প্রাণীদের মধ্যে শুধু মানুষই কথা বলতে পারে। অথচ আমাদের নিকটবর্তী পূর্বপুরুষ নিয়ান্ডারথালরাও এত সূক্ষ্মভাবে মনের ভাব প্রকাশ করতেন পারত না। এসব প্রশ্নের উত্তর দীর্ঘ সময় ধরে খুঁজছেন বিজ্ঞানীরা। তবে সম্প্রতি এক নতুন গবেষণায় এই রহস্যের উদ্ঘাটন হয়েছে। এই গবেষণায় আধুনিক মানুষের মধ্যে একটি বিশেষ জেনেটিক পরিবর্তন খুঁজে পাওয়া গেছে, যা অন্য প্রাণী বা আমাদের পূর্বপুরুষদের মধ্যে নেই।
মস্তিষ্কের একটি প্রোটিন নোভা ১-এর ওপর কেন্দ্র করে নতুন গবেষণাটি পরিচালিত হয়েছে। এই প্রোটিন মস্তিষ্কের স্নায়ু কোষগুলোর তথ্য প্রক্রিয়াকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
যুক্তরাষ্ট্রের দ্য রকফেলার বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা আবিষ্কার করেছেন, নোভা ১-প্রোটিনে একটি একক জেনেটিক মিউটেশন বা জিনগত পরিবর্তনের ফলে সম্ভবত কথ্য ভাষার উন্নয়ন হয়েছে, যা প্রাচীন মানবদের অন্যান্য প্রজাতির থেকে আলাদা করেছে।
নোভা মস্তিষ্কে একধরনের কন্ডাক্টর বা নির্দেশকের মতো কাজ করে। এই প্রোটিন স্নায়ু কোষগুলোর অন্য জেনেটিক উপাদানগুলোর কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে।
নিয়ান্ডারথাল, ডেনিসোভান এবং অন্য প্রাণীদেরও এই প্রোটিন রয়েছে। তবে অন্য প্রজাতির প্রাণীদের তুলনায় মানব সংস্করণের নোভা ১ জিনে অ্যামিনো অ্যাসিডে ক্ষুদ্র পরিবর্তন দেখা যায়। এই সূক্ষ্ম পরিবর্তনটি সম্ভবত মানব ভাষার বিকাশকে সম্ভব করেছে।
বিষয়টি পরীক্ষা করতে, মানব সংস্করণের নোভা ১ জিনটি স্থাপন করেন ইঁদুরে জিনগত পরিবর্তন আনেন বিজ্ঞানীরা। ইঁদুরগুলো স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠলেও, তাদের শব্দের মধ্যে পরিবর্তন দেখা যায়। মানব জিন থাকা বাচ্চা ইঁদুরগুলো মায়েদের কাছ থেকে আলাদা হলে ভিন্ন রকমের শব্দে কাঁদতে শুরু করে এবং পূর্ণবয়স্ক পুরুষ ইঁদুরগুলোর আলট্রাসনিক মেটিং কলেও পরিবর্তন দেখা যায়। । অর্থাৎ তাদের শব্দের প্যাটার্নগুলোকে বিশেষভাবে পরিবর্তন করে।
উল্লেখ্য, আলট্রাসনিক মেটিং কল হলো সেই ধরনের শব্দ, যেগুলো মানুষের শ্রবণসীমার বাইরে। অর্থাৎ অতিরিক্ত উচ্চ কম্পাঙ্কে তৈরি হয়। অনেক প্রাণী, যেমন—ইঁদুর, বাদুড়, বা কিছু প্রজাতির তিমি একে অপরকে আকৃষ্ট করার জন্য বা যোগাযোগের জন্য এই ধরনের শব্দ ব্যবহার করে।
এই ফলাফলগুলো প্রমাণ করে যে মস্তিষ্কে শব্দ তৈরি ও প্রক্রিয়াকরণে নোভা ১ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই পরীক্ষা থেকে বোঝা যায়, শুধু মানুষের মধ্যেই কেন জটিল ভাষার বিকাশ ঘটেছে। তবে মানুষের ভাষা বর্তমানে যে পর্যায়ে পৌঁছেছে, সেখানে আরও বিভিন্ন বিষয় প্রভাব ফেলেছে। তবে ভাষার বিকাশের একটি ভিত্তি হিসেবে কাজ করেছে এই প্রোটিন।
এ ছাড়া, নিয়ান্ডারথালরা ও ডেনিসোভানদের ডিএনএ পরীক্ষা করার পর বিজ্ঞানীরা দেখতে পান, এই বিলুপ্ত প্রাইমেটদের মস্তিষ্কে অন্য প্রজাতির প্রাণীদের মতোই নোভা ১ প্রোটিন ছিল। অর্থাৎ তাদের মধ্যে মানব সংস্করণের প্রোটিনটি ছিল না।
গবেষকেরা ধারণা করছেন, প্রাচীন যুগে সম্ভবত আফ্রিকায় মানুষের মধ্যে এই প্রোটিনের জিনগত পরিবর্তন হয়েছিল এবং দ্রুত তা অন্যান্য জনগোষ্ঠীর মধ্যে ছড়িয়ে যায়। এভাবে প্রোটিনটি মানব ভাষার ভিত্তি স্থাপন করে। এটি গড়ে ওঠা মানব জেনোমের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে ওঠে; যা ভাষা এবং যোগাযোগের ক্ষেত্রে বড় ধরনের পরিবর্তন এনে দেয়।
এই গবেষণা নেচার জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
প্রাণীদের মধ্যে শুধু মানুষই কথা বলতে পারে। অথচ আমাদের নিকটবর্তী পূর্বপুরুষ নিয়ান্ডারথালরাও এত সূক্ষ্মভাবে মনের ভাব প্রকাশ করতেন পারত না। এসব প্রশ্নের উত্তর দীর্ঘ সময় ধরে খুঁজছেন বিজ্ঞানীরা। তবে সম্প্রতি এক নতুন গবেষণায় এই রহস্যের উদ্ঘাটন হয়েছে। এই গবেষণায় আধুনিক মানুষের মধ্যে একটি বিশেষ জেনেটিক পরিবর্তন খুঁজে পাওয়া গেছে, যা অন্য প্রাণী বা আমাদের পূর্বপুরুষদের মধ্যে নেই।
মস্তিষ্কের একটি প্রোটিন নোভা ১-এর ওপর কেন্দ্র করে নতুন গবেষণাটি পরিচালিত হয়েছে। এই প্রোটিন মস্তিষ্কের স্নায়ু কোষগুলোর তথ্য প্রক্রিয়াকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
যুক্তরাষ্ট্রের দ্য রকফেলার বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা আবিষ্কার করেছেন, নোভা ১-প্রোটিনে একটি একক জেনেটিক মিউটেশন বা জিনগত পরিবর্তনের ফলে সম্ভবত কথ্য ভাষার উন্নয়ন হয়েছে, যা প্রাচীন মানবদের অন্যান্য প্রজাতির থেকে আলাদা করেছে।
নোভা মস্তিষ্কে একধরনের কন্ডাক্টর বা নির্দেশকের মতো কাজ করে। এই প্রোটিন স্নায়ু কোষগুলোর অন্য জেনেটিক উপাদানগুলোর কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে।
নিয়ান্ডারথাল, ডেনিসোভান এবং অন্য প্রাণীদেরও এই প্রোটিন রয়েছে। তবে অন্য প্রজাতির প্রাণীদের তুলনায় মানব সংস্করণের নোভা ১ জিনে অ্যামিনো অ্যাসিডে ক্ষুদ্র পরিবর্তন দেখা যায়। এই সূক্ষ্ম পরিবর্তনটি সম্ভবত মানব ভাষার বিকাশকে সম্ভব করেছে।
বিষয়টি পরীক্ষা করতে, মানব সংস্করণের নোভা ১ জিনটি স্থাপন করেন ইঁদুরে জিনগত পরিবর্তন আনেন বিজ্ঞানীরা। ইঁদুরগুলো স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠলেও, তাদের শব্দের মধ্যে পরিবর্তন দেখা যায়। মানব জিন থাকা বাচ্চা ইঁদুরগুলো মায়েদের কাছ থেকে আলাদা হলে ভিন্ন রকমের শব্দে কাঁদতে শুরু করে এবং পূর্ণবয়স্ক পুরুষ ইঁদুরগুলোর আলট্রাসনিক মেটিং কলেও পরিবর্তন দেখা যায়। । অর্থাৎ তাদের শব্দের প্যাটার্নগুলোকে বিশেষভাবে পরিবর্তন করে।
উল্লেখ্য, আলট্রাসনিক মেটিং কল হলো সেই ধরনের শব্দ, যেগুলো মানুষের শ্রবণসীমার বাইরে। অর্থাৎ অতিরিক্ত উচ্চ কম্পাঙ্কে তৈরি হয়। অনেক প্রাণী, যেমন—ইঁদুর, বাদুড়, বা কিছু প্রজাতির তিমি একে অপরকে আকৃষ্ট করার জন্য বা যোগাযোগের জন্য এই ধরনের শব্দ ব্যবহার করে।
এই ফলাফলগুলো প্রমাণ করে যে মস্তিষ্কে শব্দ তৈরি ও প্রক্রিয়াকরণে নোভা ১ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই পরীক্ষা থেকে বোঝা যায়, শুধু মানুষের মধ্যেই কেন জটিল ভাষার বিকাশ ঘটেছে। তবে মানুষের ভাষা বর্তমানে যে পর্যায়ে পৌঁছেছে, সেখানে আরও বিভিন্ন বিষয় প্রভাব ফেলেছে। তবে ভাষার বিকাশের একটি ভিত্তি হিসেবে কাজ করেছে এই প্রোটিন।
এ ছাড়া, নিয়ান্ডারথালরা ও ডেনিসোভানদের ডিএনএ পরীক্ষা করার পর বিজ্ঞানীরা দেখতে পান, এই বিলুপ্ত প্রাইমেটদের মস্তিষ্কে অন্য প্রজাতির প্রাণীদের মতোই নোভা ১ প্রোটিন ছিল। অর্থাৎ তাদের মধ্যে মানব সংস্করণের প্রোটিনটি ছিল না।
গবেষকেরা ধারণা করছেন, প্রাচীন যুগে সম্ভবত আফ্রিকায় মানুষের মধ্যে এই প্রোটিনের জিনগত পরিবর্তন হয়েছিল এবং দ্রুত তা অন্যান্য জনগোষ্ঠীর মধ্যে ছড়িয়ে যায়। এভাবে প্রোটিনটি মানব ভাষার ভিত্তি স্থাপন করে। এটি গড়ে ওঠা মানব জেনোমের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে ওঠে; যা ভাষা এবং যোগাযোগের ক্ষেত্রে বড় ধরনের পরিবর্তন এনে দেয়।
এই গবেষণা নেচার জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
প্রস্তর যুগে চীনের পূর্বাঞ্চলে সমাজের নেতৃত্বে ছিল নারী। সম্প্রতি প্রাপ্ত ডিএনএ বিশ্লেষণে উঠে এসেছে এমনই অভূতপূর্ব তথ্য। প্রায় সাড়ে ৪ হাজার আগের কঙ্কালের জিনগত উপাদান বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন, সেই সময়কার সমাজ ছিল মাতৃতান্ত্রিক এবং সমাজের সদস্যরা অন্তত ১০ প্রজন্ম ধরে মায়ের বংশ অনুসারে...
১৩ ঘণ্টা আগেপ্রতি বছর নদী, সমুদ্র ও অন্য বিভিন্ন জলাশয় থেকে প্রায় ১ ট্রিলিয়ন মাছ ধরা হয়। এদের বেশির ভাগই খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তবে এই বিপুল-সংখ্যক মাছ ধরার পরে তাদের যে পদ্ধতিতে মারা হয়, তা অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক। সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, মাছকে পানি থেকে তোলার পর তারা গড়ে প্রায় ২২ মিনিট পর্যন্ত
৩ দিন আগেপৃথিবীর সবচেয়ে শুষ্ক মরুভূমিগুলোর কেন্দ্রে অবস্থিত আরব অঞ্চল একসময় সবুজে মোড়ানো স্বর্গোদ্যান ছিল। মরুপ্রধান অঞ্চল হলেও পৃথিবীর দীর্ঘ ইতিহাসে এই ভূমি নানা সময়ে আর্দ্র আবহাওয়ার দেখা পেয়েছে, আর তখনই সেখানে জন্ম নিয়েছে লেক-নদী, বনভূমি এবং জীববৈচিত্র্যের স্বর্গ। সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে এমনটাই
৪ দিন আগেপ্রায় পাঁচ হাজার বছর আগে প্রাচীন মিশরে তৈরি একটি বুনন করা লিনেন পোশাক এখন বিশ্বের সর্বপ্রাচীন বুনন করা পোশাক জামা হিসেবে স্বীকৃত। কার্বন ডেটিংয়ের মাধ্যমে জানা গেছে, ‘তারখান ড্রেস’ নামে পরিচিত এই পোশাকটি ৩৫০০ থেকে ৩১০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের মধ্যে তৈরি হয়েছে।
৫ দিন আগে