শাহরিয়ার নাফীস
বাংলাদেশের এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে যে যাত্রা, সেটি আমাদের মনের মতো হয়নি। আমরা সবাই আশা করেছিলাম বাংলাদেশ সেমিফাইনাল খেলবে। কিন্তু এখন যে অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে বাংলাদেশ, সেখানে সেমিফাইনালের আশা একেবারেই ফিকে হয়ে গেছে। তারপরও প্রতিটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ গুরুত্বপূর্ণ। সে জন্য আমরা যদি এই টুর্নামেন্টটা ভালো কিছু দিয়ে শেষ করতে পারি, তাহলে আমাদের আত্মবিশ্বাসে যে আঘাত এসেছে, সেটি অনেকটাই পুনরুদ্ধার করতে পারব।
বিশ্বকাপের পরই আমাদের সামনে পাকিস্তান সিরিজ। আর এই সিরিজটি শুরু হবে টি-টোয়েন্টি দিয়ে। সেই সিরিজে আমাদের এখন থেকেই চোখ ফেলতে হবে। আমরা যদি বিশ্বকাপ থেকে একটা জয় নিয়েও দেশে ফিরতে পারি, তাহলে এই সিরিজে প্রবল আত্মবিশ্বাস নিয়ে আমরা খেলতে পারব।
আমরা আজ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সাকিব আল হাসানকে পাচ্ছি না। এটা আমাদের জন্য বড় ধাক্কা। তবে আমি এটি তরুণদের জন্য সুযোগ হিসেবে দেখছি। বিশেষ করে নাসুম আহমেদের জন্য। নাসুম গত দুই-তিন মাস ধরে দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলছে। কিন্তু বিশ্বকাপ একাদশের সমন্বয়ের জন্য সেভাবে সুযোগ পাচ্ছে না। আজ যদি সে সুযোগ পায় তাহলে বড় মঞ্চে নিজেকে তুলে ধরার সুযোগটা সে নিতে পারবে।
আবার সাকিবের জায়গায় যদি শামীম হোসেনকেও খেলানো হয়, তার জন্যও দারুণ সুযোগ। বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চে একটা ভালো ইনিংস যদি সে খেলতে পারে, দেখা যাবে এই তরুণের ক্যারিয়ারের মোড়ই ঘুরে গেছে।
আমার কাছে অনেকেই জানতে চেয়েছেন, কেন বাংলাদেশ পারছে না। এর উত্তরটা একেবারেই সোজা। কয়েকটি কারণ বের করেছি আমি। এত দিন আমাদের ব্যাটিংটা ওঠানামার মধ্যেই ছিল। কিন্তু এভাবে ধারাবাহিকভাবে খারাপ হয়নি। ফিল্ডিংটাও তো দুর্দান্ত একটা জায়গায় চলে গিয়েছিল। কিন্তু বিশ্বকাপে আমরা প্রতিটি ম্যাচেই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ক্যাচ ছেড়েছি, স্টাম্পিং মিস করেছি। টি-টোয়েন্টির সংস্করণটা এতটাই ছোট—একবার ভুল করলে ওই ম্যাচে সেটির প্রায়শ্চিত্ত করা যায় না। আমরা যদি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওই দুটি ক্যাচ না ছাড়তাম, জুটিটা হতো না, আমরাও জিততাম। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেও ক্যাচগুলো মিস না করলে স্কোরবোর্ডে এত রান জমা হয় না। নিকোলাস পুরানের স্টাম্পিংটা মিস না করলে শেষের ওই ঝড়টা কি আসত?
অনেকের মতো আমিও বলব ফিল্ডিং মিস খেলারই অংশ। কিন্তু এটি ধারাবাহিকভাবে হতে থাকলে তা দুশ্চিন্তার বিষয়। আমার দৃষ্টিতে ফিল্ডিংয়ে যে ভুলগুলো করেছি, সেগুলোই আমাদের বেশি ভুগিয়েছে।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হারার পর জাসপ্রীত বুমরা বলেছেন, ক্লান্তিতেই তাঁরা কাত হচ্ছেন। আমাদের খেলোয়াড়দের ওপর দিয়েও কিন্তু বেশ ধকল যাচ্ছে।
আমি ব্যক্তিগতভাবে সবাইকে তাই অনুরোধ করব, সমালোচনার আগে এই বিষয়টিও মাথায় রাখুন। আমাদের ক্রিকেটাররা টানা খেলার মধ্যে আছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে বায়ো-বাবলের ধকল, পরিবার-পরিজন থেকে দূরে থাকার মানসিক যন্ত্রণা। অনেক কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাওয়ার পরও ভারতীয় পেসারের মতো ক্লান্তির বিষয়টি কিন্তু আমাদের ক্রিকেটাররা অজুহাত হিসেবে দেখায়নি। আমি বলব, এটি আমাদের ক্রিকেটারদের মানসিক শক্তির একটা প্রমাণ। সে জন্য বলব, খেলোয়াড়দের এই ত্যাগকে সম্মান জানিয়ে সমালোচনার আগে ক্লান্তির বিষয়টিও একবার বিবেচনায় আনুন।
বাংলাদেশের এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে যে যাত্রা, সেটি আমাদের মনের মতো হয়নি। আমরা সবাই আশা করেছিলাম বাংলাদেশ সেমিফাইনাল খেলবে। কিন্তু এখন যে অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে বাংলাদেশ, সেখানে সেমিফাইনালের আশা একেবারেই ফিকে হয়ে গেছে। তারপরও প্রতিটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ গুরুত্বপূর্ণ। সে জন্য আমরা যদি এই টুর্নামেন্টটা ভালো কিছু দিয়ে শেষ করতে পারি, তাহলে আমাদের আত্মবিশ্বাসে যে আঘাত এসেছে, সেটি অনেকটাই পুনরুদ্ধার করতে পারব।
বিশ্বকাপের পরই আমাদের সামনে পাকিস্তান সিরিজ। আর এই সিরিজটি শুরু হবে টি-টোয়েন্টি দিয়ে। সেই সিরিজে আমাদের এখন থেকেই চোখ ফেলতে হবে। আমরা যদি বিশ্বকাপ থেকে একটা জয় নিয়েও দেশে ফিরতে পারি, তাহলে এই সিরিজে প্রবল আত্মবিশ্বাস নিয়ে আমরা খেলতে পারব।
আমরা আজ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সাকিব আল হাসানকে পাচ্ছি না। এটা আমাদের জন্য বড় ধাক্কা। তবে আমি এটি তরুণদের জন্য সুযোগ হিসেবে দেখছি। বিশেষ করে নাসুম আহমেদের জন্য। নাসুম গত দুই-তিন মাস ধরে দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলছে। কিন্তু বিশ্বকাপ একাদশের সমন্বয়ের জন্য সেভাবে সুযোগ পাচ্ছে না। আজ যদি সে সুযোগ পায় তাহলে বড় মঞ্চে নিজেকে তুলে ধরার সুযোগটা সে নিতে পারবে।
আবার সাকিবের জায়গায় যদি শামীম হোসেনকেও খেলানো হয়, তার জন্যও দারুণ সুযোগ। বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চে একটা ভালো ইনিংস যদি সে খেলতে পারে, দেখা যাবে এই তরুণের ক্যারিয়ারের মোড়ই ঘুরে গেছে।
আমার কাছে অনেকেই জানতে চেয়েছেন, কেন বাংলাদেশ পারছে না। এর উত্তরটা একেবারেই সোজা। কয়েকটি কারণ বের করেছি আমি। এত দিন আমাদের ব্যাটিংটা ওঠানামার মধ্যেই ছিল। কিন্তু এভাবে ধারাবাহিকভাবে খারাপ হয়নি। ফিল্ডিংটাও তো দুর্দান্ত একটা জায়গায় চলে গিয়েছিল। কিন্তু বিশ্বকাপে আমরা প্রতিটি ম্যাচেই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ক্যাচ ছেড়েছি, স্টাম্পিং মিস করেছি। টি-টোয়েন্টির সংস্করণটা এতটাই ছোট—একবার ভুল করলে ওই ম্যাচে সেটির প্রায়শ্চিত্ত করা যায় না। আমরা যদি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওই দুটি ক্যাচ না ছাড়তাম, জুটিটা হতো না, আমরাও জিততাম। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেও ক্যাচগুলো মিস না করলে স্কোরবোর্ডে এত রান জমা হয় না। নিকোলাস পুরানের স্টাম্পিংটা মিস না করলে শেষের ওই ঝড়টা কি আসত?
অনেকের মতো আমিও বলব ফিল্ডিং মিস খেলারই অংশ। কিন্তু এটি ধারাবাহিকভাবে হতে থাকলে তা দুশ্চিন্তার বিষয়। আমার দৃষ্টিতে ফিল্ডিংয়ে যে ভুলগুলো করেছি, সেগুলোই আমাদের বেশি ভুগিয়েছে।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হারার পর জাসপ্রীত বুমরা বলেছেন, ক্লান্তিতেই তাঁরা কাত হচ্ছেন। আমাদের খেলোয়াড়দের ওপর দিয়েও কিন্তু বেশ ধকল যাচ্ছে।
আমি ব্যক্তিগতভাবে সবাইকে তাই অনুরোধ করব, সমালোচনার আগে এই বিষয়টিও মাথায় রাখুন। আমাদের ক্রিকেটাররা টানা খেলার মধ্যে আছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে বায়ো-বাবলের ধকল, পরিবার-পরিজন থেকে দূরে থাকার মানসিক যন্ত্রণা। অনেক কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাওয়ার পরও ভারতীয় পেসারের মতো ক্লান্তির বিষয়টি কিন্তু আমাদের ক্রিকেটাররা অজুহাত হিসেবে দেখায়নি। আমি বলব, এটি আমাদের ক্রিকেটারদের মানসিক শক্তির একটা প্রমাণ। সে জন্য বলব, খেলোয়াড়দের এই ত্যাগকে সম্মান জানিয়ে সমালোচনার আগে ক্লান্তির বিষয়টিও একবার বিবেচনায় আনুন।
হামজা চৌধুরী বাংলাদেশে আসার কয়েক মাস আগে থেকেই শুরু হয় দেশের ফুটবলে উন্মাদনা। পরবর্তীতে বাংলাদেশের জার্সি পরার পর হামজা তাঁর পারফরম্যান্স দিয়ে ছড়াচ্ছেন মুগ্ধতা। সামাজিক মাধ্যমে তাঁর জনপ্রিয়তা বেড়েছে কয়েক গুণ। নতুন মাইলফলক অর্জনের পর তিনি সৃষ্টিকর্তার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
৭ মিনিট আগেইংল্যান্ডের ১০০ বলের টুর্নামেন্ট ‘দ্য হান্ড্রেডে’ আজ খেলবে সাউদার্ন ব্রেভ-ওয়েলশ ফায়ার। বাংলাদেশ সময় রাত ১১টা ৩০ মিনিটে সাউদাম্পটনে শুরু হবে এই ম্যাচ। টেনিসে ইউএস ওপেনের ম্যাচ রয়েছে। এক নজরে দেখে নিন টিভিতে কী কী খেলা রয়েছে।
২৮ মিনিট আগেমাঠের ফুটবলে আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল যে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী, সেটা বোঝা যায় ফুটবল বিশ্বকাপ ও কোপা আমেরিকার সময়। এই দুই মেজর টুর্নামেন্টে উপমহাদেশের ফুটবলপ্রেমীরা ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা এই দুই দলে বিভক্ত হয়ে যান।
১ ঘণ্টা আগে‘ঠোঁটকাটা’ মানুষ হিসেবে বাসিত আলীর জুড়ি মেলা ভার। একটু অন্য রকম কিছু ঘটলেই হলো। সেটা হোক পাকিস্তান দলের পারফরম্যান্স অথবা ভাইরাল হওয়া কোনো কথা—এমন কিছু হলে বাসিত চুপ করে বসে থাকেন না। কখনোবা ব্যঙ্গ করে, আবার কখনো কড়া ভাষায় জানান প্রতিবাদ।
২ ঘণ্টা আগে