অনলাইন ডেস্ক
পয়লা বৈশাখ আজ। গ্রীষ্মের শুরু হলো। গরমের এই মৌসুমে তাপমাত্রার ঊর্ধ্বগতিতে নাভিশ্বাস উঠবে অনেকের। গরমে বেহাল অবস্থা হয় সবারই। তবে গবেষণা বলছে, গরমের সময় পুরুষদের তুলনায় নারীরা বেশি ঝুঁকিতে থাকে। তাপ সহ্য করার ক্ষমতা, জৈবিক, শারীরিক, সামাজিক ও হরমোনজনিত নানা কারণে এ পার্থক্য হয়ে থাকে।
জার্নাল অব অ্যাপ্লাইড ফিজিওলজিতে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা যায়, সাধারণত পুরুষদের তুলনায় শরীরের তাপমাত্রা কিছুটা বেশি হলে নারীরা ঘামতে শুরু করেন এবং সামগ্রিকভাবে তাঁদের ঘাম উৎপাদনের পরিমাণও কম। যেহেতু ঘাম শরীর ঠান্ডা হওয়ার প্রক্রিয়া, তাই এই পার্থক্য গরম বা আর্দ্র পরিবেশে নারীদের জন্য একটি বড় অসুবিধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।
তাপপ্রবাহ চলাকালে নারীদের শরীর অতিরিক্ত তাপ সহজে বের করে দিতে না পারার কারণে তাপজনিত চাপ বা হিট স্ট্রেসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।
এক্সপেরিমেন্টাল ফিজিওলজির একটি গবেষণায় বিষয়টি আরও নিশ্চিতভাবে উঠে আসে। সেখানে দেখা যায়, গরম আবহাওয়ায় ব্যায়ামের সময় পুরুষদের শরীরে বাষ্পীয় শীতলতার হার বেশি। সহজভাবে বলতে গেলে, পুরুষদের ঘাম সহজে বাষ্প হয়ে যায়, ফলে তাঁদের শরীর দ্রুত ঠান্ডা হয়।
তবে শুধু ঘাম হওয়া নয়— শরীরের আকার এবং গঠন গরম সহ্য করার ক্ষমতায় বড় ভূমিকা রাখে।
দুবাইয়ে কার্ডিওলজিস্ট বিশাখা সিং বলেন, ‘নারীদের শরীরে সাধারণত পুরুষদের তুলনায় চর্বির পরিমাণ বেশি। শরীরের আকারও তুলনামূলকভাবে ছোট। যে কারণে শরীর থেকে তাপ বের হওয়ার পরিমাণ কমে যায়।
টেম্পারেচার নামে এক জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় দেখা যায়, যাদের শরীরের আকার ছোট, বিশেষ করে নারীরা, তাঁদের শরীর তুলনামূলকভাবে বেশি তাপ ধরে রাখে। যার ফলে তাঁরা তাপজনিত চাপ বেশি অনুভব করেন।
গরম পরিবেশে নারীদের জন্য ঠান্ডা হওয়া আরও কঠিন হয়ে পড়ে— কারণ জৈবিক গঠনই সেখানে একটা বড় বাধা, বিশেষ করে শারীরিক পরিশ্রমের সময়।
এছাড়াও শারীরবৃত্তীয় জটিলতা তো রয়েছেই। মেডকেয়ার মেডিক্যাল সেন্টার মিরডিফ সিটির প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. সোহা আলহৌবি বলেন, ‘নারীদের শরীর থেকে বাষ্পীয় তাপ নির্গমনের হার কম। ঘাম ঝরানোর মাধ্যমে তাপ বের করে দেওয়ার ক্ষেত্রে নারীরা ততটা দক্ষ নন এবং তাঁদের শরীরও ততটা সমর্থন দেয় না। তাদের শরীরে ঘর্মগ্রন্থিও তুলনামূলকভাবে কম এবং তাঁরা পরিশ্রমের সময় সাধারণত কম ঘামেন।
তিনি আরও বলেন, নারীদের শরীরে যে চর্বির পরিমাণ বেশি থাকে, তা উত্তাপ ধরে রাখার মতো কাজ করে, যার ফলে শরীরের ভেতরের তাপ সহজে বের হতে পারে না। পাশাপাশি তাদের শরীরের আকারও ছোট হওয়ায় তাপ বের হওয়ার পথ আরও সীমিত হয়ে যায়।
গড়পড়তা হিসেবে নারীদের এরোবিক ফিটনেস পুরুষদের তুলনায় কম। অর্থাৎ তাঁদের হৃদযন্ত্র এবং রক্তপ্রবাহের ব্যবস্থা চরম তাপমাত্রায় আরও বেশি চাপের মুখে পড়ে। এই অতিরিক্ত কার্ডিওভাসকুলার চাপ তাপজনিত সমস্যার সাথে লড়াই করার ক্ষমতাকে আরও দুর্বল করে দেয়।
বিশাখা সিং এবং হোমিওপ্যাথি বিশেষজ্ঞ ইয়াসির শফির মতে, গরমে নারীদের শরীর কীভাবে প্রতিক্রিয়া করে, সেই বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো হরমোন। কিন্তু এই কারণটি প্রায় উপেক্ষিতই বলা চলে।
নারীদের ঋতুচক্র চলাকালীন ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরনের মাত্রায় ওঠানামা শরীরের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে, বিশেষ করে ঋতুচক্রের শেষার্ধে। এই সামান্য তাপমাত্রা বৃদ্ধিই অনেক সময় নারীদের বেশি গরম অনুভব করায় এবং অতিরিক্ত গরম সহ্য করার ক্ষমতা কমিয়ে দেয়।
বয়স্ক নারীরা তাপপ্রবাহে বেশি ঝুঁকির মধ্যে থাকেন বলে জানান বিশাখা সিং। তিনি বলেন, ‘আমাদের শরীর বয়স বাড়ার সাথে সাথে তাপ নিয়ন্ত্রণের কার্যকারিতা কমতে থাকে। ঘর্মগ্রন্থির কার্যকারিতা কমে যায়, ত্বকের রক্ত প্রবাহ কমে যায় এবং পিপাসার অনুভূতি দুর্বল হয়ে পড়ে। এই সবকিছু মিলিয়ে শরীরকে ঠান্ডা রাখা কঠিন করে তোলে।’
জার্নাল অব অ্যাপ্লাইড ফিজিওলজিতে প্রকাশিত কেন্নেই ও মুন্স-এর এক গবেষণায় দেখা যায়, বয়স্ক ব্যক্তিরা তাপ সহ্য করতে কম সক্ষম, কারণ তাঁদের ত্বকের রক্ত প্রবাহ কমে যায় এবং ঘামের পরিমাণও কমে যায়। তাদের মধ্যে, নারীদের ঘাম শুরু হতে দেরি হয় এবং সামগ্রিক ঘামের হার কম থাকে।
এছাড়াও মেনোপজের পর নারীরা ইস্ট্রোজেন হরমোনের কমতির মুখোমুখি হয়, যা স্বাস্থ্যকর রক্তনালী বজায় রাখা এবং ত্বক গতিশীলতা ভালো রাখতে সহায়ক। ইস্ট্রোজেন কমে যাওয়ার ফলে, শরীরের তাপ নির্গমন প্রক্রিয়া ভাসোডিলেশন (রক্তনালী প্রসারণ) মাধ্যমে তাপ বের করার ক্ষমতা কমে যায়। আবার অনেক সময় বয়স্ক নারীরা পানি শূন্যতায় ভোগে, ফলে তাপজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
সূত্র: গালফ নিউজ
পয়লা বৈশাখ আজ। গ্রীষ্মের শুরু হলো। গরমের এই মৌসুমে তাপমাত্রার ঊর্ধ্বগতিতে নাভিশ্বাস উঠবে অনেকের। গরমে বেহাল অবস্থা হয় সবারই। তবে গবেষণা বলছে, গরমের সময় পুরুষদের তুলনায় নারীরা বেশি ঝুঁকিতে থাকে। তাপ সহ্য করার ক্ষমতা, জৈবিক, শারীরিক, সামাজিক ও হরমোনজনিত নানা কারণে এ পার্থক্য হয়ে থাকে।
জার্নাল অব অ্যাপ্লাইড ফিজিওলজিতে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা যায়, সাধারণত পুরুষদের তুলনায় শরীরের তাপমাত্রা কিছুটা বেশি হলে নারীরা ঘামতে শুরু করেন এবং সামগ্রিকভাবে তাঁদের ঘাম উৎপাদনের পরিমাণও কম। যেহেতু ঘাম শরীর ঠান্ডা হওয়ার প্রক্রিয়া, তাই এই পার্থক্য গরম বা আর্দ্র পরিবেশে নারীদের জন্য একটি বড় অসুবিধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।
তাপপ্রবাহ চলাকালে নারীদের শরীর অতিরিক্ত তাপ সহজে বের করে দিতে না পারার কারণে তাপজনিত চাপ বা হিট স্ট্রেসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।
এক্সপেরিমেন্টাল ফিজিওলজির একটি গবেষণায় বিষয়টি আরও নিশ্চিতভাবে উঠে আসে। সেখানে দেখা যায়, গরম আবহাওয়ায় ব্যায়ামের সময় পুরুষদের শরীরে বাষ্পীয় শীতলতার হার বেশি। সহজভাবে বলতে গেলে, পুরুষদের ঘাম সহজে বাষ্প হয়ে যায়, ফলে তাঁদের শরীর দ্রুত ঠান্ডা হয়।
তবে শুধু ঘাম হওয়া নয়— শরীরের আকার এবং গঠন গরম সহ্য করার ক্ষমতায় বড় ভূমিকা রাখে।
দুবাইয়ে কার্ডিওলজিস্ট বিশাখা সিং বলেন, ‘নারীদের শরীরে সাধারণত পুরুষদের তুলনায় চর্বির পরিমাণ বেশি। শরীরের আকারও তুলনামূলকভাবে ছোট। যে কারণে শরীর থেকে তাপ বের হওয়ার পরিমাণ কমে যায়।
টেম্পারেচার নামে এক জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় দেখা যায়, যাদের শরীরের আকার ছোট, বিশেষ করে নারীরা, তাঁদের শরীর তুলনামূলকভাবে বেশি তাপ ধরে রাখে। যার ফলে তাঁরা তাপজনিত চাপ বেশি অনুভব করেন।
গরম পরিবেশে নারীদের জন্য ঠান্ডা হওয়া আরও কঠিন হয়ে পড়ে— কারণ জৈবিক গঠনই সেখানে একটা বড় বাধা, বিশেষ করে শারীরিক পরিশ্রমের সময়।
এছাড়াও শারীরবৃত্তীয় জটিলতা তো রয়েছেই। মেডকেয়ার মেডিক্যাল সেন্টার মিরডিফ সিটির প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. সোহা আলহৌবি বলেন, ‘নারীদের শরীর থেকে বাষ্পীয় তাপ নির্গমনের হার কম। ঘাম ঝরানোর মাধ্যমে তাপ বের করে দেওয়ার ক্ষেত্রে নারীরা ততটা দক্ষ নন এবং তাঁদের শরীরও ততটা সমর্থন দেয় না। তাদের শরীরে ঘর্মগ্রন্থিও তুলনামূলকভাবে কম এবং তাঁরা পরিশ্রমের সময় সাধারণত কম ঘামেন।
তিনি আরও বলেন, নারীদের শরীরে যে চর্বির পরিমাণ বেশি থাকে, তা উত্তাপ ধরে রাখার মতো কাজ করে, যার ফলে শরীরের ভেতরের তাপ সহজে বের হতে পারে না। পাশাপাশি তাদের শরীরের আকারও ছোট হওয়ায় তাপ বের হওয়ার পথ আরও সীমিত হয়ে যায়।
গড়পড়তা হিসেবে নারীদের এরোবিক ফিটনেস পুরুষদের তুলনায় কম। অর্থাৎ তাঁদের হৃদযন্ত্র এবং রক্তপ্রবাহের ব্যবস্থা চরম তাপমাত্রায় আরও বেশি চাপের মুখে পড়ে। এই অতিরিক্ত কার্ডিওভাসকুলার চাপ তাপজনিত সমস্যার সাথে লড়াই করার ক্ষমতাকে আরও দুর্বল করে দেয়।
বিশাখা সিং এবং হোমিওপ্যাথি বিশেষজ্ঞ ইয়াসির শফির মতে, গরমে নারীদের শরীর কীভাবে প্রতিক্রিয়া করে, সেই বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো হরমোন। কিন্তু এই কারণটি প্রায় উপেক্ষিতই বলা চলে।
নারীদের ঋতুচক্র চলাকালীন ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরনের মাত্রায় ওঠানামা শরীরের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে, বিশেষ করে ঋতুচক্রের শেষার্ধে। এই সামান্য তাপমাত্রা বৃদ্ধিই অনেক সময় নারীদের বেশি গরম অনুভব করায় এবং অতিরিক্ত গরম সহ্য করার ক্ষমতা কমিয়ে দেয়।
বয়স্ক নারীরা তাপপ্রবাহে বেশি ঝুঁকির মধ্যে থাকেন বলে জানান বিশাখা সিং। তিনি বলেন, ‘আমাদের শরীর বয়স বাড়ার সাথে সাথে তাপ নিয়ন্ত্রণের কার্যকারিতা কমতে থাকে। ঘর্মগ্রন্থির কার্যকারিতা কমে যায়, ত্বকের রক্ত প্রবাহ কমে যায় এবং পিপাসার অনুভূতি দুর্বল হয়ে পড়ে। এই সবকিছু মিলিয়ে শরীরকে ঠান্ডা রাখা কঠিন করে তোলে।’
জার্নাল অব অ্যাপ্লাইড ফিজিওলজিতে প্রকাশিত কেন্নেই ও মুন্স-এর এক গবেষণায় দেখা যায়, বয়স্ক ব্যক্তিরা তাপ সহ্য করতে কম সক্ষম, কারণ তাঁদের ত্বকের রক্ত প্রবাহ কমে যায় এবং ঘামের পরিমাণও কমে যায়। তাদের মধ্যে, নারীদের ঘাম শুরু হতে দেরি হয় এবং সামগ্রিক ঘামের হার কম থাকে।
এছাড়াও মেনোপজের পর নারীরা ইস্ট্রোজেন হরমোনের কমতির মুখোমুখি হয়, যা স্বাস্থ্যকর রক্তনালী বজায় রাখা এবং ত্বক গতিশীলতা ভালো রাখতে সহায়ক। ইস্ট্রোজেন কমে যাওয়ার ফলে, শরীরের তাপ নির্গমন প্রক্রিয়া ভাসোডিলেশন (রক্তনালী প্রসারণ) মাধ্যমে তাপ বের করার ক্ষমতা কমে যায়। আবার অনেক সময় বয়স্ক নারীরা পানি শূন্যতায় ভোগে, ফলে তাপজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
সূত্র: গালফ নিউজ
নিয়মিত আকাশপথে ভ্রমণ করা যাত্রীদের জন্য টার্বুলেন্স বা ঝাঁকুনি কোনো নতুন অভিজ্ঞতা নয়। শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে চলমান বাণিজ্যিক বিমান চলাচলের ইতিহাসে এই টার্বুলেন্স মোকাবিলায় ব্যাপক উন্নতি হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেবিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও চিকিৎসাক্ষেত্রে অগ্রণী কিছু ভবিষ্যৎদ্রষ্টা মনে করছেন, মানুষ এখন আর আগের মতো কেবল শতবর্ষ আয়ুর স্বপ্ন দেখছে না। বরং এমন এক সময় আসছে, যখন আমরা স্বাভাবিক আয়ুর চেয়ে ১০ গুণ বেশি সময়, অর্থাৎ হাজার বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারি।
১ দিন আগেআমাদের সূর্যের চেয়ে ৩৬০০ গুণ বেশি ভরের বিশালাকৃতির ব্ল্যাকহোল খুঁজে পেলেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। এটি এখন পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া সবচেয়ে বড় ব্ল্যাকহোলগুলোর একটি এবং সম্ভবত সর্ববৃহৎ। ব্ল্যাকহোলটি অবস্থান করছে ‘কসমিক হর্সশু’ নামের একটি গ্যালাক্সির কেন্দ্রে, যা পৃথিবী থেকে প্রায় ৫০০ কোটি আলোকবর্ষ দূরে।
১ দিন আগেপৃথিবীর বাইরের কোনো গ্রহে যদি একদিন মানুষের বসতি গড়তে হয়, তাহলে কেমন হবে সেই পরিবেশ? সেটা বোঝার চেষ্টা থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনায় তৈরি হয়েছিল ‘বায়োস্ফিয়ার ২’। তিন একরের বেশি জায়গাজুড়ে নির্মিত বিশাল কাচঘেরা ভবনটি যেন এক কৃত্রিম পৃথিবী।
২ দিন আগে