অনলাইন ডেস্ক
মহাকাশে নতুন এক রহস্যময় বস্তুর খোঁজ পেয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। এটি আমাদের সৌরজগতের বাইরে থেকে এসেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাই যদি হয়, তবে এটি হবে ২০১৭ সালে আবিষ্কৃত দীর্ঘায়িত মহাজাগতিক বস্তু ‘ওমুয়ামুয়া’ এবং ২০১৯ সালের আবিষ্কৃত ধূমকেতু ‘২ আই/বোরিসভ’-এর পর তৃতীয় কোনো সৌরজগৎবহির্ভূত বস্তু। এ ধরনের বস্তুকে বিজ্ঞানীরা সাধারণভাবে অভিহিত করেন ‘ইন্টারস্টেলার অবজেক্ট’ বা আন্তনাক্ষত্রিক বস্তু হিসেবে।
বিজ্ঞানীরা এই বস্তুর নাম রেখেছেন–‘এ ১১ পিএল ৩ জেড’। এটি প্রায় মাউন্ট এভারেস্টের দ্বিগুণ চওড়া—অর্থাৎ, প্রায় ২০ কিলোমিটার বা ১২ মাইল ব্যাসবিশিষ্ট।
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা (ইএসএ) জানায়, ‘জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা হয়তো সদ্য আবিষ্কার করেছেন সৌরজগৎ দিয়ে অতিক্রমকারী তৃতীয় আন্তনাক্ষত্রিক বস্তু!’ বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা টেলিস্কোপের মাধ্যমে বস্তুটিকে পর্যবেক্ষণ করছে সংস্থাটি প্লেনেটারি ডিফেন্ডারস দল।
গত ১ জুলাই ‘এ ১১ পিএল ৩ জেড’কে আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিজ্ঞান সংস্থার মাইনর প্ল্যানেট সেন্টার নিয়ার–আর্থ অবজেক্ট তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তবে বন্তুটি বৃহৎ গ্রহাণু না ধূমকেতু, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বস্তুটির গতিপথ অত্যন্ত বক্র, যা ইঙ্গিত দেয় এটি সৌরজগতের বাইরে থেকে এসেছে।
এই বস্তুর উজ্জ্বলতা ম্যাগনিচ্যুড স্কেলে প্রায় ১৮ দশমিক ৮, যা এতই ম্লান যে খালি চোখে তো দূরের কথা, সাধারণ শখের টেলিস্কোপেও এটি দেখা যায় না।
তবে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা আশ্বস্ত করছেন, এ১১ পিএল ৩ জেড পৃথিবীর কোনো ক্ষতি করবে না। এটি মঙ্গলের কাছাকাছি দিয়ে যাবে এবং সূর্যের সর্বাধিক নিকটবর্তী অবস্থানে (perihelion) পৌঁছাবে অক্টোবরে। তখন এটি প্রতি সেকেন্ডে ৬৮ কিলোমিটার বা ঘণ্টায় প্রায় ২ লাখ ৪৫ হাজার কিলোমিটার গতিতে চলবে।
তবে অক্টোবরে যখন এটি সূর্যের খুব কাছ দিয়ে যাবে, তখন পৃথিবী থেকে পর্যবেক্ষণ করা কঠিন হবে। কারণ সূর্যের তীব্র আলোয় সেটি আড়াল হয়ে যাবে। এরপর ‘এ ১১ পিএল ৩ জেড’ ধীরে ধীরে সৌরজগৎ থেকে বেরিয়ে দূর মহাকাশে হারিয়ে যাবে।
২০১৭ সালের ১৯ অক্টোবর প্রথম আন্তনাক্ষত্রিক বস্তু ‘ওমুয়ামুয়া’র আবিষ্কার করেন বিজ্ঞানীরা, হাওয়াইয়ান ভাষায় যার অর্থ ‘দূর থেকে আগত প্রথম বার্তাবাহক।’ এটি অদ্ভুত আচরণ করছিল–নিজে নিজেই গতি বাড়াচ্ছিল এবং অত্যন্ত লম্বা, সসেজের মতো গড়নের ছিল বলে ধারণা করা হয়। এতটাই অস্বাভাবিক আচরণ করেছিল যে, অনেকেই এর ভিনগ্রহের বুদ্ধিমান প্রাণীর সৃষ্টি বলে সন্দেহ করেছিলেন।
দ্বিতীয় আন্তনাক্ষত্রিক বস্তু ২ আই/বোরিসভ আবিষ্কার হয় ২০১৯ সালের ৩০ আগস্টে। ক্রিমিয়ার একজন শখের জ্যোতির্বিজ্ঞানী গেন্নাদি বরিসভ এটি আবিষ্কার করেন। এটি আকারে ছিল প্রায় ৬ কিলোমিটার এবং একেবারে প্রচলিত ধূমকেতুর মতো আচরণ করছিল। তবে এটি একটি ‘হাইপারবোলিক’ কক্ষপথ ছিল। সে জন্যই এটি আমাদের পরিচিত জগতের বাইরের বস্তু হিসেবে শনাক্ত করা হয়।
মহাকাশে নতুন এক রহস্যময় বস্তুর খোঁজ পেয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। এটি আমাদের সৌরজগতের বাইরে থেকে এসেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাই যদি হয়, তবে এটি হবে ২০১৭ সালে আবিষ্কৃত দীর্ঘায়িত মহাজাগতিক বস্তু ‘ওমুয়ামুয়া’ এবং ২০১৯ সালের আবিষ্কৃত ধূমকেতু ‘২ আই/বোরিসভ’-এর পর তৃতীয় কোনো সৌরজগৎবহির্ভূত বস্তু। এ ধরনের বস্তুকে বিজ্ঞানীরা সাধারণভাবে অভিহিত করেন ‘ইন্টারস্টেলার অবজেক্ট’ বা আন্তনাক্ষত্রিক বস্তু হিসেবে।
বিজ্ঞানীরা এই বস্তুর নাম রেখেছেন–‘এ ১১ পিএল ৩ জেড’। এটি প্রায় মাউন্ট এভারেস্টের দ্বিগুণ চওড়া—অর্থাৎ, প্রায় ২০ কিলোমিটার বা ১২ মাইল ব্যাসবিশিষ্ট।
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা (ইএসএ) জানায়, ‘জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা হয়তো সদ্য আবিষ্কার করেছেন সৌরজগৎ দিয়ে অতিক্রমকারী তৃতীয় আন্তনাক্ষত্রিক বস্তু!’ বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা টেলিস্কোপের মাধ্যমে বস্তুটিকে পর্যবেক্ষণ করছে সংস্থাটি প্লেনেটারি ডিফেন্ডারস দল।
গত ১ জুলাই ‘এ ১১ পিএল ৩ জেড’কে আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিজ্ঞান সংস্থার মাইনর প্ল্যানেট সেন্টার নিয়ার–আর্থ অবজেক্ট তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তবে বন্তুটি বৃহৎ গ্রহাণু না ধূমকেতু, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বস্তুটির গতিপথ অত্যন্ত বক্র, যা ইঙ্গিত দেয় এটি সৌরজগতের বাইরে থেকে এসেছে।
এই বস্তুর উজ্জ্বলতা ম্যাগনিচ্যুড স্কেলে প্রায় ১৮ দশমিক ৮, যা এতই ম্লান যে খালি চোখে তো দূরের কথা, সাধারণ শখের টেলিস্কোপেও এটি দেখা যায় না।
তবে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা আশ্বস্ত করছেন, এ১১ পিএল ৩ জেড পৃথিবীর কোনো ক্ষতি করবে না। এটি মঙ্গলের কাছাকাছি দিয়ে যাবে এবং সূর্যের সর্বাধিক নিকটবর্তী অবস্থানে (perihelion) পৌঁছাবে অক্টোবরে। তখন এটি প্রতি সেকেন্ডে ৬৮ কিলোমিটার বা ঘণ্টায় প্রায় ২ লাখ ৪৫ হাজার কিলোমিটার গতিতে চলবে।
তবে অক্টোবরে যখন এটি সূর্যের খুব কাছ দিয়ে যাবে, তখন পৃথিবী থেকে পর্যবেক্ষণ করা কঠিন হবে। কারণ সূর্যের তীব্র আলোয় সেটি আড়াল হয়ে যাবে। এরপর ‘এ ১১ পিএল ৩ জেড’ ধীরে ধীরে সৌরজগৎ থেকে বেরিয়ে দূর মহাকাশে হারিয়ে যাবে।
২০১৭ সালের ১৯ অক্টোবর প্রথম আন্তনাক্ষত্রিক বস্তু ‘ওমুয়ামুয়া’র আবিষ্কার করেন বিজ্ঞানীরা, হাওয়াইয়ান ভাষায় যার অর্থ ‘দূর থেকে আগত প্রথম বার্তাবাহক।’ এটি অদ্ভুত আচরণ করছিল–নিজে নিজেই গতি বাড়াচ্ছিল এবং অত্যন্ত লম্বা, সসেজের মতো গড়নের ছিল বলে ধারণা করা হয়। এতটাই অস্বাভাবিক আচরণ করেছিল যে, অনেকেই এর ভিনগ্রহের বুদ্ধিমান প্রাণীর সৃষ্টি বলে সন্দেহ করেছিলেন।
দ্বিতীয় আন্তনাক্ষত্রিক বস্তু ২ আই/বোরিসভ আবিষ্কার হয় ২০১৯ সালের ৩০ আগস্টে। ক্রিমিয়ার একজন শখের জ্যোতির্বিজ্ঞানী গেন্নাদি বরিসভ এটি আবিষ্কার করেন। এটি আকারে ছিল প্রায় ৬ কিলোমিটার এবং একেবারে প্রচলিত ধূমকেতুর মতো আচরণ করছিল। তবে এটি একটি ‘হাইপারবোলিক’ কক্ষপথ ছিল। সে জন্যই এটি আমাদের পরিচিত জগতের বাইরের বস্তু হিসেবে শনাক্ত করা হয়।
বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর নিকটতম নক্ষত্রমণ্ডল আলফা সেন্টরিতে এক বিশাল গ্যাস গ্রহ থাকার শক্ত প্রমাণ পেয়েছেন। জ্যোতির্বিজ্ঞানের হিসাবে সাড়ে চার আলোকবর্ষ দূরের এই প্রাণহীন গ্রহকে পৃথিবীর ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এর উপগ্রহে জীবনের উপযোগী পরিবেশ থাকার সম্ভাবনাও রয়েছে!
৫ ঘণ্টা আগেইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের ‘ক্রু-১১’ মিশনের মাধ্যমে চারজন নভোচারী একটি ব্যতিক্রমধর্মী বৈজ্ঞানিক গবেষণার উদ্দেশ্যে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) পৌঁছেছেন। গত ১ আগস্ট উৎক্ষেপণ হওয়া এই অভিযানে নভোচারীরা সঙ্গে নিয়েছেন রোগ সৃষ্টিকারী কয়েকটি ব্যাকটেরিয়া।
২ দিন আগেচাঁদের মাটিতে ২০৩০ সালের মধ্যে পারমাণবিক চুল্লি স্থাপনের নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে নাসা। এই পদক্ষেপ চাঁদে মানুষের স্থায়ী বসতি গড়ার উচ্চাভিলাষের অংশ। কারণ, মানুষের বসবাসের জন্য সেখানে নিরবচ্ছিন্ন শক্তি সরবরাহ নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
২ দিন আগেআমরা যখন ‘নাসা’ নিয়ে ভাবি, তখন আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে রকেট আর মহাকাশ অভিযান। এটিই স্বাভাবিক, কারণ মহাকাশ-সংক্রান্ত নাসার অন্যান্য অর্জনই সংবাদমাধ্যমে বেশি প্রকাশ পায়। তবে অনেকেই জানেন না, নাসার রকেট বা মহাকাশযানের পাশাপাশি নিজস্ব যুদ্ধবিমানের বহর রয়েছে।
৫ দিন আগে