অনলাইন ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে উৎপাদন শুরু হচ্ছে ‘সুপারউড’ নামে একধরনের বিশেষ কাঠের। এই কাঠ ইস্পাতের চেয়েও শক্তিশালী, বুলেটপ্রুফ, আগুন প্রতিরোধী এবং ওজনে অনেক হালকা।
উদ্ভাবক প্রতিষ্ঠান ইনভেন্টউড বলছে, সাধারণ নরম কাঠকে রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় ও উচ্চ চাপে সংকুচিত করে এই সুপারউড তৈরি করা হচ্ছে। এতে কাঠের সেলুলোজ আঁশগুলো একসঙ্গে ঘন হয়ে কাঠটি অতিমাত্রায় দৃঢ় হয়। ফলে এর ওজন ইস্পাতের ছয় ভাগের এক ভাগ হলেও, শক্তি কয়েক গুণ বেশি।
এই নতুন কাঠ শুধু শক্তিশালীই নয়, দেখতে চমৎকারও। উৎপাদন প্রক্রিয়ায় কাঠের রং গাঢ় হয়ে ওঠে, কাঠের বিভিন্ন প্রাকৃতিক রেখা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। ইনভেন্টউডের প্রধান নির্বাহী অ্যালেক্স লাউ জানিয়েছেন, সুপারউড এতটাই মজবুত ও কঠিন যে মাত্র আধা ইঞ্চি পুরু একটি কাঠের টুকরোও হাতের জোরে বাঁকানো যায় না।
কাঠটি বুলেটপ্রুফ দরজার মতো ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় ব্যবহারযোগ্য, এমনকি আগুনের প্রতিও প্রতিরোধী—বাইরের অংশ কার্বোনাইজ হয়ে ভেতরের কাঠামোকে রক্ষা করে। তবে আগুনের তাপে ইস্পাত যেমন নরম হয়ে যায়, সুপারউডের তেমন হয় না।
ইনভেন্টউড জানায়, সুপারউড ভবনের কাঠামোতে স্টিল বা কংক্রিটের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা সম্ভব। শুরুতে এই উপাদান দিয়ে সাইডিং, ডেকিং ও উইন্ডো ফ্রেমের মতো অনুষঙ্গ তৈরি করা হবে। ভবিষ্যতে পুরো ভবন নির্মাণেও ব্যবহারের পরিকল্পনা রয়েছে।
ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি বিভাগ থেকে দুই কোটি ডলারের সহায়তা ও বিভিন্ন বেসরকারি বিনিয়োগ মিলিয়ে পাঁচ কোটি ডলারের তহবিল পেয়েছে ইনভেন্টউড। প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে ৯০ হাজার বর্গফুটের একটি কারখানায় পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু করেছে। পরিকল্পনা রয়েছে আরও বড় পরিসরে উৎপাদনের।
২০১৮ সালে এই প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেন সুপারউডের নির্মাতা ও গবেষক, বর্তমানে ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক লিয়াংবিং হু। তিনি বলেন, ‘কাঠকে আণবিক পর্যায়ে পরিবর্তন করে এই কাঠ নির্মাণ করা হয়েছে।’ হু এর আগে স্বচ্ছ কাঠ, প্লাস্টিকের মতো নমনীয় কাঠ এবং রাবারের মতো কাঠ উদ্ভাবন করেছেন।
তবে কাঠটি এখনো স্টিল বা কংক্রিটের মতো দৃঢ় নয়। তাই বড় ভবন নির্মাণে ব্যবহারের আগে বিশেষ নকশা ও অনুমোদনের প্রয়োজন হবে বলে জানিয়েছে ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এমআইটি) বিল্ডিং টেকনোলজি বিভাগের পরিচালক কেটলিন মুলার।
ইনভেন্টউডের প্রধান নির্বাহী অ্যালেক্স লাউ বলেন, ‘আমাদের কারখানার কাঠামো এখনো ইস্পাতের, তবে আমরা আশা করি ভবিষ্যতে সুপারউড দিয়েই এই ধরনের কারখানা তৈরি সম্ভব হবে।’
আজকের দিনে কাঠ দিয়ে সুউচ্চ ভবন নির্মাণের ভাবনাটি কল্পনা নয়। পোর্টল্যান্ডে দুই বিলিয়ন ডলারের বিমানবন্দর টার্মিনালসহ একাধিক বড় প্রকল্পে ইতিমধ্যেই ব্যবহার শুরু হয়েছে। বিশাল ভবনের কাঠামো নির্মাণে ব্যবহার হচ্ছে ক্রস-ল্যামিনেটেড টিম্বার ও অন্যান্য ধরনের বিশেষ কাঠ। সুপারউড সেই ধারারই সর্বশেষ সংযোজন।
সুপারউড ব্যবহারের সুযোগ ভবিষ্যতে আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এর গঠন কাঠের হলেও গুণাগুণ কার্বন ফাইবারের মতো তবে বেশি ভঙ্গুর নয়। ফলে ভবিষ্যতের ইভিটল (eVTOL) উড়ন্ত যান, খেলাধুলার সরঞ্জাম কিংবা ইলেকট্রনিক যন্ত্রেও এর ব্যবহার হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে উৎপাদন শুরু হচ্ছে ‘সুপারউড’ নামে একধরনের বিশেষ কাঠের। এই কাঠ ইস্পাতের চেয়েও শক্তিশালী, বুলেটপ্রুফ, আগুন প্রতিরোধী এবং ওজনে অনেক হালকা।
উদ্ভাবক প্রতিষ্ঠান ইনভেন্টউড বলছে, সাধারণ নরম কাঠকে রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় ও উচ্চ চাপে সংকুচিত করে এই সুপারউড তৈরি করা হচ্ছে। এতে কাঠের সেলুলোজ আঁশগুলো একসঙ্গে ঘন হয়ে কাঠটি অতিমাত্রায় দৃঢ় হয়। ফলে এর ওজন ইস্পাতের ছয় ভাগের এক ভাগ হলেও, শক্তি কয়েক গুণ বেশি।
এই নতুন কাঠ শুধু শক্তিশালীই নয়, দেখতে চমৎকারও। উৎপাদন প্রক্রিয়ায় কাঠের রং গাঢ় হয়ে ওঠে, কাঠের বিভিন্ন প্রাকৃতিক রেখা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। ইনভেন্টউডের প্রধান নির্বাহী অ্যালেক্স লাউ জানিয়েছেন, সুপারউড এতটাই মজবুত ও কঠিন যে মাত্র আধা ইঞ্চি পুরু একটি কাঠের টুকরোও হাতের জোরে বাঁকানো যায় না।
কাঠটি বুলেটপ্রুফ দরজার মতো ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় ব্যবহারযোগ্য, এমনকি আগুনের প্রতিও প্রতিরোধী—বাইরের অংশ কার্বোনাইজ হয়ে ভেতরের কাঠামোকে রক্ষা করে। তবে আগুনের তাপে ইস্পাত যেমন নরম হয়ে যায়, সুপারউডের তেমন হয় না।
ইনভেন্টউড জানায়, সুপারউড ভবনের কাঠামোতে স্টিল বা কংক্রিটের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা সম্ভব। শুরুতে এই উপাদান দিয়ে সাইডিং, ডেকিং ও উইন্ডো ফ্রেমের মতো অনুষঙ্গ তৈরি করা হবে। ভবিষ্যতে পুরো ভবন নির্মাণেও ব্যবহারের পরিকল্পনা রয়েছে।
ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি বিভাগ থেকে দুই কোটি ডলারের সহায়তা ও বিভিন্ন বেসরকারি বিনিয়োগ মিলিয়ে পাঁচ কোটি ডলারের তহবিল পেয়েছে ইনভেন্টউড। প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে ৯০ হাজার বর্গফুটের একটি কারখানায় পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু করেছে। পরিকল্পনা রয়েছে আরও বড় পরিসরে উৎপাদনের।
২০১৮ সালে এই প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেন সুপারউডের নির্মাতা ও গবেষক, বর্তমানে ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক লিয়াংবিং হু। তিনি বলেন, ‘কাঠকে আণবিক পর্যায়ে পরিবর্তন করে এই কাঠ নির্মাণ করা হয়েছে।’ হু এর আগে স্বচ্ছ কাঠ, প্লাস্টিকের মতো নমনীয় কাঠ এবং রাবারের মতো কাঠ উদ্ভাবন করেছেন।
তবে কাঠটি এখনো স্টিল বা কংক্রিটের মতো দৃঢ় নয়। তাই বড় ভবন নির্মাণে ব্যবহারের আগে বিশেষ নকশা ও অনুমোদনের প্রয়োজন হবে বলে জানিয়েছে ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এমআইটি) বিল্ডিং টেকনোলজি বিভাগের পরিচালক কেটলিন মুলার।
ইনভেন্টউডের প্রধান নির্বাহী অ্যালেক্স লাউ বলেন, ‘আমাদের কারখানার কাঠামো এখনো ইস্পাতের, তবে আমরা আশা করি ভবিষ্যতে সুপারউড দিয়েই এই ধরনের কারখানা তৈরি সম্ভব হবে।’
আজকের দিনে কাঠ দিয়ে সুউচ্চ ভবন নির্মাণের ভাবনাটি কল্পনা নয়। পোর্টল্যান্ডে দুই বিলিয়ন ডলারের বিমানবন্দর টার্মিনালসহ একাধিক বড় প্রকল্পে ইতিমধ্যেই ব্যবহার শুরু হয়েছে। বিশাল ভবনের কাঠামো নির্মাণে ব্যবহার হচ্ছে ক্রস-ল্যামিনেটেড টিম্বার ও অন্যান্য ধরনের বিশেষ কাঠ। সুপারউড সেই ধারারই সর্বশেষ সংযোজন।
সুপারউড ব্যবহারের সুযোগ ভবিষ্যতে আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এর গঠন কাঠের হলেও গুণাগুণ কার্বন ফাইবারের মতো তবে বেশি ভঙ্গুর নয়। ফলে ভবিষ্যতের ইভিটল (eVTOL) উড়ন্ত যান, খেলাধুলার সরঞ্জাম কিংবা ইলেকট্রনিক যন্ত্রেও এর ব্যবহার হতে পারে।
বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও চিকিৎসাক্ষেত্রে অগ্রণী কিছু ভবিষ্যৎদ্রষ্টা মনে করছেন, মানুষ এখন আর আগের মতো কেবল শতবর্ষ আয়ুর স্বপ্ন দেখছে না। বরং এমন এক সময় আসছে, যখন আমরা স্বাভাবিক আয়ুর চেয়ে ১০ গুণ বেশি সময়, অর্থাৎ হাজার বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারি।
১ দিন আগেআমাদের সূর্যের চেয়ে ৩৬০০ গুণ বেশি ভরের বিশালাকৃতির ব্ল্যাকহোল খুঁজে পেলেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। এটি এখন পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া সবচেয়ে বড় ব্ল্যাকহোলগুলোর একটি এবং সম্ভবত সর্ববৃহৎ। ব্ল্যাকহোলটি অবস্থান করছে ‘কসমিক হর্সশু’ নামের একটি গ্যালাক্সির কেন্দ্রে, যা পৃথিবী থেকে প্রায় ৫০০ কোটি আলোকবর্ষ দূরে।
১ দিন আগেপৃথিবীর বাইরের কোনো গ্রহে যদি একদিন মানুষের বসতি গড়তে হয়, তাহলে কেমন হবে সেই পরিবেশ? সেটা বোঝার চেষ্টা থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনায় তৈরি হয়েছিল ‘বায়োস্ফিয়ার ২’। তিন একরের বেশি জায়গাজুড়ে নির্মিত বিশাল কাচঘেরা ভবনটি যেন এক কৃত্রিম পৃথিবী।
২ দিন আগেযুক্তরাষ্ট্রের ওহাইওর এক দম্পতি সম্প্রতি এক চমৎকার ঘটনা ঘটিয়েছেন। তাঁরা সন্তান জন্ম দিয়ে নতুন এক বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন। কারণ, যে ভ্রূণ থেকে তাদের সন্তানের জন্ম হয়েছে তা ওই দম্পতির শুক্রাণু ও ডিম্বাণু থেকে তৈরি হয়নি। মূলত, তাঁরা ৩১ বছর ধরে সংরক্ষণ করে রাখা এক ভ্রূণ থেকে তাদের সন্তানের জন্ম দিয়েছেন।
২ দিন আগে