অক্টোপাস সাধারণত একাকী জীবনযাপন করে। কিন্তু সেন্ট্রাল ক্যালিফোর্নিয়ার উপকূলে সমুদ্রের তলদেশে হাজার হাজার অক্টোপাসকে একত্রে বসবাস করতে দেখে বিজ্ঞানীরা চমকে গিয়েছিলেন। তাঁরা দেখার চেষ্টা করেছেন, কী কারণে এতগুলো অক্টোপাস দীর্ঘসময় একটি স্থানে জড়ো হয়ে থাকছে।
গবেষকেরা দেখেছেন, এই মুক্তা অক্টোপাসগুলো সমুদ্রের তলদেশের যে স্থানটিতে জড়ো হয়েছে সেখানে রয়েছে একটি মৃত আগ্নেয়গিরি। নিচ থেকে উঠে আসছে সামান্য উষ্ণ পানি। আর এই উষ্ণতার কারণে অক্টোপাসের ডিম ফুটে বাচ্চা বের হওয়ার সময় কমে আসছে অর্ধেকে।
এই ঘটনা নিয়ে সায়েন্স অ্যাডভান্সেস সাময়িকীতে প্রকাশিত গবেষণার সহ–লেখক জ্যানেট ভয়েট বলেন, ‘প্রাকৃতিক “হট টাবে” ডিমে তা দেওয়ার স্পষ্ট সুবিধা রয়েছে।’
শিকাগোর প্রাকৃতিক ইতিহাসের ফিল্ড মিউজিয়ামের এই অক্টোপাস জীববিজ্ঞানী বলেন, ‘বরফ শীতল সমুদ্র তলদেশে সামান্য উষ্ণ পানির প্রস্রবণের কারণে অক্টোপাসের ডিম ফুটতে অর্ধেক সময় লাগে। দ্রুত বাচ্চা ফুটে যাওয়ায় শামুক, চিংড়ি বা অন্যান্য শিকারির আক্রমণে ডিম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে।’
মন্টেরি বে ন্যাশনাল মেরিন স্যাঙ্কচুয়ারি এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের গবেষকেরা ২০১৮ সালে প্রথম অক্টোপাসের ডিম পাড়ার ওই জায়গাটি আবিষ্কার করেন। বিজ্ঞানীরা এই স্থানের নাম দিয়েছেন ‘অক্টোপাস বাগান’। দূর নিয়ন্ত্রিত ডুবোযান পাঠিয়ে দেখা যায়, সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ৩ কিলোমিটারের বেশি গভীরে ওই স্থানটিতে প্রায় ৬ হাজার অক্টোপাসকে বাসা বাঁধতে দেখা গেছে। সমুদ্রের তলদেশ থেকে উঠে আসা উষ্ণ পানির প্রবাহের মধ্যে পাথরের গায়ে এক একটি জাম্বুরার সমান অক্টোপাসের পাল ডিম পাড়ে এবং তা দেয়।
গবেষণার সহ–লেখক ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফেরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের সমুদ্র জীববিজ্ঞানী অ্যান্ড্রু ডিভোগেলার বলেন, ‘হঠাৎ করে হাজার হাজার মুক্তা অক্টোপাসকে দেখতে পেলাম, অক্টোপাসগুলোর পা ওপরের দিকে ওঠানো, মাঝে মধ্যে চারপাশে ঘুরছে। তারা সম্ভবত শিকারিদের দূরে ঠেলে দিচ্ছিল এবং ডিমে পানি ও অক্সিজেনের প্রবাহ সমান রাখতে এমন করছিল।’
হিমশীতল সমুদ্রের তলদেশে ছোট একটি স্থানে সামান্য উষ্ণ পানির প্রবাহটি আবিষ্কার করতে পারলেও গবেষকেরা এখনো নিশ্চিত নন, অক্টোপাসগুলো ডিম পাড়ার জন্য কেন সেখানেই জড়ো হয়েছে।
তিন বছর ধরে বিজ্ঞানীরা ৩১টি অক্টোপাসের বাসা পর্যবেক্ষণ করেছেন। তাঁরা ডিম ফোটার চক্র বোঝার এবং বাচ্চা ফুটে বেরিয়ে যাওয়ার পরপরই মা অক্টোপাসের মৃত্যুর কারণ জানার চেষ্টা করেছেন।
জীববিজ্ঞানী জেমস ব্যারি বলেন, ‘ডিম ফুটে বাচ্চাগুলো বের হয়ে সাঁতার কেটে অন্ধকারে চলে যায়। এই দীর্ঘ সময় মা অক্টোপাসেরা সাধারণত কিছুই খায় না। বাচ্চা ফুটে বেরিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরই তারা মারা যায়।’
গবেষকেরা দেখেছেন, এই ‘অক্টোপাস বাগানে’ ডিম ফুটে বাচ্চা বেরোতে সময় লাগে প্রায় ২১ মাস। যেখানে গভীর সমুদ্রে বসবাসকারী অন্যান্য প্রজাতির অক্টোপাসের ডিম ফুটতে চার বছর বা তারও বেশি সময় লাগে।
স্ক্রিপস ইনস্টিটিউশন অব ওশানোগ্রাফির সামুদ্রিক জীববিজ্ঞানী অ্যাডি খেন বলেন, ‘সাধারণত শীতল পানি বিপাক ক্রিয়া ও ভ্রূণের বিকাশ ধীর করে দেয় এবং আয়ু বাড়িয়ে দেয়। তবে এখানকার উষ্ণতা সবগুলো প্রক্রিয়ার গতিই বাড়িয়ে দেয়।’
স্মিথসোনিয়ান ন্যাশনাল মিউজিয়াম অব ন্যাচারাল হিস্ট্রির প্রাণিবিজ্ঞানী মাইক ভেচ্চিওনি বলেন, ‘এই ধরনের অক্টোপাস বাগানগুলো সাগরজুড়েই থাকতে পারে এবং গভীর সমুদ্রে আসলেই জরুরি। আগে আমরা এ সম্পর্কে খুব কমই জানতাম। গভীর সমুদ্র সম্পর্কে এখনো অনেক কিছু আবিষ্কার করা বাকি।’
অ্যাডি খেন ও মাইক ভেচ্চিওনি ওই গবেষণার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না।
অক্টোপাস সাধারণত একাকী জীবনযাপন করে। কিন্তু সেন্ট্রাল ক্যালিফোর্নিয়ার উপকূলে সমুদ্রের তলদেশে হাজার হাজার অক্টোপাসকে একত্রে বসবাস করতে দেখে বিজ্ঞানীরা চমকে গিয়েছিলেন। তাঁরা দেখার চেষ্টা করেছেন, কী কারণে এতগুলো অক্টোপাস দীর্ঘসময় একটি স্থানে জড়ো হয়ে থাকছে।
গবেষকেরা দেখেছেন, এই মুক্তা অক্টোপাসগুলো সমুদ্রের তলদেশের যে স্থানটিতে জড়ো হয়েছে সেখানে রয়েছে একটি মৃত আগ্নেয়গিরি। নিচ থেকে উঠে আসছে সামান্য উষ্ণ পানি। আর এই উষ্ণতার কারণে অক্টোপাসের ডিম ফুটে বাচ্চা বের হওয়ার সময় কমে আসছে অর্ধেকে।
এই ঘটনা নিয়ে সায়েন্স অ্যাডভান্সেস সাময়িকীতে প্রকাশিত গবেষণার সহ–লেখক জ্যানেট ভয়েট বলেন, ‘প্রাকৃতিক “হট টাবে” ডিমে তা দেওয়ার স্পষ্ট সুবিধা রয়েছে।’
শিকাগোর প্রাকৃতিক ইতিহাসের ফিল্ড মিউজিয়ামের এই অক্টোপাস জীববিজ্ঞানী বলেন, ‘বরফ শীতল সমুদ্র তলদেশে সামান্য উষ্ণ পানির প্রস্রবণের কারণে অক্টোপাসের ডিম ফুটতে অর্ধেক সময় লাগে। দ্রুত বাচ্চা ফুটে যাওয়ায় শামুক, চিংড়ি বা অন্যান্য শিকারির আক্রমণে ডিম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে।’
মন্টেরি বে ন্যাশনাল মেরিন স্যাঙ্কচুয়ারি এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের গবেষকেরা ২০১৮ সালে প্রথম অক্টোপাসের ডিম পাড়ার ওই জায়গাটি আবিষ্কার করেন। বিজ্ঞানীরা এই স্থানের নাম দিয়েছেন ‘অক্টোপাস বাগান’। দূর নিয়ন্ত্রিত ডুবোযান পাঠিয়ে দেখা যায়, সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ৩ কিলোমিটারের বেশি গভীরে ওই স্থানটিতে প্রায় ৬ হাজার অক্টোপাসকে বাসা বাঁধতে দেখা গেছে। সমুদ্রের তলদেশ থেকে উঠে আসা উষ্ণ পানির প্রবাহের মধ্যে পাথরের গায়ে এক একটি জাম্বুরার সমান অক্টোপাসের পাল ডিম পাড়ে এবং তা দেয়।
গবেষণার সহ–লেখক ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফেরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের সমুদ্র জীববিজ্ঞানী অ্যান্ড্রু ডিভোগেলার বলেন, ‘হঠাৎ করে হাজার হাজার মুক্তা অক্টোপাসকে দেখতে পেলাম, অক্টোপাসগুলোর পা ওপরের দিকে ওঠানো, মাঝে মধ্যে চারপাশে ঘুরছে। তারা সম্ভবত শিকারিদের দূরে ঠেলে দিচ্ছিল এবং ডিমে পানি ও অক্সিজেনের প্রবাহ সমান রাখতে এমন করছিল।’
হিমশীতল সমুদ্রের তলদেশে ছোট একটি স্থানে সামান্য উষ্ণ পানির প্রবাহটি আবিষ্কার করতে পারলেও গবেষকেরা এখনো নিশ্চিত নন, অক্টোপাসগুলো ডিম পাড়ার জন্য কেন সেখানেই জড়ো হয়েছে।
তিন বছর ধরে বিজ্ঞানীরা ৩১টি অক্টোপাসের বাসা পর্যবেক্ষণ করেছেন। তাঁরা ডিম ফোটার চক্র বোঝার এবং বাচ্চা ফুটে বেরিয়ে যাওয়ার পরপরই মা অক্টোপাসের মৃত্যুর কারণ জানার চেষ্টা করেছেন।
জীববিজ্ঞানী জেমস ব্যারি বলেন, ‘ডিম ফুটে বাচ্চাগুলো বের হয়ে সাঁতার কেটে অন্ধকারে চলে যায়। এই দীর্ঘ সময় মা অক্টোপাসেরা সাধারণত কিছুই খায় না। বাচ্চা ফুটে বেরিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরই তারা মারা যায়।’
গবেষকেরা দেখেছেন, এই ‘অক্টোপাস বাগানে’ ডিম ফুটে বাচ্চা বেরোতে সময় লাগে প্রায় ২১ মাস। যেখানে গভীর সমুদ্রে বসবাসকারী অন্যান্য প্রজাতির অক্টোপাসের ডিম ফুটতে চার বছর বা তারও বেশি সময় লাগে।
স্ক্রিপস ইনস্টিটিউশন অব ওশানোগ্রাফির সামুদ্রিক জীববিজ্ঞানী অ্যাডি খেন বলেন, ‘সাধারণত শীতল পানি বিপাক ক্রিয়া ও ভ্রূণের বিকাশ ধীর করে দেয় এবং আয়ু বাড়িয়ে দেয়। তবে এখানকার উষ্ণতা সবগুলো প্রক্রিয়ার গতিই বাড়িয়ে দেয়।’
স্মিথসোনিয়ান ন্যাশনাল মিউজিয়াম অব ন্যাচারাল হিস্ট্রির প্রাণিবিজ্ঞানী মাইক ভেচ্চিওনি বলেন, ‘এই ধরনের অক্টোপাস বাগানগুলো সাগরজুড়েই থাকতে পারে এবং গভীর সমুদ্রে আসলেই জরুরি। আগে আমরা এ সম্পর্কে খুব কমই জানতাম। গভীর সমুদ্র সম্পর্কে এখনো অনেক কিছু আবিষ্কার করা বাকি।’
অ্যাডি খেন ও মাইক ভেচ্চিওনি ওই গবেষণার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না।
বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও চিকিৎসাক্ষেত্রে অগ্রণী কিছু ভবিষ্যৎদ্রষ্টা মনে করছেন, মানুষ এখন আর আগের মতো কেবল শতবর্ষ আয়ুর স্বপ্ন দেখছে না। বরং এমন এক সময় আসছে, যখন আমরা স্বাভাবিক আয়ুর চেয়ে ১০ গুণ বেশি সময়, অর্থাৎ হাজার বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারি।
১ দিন আগেআমাদের সূর্যের চেয়ে ৩৬০০ গুণ বেশি ভরের বিশালাকৃতির ব্ল্যাকহোল খুঁজে পেলেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। এটি এখন পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া সবচেয়ে বড় ব্ল্যাকহোলগুলোর একটি এবং সম্ভবত সর্ববৃহৎ। ব্ল্যাকহোলটি অবস্থান করছে ‘কসমিক হর্সশু’ নামের একটি গ্যালাক্সির কেন্দ্রে, যা পৃথিবী থেকে প্রায় ৫০০ কোটি আলোকবর্ষ দূরে।
১ দিন আগেপৃথিবীর বাইরের কোনো গ্রহে যদি একদিন মানুষের বসতি গড়তে হয়, তাহলে কেমন হবে সেই পরিবেশ? সেটা বোঝার চেষ্টা থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনায় তৈরি হয়েছিল ‘বায়োস্ফিয়ার ২’। তিন একরের বেশি জায়গাজুড়ে নির্মিত বিশাল কাচঘেরা ভবনটি যেন এক কৃত্রিম পৃথিবী।
২ দিন আগেযুক্তরাষ্ট্রের ওহাইওর এক দম্পতি সম্প্রতি এক চমৎকার ঘটনা ঘটিয়েছেন। তাঁরা সন্তান জন্ম দিয়ে নতুন এক বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন। কারণ, যে ভ্রূণ থেকে তাদের সন্তানের জন্ম হয়েছে তা ওই দম্পতির শুক্রাণু ও ডিম্বাণু থেকে তৈরি হয়নি। মূলত, তাঁরা ৩১ বছর ধরে সংরক্ষণ করে রাখা এক ভ্রূণ থেকে তাদের সন্তানের জন্ম দিয়েছেন।
২ দিন আগে