অনলাইন ডেস্ক
মহাবিশ্বের এক নতুন ও বিস্ময়কর আবিষ্কার বিজ্ঞানীদের চমকে দিয়েছে। কারণ ১৩ দশমিক ৪ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৩৪০ কোটি আলোকবর্ষ দূরের একটি গ্যালাক্সিতে অক্সিজেন এবং অন্যান্য ভারী ধাতুর উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এই গ্যালাক্সির নাম ‘জেডস–জেএস–জেড ১৪–০ ’। গত বছর নাসার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ ব্যবহার করে এটি আবিষ্কৃত হয়।
ইউরোপীয় সাউদার্ন অবজারভেটরির জার্মানির জ্যোতির্বিদ গার্গো পপিং বলেন, ‘জেডস–জেএস–জেড ১৪–০’ গ্যালাক্সিতে অক্সিজেনের স্পষ্ট শনাক্তকরণ আমাকে অবাক করেছে। এটি ইঙ্গিত দেয় যে, মহাবিশ্বের সূচনা-পরবর্তী সময়ে গ্যালাক্সি গঠনের প্রক্রিয়া পূর্বে অনুমান করা সময়ের চেয়ে অনেক দ্রুত হতে পারে।
এই আবিষ্কার দুটি আলাদা গবেষণা দলের মাধ্যমে করা হয়। ফলে গ্যালাক্সিটির দূরত্ব আরও নির্ভুলভাবে পরিমাপ করতে পেরেছেন বিজ্ঞানীরা।
গবেষকেরা গ্যালাক্সিটির ছবি তুলেছেন অ্যাটাকামা লার্জ মিলিমিটার বা সাব মিলিমিটার অ্যারে প্রযুক্তি ব্যবহার করে। এটি চিলির মরু অঞ্চলে অবস্থিত এবং বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় জ্যোতির্বিজ্ঞান প্রকল্প।
গবেষকেরা বলেছেন, যে ছবিগুলো তাঁরা পেয়েছেন, তা গ্যালাক্সিটির সেই সময়ের, যখন মহাবিশ্বের বয়স ছিল মাত্র ৩০০ মিলিয়ন বছর। অর্থাৎ, বর্তমান মহাবিশ্বের বয়সের মাত্র ২ শতাংশ। বলা যায়, এটি মহাবিশ্বের একেবারে শৈশবকালীন সময়ের ছবি।
গ্যালাক্সিটিতে অক্সিজেনের উপস্থিতি প্রমাণ করছে যে, এটি প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি রাসায়নিকভাবে পরিণত হয়ে উঠেছে। গবেষকেরা আগে ধারণা করেছিলেন যে, এই বয়সে গ্যালাক্সিগুলো এখনো খুব ছোট এবং ভারী উপাদানে সজ্জিত হওয়ার মতো পরিপক্ব হয়নি। তবে, এতে ১০ গুণ বেশি ভারী উপাদান ধারণ রয়েছে, যা পুরোপুরি তাদের ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করছে।
গ্যালাক্সিগুলো সাধারণত তাদের জীবনের শুরুতে তরুণ নক্ষত্র দিয়ে পূর্ণ থাকে, যা মূলত হালকা উপাদান যেমন: হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম দিয়ে গঠিত। সময়ের সঙ্গে নক্ষত্রগুলো ভারী উপাদান তৈরি করে এবং নক্ষত্র মারা গেলে সেই উপাদানগুলো গ্যালাক্সির মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।
এই গবেষণার প্রথম লেখক স্যান্ডার শৌস বলেন, ‘এই ফলাফলগুলো প্রমাণ করে যে, গ্যালাক্সিটি খুব দ্রুত গঠন হয়েছে এবং এর পরিপক্বতা অনেক তাড়াতাড়ি ঘটছে। তাই নতুন আবিষ্কারটি এই ধারণাকে সমর্থন করে যে, গ্যালাক্সি গঠনের প্রক্রিয়া পূর্বে অনুমান করা সময়ের চেয়ে অনেক দ্রুত হয়।
এই গবেষণার আরেক লেখক স্টেফানো কার্নিয়ানি বলেন, ‘অপ্রত্যাশিত ফলাফলে আমি অবাক হয়েছি। কারণ এটি গ্যালাক্সি বিবর্তনের প্রথম পর্ব সম্পর্কে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি সামনে এনেছে। মহাবিশ্বের শৈশবকালীন এমন একটি গ্যালাক্সি পরিপক্ব হতে দেখে একেবারে নতুন প্রশ্ন উত্থাপিত হয়, তা হলো—গ্যালাক্সিগুলো কখন এবং কীভাবে তৈরি হয়েছিল।’
এই বিস্ময়কর আবিষ্কার মহাবিশ্বের শৈশবকালীন গ্যালাক্সি গঠনের গতি ও প্রকৃতি নিয়ে নতুন আলোচনা উত্থাপন করছে, যা ভবিষ্যতের জ্যোতির্বিজ্ঞান গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
তথসূত্র: সায়েন্স অ্যালার্ট ও ইনডিপেন্ডেন্ট ডট ইউকে
মহাবিশ্বের এক নতুন ও বিস্ময়কর আবিষ্কার বিজ্ঞানীদের চমকে দিয়েছে। কারণ ১৩ দশমিক ৪ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৩৪০ কোটি আলোকবর্ষ দূরের একটি গ্যালাক্সিতে অক্সিজেন এবং অন্যান্য ভারী ধাতুর উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এই গ্যালাক্সির নাম ‘জেডস–জেএস–জেড ১৪–০ ’। গত বছর নাসার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ ব্যবহার করে এটি আবিষ্কৃত হয়।
ইউরোপীয় সাউদার্ন অবজারভেটরির জার্মানির জ্যোতির্বিদ গার্গো পপিং বলেন, ‘জেডস–জেএস–জেড ১৪–০’ গ্যালাক্সিতে অক্সিজেনের স্পষ্ট শনাক্তকরণ আমাকে অবাক করেছে। এটি ইঙ্গিত দেয় যে, মহাবিশ্বের সূচনা-পরবর্তী সময়ে গ্যালাক্সি গঠনের প্রক্রিয়া পূর্বে অনুমান করা সময়ের চেয়ে অনেক দ্রুত হতে পারে।
এই আবিষ্কার দুটি আলাদা গবেষণা দলের মাধ্যমে করা হয়। ফলে গ্যালাক্সিটির দূরত্ব আরও নির্ভুলভাবে পরিমাপ করতে পেরেছেন বিজ্ঞানীরা।
গবেষকেরা গ্যালাক্সিটির ছবি তুলেছেন অ্যাটাকামা লার্জ মিলিমিটার বা সাব মিলিমিটার অ্যারে প্রযুক্তি ব্যবহার করে। এটি চিলির মরু অঞ্চলে অবস্থিত এবং বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় জ্যোতির্বিজ্ঞান প্রকল্প।
গবেষকেরা বলেছেন, যে ছবিগুলো তাঁরা পেয়েছেন, তা গ্যালাক্সিটির সেই সময়ের, যখন মহাবিশ্বের বয়স ছিল মাত্র ৩০০ মিলিয়ন বছর। অর্থাৎ, বর্তমান মহাবিশ্বের বয়সের মাত্র ২ শতাংশ। বলা যায়, এটি মহাবিশ্বের একেবারে শৈশবকালীন সময়ের ছবি।
গ্যালাক্সিটিতে অক্সিজেনের উপস্থিতি প্রমাণ করছে যে, এটি প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি রাসায়নিকভাবে পরিণত হয়ে উঠেছে। গবেষকেরা আগে ধারণা করেছিলেন যে, এই বয়সে গ্যালাক্সিগুলো এখনো খুব ছোট এবং ভারী উপাদানে সজ্জিত হওয়ার মতো পরিপক্ব হয়নি। তবে, এতে ১০ গুণ বেশি ভারী উপাদান ধারণ রয়েছে, যা পুরোপুরি তাদের ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করছে।
গ্যালাক্সিগুলো সাধারণত তাদের জীবনের শুরুতে তরুণ নক্ষত্র দিয়ে পূর্ণ থাকে, যা মূলত হালকা উপাদান যেমন: হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম দিয়ে গঠিত। সময়ের সঙ্গে নক্ষত্রগুলো ভারী উপাদান তৈরি করে এবং নক্ষত্র মারা গেলে সেই উপাদানগুলো গ্যালাক্সির মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।
এই গবেষণার প্রথম লেখক স্যান্ডার শৌস বলেন, ‘এই ফলাফলগুলো প্রমাণ করে যে, গ্যালাক্সিটি খুব দ্রুত গঠন হয়েছে এবং এর পরিপক্বতা অনেক তাড়াতাড়ি ঘটছে। তাই নতুন আবিষ্কারটি এই ধারণাকে সমর্থন করে যে, গ্যালাক্সি গঠনের প্রক্রিয়া পূর্বে অনুমান করা সময়ের চেয়ে অনেক দ্রুত হয়।
এই গবেষণার আরেক লেখক স্টেফানো কার্নিয়ানি বলেন, ‘অপ্রত্যাশিত ফলাফলে আমি অবাক হয়েছি। কারণ এটি গ্যালাক্সি বিবর্তনের প্রথম পর্ব সম্পর্কে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি সামনে এনেছে। মহাবিশ্বের শৈশবকালীন এমন একটি গ্যালাক্সি পরিপক্ব হতে দেখে একেবারে নতুন প্রশ্ন উত্থাপিত হয়, তা হলো—গ্যালাক্সিগুলো কখন এবং কীভাবে তৈরি হয়েছিল।’
এই বিস্ময়কর আবিষ্কার মহাবিশ্বের শৈশবকালীন গ্যালাক্সি গঠনের গতি ও প্রকৃতি নিয়ে নতুন আলোচনা উত্থাপন করছে, যা ভবিষ্যতের জ্যোতির্বিজ্ঞান গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
তথসূত্র: সায়েন্স অ্যালার্ট ও ইনডিপেন্ডেন্ট ডট ইউকে
পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চাঁদ নিয়ে মানুষের আগ্রহের অন্ত নেই। সাধারণ মানুষেরই যেখানে আগ্রহ সীমাহীন, সেখানে যেসব গবেষক চাঁদ নিয়ে কাজ করছেন তাদের আগ্রহ কেমন হতে পারে? এবার বিজ্ঞানীদের সেই আগ্রহ মেটাতেই চাঁদের মাটিতে ইন্টারন্যাশনাল লুনার রিসার্চ স্টেশন বা আন্তর্জাতিক চন্দ্র গবেষণাকেন্দ্র (আইএলআরএস) গড়তে
১১ ঘণ্টা আগেসাধারণত গাছের চাহিদা বুঝতে নিজের অভিজ্ঞতা এবং অনুমানের ওপর নির্ভর করেন কৃষকেরা। তবে ভবিষ্যতে গাছও জানাতে পারবে তার প্রয়োজনের কথা। কখন তার পানির প্রয়োজন বা কীটের আক্রমণ হয়েছে, তা সে নিজেই কৃষককে জানিয়ে দেবে।
১৩ ঘণ্টা আগেআপনি কি কখনো ভেবে দেখেছেন—কেন কুকুর, বিড়াল বা গরিলার মতো আপনার সারা শরীর ঘন লোমে ঢাকা নয়? মানুষই একমাত্র স্তন্যপায়ী প্রাণী নয় যাদের লোম পাতলা। হাতি, গন্ডার এবং নেংটি ইঁদুরের গায়েও খুব কম লোম থাকে। তিমি এবং ডলফিনের মতো কিছু সামুদ্রিক স্তন্যপায়ীর ক্ষেত্রেও এটা সত্যি।
৩ দিন আগেপ্রায় ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন বা ৪৫০ কোটি বছর আগে গঠিত হওয়ার পর ধীরে ধীরে ঘূর্ণনের গতি কমছে পৃথিবীর। এর ফলে দীর্ঘ হচ্ছে দিনগুলোও। মানবজীবনের সময়কাল অনুযায়ী এই পরিবর্তন খুব একটা দৃশ্যমান না হলেও দীর্ঘ সময় পর তা পৃথিবীর পরিবেশে বড় পরিবর্তন এনেছে।
৩ দিন আগে