গাড়ির টায়ারকে ভালোভাবে লক্ষ্য করলে দেখবেন, এতে চুলের মতো ছোট ছোট রাবারের রোম রয়েছে। এসব রোম নিয়ে অনেক বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচলিত আছে। অনেকেই মনে করেন, টায়ারের নিরাপত্তার জন্য এগুলো জরুরি। তবে ব্যাপারটি মোটেও সেরকম নয়।
টায়ারের গায়ে রোমগুলো আসলে কী
টায়ারের যে অংশ মাটি স্পর্শ করে সেই অংশকে সাইডওয়াল বলে। এই সাইডওয়ালে রোমগুলো থাকে। এগুলোকে ‘ভেন্ট স্পিউ’ বা ‘টায়ার হুইস্কার’ বলা হয়।
টায়ার তৈরির প্রক্রিয়ার জন্য ভেন্ট স্পিউগুলো গুরুত্বপূর্ণ। টায়ার তৈরির সময় রাবারকে তাপ দিয়ে গলিয়ে ছাঁচে ঢেলে দেওয়া হয়। এই প্রক্রিয়াতে ‘ভলকানাইজেশন’ বলা হয়। বাড়তি রাবার ছোট ছোট ছিদ্র দিয়ে বের হয়ে যায়। রাবার ঠান্ডা হয়ে শক্ত হয়ে যায় ও বাড়তি রাবারগুলো রোমের মতো টায়ারে গায়ে লেগে থাকে। এর কোনো আলাদা কার্যকারিতা নেই।
বহুজাতিক উৎপাদক প্রতিষ্ঠান ব্রিজস্টোন আমেরিকার কনজিউমার প্রোডাক্ট স্ট্র্যাটেজির ডিরেক্টর উইল রবিনসের মতে, ভেন্ট স্পিউগুলো টায়ার উৎপাদন প্রক্রিয়ার ফলাফল। গরম তরল রাবার ছাঁচে চেপে টায়ার তৈরি করা হয়। টায়ার ভেদে ছাঁচও আলাদা হয়। টায়ার তৈরির জন্য তরল রাবারকে নির্দিষ্ট ছাঁচে ফেলে প্রচণ্ড চাপ দেওয়া হয়, যাতে ছাঁচের সর্বত্র রাবার পৌঁছাতে পারে। আর বাড়তি রাবার ছাঁচ থেকে বের করে দিতে হয়। তাই ছাঁচে সূক্ষ্ম ছিদ্র থাকে। এ ছিদ্রগুলো থেকে রাবারের কিছু অংশ বের হওয়ার ফলে রোমগুলো তৈরি হয় ও ঠান্ডা হওয়ার পর টায়ারের গায়ে লেগে থাকে।
একটি টায়ারে কতগুলো রোম থাকবে তা নির্দিষ্ট নয়। রোমগুলোর সংখ্যা টায়ারের নকশা ও আকারের ওপর নির্ভর করে। তবে সব নতুন টায়ারেই এই রোম থাকে।
ফোরহুইল অনলাইনের বিশেষজ্ঞ মার্গারেট স্টাইন বলেন, ‘টায়ারের ভেতর কোনো বাতাস বা গ্যাস আটকে না থাকা নিশ্চিত করে এই রোমগুলো। এই বাতাস টায়ারের অবকাঠামোগত ক্ষতি ও এর কার্যক্ষমতার ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।
নিরাপদ গাড়ি জন্য এর গুরুত্ব কতটুকু
নিরাপদ ড্রাইভিংয়ের সঙ্গে টায়ারের রোমের কোনো সম্পর্ক নেই। স্টাইন বলেন, বৃষ্টির দিনের ভেজা রাস্তায় টায়ারের গ্রিপ কেমন হবে তার সঙ্গে রোমগুলোর কোনো সম্পর্ক নেই। রোমগুলো অনেক নরম হওয়ার কারণে এগুলো রাস্তার ওপরে কোনো প্রভাবও ফেলতে পারে না। এ ছাড়া গাড়ি চালানোর সময়ও টায়ার থেকে যে শব্দ হয় তার জন্য এসব রোমের কোনো ভূমিকা নেই।
রোমগুলো কি ছেঁটে ফেলা উচিত
আপনি চাইলে রোমগুলো ছেঁটে ফেলতে পারেন। কারণ এগুলো কোনো কাজে লাগে না। তবে রোমগুলো ছেঁটে ফেলার সময় টায়ারের যেন ক্ষতি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এ জন্য ধারালো কাঁচি ব্যবহার করা যেতে পারে। কেটে ফেলার সময় সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে, তা না হলে টায়ার ফুটো হয়ে যেতে পারে। স্টেইনের মতে, ‘সাবধানতা অবলম্বন করে রোমগুলো ছেঁটে ফেলতে পারলে টায়ারের ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকি নেই।’
টায়ারে রোম না থাকলে
টায়ারে রোম না থাকলে চিন্তার কিছু নেই। রবিনস বলেন, গাড়ি চালাতে চালাতে এগুলো এক সময় ক্ষয়ে যায়। টায়ারটি নিরাপদ কিনা তার সঙ্গে রোমের কোনো সম্পর্ক নেই। তবে নতুন টায়ারে যদি এগুলো না থাকে, তাহলে সেটি আদৌ নতুন কিনা কিংবা মানসম্মত কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ করার যৌক্তিক কারণ আছে। এ জন্য টায়ার কেনার সময় ভালোভাবে পরীক্ষা করে দেখে নিতে হয়।
তথ্যসূত্র: রিডার ডাইজেস্ট
গাড়ির টায়ারকে ভালোভাবে লক্ষ্য করলে দেখবেন, এতে চুলের মতো ছোট ছোট রাবারের রোম রয়েছে। এসব রোম নিয়ে অনেক বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচলিত আছে। অনেকেই মনে করেন, টায়ারের নিরাপত্তার জন্য এগুলো জরুরি। তবে ব্যাপারটি মোটেও সেরকম নয়।
টায়ারের গায়ে রোমগুলো আসলে কী
টায়ারের যে অংশ মাটি স্পর্শ করে সেই অংশকে সাইডওয়াল বলে। এই সাইডওয়ালে রোমগুলো থাকে। এগুলোকে ‘ভেন্ট স্পিউ’ বা ‘টায়ার হুইস্কার’ বলা হয়।
টায়ার তৈরির প্রক্রিয়ার জন্য ভেন্ট স্পিউগুলো গুরুত্বপূর্ণ। টায়ার তৈরির সময় রাবারকে তাপ দিয়ে গলিয়ে ছাঁচে ঢেলে দেওয়া হয়। এই প্রক্রিয়াতে ‘ভলকানাইজেশন’ বলা হয়। বাড়তি রাবার ছোট ছোট ছিদ্র দিয়ে বের হয়ে যায়। রাবার ঠান্ডা হয়ে শক্ত হয়ে যায় ও বাড়তি রাবারগুলো রোমের মতো টায়ারে গায়ে লেগে থাকে। এর কোনো আলাদা কার্যকারিতা নেই।
বহুজাতিক উৎপাদক প্রতিষ্ঠান ব্রিজস্টোন আমেরিকার কনজিউমার প্রোডাক্ট স্ট্র্যাটেজির ডিরেক্টর উইল রবিনসের মতে, ভেন্ট স্পিউগুলো টায়ার উৎপাদন প্রক্রিয়ার ফলাফল। গরম তরল রাবার ছাঁচে চেপে টায়ার তৈরি করা হয়। টায়ার ভেদে ছাঁচও আলাদা হয়। টায়ার তৈরির জন্য তরল রাবারকে নির্দিষ্ট ছাঁচে ফেলে প্রচণ্ড চাপ দেওয়া হয়, যাতে ছাঁচের সর্বত্র রাবার পৌঁছাতে পারে। আর বাড়তি রাবার ছাঁচ থেকে বের করে দিতে হয়। তাই ছাঁচে সূক্ষ্ম ছিদ্র থাকে। এ ছিদ্রগুলো থেকে রাবারের কিছু অংশ বের হওয়ার ফলে রোমগুলো তৈরি হয় ও ঠান্ডা হওয়ার পর টায়ারের গায়ে লেগে থাকে।
একটি টায়ারে কতগুলো রোম থাকবে তা নির্দিষ্ট নয়। রোমগুলোর সংখ্যা টায়ারের নকশা ও আকারের ওপর নির্ভর করে। তবে সব নতুন টায়ারেই এই রোম থাকে।
ফোরহুইল অনলাইনের বিশেষজ্ঞ মার্গারেট স্টাইন বলেন, ‘টায়ারের ভেতর কোনো বাতাস বা গ্যাস আটকে না থাকা নিশ্চিত করে এই রোমগুলো। এই বাতাস টায়ারের অবকাঠামোগত ক্ষতি ও এর কার্যক্ষমতার ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।
নিরাপদ গাড়ি জন্য এর গুরুত্ব কতটুকু
নিরাপদ ড্রাইভিংয়ের সঙ্গে টায়ারের রোমের কোনো সম্পর্ক নেই। স্টাইন বলেন, বৃষ্টির দিনের ভেজা রাস্তায় টায়ারের গ্রিপ কেমন হবে তার সঙ্গে রোমগুলোর কোনো সম্পর্ক নেই। রোমগুলো অনেক নরম হওয়ার কারণে এগুলো রাস্তার ওপরে কোনো প্রভাবও ফেলতে পারে না। এ ছাড়া গাড়ি চালানোর সময়ও টায়ার থেকে যে শব্দ হয় তার জন্য এসব রোমের কোনো ভূমিকা নেই।
রোমগুলো কি ছেঁটে ফেলা উচিত
আপনি চাইলে রোমগুলো ছেঁটে ফেলতে পারেন। কারণ এগুলো কোনো কাজে লাগে না। তবে রোমগুলো ছেঁটে ফেলার সময় টায়ারের যেন ক্ষতি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এ জন্য ধারালো কাঁচি ব্যবহার করা যেতে পারে। কেটে ফেলার সময় সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে, তা না হলে টায়ার ফুটো হয়ে যেতে পারে। স্টেইনের মতে, ‘সাবধানতা অবলম্বন করে রোমগুলো ছেঁটে ফেলতে পারলে টায়ারের ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকি নেই।’
টায়ারে রোম না থাকলে
টায়ারে রোম না থাকলে চিন্তার কিছু নেই। রবিনস বলেন, গাড়ি চালাতে চালাতে এগুলো এক সময় ক্ষয়ে যায়। টায়ারটি নিরাপদ কিনা তার সঙ্গে রোমের কোনো সম্পর্ক নেই। তবে নতুন টায়ারে যদি এগুলো না থাকে, তাহলে সেটি আদৌ নতুন কিনা কিংবা মানসম্মত কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ করার যৌক্তিক কারণ আছে। এ জন্য টায়ার কেনার সময় ভালোভাবে পরীক্ষা করে দেখে নিতে হয়।
তথ্যসূত্র: রিডার ডাইজেস্ট
চাঁদে মরিচা ধরছে। আর এর জন্য দায়ী আমাদের পৃথিবী। সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা এমনই এক চমকপ্রদ তথ্য প্রকাশ করেছেন। তাঁদের গবেষণায় দেখা , পৃথিবী থেকে চাঁদের দিকে ছুটে যাওয়া অক্সিজেন কণার প্রভাবে চাঁদের খনিজ পদার্থ হেমাটাইটে (haematite) রূপান্তরিত হচ্ছে।
১৭ ঘণ্টা আগেঅর্ধশতাব্দীরও বেশি সময় (৫৩ বছর) পর আবারও চাঁদের উদ্দেশে যাত্রা করতে চলেছে মানবজাতি। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে আর্টেমিস ২ নামের এই মিশনে চারজন নভোচারী চাঁদকে ঘিরে ১০ দিনের মিশনে অংশ নেবেন। ১৯৭২ সালে অ্যাপোলো ১৭-এর পর এই প্রথম কোনো নভোচারী পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথের বাইরে পা রাখবেন।
২ দিন আগেপ্রায় ৬ কোটি ৬০ লাখ বছর আগে পৃথিবীর বুকে ডাইনোসরদের রাজত্বের অবসান হয় এক ভয়ংকর গ্রহাণু আছড়ে পড়ার মাধ্যমে। প্রায় ১২ কিলোমিটার প্রস্থের একটি গ্রহাণু ঘণ্টায় প্রায় ৪৩ হাজার কিলোমিটার গতিতে পৃথিবীতে আঘাত হানে। এই সংঘর্ষের ফলে একের পর এক প্রাণঘাতী ঘটনা শুরু হয়। এটি শেষ পর্যন্ত পৃথিবীতে প্রায় ৭৫ শতাংশ প্রজ
৩ দিন আগেপ্রাচীন মিসরীয়রা তাদের পিরামিডগুলোকে সুরক্ষিত করতে বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছিল। তবে অনেকেই মনে করেন বহিরাগতদের ঠেকাতে তারা পিরামিডের ভেতর ফাঁদ তৈরি করে রাখতেন। এই তথ্য কতটুকু সত্য তা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিজ্ঞান বিষয়ক ওয়েবসাইট লাইভ সায়েন্স।
৪ দিন আগে