নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অবশেষে ঘোষণা করা হলো নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ শুক্রবার রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে আনুষ্ঠানিক দলটির আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। এরই মধ্যে দলটির আহ্বায়ক, সদস্যসচিবসহ ১৫১ জন নেতার নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
তরুণদের নতুন এই রাজনৈতিক দলের আহ্বায়ক হিসেবে নাহিদ ইসলামের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। সদস্যসচিব পদে রয়েছেন আখতার হোসেন। নতুন দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, আরিফুল ইসলাম আদিব; সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা, নাহিদা সরওয়ার নিভা; মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ; মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম; মুখ্য সমন্বয়কারী নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী; সিনিয়র মুখ্য সমন্বয়কারী আব্দুল হান্নান মাসউদ।
মো. নাহিদ ইসলামের জন্ম ১৯৯৮ সালে, ঢাকার অদূরে ফকিরখালীতে। ২০১৪ সালে ঢাকার দক্ষিণ বনশ্রী মডেল হাইস্কুল থেকে এসএসসি ও ২০১৬ সালে সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগে। তিনি দলনিরপেক্ষ ছাত্রসংগঠন গণতান্ত্রিক ছাত্র শক্তির সদস্যসচিব ছিলেন। ২০১৯ সালে ডাকসু নির্বাচনে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের প্যানেলের সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে নির্বাচন করেছেন। চব্বিশের জুলাই আন্দোলনে সমন্বয়ক হিসেবে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে আলোচনায় আসেন নাহিদ। আন্দোলন চলাকালে পুলিশি নির্যাতনের শিকার হয়ে দেশবাসীর কাছে তাঁর নাম পরিচিতি পায় ব্যাপকভাবে। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টার দায়িত্ব পান নাহিদ। সেই পদ থেকে সরে এসে রাজনীতিতে যুক্ত হলেন।
সদস্যসচিব আখতার হোসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের সাবেক শিক্ষার্থী ও ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক। ২০১৯ সালে ডাকসু নির্বাচনে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের প্যানেল থেকে এই পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। ২০১৮ সালের কোটা আন্দোলনে তিনি ভূমিকা রাখেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদেও দায়িত্ব পালন করেন আখতার। গণতান্ত্রিক ছাত্র শক্তির আহ্বায়ক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। আখতার হোসেনের বাড়ি রংপুরের মিঠাপুকুরে।
জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরে তিনি জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থীদের মোর্চা ‘নিপীড়ন বিরোধী শিক্ষার্থীবৃন্দ’-এর সংগঠক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদিব জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের সাবেক শিক্ষার্থী। ২০১৮ সালের কোটা আন্দোলনে জাবি শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে তাঁর সাংগঠনিক পথচলা শুরু। ২০১৯ সালে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ছিলেন তিনি। পরে রাজনৈতিক দল গণঅধিকার পরিষদের ঘোষণাপত্র প্রণয়ন কমিটির সদস্য ও প্রতিষ্ঠাকালীন সংগঠক ছিলেন। ২০২৩ সালে ১৬ ছাত্র সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র ঐক্যের সমন্বয়ক ছিলেন। এ ছাড়া ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা ‘সহায়’ নামের একটি স্বাস্থ্য-প্রযুক্তি স্টার্টআপের সহপ্রতিষ্ঠাতা। তিনি মূলত স্বাস্থ্যসম্পর্কিত একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে পরিচিত। দুই বছরের কম সময়ে তাঁর স্বাস্থ্যসম্পর্কিত ভিডিওগুলো প্রায় অর্ধশত কোটি ভিউ পেয়েছে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় ৭ মিলিয়ন ফলোয়ার রয়েছে তাঁর। তাঁকে যুক্তরাজ্য সরকার ‘ভ্যাকসিন লুমিনারি’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। অক্সফোর্ডে প্রমাণভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত তাসনিম বর্তমানে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে অভ্যন্তরীণ চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করছেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের ক্লিনিক্যাল সুপারভাইজার হিসেবে পাঠদান করছেন। সামাজিক যোগাযাগমাধ্যমে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পক্ষে অবস্থান নিয়ে নতুনভাবে আলোচনায় আসেন তিনি।
জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব নাহিদা সরওয়ার (নিভা) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী। ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন, নিরাপদ সড়ক আন্দোলন, ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। চব্বিশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মাঠপর্যায়ে আন্দোলনের পাশাপাশি সমন্বয়কদের নিরাপত্তা, সহায়তা দিয়েও ভূমিকা রাখেন তিনি।
মুখ্য সমন্বয়কারী নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ফেডারেশনে সদস্য ছিলেন। এবি পার্টির ছাত্রসংগঠনেও (ছাত্র পক্ষ) উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেছেন নাসীরুদ্দীন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের মার্কেটিং বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী তিনি। ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে সীমান্ত হত্যা বন্ধের দাবিতে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন নাসীরুদ্দীন। চব্বিশের ৩ আগস্ট নাহিদ ইসলামের স্বৈরাচারী পতনের ১ দফা ঘোষণার সময় তাঁর পাশে ছিলেন তিনি। পরে জাতীয় নাগরিক কমিটি গঠিত হলে সেখানে আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পান তিনি।
যুগ্ম সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংলিশ ফর স্পিকারস অব আদার ল্যাংগুয়েজেসের (ইসল) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও মুখ্য সংগঠকের দায়িত্ব পালন করেন। নোয়াখালীর হাতিয়ায় বেড়ে ওঠেন মাসউদ।
মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের ইংরেজি বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ভবনে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজের মন্থরগতির বিরুদ্ধে আন্দোলন ও অনশন করে ২০২৩ সালে আলোচনায় আসেন হাসনাত। পরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সমন্বয়ক হিসেবে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন। তাঁর বাড়ি কুমিল্লার দেবিদ্বারে।
মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী। ২০১৯ সালে ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে অমর একুশে হলে সদস্য পদে নির্বাচিত হন। পঞ্চগড় জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। পরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক হিসেবে সামনের সারিতে নেতৃত্ব দিয়ে আলোচনায় আসেন। তাঁর বাড়ি পঞ্চগড়ের আটোয়ারী।
নতুন দলে আরও যাঁদের নাম রয়েছে
যুগ্ম আহ্বায়ক নুসরাত তাবাসসুম, মনিরা শারমিন, মাহবুব আলম, সরোয়ার তুষার, মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন, তাসনুভা জেবিন, সুলতান মো. জাকারিয়া, আতিক মুজাহিদ, আশরাফ উদ্দিন মাহাদী, অর্পিতা শ্যামা দেব, তানজিল মাহমুদ, অনিক রায়, খালেদ সাইফুল্লাহ, জাবেদ নাসিম, এহতেশাম হক এবং হাসান আলী। যুগ্ম সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল আমিন, আরিফ সোহেল, রশিদুল ইসলাম রিফাত, মাহিন সরকার, নিজাম উদ্দিন, আকরাম হোসেন সিএফ, এস এম সাইফ মোস্তাফিজ, সালেহ উদ্দিন সিফাত। দপ্তরে সংযুক্ত আলাউদ্দিন মোহাম্মদ, ফরিদ উদ্দিন, ফরহাদ আলম ভূঁইয়া, মিরাজ মিয়া, লুৎফর রহমান, মঈনুল ইসলাম তুহিন, মুশফিক-উস সালেহীন, জাহিদুল ইসলাম, জহিরুল ইসলাম মুসা, হুমায়ুরা নূর, মুশফিকুর রহমান জোহান, মোল্লা মোহাম্মদ ফারুক এহসান, সাগুফতা বুশরা মিশমা, আহনাফ সাঈদ খান, আবু সাঈদ মো. সুজাউদ্দিন, মীর আরশাদুল হক, ফয়সাল মাহমুদ শান্ত, তারেক রেজা, মশিউর রহমান, জয়নাল আবেদীন শিশির, মুনতাসির রহমান, গাজী সালাহউদ্দিন তানভীর, তামিম আহমেদ এবং তাহসিন রিয়াজ। দক্ষিণাঞ্চলের যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মো. আতাউল্লাহ, ডা. মাহমুদা মিতু, মোল্লা রহমতউল্লাহ, এস এম শাহরিয়ার, জোবায়ের আরিফ। উত্তরাঞ্চলের যুগ্ম মুখ্য সংগঠক সাইফুল্লাহ হায়দার, আলী নাসের খান, সাকিব মাহাদী, মেজর (অব.) আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, সাদিয়া ফারজানা দিনা, অলিক মৃ, হানিফ খান সজীব।
যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়কারী তারিকুল ইসলাম, যুব উইং ডা. আবদুল আহাদ, দিলশানা পারুল, আবু হানিফ, আবদুস জাহির, মাজহারুল ইসলাম ফকির, গোলাম মুর্তুজা সেলিম, আশেকীন আলম, ডা. জাহিদুল বারী, কৈলাশ চন্দ্র দাস, ডিম্পালী ডেভিড রাজু, শাহ মঈনুদ্দিন, সাদ্দাম হোসেন। জাতীয় নাগরিক পার্টির আংশিক কমিটি ঘোষণার কথা জানিয়ে আখতার হোসেন বলেন, বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি প্রকাশ করা হবে।

অবশেষে ঘোষণা করা হলো নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ শুক্রবার রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে আনুষ্ঠানিক দলটির আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। এরই মধ্যে দলটির আহ্বায়ক, সদস্যসচিবসহ ১৫১ জন নেতার নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
তরুণদের নতুন এই রাজনৈতিক দলের আহ্বায়ক হিসেবে নাহিদ ইসলামের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। সদস্যসচিব পদে রয়েছেন আখতার হোসেন। নতুন দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, আরিফুল ইসলাম আদিব; সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা, নাহিদা সরওয়ার নিভা; মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ; মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম; মুখ্য সমন্বয়কারী নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী; সিনিয়র মুখ্য সমন্বয়কারী আব্দুল হান্নান মাসউদ।
মো. নাহিদ ইসলামের জন্ম ১৯৯৮ সালে, ঢাকার অদূরে ফকিরখালীতে। ২০১৪ সালে ঢাকার দক্ষিণ বনশ্রী মডেল হাইস্কুল থেকে এসএসসি ও ২০১৬ সালে সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগে। তিনি দলনিরপেক্ষ ছাত্রসংগঠন গণতান্ত্রিক ছাত্র শক্তির সদস্যসচিব ছিলেন। ২০১৯ সালে ডাকসু নির্বাচনে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের প্যানেলের সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে নির্বাচন করেছেন। চব্বিশের জুলাই আন্দোলনে সমন্বয়ক হিসেবে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে আলোচনায় আসেন নাহিদ। আন্দোলন চলাকালে পুলিশি নির্যাতনের শিকার হয়ে দেশবাসীর কাছে তাঁর নাম পরিচিতি পায় ব্যাপকভাবে। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টার দায়িত্ব পান নাহিদ। সেই পদ থেকে সরে এসে রাজনীতিতে যুক্ত হলেন।
সদস্যসচিব আখতার হোসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের সাবেক শিক্ষার্থী ও ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক। ২০১৯ সালে ডাকসু নির্বাচনে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের প্যানেল থেকে এই পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। ২০১৮ সালের কোটা আন্দোলনে তিনি ভূমিকা রাখেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদেও দায়িত্ব পালন করেন আখতার। গণতান্ত্রিক ছাত্র শক্তির আহ্বায়ক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। আখতার হোসেনের বাড়ি রংপুরের মিঠাপুকুরে।
জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরে তিনি জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থীদের মোর্চা ‘নিপীড়ন বিরোধী শিক্ষার্থীবৃন্দ’-এর সংগঠক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদিব জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের সাবেক শিক্ষার্থী। ২০১৮ সালের কোটা আন্দোলনে জাবি শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে তাঁর সাংগঠনিক পথচলা শুরু। ২০১৯ সালে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ছিলেন তিনি। পরে রাজনৈতিক দল গণঅধিকার পরিষদের ঘোষণাপত্র প্রণয়ন কমিটির সদস্য ও প্রতিষ্ঠাকালীন সংগঠক ছিলেন। ২০২৩ সালে ১৬ ছাত্র সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র ঐক্যের সমন্বয়ক ছিলেন। এ ছাড়া ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা ‘সহায়’ নামের একটি স্বাস্থ্য-প্রযুক্তি স্টার্টআপের সহপ্রতিষ্ঠাতা। তিনি মূলত স্বাস্থ্যসম্পর্কিত একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে পরিচিত। দুই বছরের কম সময়ে তাঁর স্বাস্থ্যসম্পর্কিত ভিডিওগুলো প্রায় অর্ধশত কোটি ভিউ পেয়েছে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় ৭ মিলিয়ন ফলোয়ার রয়েছে তাঁর। তাঁকে যুক্তরাজ্য সরকার ‘ভ্যাকসিন লুমিনারি’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। অক্সফোর্ডে প্রমাণভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত তাসনিম বর্তমানে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে অভ্যন্তরীণ চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করছেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের ক্লিনিক্যাল সুপারভাইজার হিসেবে পাঠদান করছেন। সামাজিক যোগাযাগমাধ্যমে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পক্ষে অবস্থান নিয়ে নতুনভাবে আলোচনায় আসেন তিনি।
জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব নাহিদা সরওয়ার (নিভা) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী। ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন, নিরাপদ সড়ক আন্দোলন, ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। চব্বিশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মাঠপর্যায়ে আন্দোলনের পাশাপাশি সমন্বয়কদের নিরাপত্তা, সহায়তা দিয়েও ভূমিকা রাখেন তিনি।
মুখ্য সমন্বয়কারী নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ফেডারেশনে সদস্য ছিলেন। এবি পার্টির ছাত্রসংগঠনেও (ছাত্র পক্ষ) উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেছেন নাসীরুদ্দীন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের মার্কেটিং বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী তিনি। ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে সীমান্ত হত্যা বন্ধের দাবিতে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন নাসীরুদ্দীন। চব্বিশের ৩ আগস্ট নাহিদ ইসলামের স্বৈরাচারী পতনের ১ দফা ঘোষণার সময় তাঁর পাশে ছিলেন তিনি। পরে জাতীয় নাগরিক কমিটি গঠিত হলে সেখানে আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পান তিনি।
যুগ্ম সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংলিশ ফর স্পিকারস অব আদার ল্যাংগুয়েজেসের (ইসল) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও মুখ্য সংগঠকের দায়িত্ব পালন করেন। নোয়াখালীর হাতিয়ায় বেড়ে ওঠেন মাসউদ।
মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের ইংরেজি বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ভবনে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজের মন্থরগতির বিরুদ্ধে আন্দোলন ও অনশন করে ২০২৩ সালে আলোচনায় আসেন হাসনাত। পরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সমন্বয়ক হিসেবে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন। তাঁর বাড়ি কুমিল্লার দেবিদ্বারে।
মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী। ২০১৯ সালে ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে অমর একুশে হলে সদস্য পদে নির্বাচিত হন। পঞ্চগড় জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। পরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক হিসেবে সামনের সারিতে নেতৃত্ব দিয়ে আলোচনায় আসেন। তাঁর বাড়ি পঞ্চগড়ের আটোয়ারী।
নতুন দলে আরও যাঁদের নাম রয়েছে
যুগ্ম আহ্বায়ক নুসরাত তাবাসসুম, মনিরা শারমিন, মাহবুব আলম, সরোয়ার তুষার, মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন, তাসনুভা জেবিন, সুলতান মো. জাকারিয়া, আতিক মুজাহিদ, আশরাফ উদ্দিন মাহাদী, অর্পিতা শ্যামা দেব, তানজিল মাহমুদ, অনিক রায়, খালেদ সাইফুল্লাহ, জাবেদ নাসিম, এহতেশাম হক এবং হাসান আলী। যুগ্ম সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল আমিন, আরিফ সোহেল, রশিদুল ইসলাম রিফাত, মাহিন সরকার, নিজাম উদ্দিন, আকরাম হোসেন সিএফ, এস এম সাইফ মোস্তাফিজ, সালেহ উদ্দিন সিফাত। দপ্তরে সংযুক্ত আলাউদ্দিন মোহাম্মদ, ফরিদ উদ্দিন, ফরহাদ আলম ভূঁইয়া, মিরাজ মিয়া, লুৎফর রহমান, মঈনুল ইসলাম তুহিন, মুশফিক-উস সালেহীন, জাহিদুল ইসলাম, জহিরুল ইসলাম মুসা, হুমায়ুরা নূর, মুশফিকুর রহমান জোহান, মোল্লা মোহাম্মদ ফারুক এহসান, সাগুফতা বুশরা মিশমা, আহনাফ সাঈদ খান, আবু সাঈদ মো. সুজাউদ্দিন, মীর আরশাদুল হক, ফয়সাল মাহমুদ শান্ত, তারেক রেজা, মশিউর রহমান, জয়নাল আবেদীন শিশির, মুনতাসির রহমান, গাজী সালাহউদ্দিন তানভীর, তামিম আহমেদ এবং তাহসিন রিয়াজ। দক্ষিণাঞ্চলের যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মো. আতাউল্লাহ, ডা. মাহমুদা মিতু, মোল্লা রহমতউল্লাহ, এস এম শাহরিয়ার, জোবায়ের আরিফ। উত্তরাঞ্চলের যুগ্ম মুখ্য সংগঠক সাইফুল্লাহ হায়দার, আলী নাসের খান, সাকিব মাহাদী, মেজর (অব.) আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, সাদিয়া ফারজানা দিনা, অলিক মৃ, হানিফ খান সজীব।
যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়কারী তারিকুল ইসলাম, যুব উইং ডা. আবদুল আহাদ, দিলশানা পারুল, আবু হানিফ, আবদুস জাহির, মাজহারুল ইসলাম ফকির, গোলাম মুর্তুজা সেলিম, আশেকীন আলম, ডা. জাহিদুল বারী, কৈলাশ চন্দ্র দাস, ডিম্পালী ডেভিড রাজু, শাহ মঈনুদ্দিন, সাদ্দাম হোসেন। জাতীয় নাগরিক পার্টির আংশিক কমিটি ঘোষণার কথা জানিয়ে আখতার হোসেন বলেন, বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি প্রকাশ করা হবে।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) শিগগির প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করবে। ৭- ৮ নভেম্বরের দিকে এই তালিকা ঘোষণা করা হতে পারে বলে এনসিপি সূত্রে জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য ২৩৭ আসনের বিপরীতে সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আল
২ ঘণ্টা আগে
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকার একটি আসনে গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্বজনদের সংগঠন ‘মায়ের ডাক’-এর সমন্বয়ক সানজিদা ইসলামকে (তুলি) প্রার্থী করছে বিএনপি। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গুমের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারগুলোকে নিয়ে এ সংগঠন গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন সানজিদা ইসলাম।
৩ ঘণ্টা আগে
দিনাজপুর শহরে খালেদা জিয়ার জন্ম ও শৈশবের বেড়ে ওঠা হলেও রাজনৈতিক জীবনে তিনি কখনো এই এলাকার জনপ্রতিনিধি হতে প্রার্থী হননি। সদর উপজেলা নিয়ে গঠিত দিনাজপুর-৩ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তাঁর বড় বোন খুরশীদ জাহান হক।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) শিগগির প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করবে। ৭- ৮ নভেম্বরের দিকে এই তালিকা ঘোষণা করা হতে পারে বলে এনসিপি সূত্রে জানা গেছে।
আজ সোমবার সন্ধ্যার পর বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমে এনসিপির প্রার্থী তালিকা ঘোষণাসংক্রান্ত সংবাদ ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি সত্য নয় বলে জানিয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা।
এনসিপির যুগ্ম আহবায়ক সারোয়ার তুষার এ বিষয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা কোনো প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করিনি। তবে ৭-৮ নভেম্বরের দিকে প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করতে পারি। এটা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন নেতা বলেন, প্রাথমিকভাবে ৭০-১০০ জনের নাম ঘোষণা করা হতে পারে। কিছু আলাপ চলছে। তবে সেটা এখনো চূড়ান্ত নয়।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) শিগগির প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করবে। ৭- ৮ নভেম্বরের দিকে এই তালিকা ঘোষণা করা হতে পারে বলে এনসিপি সূত্রে জানা গেছে।
আজ সোমবার সন্ধ্যার পর বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমে এনসিপির প্রার্থী তালিকা ঘোষণাসংক্রান্ত সংবাদ ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি সত্য নয় বলে জানিয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা।
এনসিপির যুগ্ম আহবায়ক সারোয়ার তুষার এ বিষয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা কোনো প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করিনি। তবে ৭-৮ নভেম্বরের দিকে প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করতে পারি। এটা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন নেতা বলেন, প্রাথমিকভাবে ৭০-১০০ জনের নাম ঘোষণা করা হতে পারে। কিছু আলাপ চলছে। তবে সেটা এখনো চূড়ান্ত নয়।

অবশেষে ঘোষণা করা হলো নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ শুক্রবার রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে আনুষ্ঠানিক দলটির আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। এরই মধ্যে দলটির আহ্বায়ক, সদস্যসচিবসহ ১৫১ জন নেতার নাম ঘোষণা করা হয়েছে...
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য ২৩৭ আসনের বিপরীতে সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আল
২ ঘণ্টা আগে
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকার একটি আসনে গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্বজনদের সংগঠন ‘মায়ের ডাক’-এর সমন্বয়ক সানজিদা ইসলামকে (তুলি) প্রার্থী করছে বিএনপি। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গুমের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারগুলোকে নিয়ে এ সংগঠন গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন সানজিদা ইসলাম।
৩ ঘণ্টা আগে
দিনাজপুর শহরে খালেদা জিয়ার জন্ম ও শৈশবের বেড়ে ওঠা হলেও রাজনৈতিক জীবনে তিনি কখনো এই এলাকার জনপ্রতিনিধি হতে প্রার্থী হননি। সদর উপজেলা নিয়ে গঠিত দিনাজপুর-৩ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তাঁর বড় বোন খুরশীদ জাহান হক।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য ২৩৭ আসনের বিপরীতে সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এর কিছু সময় পরই দেশের কিছু বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণার খবর প্রচার করা হয়। এ নিয়ে শুরু হয় নানা গুঞ্জন। এ বিষয়ে মুখ খুলেছেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক তাজনুভা জাবীন।
এক ফেসবুক পোস্টে জাবীন বলেছেন, ‘যাদের প্রার্থী তালিকা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা হলো, তাদেরটা ব্রেকিং নিউজে জায়গা পেল না, কিন্তু ঠিক একই দিন একই সময় যারা আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি, তাদের সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা নিয়ে ব্রেকিং নিউজ যাচ্ছে।’
জাবীন আরও লেখেন, ‘ব্রেকিং নিউজের পেছনের রাজনীতি কী? কী বয়ান মানুষের কাছে দেওয়ার জন্য কারা এত ব্যাকুল?’

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য ২৩৭ আসনের বিপরীতে সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এর কিছু সময় পরই দেশের কিছু বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণার খবর প্রচার করা হয়। এ নিয়ে শুরু হয় নানা গুঞ্জন। এ বিষয়ে মুখ খুলেছেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক তাজনুভা জাবীন।
এক ফেসবুক পোস্টে জাবীন বলেছেন, ‘যাদের প্রার্থী তালিকা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা হলো, তাদেরটা ব্রেকিং নিউজে জায়গা পেল না, কিন্তু ঠিক একই দিন একই সময় যারা আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি, তাদের সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা নিয়ে ব্রেকিং নিউজ যাচ্ছে।’
জাবীন আরও লেখেন, ‘ব্রেকিং নিউজের পেছনের রাজনীতি কী? কী বয়ান মানুষের কাছে দেওয়ার জন্য কারা এত ব্যাকুল?’

অবশেষে ঘোষণা করা হলো নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ শুক্রবার রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে আনুষ্ঠানিক দলটির আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। এরই মধ্যে দলটির আহ্বায়ক, সদস্যসচিবসহ ১৫১ জন নেতার নাম ঘোষণা করা হয়েছে...
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) শিগগির প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করবে। ৭- ৮ নভেম্বরের দিকে এই তালিকা ঘোষণা করা হতে পারে বলে এনসিপি সূত্রে জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকার একটি আসনে গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্বজনদের সংগঠন ‘মায়ের ডাক’-এর সমন্বয়ক সানজিদা ইসলামকে (তুলি) প্রার্থী করছে বিএনপি। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গুমের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারগুলোকে নিয়ে এ সংগঠন গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন সানজিদা ইসলাম।
৩ ঘণ্টা আগে
দিনাজপুর শহরে খালেদা জিয়ার জন্ম ও শৈশবের বেড়ে ওঠা হলেও রাজনৈতিক জীবনে তিনি কখনো এই এলাকার জনপ্রতিনিধি হতে প্রার্থী হননি। সদর উপজেলা নিয়ে গঠিত দিনাজপুর-৩ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তাঁর বড় বোন খুরশীদ জাহান হক।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকার একটি আসনে গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্বজনদের সংগঠন ‘মায়ের ডাক’-এর সমন্বয়ক সানজিদা ইসলামকে (তুলি) প্রার্থী করছে বিএনপি। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গুমের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারগুলোকে নিয়ে এ সংগঠন গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন সানজিদা ইসলাম। তাঁর ভাই সাজেদুল ইসলাম সুমন ছিলেন ২৫ নম্বর ওয়ার্ড (ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন) বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। ২০১৩ সালের ৪ ডিসেম্বর রাতে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে তাঁকে তুলে নিয়ে যায় র্যাবের একটি দল। এখনো তাঁর খোঁজ পাওয়া যায়নি।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আজ সোমবার বিকেলে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৩৭ আসনে দলের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন।
মিরপুর, শাহ আলী ও দারুস সালাম এলাকা নিয়ে গঠিত ঢাকা-১৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে সানজিদা ইসলামের নাম ঘোষণা করা হয়। এর বাইরে ঢাকা-১ (দোহার–নবাবগঞ্জ) আসনে খন্দকার আবু আশফাক, ঢাকা-২ (কেরানীগঞ্জ ও সাভারের কিছু অংশ) আসনে আমানউল্লাহ আমান, ঢাকা-৩ (কেরানীগঞ্জের কিছু অংশ) আসনে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ঢাকা-৪ (শ্যামপুর–কদমতলী) আসনে তানভীর আহমেদ রবিনকে প্রার্থী করছে বিএনপি।
ঢাকা-৫ (যাত্রাবাড়ী–ডেমরা) আসনে নবী উল্লাহ নবী, ঢাকা-৬ (সূত্রাপুর, ওয়ারী, গেন্ডারিয়া ও কোতোয়ালির একাংশ) আসনে ইশরাক হোসেন, ঢাকা-৮ (মতিঝিল, পল্টন, শাহবাগ, শাহজাহানপুর ও রমনা) আসনে মির্জা আব্বাস উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা-১১ (বাড্ডা, ভাটারা ও রামপুরা) আসনে এম এ কাইয়ুম, ঢাকা-১২ (তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল, হাতিরঝিল ও শেরেবাংলা নগরের একাংশ) আসনে সাইফুল আলম নীরব, ঢাকা-১৫ (শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়া, কাফরুল ও মিরপুরের একাংশ) আসনে শফিকুল ইসলাম খান, ঢাকা-১৬ (রূপনগর ও পল্লবী) আসনে আমিনুল হক এবং ঢাকা-১৯ (সাভার পৌরসভা, সেনানিবাসসহ সাভারের একাংশ) আসনে দেওয়ান মোহাম্মদ সালাউদ্দিনকে প্রার্থী করছে বিএনপি।
জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে আজ ২৩৭ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। যেসব আসনে প্রার্থী দেওয়া হয়নি, সেগুলোর মধ্যে ঢাকার বেশ কয়েকটি আসন রয়েছে। সেগুলো হলো ঢাকা-৭ (লালবাগ, চকবাজার, বংশাল এবং কামরাঙ্গীরচর ও কোতোয়ালির একাংশ), ঢাকা-৯ (সবুজবাগ, খিলগাঁও ও মুগদা), ঢাকা-১০ (ধানমন্ডি, নিউমার্কেট, কলাবাগান ও হাজারীবাগ), ঢাকা-১৩ (মোহাম্মদপুর, আদাবর ও শেরেবাংলা নগরের একাংশ), ঢাকা-১৭ (ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট এলাকা, গুলশান ও বনানী), ঢাকা-১৮ (বৃহত্তর উত্তরার ছয়টি থানা) এবং ঢাকা-২০ (ধামরাই উপজেলা)।
এসব আসনের প্রার্থী পরে ঘোষণা করা হবে বলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, যেসব আসনে প্রার্থী দেওয়া হয়নি, সেগুলো পরে ঘোষণা করা হবে। এর বাইরে কিছু আসন শরিকদের ছাড়া হবে।
প্রার্থী ঘোষণার আগে আজ দুপুর সাড়ে ১২টায় জরুরি বৈঠকে বসেন বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। প্রায় পাঁচ ঘণ্টাব্যাপী চলা এ বৈঠকে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত ও চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে করণীয় নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়।
আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে ডিসেম্বরের শুরুর দিকে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে বলে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকার একটি আসনে গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্বজনদের সংগঠন ‘মায়ের ডাক’-এর সমন্বয়ক সানজিদা ইসলামকে (তুলি) প্রার্থী করছে বিএনপি। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গুমের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারগুলোকে নিয়ে এ সংগঠন গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন সানজিদা ইসলাম। তাঁর ভাই সাজেদুল ইসলাম সুমন ছিলেন ২৫ নম্বর ওয়ার্ড (ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন) বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। ২০১৩ সালের ৪ ডিসেম্বর রাতে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে তাঁকে তুলে নিয়ে যায় র্যাবের একটি দল। এখনো তাঁর খোঁজ পাওয়া যায়নি।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আজ সোমবার বিকেলে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৩৭ আসনে দলের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন।
মিরপুর, শাহ আলী ও দারুস সালাম এলাকা নিয়ে গঠিত ঢাকা-১৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে সানজিদা ইসলামের নাম ঘোষণা করা হয়। এর বাইরে ঢাকা-১ (দোহার–নবাবগঞ্জ) আসনে খন্দকার আবু আশফাক, ঢাকা-২ (কেরানীগঞ্জ ও সাভারের কিছু অংশ) আসনে আমানউল্লাহ আমান, ঢাকা-৩ (কেরানীগঞ্জের কিছু অংশ) আসনে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ঢাকা-৪ (শ্যামপুর–কদমতলী) আসনে তানভীর আহমেদ রবিনকে প্রার্থী করছে বিএনপি।
ঢাকা-৫ (যাত্রাবাড়ী–ডেমরা) আসনে নবী উল্লাহ নবী, ঢাকা-৬ (সূত্রাপুর, ওয়ারী, গেন্ডারিয়া ও কোতোয়ালির একাংশ) আসনে ইশরাক হোসেন, ঢাকা-৮ (মতিঝিল, পল্টন, শাহবাগ, শাহজাহানপুর ও রমনা) আসনে মির্জা আব্বাস উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা-১১ (বাড্ডা, ভাটারা ও রামপুরা) আসনে এম এ কাইয়ুম, ঢাকা-১২ (তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল, হাতিরঝিল ও শেরেবাংলা নগরের একাংশ) আসনে সাইফুল আলম নীরব, ঢাকা-১৫ (শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়া, কাফরুল ও মিরপুরের একাংশ) আসনে শফিকুল ইসলাম খান, ঢাকা-১৬ (রূপনগর ও পল্লবী) আসনে আমিনুল হক এবং ঢাকা-১৯ (সাভার পৌরসভা, সেনানিবাসসহ সাভারের একাংশ) আসনে দেওয়ান মোহাম্মদ সালাউদ্দিনকে প্রার্থী করছে বিএনপি।
জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে আজ ২৩৭ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। যেসব আসনে প্রার্থী দেওয়া হয়নি, সেগুলোর মধ্যে ঢাকার বেশ কয়েকটি আসন রয়েছে। সেগুলো হলো ঢাকা-৭ (লালবাগ, চকবাজার, বংশাল এবং কামরাঙ্গীরচর ও কোতোয়ালির একাংশ), ঢাকা-৯ (সবুজবাগ, খিলগাঁও ও মুগদা), ঢাকা-১০ (ধানমন্ডি, নিউমার্কেট, কলাবাগান ও হাজারীবাগ), ঢাকা-১৩ (মোহাম্মদপুর, আদাবর ও শেরেবাংলা নগরের একাংশ), ঢাকা-১৭ (ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট এলাকা, গুলশান ও বনানী), ঢাকা-১৮ (বৃহত্তর উত্তরার ছয়টি থানা) এবং ঢাকা-২০ (ধামরাই উপজেলা)।
এসব আসনের প্রার্থী পরে ঘোষণা করা হবে বলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, যেসব আসনে প্রার্থী দেওয়া হয়নি, সেগুলো পরে ঘোষণা করা হবে। এর বাইরে কিছু আসন শরিকদের ছাড়া হবে।
প্রার্থী ঘোষণার আগে আজ দুপুর সাড়ে ১২টায় জরুরি বৈঠকে বসেন বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। প্রায় পাঁচ ঘণ্টাব্যাপী চলা এ বৈঠকে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত ও চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে করণীয় নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়।
আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে ডিসেম্বরের শুরুর দিকে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে বলে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

অবশেষে ঘোষণা করা হলো নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ শুক্রবার রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে আনুষ্ঠানিক দলটির আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। এরই মধ্যে দলটির আহ্বায়ক, সদস্যসচিবসহ ১৫১ জন নেতার নাম ঘোষণা করা হয়েছে...
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) শিগগির প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করবে। ৭- ৮ নভেম্বরের দিকে এই তালিকা ঘোষণা করা হতে পারে বলে এনসিপি সূত্রে জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য ২৩৭ আসনের বিপরীতে সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আল
২ ঘণ্টা আগে
দিনাজপুর শহরে খালেদা জিয়ার জন্ম ও শৈশবের বেড়ে ওঠা হলেও রাজনৈতিক জীবনে তিনি কখনো এই এলাকার জনপ্রতিনিধি হতে প্রার্থী হননি। সদর উপজেলা নিয়ে গঠিত দিনাজপুর-৩ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তাঁর বড় বোন খুরশীদ জাহান হক।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দিনাজপুর শহরে খালেদা জিয়ার জন্ম ও শৈশবের বেড়ে ওঠা হলেও রাজনৈতিক জীবনে তিনি কখনো এই এলাকার জনপ্রতিনিধি হতে প্রার্থী হননি। সদর উপজেলা নিয়ে গঠিত দিনাজপুর-৩ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তাঁর বড় বোন খুরশীদ জাহান হক।
নিজের জন্মস্থানে এবার প্রথম প্রার্থী হচ্ছেন খালেদা জিয়া। ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে তিনটি সংসদীয় আসন থেকে প্রার্থী হচ্ছেন তিনি। দিনাজপুর-৩ আসন ছাড়াও ফেনী-১ ও বগুড়া-৭ আসন থেকে ধানের শীষের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে খালেদা জিয়া পাঁচটি আসনেও নির্বাচন করেছেন; কখনো হারেননি।
আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ২৩৭ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
খালেদা জিয়ার পৈতৃক নিবাস ফেনীতে। কিন্তু জন্মের পর দিনাজপুর শহরেই তাঁর শৈশব কেটেছে; এ শহরেই তিনি পড়াশোনা করেছেন। তবে তাঁর স্বামী বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের পৈতৃকবাড়ি বগুড়ায়।
সে হিসেবে বগুড়া ‘বিএনপির ঘাঁটি’ হিসেবে পরিচিত দলের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই। ১৯৯১ সাল থেকে খালেদা জিয়া শ্বশুরবাড়ি বগুড়ার দুটি আসনে—বগুড়া-৬ (সদর) ও ৭ (গাবতলী ও শাহজাহানপুর)—নির্বাচন করে আসছেন; কখনো হারেননি।
বগুড়া-৭ আসন থেকে বিগত ১২টি নির্বাচনের মধ্যে বিএনপি ছয়বার (এর মধ্যে খালেদা জিয়া পাঁচবার), জাতীয় পার্টি তিনবার, আওয়ামী লীগ দুবার ও স্বতস্ত্র (বিএনপির সমর্থনে) প্রার্থী একবার জয় পেয়েছেন। খালেদা জিয়া চারবার বগুড়া-৬ আসন নিজের জন্য রেখে বগুড়া-৭ আসন উপনির্বাচনের জন্য ছেড়ে দিয়েছেন। একবার (২০০৮) উপনির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন মওদুদ আহমদ। বাকি তিনবার (১৯৯১, ১৯৯৬-জুন ও ২০০১) জয়ী হয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু।
এবার বগুড়া-৬ আসনে ধানের শীষে প্রথম প্রার্থী হয়েছেন খালেদা জিয়ার ছেলে ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
গত ১১ অক্টোবর ঢাকার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বগুড়ার সাতটি আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সভা ছিল। সে সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন তারেক রহমান। সভায় ২২ জন নেতা উপস্থিত ছিলেন।
সেই সভার তিন দিন পর পাঁচজনকে ফোন করে নির্বাচনী প্রচার জোরদার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তবে বগুড়া-৬ ও ৭ নিয়ে কাউকে ফোন দেওয়া হয়নি। তখন থেকেই স্থানীয় নেতা-কর্মীদের ধারণা ছিল, হয়তো এ দুটি আসনে ‘জিয়া পরিবারের’ কেউ প্রার্থী হবেন।
ফেনী-১: ছাগলনাইয়া, ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলা নিয়ে গঠিত ফেনী-১ আসন। ১৯৭৩ সালের পর থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বিগত ৫০ বছরের নির্বাচনে বেশির ভাগ সময় বিএনপির প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন।
বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এই আসন থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। ফেনী জেলায় খালেদা জিয়ার আদি পৈতৃক নিবাস। ফলে নির্বাচন এলেই এখানে স্লোগান ওঠে—‘ফেনীর মেয়ে খালেদা, গর্ব মোদের আলাদা’।
১৯৯১, ১৯৯৬, ১৯৯৬ (জুন), ২০০১ ও ২০০৮ সালের নির্বাচনে বেগম খালেদা জিয়া এই আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০১ সালের নির্বাচনে খালেদা জিয়া আসনটি ছেড়ে দিলে উপনির্বাচনে বিজয়ী হন তাঁর ছোট ভাই সাঈদ ইস্কান্দার।
২০১৪ সালে বিএনপি ভোট বর্জন করেছিল। ২০১৮ সালে দণ্ডিত হওয়ায় খালেদা জিয়া এখানে প্রার্থী হতে পারেননি। তখন প্রার্থী হয়েছিলেন রফিকুল ইসলাম মজনু।
দিনাজপুর-৩: আসনটি সদর উপজেলা নিয়ে গঠিত। ১২টি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এখানে বিএনপি ১৯৭৯, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে জয়লাভ করে। ১৯৭৯ সালে প্রথমবার বিএনপির প্রার্থী হিসেবে রেজওয়ানুল হক ইদু চৌধুরী জয়লাভ করেন। পরের দুবার জয় পান খুরশীদ জাহান হক।

দিনাজপুর শহরে খালেদা জিয়ার জন্ম ও শৈশবের বেড়ে ওঠা হলেও রাজনৈতিক জীবনে তিনি কখনো এই এলাকার জনপ্রতিনিধি হতে প্রার্থী হননি। সদর উপজেলা নিয়ে গঠিত দিনাজপুর-৩ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তাঁর বড় বোন খুরশীদ জাহান হক।
নিজের জন্মস্থানে এবার প্রথম প্রার্থী হচ্ছেন খালেদা জিয়া। ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে তিনটি সংসদীয় আসন থেকে প্রার্থী হচ্ছেন তিনি। দিনাজপুর-৩ আসন ছাড়াও ফেনী-১ ও বগুড়া-৭ আসন থেকে ধানের শীষের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে খালেদা জিয়া পাঁচটি আসনেও নির্বাচন করেছেন; কখনো হারেননি।
আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ২৩৭ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
খালেদা জিয়ার পৈতৃক নিবাস ফেনীতে। কিন্তু জন্মের পর দিনাজপুর শহরেই তাঁর শৈশব কেটেছে; এ শহরেই তিনি পড়াশোনা করেছেন। তবে তাঁর স্বামী বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের পৈতৃকবাড়ি বগুড়ায়।
সে হিসেবে বগুড়া ‘বিএনপির ঘাঁটি’ হিসেবে পরিচিত দলের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই। ১৯৯১ সাল থেকে খালেদা জিয়া শ্বশুরবাড়ি বগুড়ার দুটি আসনে—বগুড়া-৬ (সদর) ও ৭ (গাবতলী ও শাহজাহানপুর)—নির্বাচন করে আসছেন; কখনো হারেননি।
বগুড়া-৭ আসন থেকে বিগত ১২টি নির্বাচনের মধ্যে বিএনপি ছয়বার (এর মধ্যে খালেদা জিয়া পাঁচবার), জাতীয় পার্টি তিনবার, আওয়ামী লীগ দুবার ও স্বতস্ত্র (বিএনপির সমর্থনে) প্রার্থী একবার জয় পেয়েছেন। খালেদা জিয়া চারবার বগুড়া-৬ আসন নিজের জন্য রেখে বগুড়া-৭ আসন উপনির্বাচনের জন্য ছেড়ে দিয়েছেন। একবার (২০০৮) উপনির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন মওদুদ আহমদ। বাকি তিনবার (১৯৯১, ১৯৯৬-জুন ও ২০০১) জয়ী হয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু।
এবার বগুড়া-৬ আসনে ধানের শীষে প্রথম প্রার্থী হয়েছেন খালেদা জিয়ার ছেলে ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
গত ১১ অক্টোবর ঢাকার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বগুড়ার সাতটি আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সভা ছিল। সে সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন তারেক রহমান। সভায় ২২ জন নেতা উপস্থিত ছিলেন।
সেই সভার তিন দিন পর পাঁচজনকে ফোন করে নির্বাচনী প্রচার জোরদার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তবে বগুড়া-৬ ও ৭ নিয়ে কাউকে ফোন দেওয়া হয়নি। তখন থেকেই স্থানীয় নেতা-কর্মীদের ধারণা ছিল, হয়তো এ দুটি আসনে ‘জিয়া পরিবারের’ কেউ প্রার্থী হবেন।
ফেনী-১: ছাগলনাইয়া, ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলা নিয়ে গঠিত ফেনী-১ আসন। ১৯৭৩ সালের পর থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বিগত ৫০ বছরের নির্বাচনে বেশির ভাগ সময় বিএনপির প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন।
বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এই আসন থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। ফেনী জেলায় খালেদা জিয়ার আদি পৈতৃক নিবাস। ফলে নির্বাচন এলেই এখানে স্লোগান ওঠে—‘ফেনীর মেয়ে খালেদা, গর্ব মোদের আলাদা’।
১৯৯১, ১৯৯৬, ১৯৯৬ (জুন), ২০০১ ও ২০০৮ সালের নির্বাচনে বেগম খালেদা জিয়া এই আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০১ সালের নির্বাচনে খালেদা জিয়া আসনটি ছেড়ে দিলে উপনির্বাচনে বিজয়ী হন তাঁর ছোট ভাই সাঈদ ইস্কান্দার।
২০১৪ সালে বিএনপি ভোট বর্জন করেছিল। ২০১৮ সালে দণ্ডিত হওয়ায় খালেদা জিয়া এখানে প্রার্থী হতে পারেননি। তখন প্রার্থী হয়েছিলেন রফিকুল ইসলাম মজনু।
দিনাজপুর-৩: আসনটি সদর উপজেলা নিয়ে গঠিত। ১২টি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এখানে বিএনপি ১৯৭৯, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে জয়লাভ করে। ১৯৭৯ সালে প্রথমবার বিএনপির প্রার্থী হিসেবে রেজওয়ানুল হক ইদু চৌধুরী জয়লাভ করেন। পরের দুবার জয় পান খুরশীদ জাহান হক।

অবশেষে ঘোষণা করা হলো নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ শুক্রবার রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে আনুষ্ঠানিক দলটির আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। এরই মধ্যে দলটির আহ্বায়ক, সদস্যসচিবসহ ১৫১ জন নেতার নাম ঘোষণা করা হয়েছে...
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) শিগগির প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করবে। ৭- ৮ নভেম্বরের দিকে এই তালিকা ঘোষণা করা হতে পারে বলে এনসিপি সূত্রে জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য ২৩৭ আসনের বিপরীতে সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আল
২ ঘণ্টা আগে
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকার একটি আসনে গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্বজনদের সংগঠন ‘মায়ের ডাক’-এর সমন্বয়ক সানজিদা ইসলামকে (তুলি) প্রার্থী করছে বিএনপি। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গুমের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারগুলোকে নিয়ে এ সংগঠন গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন সানজিদা ইসলাম।
৩ ঘণ্টা আগে