Ajker Patrika

ধ্বংসাবশেষের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত চীনের থিয়েনকুং মহাকাশ স্টেশন

আপডেট : ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৪: ১৪
ধ্বংসাবশেষের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত চীনের থিয়েনকুং মহাকাশ স্টেশন

মহাকাশের বিভিন্ন বস্তুর ধ্বংসাবশেষ থেকে নভোচারীদের সুরক্ষা দিতে জোরালো পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছে চীন সরকার। সম্প্রতি ধ্বংসাবশেষের আঘাতে চীনের থিয়েনকুং মহাকাশ স্টেশন ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং এর বিদ্যুৎসংযোগ বিছিন্ন হয়। এরপর এই সিদ্ধান্ত নিল দেশটি। 

চীনের গণমাধ্যম বলেছে, মহাকাশে দুটি স্পেসওয়াক (মহাকাশে হাঁটাচলা করা) সম্পন্ন করেন শেনঝো ১৭ মহাকাশযানের নভোচারীরা। গত ১ মার্চ স্পেসওয়াকের সময় ধ্বংসাবশেষের আঘাতে মহাকাশ স্টেশনের সৌরবিদ্যুতের প্যানেলের ক্ষতি হয় এবং বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। 

সিএমএসএর উপপরিচালক লিন শিকিয়াংকের বরাত দিয়ে চীনের সরকারি গণমাধ্যম সিনহুয়া বলে, মহাকাশ স্টেশনটির মূল মডিউল তিয়ানহের সৌর প্যানেলের তারের ওপর মহাকাশের ধ্বংসাবশেষ আছড়ে পড়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ আংশিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়। 

ধ্বংসাবশেষটি কোনো ক্ষুদ্র উল্কাপিণ্ড ছিল, নাকি মহাকাশে মানুষের কার্যকলাপ থেকে তৈরি হয়েছে তা স্পষ্টভাবে জানায়নি সিনহুয়া। উভয় ধরনের ধ্বংসাবশেষই তিয়ানগং ও আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের (আইএসএস) জন্য হুমকিস্বরূপ। 

মহাকাশে মানবসৃষ্ট ধ্বংসাবশেষ বাড়ছে। স্পেসট্র্যাক ডট অর্গ ওয়েবসাইট অনুসারে, ২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ৪৩ হাজারেরও বেশি মানুষের তৈরি বস্তু মহাকাশে শনাক্ত করে উত্তর আমেরিকার অ্যারোস্পেস ডিফেন্স কমান্ড (এনওআরএডি)। 

ইউনিয়ন ফর কনসার্নড সায়েন্টিস্টের মতে, ২০২৩ সালের মে মাস পর্যন্ত সাড়ে ৭ হাজারেরও বেশি সক্রিয় স্যাটেলাইট পাওয়া গেছে। এর মধ্যে বেশির ভাগই ইলন মাস্কের কোম্পানি স্টারলিংকের। 

ধ্বংসাবশেষের সামনে মহাকাশ স্টেশন থেকে সরিয়ে ফেলতে এনওআরএডির সঙ্গে কাজ করে আইএসএসের নিয়ন্ত্রকেরা। ১৯৯৮ সাল থেকে এভাবে ৩০ বার মহাকাশ স্টেশনটিকে সরিয়ে ফেলতে হয়েছে। তবে এ ধরনের কাজের জন্য কঠোর নীতিমালা রয়েছে। 

সিনহুয়া বলেছে, মহাকাশের ধ্বংসাবশেষের প্রভাব এড়াতে একাধিক কৌশল অবলম্বন করেছে চীনের মহাকাশ স্টেশন। 

অন্যদিকে লিন বলেন, ভবিষ্যতে এ ধরনে সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করেছে সিএমএসএ। ২০২১ সালে থিয়েনকুংর প্রথম মডেল মহাকাশে পাঠানো হয়। 

মহাকাশ স্টেশন ও বিভিন্ন বস্তুর কক্ষপথের দিক সঠিকভাবে নির্ণয় করার ক্ষমতা বাড়িয়েছে চীন। মহাকাশ সংঘর্ষের সতর্কতা ও সংঘর্ষ এড়ানোর পদ্ধতিগুলো আরও উন্নত করা হয়েছে। মিথ্যা সর্তকবার্তার হার ৩০ শতাংশ কমানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন লিন। 

ধ্বংসাবশেষের আঘাত থেকে মহাকাশ স্টেশনগুলো বাঁচাতে চীন বিভিন্ন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে থিয়েনকুং মহাকাশ স্টেশনে রোবটিক হাতে উন্নত ক্যামেরা যুক্ত করা হবে। এ ছাড়া শেনঝো ১৮ মিশনে নভোচারীদের পাঠানো হবে, যাদের স্টেশনের বাইরের পাইপ, তার ও গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জামগুলোর সুরক্ষা বৃদ্ধির দায়িত্ব দেওয়া হবে।’ 

২০১১ সালের উলফ সংশোধনী নামে পরিচিত একটি নির্দেশনার কারণে মহাকাশসংক্রান্ত বিষয়ে আলাদাভাবে কাজ করে নাসা। কংগ্রেসের প্রকাশ্য অনুমতি ছাড়াই নাসা ও চীনা সরকারি সংস্থার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি ও সমন্বয় নিষিদ্ধ করে এই সংশোধনী। 

সম্প্রতি চাঁদ অভিযানের জন্য নাসা ও চীন স্বাধীন জোট গঠন করছে। প্রায় ৪০টি দেশ নাসার আর্টেমিস চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। সম্প্রতি সুইডেন, স্লোভেনিয়া ও সুইজারল্যান্ড এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করার পাশাপাশি গত বুধবার নিজস্ব জোটের জন্য তিনটি নতুন অংশীদার ঘোষণা করেছে চীন। এই অংশীদারি হলো—নিকারাগুয়া, এশিয়া-প্যাসিফিক স্পেস কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন ও আরব ইউনিয়ন ফর অ্যাস্ট্রোনমি অ্যান্ড স্পেস সায়েন্স।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত সড়ক কার্পেটিং বিচারপতি খিজির হায়াতের, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

বগুড়ায় ছাত্রদল নেতার ওপর হামলা, পাঁচ নেতা-কর্মীকে শোকজ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত