Ajker Patrika

ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর বিদায়ের আনন্দের সঙ্গে রয়েছে আক্ষেপও 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬: ৫০
ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর বিদায়ের আনন্দের সঙ্গে রয়েছে আক্ষেপও 

সভা শেষ হতেই দলে দলে মানুষজন হাত বাড়ানোর জন্য এগিয়ে এলেন তাঁর দিকে। যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল হতাশ করলেন না কাউকেই। কেউ কেউ সেলফি তুললেন, প্রতিমন্ত্রী নিজেও আগ্রহ দেখালেন ছবি তোলার। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে (এনএসসি) নিজের মন্ত্রিত্বের শেষ দিনে এভাবেই ক্রীড়াঙ্গনের ভালোবাসায় সিক্ত হলেন বিদায়ী ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী।

২০১৯ সালে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন জাহিদ আহসান রাসেল। এর আগে ১০ বছর ছিলেন জাতীয় সংসদে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান। গত পাঁচ বছরে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীকে খুব কাছ থেকে পেয়েছেন ক্রীড়াঙ্গনের কর্মকর্তারা। সুনাম থাকার পরও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী পদে কোনো সংসদ সদস্যের দুই মেয়াদে না থাকার যে প্রথা চালু আছে, সেই প্রথা মেনেই সরে যেতে হচ্ছে রাসেলকে। তাঁর জায়গা হয়নি নতুন মন্ত্রিসভায়ও।

নিজের পাঁচ বছরের মেয়াদে দুস্থ-অসুস্থ খেলোয়াড়দের  প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক অনুদানের চেক নিয়মিত দিয়ে গেছেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী। এনএসসিতে নিজের শেষ কর্মদিবসে সেই চেক দিতে এসেছিলেন তিনি। এরপর করেছেন জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি সভাও। দুই সভার ফাঁকে নিজের পাঁচ বছরের মন্ত্রিত্বের মেয়াদকালে নিজের সফলতা, আক্ষেপ আর আনন্দের কথা জানিয়েছেন সাংবাদিকদের। 

নিজের পাঁচ বছরের মেয়াদে দুই বছর বিশ্ব লড়াই করেছে করোনা মহামারি আর লকডাউনের সঙ্গে। প্রভাব ছিল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধেরও। এরপরও যতটুকু সময় পেয়েছেন, নিজেকে সফলই দাবি করেছেন মন্ত্রী। শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম থেকে শুরু করে বঙ্গবন্ধু আন্তবিশ্ববিদ্যালয় টুর্নামেন্ট চালুকে নিজের সফলতা বলে মনে করেন প্রতিমন্ত্রী। বলেছেন, ‘শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামের জন্য সাড়ে ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা বরাদ্দ এনেছি। বঙ্গবন্ধু ক্রীড়াসেবী ফাউন্ডেশন ১৭ কোটি থেকে শুরু হয়েছিল, এখন ৭৭ কোটি টাকায় বরাদ্দ করেছি। বঙ্গবন্ধু-বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ প্রাথমিক স্কুল থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ে অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবল চালু হয়েছে। আন্তবিশ্ববিদ্যালয়ের খেলোয়াড় কোটা চালু হয়েছে।’

করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ তাঁকে পূর্ণ সময় দায়িত্ব পালন করতে দেয়নি বলে দাবি প্রতিমন্ত্রীর। অর্থ মন্ত্রণালয় অর্থ বরাদ্দ না দেওয়ায় শেখ কামাল স্পোর্টস কমপ্লেক্স ও শেখ হাসিনা স্পোর্টস সিটি কাম ভিলেজ ও জাতীয় ক্রীড়া নীতি বাস্তবায়ন করতে না পারাকে নিজের আক্ষেপ বলে জানিয়েছেন জাহিদ আহসান রাসেল। 

তাঁর মেয়াদেই অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ জিতেছে বাংলাদেশের যুবারা। নারী ফুটবল দল জিতেছে নারী সাফ। মাত্র এক রাতের মধ্যে নারীদের জন্য ছাদখোলা বাসের ব্যবস্থা করতে পারাকে নিজের সবচেয়ে আনন্দের মুহূর্ত বলে জানিয়েছেন বিদায়ী প্রতিমন্ত্রী, ‘মেয়েরা যখন নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জিতল, তখন তাদের জন্য ছাদখোলা বাসের আয়োজন করতে পেরেছি। তাদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করতে পারাটা, এটা আমার জন্য অত্যন্ত ভালো লাগার বিষয়।’

আজ রাতেই জানা যাবে নতুন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর নাম। তাঁর উত্তরসূরি হয়ে যিনি আসবেন তাকে সব রকম সহযোগিতার কথাও জানিয়ে গেলেন জাহিদ আহসান রাসেল, ‘অনেক কিছু করতে পারিনি করোনা ও যুদ্ধের কারণে। নতুন যিনি আসবেন, তিনি না চাইলেও তাঁকে যেচেই সহযোগিতা করব। আমি চাই দেশের ক্রীড়াঙ্গন এগিয়ে যাক। ১৫ বছরের অভিজ্ঞতা। হৃদয় থেকে অনুভব করি খেলাটা।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে স্টারলিংকের প্রস্তাবিত কার্যক্রমের বিস্তারিত চায় ভারত

নির্দেশনা মানেননি পাইলট, মদিনা-ঢাকা ফ্লাইটকে নামতে হলো সিলেটে

ভারত–বাংলাদেশ বাণিজ্য বিধিনিষেধের মূল্য গুনছেন ব্যবসায়ীরা

গায়ে কেরোসিন ঢেলে কলেজছাত্রীর আত্মহনন, পলাতক ইমাম গ্রেপ্তার

সরকারি মাধ্যমিকের সহকারী শিক্ষকেরা পাচ্ছেন গেজেটেড মর্যাদা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত