অনলাইন ডেস্ক
জার্মানির মধ্যাঞ্চলে সম্প্রতি আবিষ্কৃত প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন ইঙ্গিত দিচ্ছে, প্রায় ১ লাখ ২৫ হাজার বছর আগে মানুষের পূর্বপুরুষ নিয়ান্ডারথালরা খাদ্য প্রস্তুতির উন্নত পদ্ধতি চর্চা করত। এই আবিষ্কার তাদের সম্পর্কে প্রচলিত ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করছে। দীর্ঘদিন ধরে নিয়ান্ডারথালদের সীমিত বুদ্ধিমত্তা ধারণা প্রচলিত থাকলেও নতুন গবেষণা বলছে, তারা পরিকল্পিতভাবে প্রাণীর হাড় থেকে চর্বি আলাদা করত, বিশেষভাবে সেই চর্বি প্রক্রিয়াজাত করত। এই চর্বি সংগ্রহের প্রক্রিয়াকে বিজ্ঞানীরা বলছেন ‘ফ্যাট ফ্যাক্টরি’ বা চর্বির কারখানা।
গত ২ জুলাই ‘সায়েন্স অ্যাডভান্সেস’ জার্নালে এই গবেষণা প্রকাশিত হয়। সেখানে বলা হয়, জার্মানির ‘নয়মার্ক-নর্ড’ (Neumark-Nord) নামক প্রাচীন একটি হ্রদের এলাকায় খনন চালিয়ে হাজার হাজার প্রাণীর হাড় এবং ফ্লিন্ট পাথরের (প্রধানত সিলিকা দিয়ে গঠিত দানাদার ও শক্তপাললিক শিলা) সরঞ্জাম খুঁজে পান প্রত্নতাত্ত্বিকেরা।
এই হাড়গুলো অন্তত ১৭২টি বড় স্তন্যপায়ীর (যেমন: লাল হরিণ এবং ঘোড়া), যেগুলো নিয়ান্ডারথালদের সময়কার, অর্থাৎ এক অন্তর্বর্তী বরফযুগের সময়কার বলে গবেষকেরা নিশ্চিত করেছেন।
গবেষকেরা লক্ষ করেন, যেসব হাড়ে তুলনামূলক কম মজ্জা ছিল, সেগুলো এলোমেলোভাবে ছড়িয়ে ছিল পুরো এলাকায়। অথচ যেসব হাড়ে মজ্জা বেশি ছিল, সেগুলো ছিল নির্দিষ্ট স্থানে জড়ো করা—যেগুলোকে গবেষকেরা বলছেন ‘ফ্যাট ফ্যাক্টরি’।
বিজ্ঞানীদের ধারণা, নিয়ান্ডারথালরা এই হাড়গুলো ছোট ছোট টুকরো করে ভেঙে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফুটিয়ে রাখত। এরপর সেদ্ধ পানির ওপরে ভেসে ওঠা চর্বি আলাদা করে খাওয়া হতো। এটি ছিল অত্যন্ত ক্যালরি সমৃদ্ধ একটি খাদ্য, যা ওই সময়ের প্রতিকূল পরিবেশে তাদের টিকে থাকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
গবেষণার প্রধান লেখক ড. লুটজ কিন্ডলার বলেন, ‘নিয়ান্ডারথালরা নিখুঁত পরিকল্পনার মাধ্যমে শিকার করত, মৃত প্রাণীর দেহাংশ বেছে বেছে নির্দিষ্ট জায়গায় এনে প্রক্রিয়াজাত করত। তারা জানত কোন অংশে সবচেয়ে বেশি চর্বি আছে এবং কীভাবে তা পাওয়া যায়।’
এমন প্রক্রিয়ায় চর্বি সংগ্রহের পূর্বের প্রমাণ সর্বশেষ ২৮ হাজার বছর আগের ছিল। সেদিক থেকে ১ লাখ ২৫ হাজার বছর আগের এই আবিষ্কার অভূতপূর্ব।
নিয়ান্ডারথালদের খাদ্যতালিকায় প্রধানত প্রাণিজ প্রোটিন থাকলেও শুধু প্রোটিন খেয়ে টিকে থাকা সম্ভব নয়। অতিরিক্ত প্রোটিন খাওয়া প্রাণঘাতী ‘প্রোটিন পয়জনিং’-এর ঝুঁকি বাড়ায়। তাই চর্বি ছিল তাদের জন্য ‘লাইফ-সাসটেইনিং’ অর্থাৎ জীবনরক্ষাকারী উপাদান। বিশেষ করে শীত ও বসন্তে যখন শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট পাওয়া কঠিন হতো।
এই গবেষণায় যুক্ত ডেটা ম্যানেজার ও কম্পিউটার বিজ্ঞানী ড. ফুলকো শারইন বলেন, ‘নয়মার্ক-নর্ড এলাকাটি যে পরিমাণ বড় এবং সংরক্ষিত তা অভাবনীয়। এটি আমাদের এক বিরল সুযোগ দিয়েছে—কীভাবে নিয়ান্ডারথালরা পরিবেশের ওপর প্রভাব ফেলেছিল, তা বোঝার। ভবিষ্যতে এই সাইট নিয়ে আরও গবেষণার দুয়ার খুলে দিয়েছে এটি।’
সম্প্রতি আরও কিছু চমকপ্রদ তথ্য উঠে এসেছে নিয়ান্ডারথালদের জীবনধারা নিয়ে। বিজ্ঞানীরা পেয়েছেন প্রমাণ, তারা সমুদ্রে ডুবে ঝিনুক সংগ্রহ করত, যেগুলো পরে পাথরের হাতুড়ি দিয়ে কেটে ধারালো অস্ত্র তৈরি করত। এমনকি, অন্য এক গবেষণায় উঠে এসেছে। তারা হয়তো মৃতদের ফুল দিয়ে কবর দিত।
তথ্যসূত্র: ফক্সনিউজ ও সিএনএন
জার্মানির মধ্যাঞ্চলে সম্প্রতি আবিষ্কৃত প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন ইঙ্গিত দিচ্ছে, প্রায় ১ লাখ ২৫ হাজার বছর আগে মানুষের পূর্বপুরুষ নিয়ান্ডারথালরা খাদ্য প্রস্তুতির উন্নত পদ্ধতি চর্চা করত। এই আবিষ্কার তাদের সম্পর্কে প্রচলিত ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করছে। দীর্ঘদিন ধরে নিয়ান্ডারথালদের সীমিত বুদ্ধিমত্তা ধারণা প্রচলিত থাকলেও নতুন গবেষণা বলছে, তারা পরিকল্পিতভাবে প্রাণীর হাড় থেকে চর্বি আলাদা করত, বিশেষভাবে সেই চর্বি প্রক্রিয়াজাত করত। এই চর্বি সংগ্রহের প্রক্রিয়াকে বিজ্ঞানীরা বলছেন ‘ফ্যাট ফ্যাক্টরি’ বা চর্বির কারখানা।
গত ২ জুলাই ‘সায়েন্স অ্যাডভান্সেস’ জার্নালে এই গবেষণা প্রকাশিত হয়। সেখানে বলা হয়, জার্মানির ‘নয়মার্ক-নর্ড’ (Neumark-Nord) নামক প্রাচীন একটি হ্রদের এলাকায় খনন চালিয়ে হাজার হাজার প্রাণীর হাড় এবং ফ্লিন্ট পাথরের (প্রধানত সিলিকা দিয়ে গঠিত দানাদার ও শক্তপাললিক শিলা) সরঞ্জাম খুঁজে পান প্রত্নতাত্ত্বিকেরা।
এই হাড়গুলো অন্তত ১৭২টি বড় স্তন্যপায়ীর (যেমন: লাল হরিণ এবং ঘোড়া), যেগুলো নিয়ান্ডারথালদের সময়কার, অর্থাৎ এক অন্তর্বর্তী বরফযুগের সময়কার বলে গবেষকেরা নিশ্চিত করেছেন।
গবেষকেরা লক্ষ করেন, যেসব হাড়ে তুলনামূলক কম মজ্জা ছিল, সেগুলো এলোমেলোভাবে ছড়িয়ে ছিল পুরো এলাকায়। অথচ যেসব হাড়ে মজ্জা বেশি ছিল, সেগুলো ছিল নির্দিষ্ট স্থানে জড়ো করা—যেগুলোকে গবেষকেরা বলছেন ‘ফ্যাট ফ্যাক্টরি’।
বিজ্ঞানীদের ধারণা, নিয়ান্ডারথালরা এই হাড়গুলো ছোট ছোট টুকরো করে ভেঙে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফুটিয়ে রাখত। এরপর সেদ্ধ পানির ওপরে ভেসে ওঠা চর্বি আলাদা করে খাওয়া হতো। এটি ছিল অত্যন্ত ক্যালরি সমৃদ্ধ একটি খাদ্য, যা ওই সময়ের প্রতিকূল পরিবেশে তাদের টিকে থাকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
গবেষণার প্রধান লেখক ড. লুটজ কিন্ডলার বলেন, ‘নিয়ান্ডারথালরা নিখুঁত পরিকল্পনার মাধ্যমে শিকার করত, মৃত প্রাণীর দেহাংশ বেছে বেছে নির্দিষ্ট জায়গায় এনে প্রক্রিয়াজাত করত। তারা জানত কোন অংশে সবচেয়ে বেশি চর্বি আছে এবং কীভাবে তা পাওয়া যায়।’
এমন প্রক্রিয়ায় চর্বি সংগ্রহের পূর্বের প্রমাণ সর্বশেষ ২৮ হাজার বছর আগের ছিল। সেদিক থেকে ১ লাখ ২৫ হাজার বছর আগের এই আবিষ্কার অভূতপূর্ব।
নিয়ান্ডারথালদের খাদ্যতালিকায় প্রধানত প্রাণিজ প্রোটিন থাকলেও শুধু প্রোটিন খেয়ে টিকে থাকা সম্ভব নয়। অতিরিক্ত প্রোটিন খাওয়া প্রাণঘাতী ‘প্রোটিন পয়জনিং’-এর ঝুঁকি বাড়ায়। তাই চর্বি ছিল তাদের জন্য ‘লাইফ-সাসটেইনিং’ অর্থাৎ জীবনরক্ষাকারী উপাদান। বিশেষ করে শীত ও বসন্তে যখন শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট পাওয়া কঠিন হতো।
এই গবেষণায় যুক্ত ডেটা ম্যানেজার ও কম্পিউটার বিজ্ঞানী ড. ফুলকো শারইন বলেন, ‘নয়মার্ক-নর্ড এলাকাটি যে পরিমাণ বড় এবং সংরক্ষিত তা অভাবনীয়। এটি আমাদের এক বিরল সুযোগ দিয়েছে—কীভাবে নিয়ান্ডারথালরা পরিবেশের ওপর প্রভাব ফেলেছিল, তা বোঝার। ভবিষ্যতে এই সাইট নিয়ে আরও গবেষণার দুয়ার খুলে দিয়েছে এটি।’
সম্প্রতি আরও কিছু চমকপ্রদ তথ্য উঠে এসেছে নিয়ান্ডারথালদের জীবনধারা নিয়ে। বিজ্ঞানীরা পেয়েছেন প্রমাণ, তারা সমুদ্রে ডুবে ঝিনুক সংগ্রহ করত, যেগুলো পরে পাথরের হাতুড়ি দিয়ে কেটে ধারালো অস্ত্র তৈরি করত। এমনকি, অন্য এক গবেষণায় উঠে এসেছে। তারা হয়তো মৃতদের ফুল দিয়ে কবর দিত।
তথ্যসূত্র: ফক্সনিউজ ও সিএনএন
নিয়মিত আকাশপথে ভ্রমণ করা যাত্রীদের জন্য টার্বুলেন্স বা ঝাঁকুনি কোনো নতুন অভিজ্ঞতা নয়। শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে চলমান বাণিজ্যিক বিমান চলাচলের ইতিহাসে এই টার্বুলেন্স মোকাবিলায় ব্যাপক উন্নতি হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেবিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও চিকিৎসাক্ষেত্রে অগ্রণী কিছু ভবিষ্যৎদ্রষ্টা মনে করছেন, মানুষ এখন আর আগের মতো কেবল শতবর্ষ আয়ুর স্বপ্ন দেখছে না। বরং এমন এক সময় আসছে, যখন আমরা স্বাভাবিক আয়ুর চেয়ে ১০ গুণ বেশি সময়, অর্থাৎ হাজার বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারি।
১ দিন আগেআমাদের সূর্যের চেয়ে ৩৬০০ গুণ বেশি ভরের বিশালাকৃতির ব্ল্যাকহোল খুঁজে পেলেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। এটি এখন পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া সবচেয়ে বড় ব্ল্যাকহোলগুলোর একটি এবং সম্ভবত সর্ববৃহৎ। ব্ল্যাকহোলটি অবস্থান করছে ‘কসমিক হর্সশু’ নামের একটি গ্যালাক্সির কেন্দ্রে, যা পৃথিবী থেকে প্রায় ৫০০ কোটি আলোকবর্ষ দূরে।
১ দিন আগেপৃথিবীর বাইরের কোনো গ্রহে যদি একদিন মানুষের বসতি গড়তে হয়, তাহলে কেমন হবে সেই পরিবেশ? সেটা বোঝার চেষ্টা থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনায় তৈরি হয়েছিল ‘বায়োস্ফিয়ার ২’। তিন একরের বেশি জায়গাজুড়ে নির্মিত বিশাল কাচঘেরা ভবনটি যেন এক কৃত্রিম পৃথিবী।
২ দিন আগে