আহমেদ রিয়াদ, চট্টগ্রাম থেকে
লাল বলের ক্রিকেটে গত বছর ব্যাটে-বলে ঔজ্জ্বল্য ছড়িয়েছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ৫৫.৫৮ স্ট্রাইকরেটে ১৭ ইনিংসে করেছিলেন ৬০৮ রান, যা দেশের ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ। ওই বছর তিনি রানের তিন অঙ্ক ছুঁতে পারেননি, তবে ফিফটি ছিল ৪টি। ২০২৫ সালে টেস্ট অভিযান শুরুর সিলেট টেস্টে দল হারলেও দুই ইনিংসে ৫টি করে ১০ উইকেট নিয়েছিলেন। গতকাল শেষ হওয়া চট্টগ্রাম টেস্টেও নিলেন ৫ উইকেট। তার আগে করলেন সেঞ্চুরিও। তাতে টেস্ট ইতিহাসের পাতায় কিংবদন্তি অলরাউন্ডার ইয়ান বোথামের পাশে জায়গা করে নিয়েছেন মিরাজ।
টেস্টে সেঞ্চুরি ও ৫ উইকেট নেওয়ার অনেক ঘটনা রয়েছে। তবে একই দিনে এ দুই অর্জন এত দিন শুধু ছিল ইংল্যান্ডে বোথামের। ১৯৮৪ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়েলিংটন টেস্টের একই দিনে ৫ উইকেট ও সেঞ্চুরি করেছিলেন বোথাম। ৪১ বছর পর সে ঘটনার পুনরাবৃত্তি গতকাল চট্টগ্রামে ঘটালেন মিরাজ। এদিন অবশ্য ২ হাজার রান ও ২০০ উইকেটে ‘ডাবলে’র মাইলফলকেও পা রেখেছেন তিনি। সব মিলিয়ে অলরাউন্ডার হিসেবে যেন নিজেকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছেন। মিরাজের পারফরম্যান্সে নেতৃত্বের ছাপ, যেন সাকিব আল হাসানের যোগ্য উত্তরসূরি! দুটি কীর্তি নিয়ে আজকের পত্রিকাকে মিরাজ বলেন, ‘আমি জানতাম না, তবে ম্যাচ শেষে আম্পায়ার রিচার্ড (ইলিংওয়ার্থ) আমাকে জানালেন রেকর্ডটার কথা। আল্লাহর কাছে অশেষ কৃতজ্ঞতা। শুনলাম, সাকিব ভাইয়ের চেয়ে (সাকিব আল হাসান) এগিয়ে গেছি ২০০ ও ২০০০ রানের রেকর্ডে। সবকিছুর জন্য আলহামদুলিল্লাহ।’
প্রথম টেস্ট হারের পর দল জেতায় খুশি মিরাজ, ‘আলহামদুলিল্লাহ, খুব ভালো লাগছে। প্রথম ম্যাচ হারের পর যেভাবে দল ঘুরে দাঁড়িয়েছে, এটা খুব দরকার ছিল।’ মিরাজের আরও ‘ভালো লাগা’র কারণ এই টেস্টে তাঁর দুই হাত ভরে পাওয়া। এটিই তার ক্যারিয়ারের ‘সেরা দিন’ বললেন মিরাজ, ‘হ্যাঁ...অবশ্যই (সেরা দিন)। খুব ভালো লাগছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১০০ করেছিলাম, ৩ উইকেট নিয়েছিলাম। তবে অল্পের জন্য ৫ উইকেট পাইনি। যদি ৫ উইকেট হতো, ভালো লাগত। ওই ম্যাচ আমরা হেরেছিলাম এ মাঠেই। (আজ) ওই কথাটা মনে পড়ে গেছে। তাই খুব ভালো লাগছে। একই সঙ্গে আমরা ম্যাচ জিতেছি। আর অর্জন সব সময় ভালো লাগার বিষয়।’
নিজের এই অর্জনের পেছনে মিরাজ কৃতিত্ব দিচ্ছেন দুজনকে, ‘বিশেষভাবে ধন্যবাদ দিতে চাই বাবুল স্যার (মিজানুর রহমান) ও টিম ম্যানেজার নাফীস ইকবাল ভাইকে। উনি সব সময় আমাকে উজ্জীবিত করেন। আজ (গতকাল) ব্যাটিংয়ে যাওয়ার সময়ও বললেন, “মিরাজ, তুই কিন্তু পুরোদস্তুর ব্যাটার, তোর ১০০ রান আছে।” এমন কথাগুলো অনেক অনুপ্রেরণা দেয়।’
লাঞ্চের আগে ৭৬ রান নিয়ে যখন ক্রিজে ছিলেন, উইকেটে ভালো টার্ন পাচ্ছিলেন বোলাররা। কিন্তু মিরাজ ছিলেন লক্ষ্যে অবিচল—সেঞ্চুরি তাঁকে করতেই হবে। পরিকল্পনা ঠিক রেখে, বল বেছে শট খেলে পৌঁছে যান কাঙ্ক্ষিত সেঞ্চুরিতে, যা প্রমাণ করে তিনি দলের এক পূর্ণাঙ্গ অলরাউন্ডার। তবে সাকিবের সঙ্গে নিজেকে মেলাতে রাজি নন মিরাজ, ‘দেখেন, সাকিব ভাই তাঁর জায়গা থেকে অনেক কিছু অর্জন করেছেন। আমি চেষ্টা করছি নিজের জায়গা থেকে দলকে কিছু দিতে। আমার ক্যারিয়ার শুরু হয়েছে বোলিং দিয়ে; কিন্তু যেহেতু ব্যাটিং পারি, উন্নতির চেষ্টা করেছি। এখন হয়তো আমি লিডিং রোল প্লে করছি। এ দায়িত্বটা আমার নেওয়া উচিত এবং নিয়মিত পারফর্ম করাই আসল।’
ব্যাটে যখন রান পান মিরাজ, তখন এই প্রশ্ন ওঠে—তাঁকে কি আরও আগে নামানো যেত না? গতকাল ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনে ঠিক এই প্রশ্ন করা হয়েছিল অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকে। উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমাকে আগে বলবেন, আরেকটু ওপরে বললে কত ওপরে? হয়তো ৪-৫ নম্বরে। তার বোলিং গুরুত্বপূর্ণ এবং সে তার কাজের ওপর অনেক পরিশ্রম করে। ৪-৫-এ ব্যাটিং করা চ্যালেঞ্জিং, তবে মিরাজ এখন ৬-৭-এ ভালো ব্যাট করছে, যা দলকে ভালো জায়গায় নিয়ে যাচ্ছে। যদি ৪-৫-এ জাকের, মুশফিক বা লিটন খেলে, তারাও দায়িত্ব পালন করে। মিরাজ তার জায়গায় ভালো করছে এবং এমন করলে দল আরও ভালো জায়গায় যাবে।’
লাল বলের ক্রিকেটে গত বছর ব্যাটে-বলে ঔজ্জ্বল্য ছড়িয়েছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ৫৫.৫৮ স্ট্রাইকরেটে ১৭ ইনিংসে করেছিলেন ৬০৮ রান, যা দেশের ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ। ওই বছর তিনি রানের তিন অঙ্ক ছুঁতে পারেননি, তবে ফিফটি ছিল ৪টি। ২০২৫ সালে টেস্ট অভিযান শুরুর সিলেট টেস্টে দল হারলেও দুই ইনিংসে ৫টি করে ১০ উইকেট নিয়েছিলেন। গতকাল শেষ হওয়া চট্টগ্রাম টেস্টেও নিলেন ৫ উইকেট। তার আগে করলেন সেঞ্চুরিও। তাতে টেস্ট ইতিহাসের পাতায় কিংবদন্তি অলরাউন্ডার ইয়ান বোথামের পাশে জায়গা করে নিয়েছেন মিরাজ।
টেস্টে সেঞ্চুরি ও ৫ উইকেট নেওয়ার অনেক ঘটনা রয়েছে। তবে একই দিনে এ দুই অর্জন এত দিন শুধু ছিল ইংল্যান্ডে বোথামের। ১৯৮৪ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়েলিংটন টেস্টের একই দিনে ৫ উইকেট ও সেঞ্চুরি করেছিলেন বোথাম। ৪১ বছর পর সে ঘটনার পুনরাবৃত্তি গতকাল চট্টগ্রামে ঘটালেন মিরাজ। এদিন অবশ্য ২ হাজার রান ও ২০০ উইকেটে ‘ডাবলে’র মাইলফলকেও পা রেখেছেন তিনি। সব মিলিয়ে অলরাউন্ডার হিসেবে যেন নিজেকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছেন। মিরাজের পারফরম্যান্সে নেতৃত্বের ছাপ, যেন সাকিব আল হাসানের যোগ্য উত্তরসূরি! দুটি কীর্তি নিয়ে আজকের পত্রিকাকে মিরাজ বলেন, ‘আমি জানতাম না, তবে ম্যাচ শেষে আম্পায়ার রিচার্ড (ইলিংওয়ার্থ) আমাকে জানালেন রেকর্ডটার কথা। আল্লাহর কাছে অশেষ কৃতজ্ঞতা। শুনলাম, সাকিব ভাইয়ের চেয়ে (সাকিব আল হাসান) এগিয়ে গেছি ২০০ ও ২০০০ রানের রেকর্ডে। সবকিছুর জন্য আলহামদুলিল্লাহ।’
প্রথম টেস্ট হারের পর দল জেতায় খুশি মিরাজ, ‘আলহামদুলিল্লাহ, খুব ভালো লাগছে। প্রথম ম্যাচ হারের পর যেভাবে দল ঘুরে দাঁড়িয়েছে, এটা খুব দরকার ছিল।’ মিরাজের আরও ‘ভালো লাগা’র কারণ এই টেস্টে তাঁর দুই হাত ভরে পাওয়া। এটিই তার ক্যারিয়ারের ‘সেরা দিন’ বললেন মিরাজ, ‘হ্যাঁ...অবশ্যই (সেরা দিন)। খুব ভালো লাগছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১০০ করেছিলাম, ৩ উইকেট নিয়েছিলাম। তবে অল্পের জন্য ৫ উইকেট পাইনি। যদি ৫ উইকেট হতো, ভালো লাগত। ওই ম্যাচ আমরা হেরেছিলাম এ মাঠেই। (আজ) ওই কথাটা মনে পড়ে গেছে। তাই খুব ভালো লাগছে। একই সঙ্গে আমরা ম্যাচ জিতেছি। আর অর্জন সব সময় ভালো লাগার বিষয়।’
নিজের এই অর্জনের পেছনে মিরাজ কৃতিত্ব দিচ্ছেন দুজনকে, ‘বিশেষভাবে ধন্যবাদ দিতে চাই বাবুল স্যার (মিজানুর রহমান) ও টিম ম্যানেজার নাফীস ইকবাল ভাইকে। উনি সব সময় আমাকে উজ্জীবিত করেন। আজ (গতকাল) ব্যাটিংয়ে যাওয়ার সময়ও বললেন, “মিরাজ, তুই কিন্তু পুরোদস্তুর ব্যাটার, তোর ১০০ রান আছে।” এমন কথাগুলো অনেক অনুপ্রেরণা দেয়।’
লাঞ্চের আগে ৭৬ রান নিয়ে যখন ক্রিজে ছিলেন, উইকেটে ভালো টার্ন পাচ্ছিলেন বোলাররা। কিন্তু মিরাজ ছিলেন লক্ষ্যে অবিচল—সেঞ্চুরি তাঁকে করতেই হবে। পরিকল্পনা ঠিক রেখে, বল বেছে শট খেলে পৌঁছে যান কাঙ্ক্ষিত সেঞ্চুরিতে, যা প্রমাণ করে তিনি দলের এক পূর্ণাঙ্গ অলরাউন্ডার। তবে সাকিবের সঙ্গে নিজেকে মেলাতে রাজি নন মিরাজ, ‘দেখেন, সাকিব ভাই তাঁর জায়গা থেকে অনেক কিছু অর্জন করেছেন। আমি চেষ্টা করছি নিজের জায়গা থেকে দলকে কিছু দিতে। আমার ক্যারিয়ার শুরু হয়েছে বোলিং দিয়ে; কিন্তু যেহেতু ব্যাটিং পারি, উন্নতির চেষ্টা করেছি। এখন হয়তো আমি লিডিং রোল প্লে করছি। এ দায়িত্বটা আমার নেওয়া উচিত এবং নিয়মিত পারফর্ম করাই আসল।’
ব্যাটে যখন রান পান মিরাজ, তখন এই প্রশ্ন ওঠে—তাঁকে কি আরও আগে নামানো যেত না? গতকাল ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনে ঠিক এই প্রশ্ন করা হয়েছিল অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকে। উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমাকে আগে বলবেন, আরেকটু ওপরে বললে কত ওপরে? হয়তো ৪-৫ নম্বরে। তার বোলিং গুরুত্বপূর্ণ এবং সে তার কাজের ওপর অনেক পরিশ্রম করে। ৪-৫-এ ব্যাটিং করা চ্যালেঞ্জিং, তবে মিরাজ এখন ৬-৭-এ ভালো ব্যাট করছে, যা দলকে ভালো জায়গায় নিয়ে যাচ্ছে। যদি ৪-৫-এ জাকের, মুশফিক বা লিটন খেলে, তারাও দায়িত্ব পালন করে। মিরাজ তার জায়গায় ভালো করছে এবং এমন করলে দল আরও ভালো জায়গায় যাবে।’
গলে ম্যাচ ড্র হওয়া অনেকটা চোখ কপালে ওঠার মতো। সমুদ্রঘেঁষা এই ভেন্যুতে সবশেষ ২৬ ম্যাচে কোনো দলই ড্রয়ের জন্য সমঝোতা করেনি। বাংলাদেশের ম্যাচ দিয়ে ইতি টানল সেই ধারাবাহিকতার। ম্যাচটি কি জেতার জন্য খেলতে পারত না বাংলাদেশ? পারত না আরেকটু আগে ইনিংস ঘোষণা করতে? সেই প্রশ্নগুলোই রাখা হয়েছিল সংবাদ সম্মেলনে...
৮ ঘণ্টা আগেএক টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরি আগেও দেখেছে বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্ত প্রায় দুই বছর আগে সেই ক্লাবে নাম লেখান। এবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গলে জোড়া সেঞ্চুরি করে নতুন কীর্তি গড়লেন তিনি। বাংলাদেশের কোনো অধিনায়কই এর আগে এক টেস্টে দুই সেঞ্চুরি হাঁকাতে পারেননি। এই রেকর্ডে নাম লেখানোর কথা আগে থেকে জানতেন না শান্ত।
১০ ঘণ্টা আগেকিছু কি মনে পড়ছে? না পড়লেও অবশ্য দোষের কিছু নেই। মেলবোর্নে গত বছর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৩৭ বলে ২৮ রানের ইনিংস খেলে তোপের মুখে পড়েন ঋষভ পন্ত। তাঁর আউটের ধরন দেখে রীতিমত ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কার। ধারাভাষ্যকক্ষে মাইক হাতে তিরস্কার করতে থাকেন ‘স্টুপিড, স্টুপিড, স্টুপিড’ বলে
১১ ঘণ্টা আগেদিন শেষ হতে তখনো বাকি আরও ৫ ওভার। ৩০ বলে শ্রীলঙ্কার ৬ উইকেট পড়ে যাবে এমন ভাবাটা আকাশ-কুসুম কল্পনার মতো। বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত তাই বাস্তবতা মেনে নিয়ে ছুটে গেলেন লঙ্কান অধিনায়ক ধনঞ্জয়া ডি সিলভার সঙ্গে করমর্দন করতে। বাকিরাও তা অনুসরণ করতে থাকেন।
১১ ঘণ্টা আগে