বৈচিত্র্যময় প্রাণী জগতে এক বিস্ময় অক্টোপাস। পৃথিবী গ্রহের অন্যতম বুদ্ধিমান প্রাণী এটি। আটটি বাহু ছাড়াও প্রাণীটির আরেকটি অদ্ভুত বৈশিষ্ট্য হচ্ছে—এদের রক্তের রং নীল।
অক্টোপাসের রক্তে হেমোসায়ানিন নামক রঞ্জক পদার্থ থাকার কারণেই এদের রক্ত নীল হয়। এটি এক ধরনের প্রোটিন, যাতে তামার পরমাণু থাকে, যা সমান সংখ্যক অক্সিজেন পরমাণুর সঙ্গে আবদ্ধ হয়। এই প্রোটিন অমেরুদণ্ডী প্রাণীদের রক্তের প্লাজমার অংশ। হেমোসায়ানিন প্রজাতিটিকে চরম তাপমাত্রায় বাঁচিয়ে রাখতে সাহায্য করে।
নীল রঙের হেমোসায়ানিন রক্তে অক্সিজেনের সঙ্গে আবদ্ধ হয় এবং এটি অক্টোপাসের সারা শরীরের টিস্যুতে অক্সিজেন পরিবহন করে। এটি অক্টোপাসের বেঁচে থাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া। অক্টোপাসের তিনটি হৃৎপিণ্ড থাকে এবং অন্যান্য অমেরুদণ্ডী প্রাণীদের তুলনায় এদের বেশি অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়। তাই হেমোসায়ানিন অক্টোপাসকে স্থিতিশীল অক্সিজেন সরবরাহ পেতে সাহায্য করে।
অক্টোপাসের রক্তে হিমোসায়ানিনের পরিবর্তে হিমোগ্লোবিন থাকলে এমন কী সমস্যা হতো? এমন প্রশ্ন মনে আসতেই পারে। অক্টোপাস সমুদ্রের উপরিভাগে থাকে না। এই প্রাণীর বিচরণ সর্বদা সমুদ্রের তলদেশে। গভীর সমুদ্রের ঠান্ডা পরিবেশে অক্সিজেনের ঘনত্ব থাকে অনেক কম। সে পরিবেশে হিমোগ্লোবিনের চেয়ে হিমোসায়ানিনই দক্ষতার সঙ্গে অক্সিজেন পরিবহনের কাজ সম্পন্ন করতে পারে। তাই তাপমাত্রা মাইনাস ১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলেও অক্টোপাস বাঁচতে পারে।
হিমোসায়ানিনের কার্যকারিতা আবার পানির অম্লতার ওপর অনেকাংশে নির্ভরশীল। পানির অম্লতার পরিমাণ বেশি হলে শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ করা অক্টোপাসের জন্য দুরূহ হয়ে পড়ে। আবার উপকূলের কাছে সমুদ্রের তীব্র গরম পানিতেও অক্টোপাস বেঁচে থাকতে পারে। এসব পরিস্থিতিতে প্রতিটি টিস্যুতে পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন পৌঁছানো নিশ্চিত করে হেমোসায়ানিন।
প্রতিকূল পরিবেশে যেন অক্টোপাস থাকতে পারে ও অন্য পরিবেশে স্থানান্তর না হয়, সে জন্য এদের রক্তের রং নীল বলে মনে করেন গবেষকেরা।
প্রাণীরা প্রাথমিকভাবে সমুদ্রতল বরাবর হামাগুড়ি দিয়ে চলাফেরা করে ও তুলনামূলকভাবে সীমিত পরিসরে জীবনযাপন করে, তাই অন্য প্রাণীদের মতো এদের স্থানান্তর হয় না। অপরদিকে মানুষসহ স্তন্যপায়ী প্রাণীদের রক্ত লাল, কারণ এতে আয়রন সমৃদ্ধ হিমোগ্লোবিন রয়েছে।
অক্টোপাস বেশ বুদ্ধিমান প্রাণী। মানুষের মস্তিষ্কে ১০ হাজার কোটি নিউরন (স্নায়ুকোষ) থাকে। আর অক্টোপাসের মাথা ও শরীর জুড়ে থাকে ৫০ কোটি নিউরন। এ জন্য অক্টোপাস নিজেই পরিকল্পনা করতে পারে ও কিছুটা যুক্তি দিয়ে চিন্তা করতে পারে। গবেষকেরা দেখেছেন, ইন্দোনেশিয়ার অক্টোপাসগুলো ঝোড়ো আবহাওয়ার প্রস্তুতির জন্য আধভাঙা নারকেলের খোল সংগ্রহ করে। ঝড় শুরু হলে খোলের ভেতরে ঢুকে দরজার মতো করে দুটি টুকরো জুড়ে দেয়।
অক্টোপাসের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে মিলার্সভিল ইউনিভার্সিটির আচরণ বিষয়ক গবেষক জিন বোয়াল বলেন, অক্টোপাস একটি বুদ্ধিমান প্রাণী এবং এরা মানুষ ও অন্য অক্টোপাসের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে। গবেষণাগারে বোয়াল একটি অক্টোপাসকে বাসি স্কুইড খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। তবে অক্টোপাসটি চোখের ইশারায় বোয়ালকে বুঝিয়ে দেন, এই স্কুইড সে খাবে না! পাশের একটি ড্রেনে ছেড়ে দেওয়ার জন্য অক্টোপাসটি বাহু দিয়ে ইশারা করছিল।
তথ্যসূত্র: হাও স্টাফ ওয়ার্কস
বৈচিত্র্যময় প্রাণী জগতে এক বিস্ময় অক্টোপাস। পৃথিবী গ্রহের অন্যতম বুদ্ধিমান প্রাণী এটি। আটটি বাহু ছাড়াও প্রাণীটির আরেকটি অদ্ভুত বৈশিষ্ট্য হচ্ছে—এদের রক্তের রং নীল।
অক্টোপাসের রক্তে হেমোসায়ানিন নামক রঞ্জক পদার্থ থাকার কারণেই এদের রক্ত নীল হয়। এটি এক ধরনের প্রোটিন, যাতে তামার পরমাণু থাকে, যা সমান সংখ্যক অক্সিজেন পরমাণুর সঙ্গে আবদ্ধ হয়। এই প্রোটিন অমেরুদণ্ডী প্রাণীদের রক্তের প্লাজমার অংশ। হেমোসায়ানিন প্রজাতিটিকে চরম তাপমাত্রায় বাঁচিয়ে রাখতে সাহায্য করে।
নীল রঙের হেমোসায়ানিন রক্তে অক্সিজেনের সঙ্গে আবদ্ধ হয় এবং এটি অক্টোপাসের সারা শরীরের টিস্যুতে অক্সিজেন পরিবহন করে। এটি অক্টোপাসের বেঁচে থাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া। অক্টোপাসের তিনটি হৃৎপিণ্ড থাকে এবং অন্যান্য অমেরুদণ্ডী প্রাণীদের তুলনায় এদের বেশি অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়। তাই হেমোসায়ানিন অক্টোপাসকে স্থিতিশীল অক্সিজেন সরবরাহ পেতে সাহায্য করে।
অক্টোপাসের রক্তে হিমোসায়ানিনের পরিবর্তে হিমোগ্লোবিন থাকলে এমন কী সমস্যা হতো? এমন প্রশ্ন মনে আসতেই পারে। অক্টোপাস সমুদ্রের উপরিভাগে থাকে না। এই প্রাণীর বিচরণ সর্বদা সমুদ্রের তলদেশে। গভীর সমুদ্রের ঠান্ডা পরিবেশে অক্সিজেনের ঘনত্ব থাকে অনেক কম। সে পরিবেশে হিমোগ্লোবিনের চেয়ে হিমোসায়ানিনই দক্ষতার সঙ্গে অক্সিজেন পরিবহনের কাজ সম্পন্ন করতে পারে। তাই তাপমাত্রা মাইনাস ১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলেও অক্টোপাস বাঁচতে পারে।
হিমোসায়ানিনের কার্যকারিতা আবার পানির অম্লতার ওপর অনেকাংশে নির্ভরশীল। পানির অম্লতার পরিমাণ বেশি হলে শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ করা অক্টোপাসের জন্য দুরূহ হয়ে পড়ে। আবার উপকূলের কাছে সমুদ্রের তীব্র গরম পানিতেও অক্টোপাস বেঁচে থাকতে পারে। এসব পরিস্থিতিতে প্রতিটি টিস্যুতে পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন পৌঁছানো নিশ্চিত করে হেমোসায়ানিন।
প্রতিকূল পরিবেশে যেন অক্টোপাস থাকতে পারে ও অন্য পরিবেশে স্থানান্তর না হয়, সে জন্য এদের রক্তের রং নীল বলে মনে করেন গবেষকেরা।
প্রাণীরা প্রাথমিকভাবে সমুদ্রতল বরাবর হামাগুড়ি দিয়ে চলাফেরা করে ও তুলনামূলকভাবে সীমিত পরিসরে জীবনযাপন করে, তাই অন্য প্রাণীদের মতো এদের স্থানান্তর হয় না। অপরদিকে মানুষসহ স্তন্যপায়ী প্রাণীদের রক্ত লাল, কারণ এতে আয়রন সমৃদ্ধ হিমোগ্লোবিন রয়েছে।
অক্টোপাস বেশ বুদ্ধিমান প্রাণী। মানুষের মস্তিষ্কে ১০ হাজার কোটি নিউরন (স্নায়ুকোষ) থাকে। আর অক্টোপাসের মাথা ও শরীর জুড়ে থাকে ৫০ কোটি নিউরন। এ জন্য অক্টোপাস নিজেই পরিকল্পনা করতে পারে ও কিছুটা যুক্তি দিয়ে চিন্তা করতে পারে। গবেষকেরা দেখেছেন, ইন্দোনেশিয়ার অক্টোপাসগুলো ঝোড়ো আবহাওয়ার প্রস্তুতির জন্য আধভাঙা নারকেলের খোল সংগ্রহ করে। ঝড় শুরু হলে খোলের ভেতরে ঢুকে দরজার মতো করে দুটি টুকরো জুড়ে দেয়।
অক্টোপাসের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে মিলার্সভিল ইউনিভার্সিটির আচরণ বিষয়ক গবেষক জিন বোয়াল বলেন, অক্টোপাস একটি বুদ্ধিমান প্রাণী এবং এরা মানুষ ও অন্য অক্টোপাসের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে। গবেষণাগারে বোয়াল একটি অক্টোপাসকে বাসি স্কুইড খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। তবে অক্টোপাসটি চোখের ইশারায় বোয়ালকে বুঝিয়ে দেন, এই স্কুইড সে খাবে না! পাশের একটি ড্রেনে ছেড়ে দেওয়ার জন্য অক্টোপাসটি বাহু দিয়ে ইশারা করছিল।
তথ্যসূত্র: হাও স্টাফ ওয়ার্কস
গণিত, প্রকৌশল, জ্যোতির্বিদ্যা ও চিকিৎসাবিদ্যার মতো বিষয়ে উচ্চতর বৈজ্ঞানিক জ্ঞান ছিল প্রাচীন মিসরীয়দের। তাঁরা তাত্ত্বিক জ্ঞানের চেয়ে ব্যবহারিক জ্ঞানকে বেশি প্রাধান্য দিতেন। অনেকের ধারণা, বিজ্ঞান আধুনিককালের আবিষ্কার, যার শিকড় প্রাচীন গ্রিক সভ্যতায়।
১ ঘণ্টা আগেপ্রস্তর যুগে চীনের পূর্বাঞ্চলে সমাজের নেতৃত্বে ছিল নারী। সম্প্রতি প্রাপ্ত ডিএনএ বিশ্লেষণে উঠে এসেছে এমনই অভূতপূর্ব তথ্য। প্রায় সাড়ে ৪ হাজার আগের কঙ্কালের জিনগত উপাদান বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন, সেই সময়কার সমাজ ছিল মাতৃতান্ত্রিক এবং সমাজের সদস্যরা অন্তত ১০ প্রজন্ম ধরে মায়ের বংশ অনুসারে...
১ দিন আগেপ্রতি বছর নদী, সমুদ্র ও অন্য বিভিন্ন জলাশয় থেকে প্রায় ১ ট্রিলিয়ন মাছ ধরা হয়। এদের বেশির ভাগই খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তবে এই বিপুল-সংখ্যক মাছ ধরার পরে তাদের যে পদ্ধতিতে মারা হয়, তা অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক। সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, মাছকে পানি থেকে তোলার পর তারা গড়ে প্রায় ২২ মিনিট পর্যন্ত
৩ দিন আগেপৃথিবীর সবচেয়ে শুষ্ক মরুভূমিগুলোর কেন্দ্রে অবস্থিত আরব অঞ্চল একসময় সবুজে মোড়ানো স্বর্গোদ্যান ছিল। মরুপ্রধান অঞ্চল হলেও পৃথিবীর দীর্ঘ ইতিহাসে এই ভূমি নানা সময়ে আর্দ্র আবহাওয়ার দেখা পেয়েছে, আর তখনই সেখানে জন্ম নিয়েছে লেক-নদী, বনভূমি এবং জীববৈচিত্র্যের স্বর্গ। সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে এমনটাই
৫ দিন আগে