মন্ত আর্নস ভেলে ৷ 

সে ফেরাটা কেমন, ঠিক ১ বছর ৮ মাস পর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ফিফটির দেখা পেয়েছেন, ৮ বছর পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৫০ করলেন। ৪৬ বলে অপরাজিত ৬৪ রানের ইনিংস খেলার পথে তানজিদ তামিম এবং মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে দুটি কার্যকর জুটি গড়লেন। তাতেই বাংলাদেশ পেল ১৫৯ রানের লড়াইয়ের স্কোর। 

দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের পর বীরেন্দর শেবাগের আগুনে মন্তব্য দাবানালের মতো ছড়িয়েছিল চারদিকে ৷ সাকিবের সময় শেষ, এই রবও তখন চারিদিকে উচ্চকিত ৷ 

ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে আসা সাকিবকে তাই শেবাগ-প্রসঙ্গে উত্তর দিতেই হলো৷ প্রশ্নকর্তা প্রথমে সাবেক ভারতীয় ওপেনারের নাম বলার পরও 'কে' বলে আবারও তাঁর নামটা শুনতে চাইলেন ৷ এরপর সাকিবের উত্তর, ‘একজন খেলোয়াড় কখনো প্রশ্নের উত্তর দিতে আসে না। তাঁর কাজ হচ্ছে দলের জন্য অবদান রাখা। এখানে আসলে উত্তর দেওয়ার কিছু নেই কাউকে। একজন খেলোয়াড় তার দলে কতটা অবদান রাখতে পারে, সেটা যখন রাখতে পারে না, স্বাভাবিকভাবে কথা হবে। আমি মনে করি সেটা খুব একটা খারাপ কিছু না।’

অবশেষে অনেক অপেক্ষার অবসান, মানে সাকিবের সাকিব হয়ে ফেরা৷ এতে মুখে স্বস্তির হাসি চিকমিক করলেও তাঁর উত্তর যথেষ্ট কূটনৈতিক, ‘গুরুত্বপূর্ণ ছিল ওপরের চারজনের একজন বড় স্কোর গড়া। বেশি সময় ধরে ব্যাটিং করা, ১৫–১৭ ওভার। আজ আমার দিন ছিল। আলহামদুলিল্লাহ ওটা করতে পেরেছি। সামনে আরেকজনের সময় আসবে, তাকে করতে হবে। এভাবেই টি-টোয়েন্টি ম্যাচ যায়। টি-টোয়েন্টিকে আমার (ব্যক্তিগত)  পারফরম্যান্সনির্ভর খেলা মনে হয় না। দলে কে কতটা অবদান রাখতে পারল, এটাই গুরুত্বপূর্ণ।’

তবে ক্যারিযারে এ রকম পরিস্থিতিতে  এবারই প্রথম তা নয় ৷ কঠিন পরিস্থিতি কীভাবে উতরে যান, সেটি নিয়ে সাকিবের উত্তর, ‘আল্লাহ আমার প্রতি সব সময়ই দয়ালু। এরকম পরিস্থিতি যখনই আসে, আল্লাহ ভালো কিছু দিয়ে দেয় ৷ আলহামদুলিল্লাহ ভালো কিছু করতে পেরেছি। গুরুত্বপূর্ণ দুটি পয়েন্ট পেয়েছি। দেশ থেকে আসার আগে কেউ যদি বলত আমাদের ৪ পয়েন্ট থাকবে, তাহলে আমরা খুশি মনেই নিতাম।’ 

সুপার এইটের অনেক কাছে চলে গেছে বাংলাদেশ ৷ কাল সেন্ট ভিনসেন্টেই নেপালকে হারালেই শান্তরা পেয়ে যাবেন সুপার এইটের চাবি ৷ সেই চাবি হাতে তুলেই দেশবাসীকে ঈদ উপহার দিতে চান সাকিব, ‘অবশ্যই নেপালের সঙ্গে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। ওই ম্যাচ জিতলে আমাদের সুপার এইট নিশ্চিত হবে। আমরা মুখিয়ে আছি। ঈদের দিন, মুসলমানদের জন্য আনন্দের দিন। বাংলাদেশে সবাই উদযাপন করে। আশা করি ঈদের দিনে আমরা সবার মুখে হাসি ফোটাতে পারব।’     

নেপালকে হারানো যদি হয় ঈদ উপহার, নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে  সাকিবদের জয়টা অগ্রীম ঈদ মোবারক ধরে নিতে পারেন ৷

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত