আমাদের গ্রহের অভ্যন্তরে ঘটছে অসংখ্য জটিল প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়াটি পৃথিবীর উপরিভাগের চেয়ে অনেক বেশি রহস্যময়। ভূপৃষ্ঠের পাতলা স্তর এবং উত্তপ্ত কেন্দ্রের মাঝখানে অবস্থিত ম্যান্টল অঞ্চলটি প্রায় ২ হাজার ৯০০ কিলোমিটার গভীর পর্যন্ত বিস্তৃত।
এত দিন বিজ্ঞানীরা ধারণা করতেন, এটি সমানভাবে মিশ্রিত কঠিন পদার্থের স্তর। কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণায় ম্যান্টলে বিশাল অসম্পৃক্ত অঞ্চল আবিষ্কৃত হয়েছে, যা এক ধরনের ‘সুপারকন্টিনেন্ট’-এর মতো আচরণ করছে।
এই সুপার কন্টিনেন্টগুলোর একটি আফ্রিকার নিচে এবং অপরটি প্রশান্ত মহাসাগরের গভীরে অবস্থিত। ভূমিকম্পের তরঙ্গ বিশ্লেষণের নতুন পদ্ধতির মাধ্যমে গবেষকেরা এই অঞ্চলগুলোর নতুন তথ্য আবিষ্কার করেছেন। তাঁদের মতে, ওই দুটি অঞ্চল পৃথিবীর অভ্যন্তরে সম্ভবত নোঙরের মতো কাজ করছে এবং এদের বয়স আগের ধারণার চেয়েও বেশি।
শুক্রবার সিএনএন জানিয়েছে, প্রায় ৫০ বছর আগে ভূমিকম্প থেকে উৎপন্ন কম্পন তরঙ্গ বিশ্লেষণ করতে গিয়ে বিজ্ঞানীরা ম্যান্টলের এই গোপন অঞ্চলগুলো শনাক্ত করেছিলেন। ভূমিকম্পের তরঙ্গ যখন ম্যান্টলের অস্বাভাবিক গঠনগুলোর সঙ্গে গিয়ে ধাক্কা খায়, তখন তরঙ্গের গতিবেগ পরিবর্তিত হয়। এভাবেই এই অঞ্চলগুলোর অস্তিত্ব সম্পর্কে প্রথম ধারণা পাওয়া যায়।
নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, এই সুপার কন্টিনেন্টগুলোর পরিধি প্রায় ২০ শতাংশ পর্যন্ত ম্যান্টল-কোর সীমান্ত জুড়ে বিস্তৃত। কিছু স্থানে এদের উচ্চতা প্রায় ৯৬৫ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছেছে। এত দিন এগুলো সম্পর্কে সামান্যই জানা গিয়েছিল। তবে নতুন গবেষণায় ইঙ্গিত মিলছে, এগুলো পৃথিবীর প্লেট টেকটোনিকস এবং ভূ-অভ্যন্তরীণ প্রবাহকে প্রভাবিত করতে পারে।
গবেষণায় দেখা গেছে, সুপার কন্টিনেন্টগুলোর চারপাশে ঠান্ডা এবং নিমজ্জিত টেকটোনিক প্লেটের স্তূপ রয়েছে, যা ‘স্ল্যাব গ্রেভইয়ার্ড’ নামে পরিচিত। তবে সুপার কন্টিনেন্টগুলোর তুলনায় এই স্তূপগুলো অপেক্ষাকৃত নতুন।
গবেষণার অন্যতম প্রধান লেখক সুজানিয়া টালাভেরা-সোজা জানিয়েছেন, সুপার কন্টিনেন্টগুলোর দীর্ঘস্থায়ী গঠন এবং এগুলো অন্তত ৫০ কোটি বছর বা তারও বেশি পুরোনো হতে পারে। এর অর্থ হলো—এগুলো ম্যান্টলের প্রবাহের সঙ্গে পুরোপুরি মিশে যায়নি এবং পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ গতিবিধির ওপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে।
এই আবিষ্কার ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরির কার্যকলাপ বুঝতে সহায়তা করবে বলে গবেষকেরা মনে করছেন। আরও গবেষণার মাধ্যমে এই সুপার কন্টিনেন্টগুলো কীভাবে পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ প্রবাহকে প্রভাবিত করে, তা আরও স্পষ্ট হবে।
এই গবেষণার নতুন তথ্য ভূমিকম্পবিদদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি ম্যান্টলের হাজার কিলোমিটার গভীর রহস্য উন্মোচনে সহায়তা করবে। এই প্রাচীন ও স্থিতিশীল অঞ্চলের আরও বিশদ বিশ্লেষণ হয়তো পৃথিবীর গঠন ও বিকাশ সম্পর্কে আরও অনেক অজানা তথ্য উন্মোচন করবে।
আমাদের গ্রহের অভ্যন্তরে ঘটছে অসংখ্য জটিল প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়াটি পৃথিবীর উপরিভাগের চেয়ে অনেক বেশি রহস্যময়। ভূপৃষ্ঠের পাতলা স্তর এবং উত্তপ্ত কেন্দ্রের মাঝখানে অবস্থিত ম্যান্টল অঞ্চলটি প্রায় ২ হাজার ৯০০ কিলোমিটার গভীর পর্যন্ত বিস্তৃত।
এত দিন বিজ্ঞানীরা ধারণা করতেন, এটি সমানভাবে মিশ্রিত কঠিন পদার্থের স্তর। কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণায় ম্যান্টলে বিশাল অসম্পৃক্ত অঞ্চল আবিষ্কৃত হয়েছে, যা এক ধরনের ‘সুপারকন্টিনেন্ট’-এর মতো আচরণ করছে।
এই সুপার কন্টিনেন্টগুলোর একটি আফ্রিকার নিচে এবং অপরটি প্রশান্ত মহাসাগরের গভীরে অবস্থিত। ভূমিকম্পের তরঙ্গ বিশ্লেষণের নতুন পদ্ধতির মাধ্যমে গবেষকেরা এই অঞ্চলগুলোর নতুন তথ্য আবিষ্কার করেছেন। তাঁদের মতে, ওই দুটি অঞ্চল পৃথিবীর অভ্যন্তরে সম্ভবত নোঙরের মতো কাজ করছে এবং এদের বয়স আগের ধারণার চেয়েও বেশি।
শুক্রবার সিএনএন জানিয়েছে, প্রায় ৫০ বছর আগে ভূমিকম্প থেকে উৎপন্ন কম্পন তরঙ্গ বিশ্লেষণ করতে গিয়ে বিজ্ঞানীরা ম্যান্টলের এই গোপন অঞ্চলগুলো শনাক্ত করেছিলেন। ভূমিকম্পের তরঙ্গ যখন ম্যান্টলের অস্বাভাবিক গঠনগুলোর সঙ্গে গিয়ে ধাক্কা খায়, তখন তরঙ্গের গতিবেগ পরিবর্তিত হয়। এভাবেই এই অঞ্চলগুলোর অস্তিত্ব সম্পর্কে প্রথম ধারণা পাওয়া যায়।
নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, এই সুপার কন্টিনেন্টগুলোর পরিধি প্রায় ২০ শতাংশ পর্যন্ত ম্যান্টল-কোর সীমান্ত জুড়ে বিস্তৃত। কিছু স্থানে এদের উচ্চতা প্রায় ৯৬৫ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছেছে। এত দিন এগুলো সম্পর্কে সামান্যই জানা গিয়েছিল। তবে নতুন গবেষণায় ইঙ্গিত মিলছে, এগুলো পৃথিবীর প্লেট টেকটোনিকস এবং ভূ-অভ্যন্তরীণ প্রবাহকে প্রভাবিত করতে পারে।
গবেষণায় দেখা গেছে, সুপার কন্টিনেন্টগুলোর চারপাশে ঠান্ডা এবং নিমজ্জিত টেকটোনিক প্লেটের স্তূপ রয়েছে, যা ‘স্ল্যাব গ্রেভইয়ার্ড’ নামে পরিচিত। তবে সুপার কন্টিনেন্টগুলোর তুলনায় এই স্তূপগুলো অপেক্ষাকৃত নতুন।
গবেষণার অন্যতম প্রধান লেখক সুজানিয়া টালাভেরা-সোজা জানিয়েছেন, সুপার কন্টিনেন্টগুলোর দীর্ঘস্থায়ী গঠন এবং এগুলো অন্তত ৫০ কোটি বছর বা তারও বেশি পুরোনো হতে পারে। এর অর্থ হলো—এগুলো ম্যান্টলের প্রবাহের সঙ্গে পুরোপুরি মিশে যায়নি এবং পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ গতিবিধির ওপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে।
এই আবিষ্কার ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরির কার্যকলাপ বুঝতে সহায়তা করবে বলে গবেষকেরা মনে করছেন। আরও গবেষণার মাধ্যমে এই সুপার কন্টিনেন্টগুলো কীভাবে পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ প্রবাহকে প্রভাবিত করে, তা আরও স্পষ্ট হবে।
এই গবেষণার নতুন তথ্য ভূমিকম্পবিদদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি ম্যান্টলের হাজার কিলোমিটার গভীর রহস্য উন্মোচনে সহায়তা করবে। এই প্রাচীন ও স্থিতিশীল অঞ্চলের আরও বিশদ বিশ্লেষণ হয়তো পৃথিবীর গঠন ও বিকাশ সম্পর্কে আরও অনেক অজানা তথ্য উন্মোচন করবে।
প্রস্তর যুগে চীনের পূর্বাঞ্চলে সমাজের নেতৃত্বে ছিল নারী। সম্প্রতি প্রাপ্ত ডিএনএ বিশ্লেষণে উঠে এসেছে এমনই অভূতপূর্ব তথ্য। প্রায় সাড়ে ৪ হাজার আগের কঙ্কালের জিনগত উপাদান বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন, সেই সময়কার সমাজ ছিল মাতৃতান্ত্রিক এবং সমাজের সদস্যরা অন্তত ১০ প্রজন্ম ধরে মায়ের বংশ অনুসারে...
১৫ ঘণ্টা আগেপ্রতি বছর নদী, সমুদ্র ও অন্য বিভিন্ন জলাশয় থেকে প্রায় ১ ট্রিলিয়ন মাছ ধরা হয়। এদের বেশির ভাগই খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তবে এই বিপুল-সংখ্যক মাছ ধরার পরে তাদের যে পদ্ধতিতে মারা হয়, তা অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক। সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, মাছকে পানি থেকে তোলার পর তারা গড়ে প্রায় ২২ মিনিট পর্যন্ত
৩ দিন আগেপৃথিবীর সবচেয়ে শুষ্ক মরুভূমিগুলোর কেন্দ্রে অবস্থিত আরব অঞ্চল একসময় সবুজে মোড়ানো স্বর্গোদ্যান ছিল। মরুপ্রধান অঞ্চল হলেও পৃথিবীর দীর্ঘ ইতিহাসে এই ভূমি নানা সময়ে আর্দ্র আবহাওয়ার দেখা পেয়েছে, আর তখনই সেখানে জন্ম নিয়েছে লেক-নদী, বনভূমি এবং জীববৈচিত্র্যের স্বর্গ। সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে এমনটাই
৫ দিন আগেপ্রায় পাঁচ হাজার বছর আগে প্রাচীন মিশরে তৈরি একটি বুনন করা লিনেন পোশাক এখন বিশ্বের সর্বপ্রাচীন বুনন করা পোশাক জামা হিসেবে স্বীকৃত। কার্বন ডেটিংয়ের মাধ্যমে জানা গেছে, ‘তারখান ড্রেস’ নামে পরিচিত এই পোশাকটি ৩৫০০ থেকে ৩১০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের মধ্যে তৈরি হয়েছে।
৫ দিন আগে