নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ফারুক আহমেদ অপসারিত হওয়ার পর নতুন বিসিবি সভাপতি হয়েছেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল। যে প্রক্রিয়ায় ৯ মাসের মধ্যে সভাপতি পরিবর্তন হয়েছে, তাতে সরকারি হস্তক্ষেপের অভিযোগও উঠেছে। আজ যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া দাবি করেছেন, সরকার ততটুকুই হস্তক্ষেপ করেছে, যতটুকু করার এখতিয়ার আছে, তাঁরা সেটাই করেছেন।
বিসিবির সাম্প্রতিক নেতৃত্ব পরিবর্তনে সরকারি হস্তক্ষেপের অভিযোগ নিয়ে আজ সংবাদমাধ্যমকে আসিফ মাহমুদ বলেছেন, ‘প্রশাসনিকভাবে সেভাবে কাজ হয়নি (ফারুকের নেতৃত্বে)। বাংলাদেশের ক্রিকেট তলানিতে চলে যাচ্ছিল। এটা একটা জাতীয় উদ্বেগ। ক্রিকেটের উন্নতি করতে ফ্যাক্টগুলো বিবেচনায় নিয়ে আবার আমাদের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সরকারের অতিরিক্ত হস্তক্ষেপের কথা বলা হচ্ছে। এখানে সরকারের হস্তক্ষেপের কিছু নেই। সরকারের যতটুকু ক্ষমতা, এখতিয়ার আছে, সে বিবেচনায় হস্তক্ষেপ করেছে। (বিসিবির পরিচালনা পর্ষদে) দুজন পরিচালক দেওয়ার ক্ষমতা সরকারের আছে। সরকার সেখানে পরিবর্তন করেছে। এটির তাৎক্ষণিক পরিণতিতে সভাপতি পরিবর্তন হয়েছে। দ্রুত সেখানে নতুন সভাপতিও এসেছেন। এখানে আইসিসির নিষেধাজ্ঞার কথা বলা হচ্ছে। আইসিসির সঙ্গে যথাযথ যোগাযোগ হচ্ছে। যিনি এখন বিসিবি সভাপতি হয়েছেন, তিনি দীর্ঘ সময়ে আইসিসিতেই কাজ করে এসেছেন। যোগাযোগে কোনো ঘাটতি নেই। আইসিসি আমাদের সাধুবাদ জানিয়েছে। বাংলাদেশের ক্রিকেটের বর্তমান পরিস্থিতি আইসিসির অজানা নয়। তারা নতুন নেতৃত্বকে সাধুবাদ জানিয়েছে।’
ফারুককে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে কেন সরিয়ে দেওয়া হলো, এ ব্যাখ্যায় যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেছেন, ‘এটা এমন নয় যে দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গেছে আমরা তাকে সরিয়েছে। এটা একেবারে পারফরম্যান্সনির্ভর। সিলেকশন বোর্ড যদি দেখে কোনো খেলোয়াড় ধারাবাহিক খারাপ করছে, তাকে তো আর টিমে রাখবে না। আমাদের দিক দিয়েও ব্যাপারটা এ রকমই ছিল।’ ফারুক খারাপ পারফরম্যান্স কীভাবে করেছেন, সেটিও সবিস্তারে তুলে ধরেছেন আসিফ মাহমুদ, ‘এটা শাস্তি বা এ রকম কিছু না। দেখেছি বিগত ৯ মাসে বিসিবিতে নতুন নেতৃত্ব আসার পর ক্রিকেটে প্রত্যাশা অনুযায়ী উন্নয়ন দেখিনি। গত আগস্টে পাকিস্তান সিরিজ জিতে আসার পর ক্রিকেটে ক্রম অবনতি দেখছি। খুবই দুঃখজনক। বিপিএলে যে অভিজ্ঞতা হয়েছে, আমাদের তো বিচার করতে হবে পারফরম্যান্স দিয়ে। সেই পারফরম্যান্স আশানুরূপ নয়। কোনো খেলার উন্নয়নের পথে যেতে খুব একটা সময় লাগে না, সেটা বাফুফে প্রমাণ করেছে। ক্রিকেট দিনে দিনে খারাপের দিকে যাচ্ছে। বিগত সময়ের পারফরম্যান্স ও বিপিএলের সত্যানুসন্ধান কমিটির রিপোর্টে দেখা গেছে যে অনেক অনিয়ম ও দায়িত্ব অবহেলায় যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সেখানে ফারুক ভাইয়ের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। বিসিবির ৯ পরিচালকের ৮ জনই তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনএসসিতে পাঠিয়েছে। এখানে আসলে টিম হিসেবে কাজ হয়নি। ক্রিকেট মাঠে ১১ জনের খেলা, বিসিবিতেও টিম হয়ে কাজ করার দরকার ছিল। যারা বোর্ডে আছেন কেউ তাঁর সঙ্গে কাজ করতে চাচ্ছেন না। সব মিলিয়েই আমাদের একটা সিদ্ধান্তে আসতে হয়েছে।’
আসিফের দাবি ফারুককে সরকার অপসারিত করেনি, তিনি গঠনতন্ত্র অনুযায়ীই অপসারিত হয়েছেন। ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রক্রিয়াটা কী দেখতে হবে। যে দুজনের মনোনয়ন দেওয়ার এখতিয়ার এনএসসির আছে...এনএসসি মনোনয়ন দিতে পারে আবার প্রত্যাহারও করতে পারে। আমরা মনোনয়ন দিয়েছিলাম। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় মনে হয়েছে এই মনোনয়ন রাখার... (প্রয়োজন নেই)। আমরা কিন্তু সভাপতি অপসারণ করিনি। আমরা পরিচালক মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছি। যে প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে তার সভাপতি পদ চলে গেছে। আমরা আরেকজনকে মনোনয়ন দিয়েছি, বোর্ডের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, আইসিসির গাইডলাইন মেনে আরেকজন বিসিবি সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন।’
ফারুক আহমেদ অপসারিত হওয়ার পর নতুন বিসিবি সভাপতি হয়েছেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল। যে প্রক্রিয়ায় ৯ মাসের মধ্যে সভাপতি পরিবর্তন হয়েছে, তাতে সরকারি হস্তক্ষেপের অভিযোগও উঠেছে। আজ যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া দাবি করেছেন, সরকার ততটুকুই হস্তক্ষেপ করেছে, যতটুকু করার এখতিয়ার আছে, তাঁরা সেটাই করেছেন।
বিসিবির সাম্প্রতিক নেতৃত্ব পরিবর্তনে সরকারি হস্তক্ষেপের অভিযোগ নিয়ে আজ সংবাদমাধ্যমকে আসিফ মাহমুদ বলেছেন, ‘প্রশাসনিকভাবে সেভাবে কাজ হয়নি (ফারুকের নেতৃত্বে)। বাংলাদেশের ক্রিকেট তলানিতে চলে যাচ্ছিল। এটা একটা জাতীয় উদ্বেগ। ক্রিকেটের উন্নতি করতে ফ্যাক্টগুলো বিবেচনায় নিয়ে আবার আমাদের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সরকারের অতিরিক্ত হস্তক্ষেপের কথা বলা হচ্ছে। এখানে সরকারের হস্তক্ষেপের কিছু নেই। সরকারের যতটুকু ক্ষমতা, এখতিয়ার আছে, সে বিবেচনায় হস্তক্ষেপ করেছে। (বিসিবির পরিচালনা পর্ষদে) দুজন পরিচালক দেওয়ার ক্ষমতা সরকারের আছে। সরকার সেখানে পরিবর্তন করেছে। এটির তাৎক্ষণিক পরিণতিতে সভাপতি পরিবর্তন হয়েছে। দ্রুত সেখানে নতুন সভাপতিও এসেছেন। এখানে আইসিসির নিষেধাজ্ঞার কথা বলা হচ্ছে। আইসিসির সঙ্গে যথাযথ যোগাযোগ হচ্ছে। যিনি এখন বিসিবি সভাপতি হয়েছেন, তিনি দীর্ঘ সময়ে আইসিসিতেই কাজ করে এসেছেন। যোগাযোগে কোনো ঘাটতি নেই। আইসিসি আমাদের সাধুবাদ জানিয়েছে। বাংলাদেশের ক্রিকেটের বর্তমান পরিস্থিতি আইসিসির অজানা নয়। তারা নতুন নেতৃত্বকে সাধুবাদ জানিয়েছে।’
ফারুককে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে কেন সরিয়ে দেওয়া হলো, এ ব্যাখ্যায় যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেছেন, ‘এটা এমন নয় যে দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গেছে আমরা তাকে সরিয়েছে। এটা একেবারে পারফরম্যান্সনির্ভর। সিলেকশন বোর্ড যদি দেখে কোনো খেলোয়াড় ধারাবাহিক খারাপ করছে, তাকে তো আর টিমে রাখবে না। আমাদের দিক দিয়েও ব্যাপারটা এ রকমই ছিল।’ ফারুক খারাপ পারফরম্যান্স কীভাবে করেছেন, সেটিও সবিস্তারে তুলে ধরেছেন আসিফ মাহমুদ, ‘এটা শাস্তি বা এ রকম কিছু না। দেখেছি বিগত ৯ মাসে বিসিবিতে নতুন নেতৃত্ব আসার পর ক্রিকেটে প্রত্যাশা অনুযায়ী উন্নয়ন দেখিনি। গত আগস্টে পাকিস্তান সিরিজ জিতে আসার পর ক্রিকেটে ক্রম অবনতি দেখছি। খুবই দুঃখজনক। বিপিএলে যে অভিজ্ঞতা হয়েছে, আমাদের তো বিচার করতে হবে পারফরম্যান্স দিয়ে। সেই পারফরম্যান্স আশানুরূপ নয়। কোনো খেলার উন্নয়নের পথে যেতে খুব একটা সময় লাগে না, সেটা বাফুফে প্রমাণ করেছে। ক্রিকেট দিনে দিনে খারাপের দিকে যাচ্ছে। বিগত সময়ের পারফরম্যান্স ও বিপিএলের সত্যানুসন্ধান কমিটির রিপোর্টে দেখা গেছে যে অনেক অনিয়ম ও দায়িত্ব অবহেলায় যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সেখানে ফারুক ভাইয়ের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। বিসিবির ৯ পরিচালকের ৮ জনই তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনএসসিতে পাঠিয়েছে। এখানে আসলে টিম হিসেবে কাজ হয়নি। ক্রিকেট মাঠে ১১ জনের খেলা, বিসিবিতেও টিম হয়ে কাজ করার দরকার ছিল। যারা বোর্ডে আছেন কেউ তাঁর সঙ্গে কাজ করতে চাচ্ছেন না। সব মিলিয়েই আমাদের একটা সিদ্ধান্তে আসতে হয়েছে।’
আসিফের দাবি ফারুককে সরকার অপসারিত করেনি, তিনি গঠনতন্ত্র অনুযায়ীই অপসারিত হয়েছেন। ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রক্রিয়াটা কী দেখতে হবে। যে দুজনের মনোনয়ন দেওয়ার এখতিয়ার এনএসসির আছে...এনএসসি মনোনয়ন দিতে পারে আবার প্রত্যাহারও করতে পারে। আমরা মনোনয়ন দিয়েছিলাম। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় মনে হয়েছে এই মনোনয়ন রাখার... (প্রয়োজন নেই)। আমরা কিন্তু সভাপতি অপসারণ করিনি। আমরা পরিচালক মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছি। যে প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে তার সভাপতি পদ চলে গেছে। আমরা আরেকজনকে মনোনয়ন দিয়েছি, বোর্ডের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, আইসিসির গাইডলাইন মেনে আরেকজন বিসিবি সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন।’
গলে ম্যাচ ড্র হওয়া অনেকটা চোখ কপালে ওঠার মতো। সমুদ্রঘেঁষা এই ভেন্যুতে সবশেষ ২৬ ম্যাচে কোনো দলই ড্রয়ের জন্য সমঝোতা করেনি। বাংলাদেশের ম্যাচ দিয়ে ইতি টানল সেই ধারাবাহিকতার। ম্যাচটি কি জেতার জন্য খেলতে পারত না বাংলাদেশ? পারত না আরেকটু আগে ইনিংস ঘোষণা করতে? সেই প্রশ্নগুলোই রাখা হয়েছিল সংবাদ সম্মেলনে...
৬ ঘণ্টা আগেএক টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরি আগেও দেখেছে বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্ত প্রায় দুই বছর আগে সেই ক্লাবে নাম লেখান। এবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গলে জোড়া সেঞ্চুরি করে নতুন কীর্তি গড়লেন তিনি। বাংলাদেশের কোনো অধিনায়কই এর আগে এক টেস্টে দুই সেঞ্চুরি হাঁকাতে পারেননি। এই রেকর্ডে নাম লেখানোর কথা আগে থেকে জানতেন না শান্ত।
৮ ঘণ্টা আগেকিছু কি মনে পড়ছে? না পড়লেও অবশ্য দোষের কিছু নেই। মেলবোর্নে গত বছর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৩৭ বলে ২৮ রানের ইনিংস খেলে তোপের মুখে পড়েন ঋষভ পন্ত। তাঁর আউটের ধরন দেখে রীতিমত ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কার। ধারাভাষ্যকক্ষে মাইক হাতে তিরস্কার করতে থাকেন ‘স্টুপিড, স্টুপিড, স্টুপিড’ বলে
৯ ঘণ্টা আগেদিন শেষ হতে তখনো বাকি আরও ৫ ওভার। ৩০ বলে শ্রীলঙ্কার ৬ উইকেট পড়ে যাবে এমন ভাবাটা আকাশ-কুসুম কল্পনার মতো। বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত তাই বাস্তবতা মেনে নিয়ে ছুটে গেলেন লঙ্কান অধিনায়ক ধনঞ্জয়া ডি সিলভার সঙ্গে করমর্দন করতে। বাকিরাও তা অনুসরণ করতে থাকেন।
৯ ঘণ্টা আগে