নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যকে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভয়ংকর বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ জন্য তাঁর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয় কি না—প্রশ্ন রেখেছেন বিএনপির মহাসচিব।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ প্রশ্ন রেখে ফখরুল বলেন, ‘তাঁর (প্রধানমন্ত্রী) এ ধরনের কথা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। আমি তাঁকেই (প্রধানমন্ত্রী) জিজ্ঞেস করতে চাই, ওনারা যে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট করেছেন, সেই আইন অনুযায়ী মামলা হতে পারে কি না?’
সরকার ও প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে ফখরুল বলেন, ‘তারা (সরকার) নিশ্চিত হয়ে গেছেন যে, ক্ষমতায় থাকতে পারছেন না। এখন কি ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে মামলা হওয়ার সময় হয়ে গেছে? উনি (প্রধানমন্ত্রী) যে মিথ্যা কথা বলছেন। মিথ্যা, বানোয়াট ও ভয়ংকর কথা বলছেন।’
সরকারকে ইঙ্গিত করে ফখরুল বলেন, মানুষকে ওনারা এত বোকা ভাবেন কেন? জনগণকে এত বোকা ভাবেন কেন? এসব বলে যে পার পাবেন না, এটা বোঝা উচিত। তাঁর (প্রধানমন্ত্রী) কাছে আহ্বান—এখনো সময় আছে। জনগণের যে ভাষা, সেই ভাষা বুঝুন, তাদের চাহিদা বুঝুন। জনগণ চাইছে এই মুহূর্তে আপনারা সরে যান। আজ পর্যন্ত একজনও পাইনি যে বলবে, হাসিনা থাকুক। কিছু সুবিধাভোগী ও উচ্ছিষ্টভোগী ছাড়া এ কথা আর কেউ বলছে না।’
‘আমরা বাংলাদেশের এক ইঞ্চি মাটি কাউকে দেওয়ার পক্ষপাতি না’—এই মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, ‘বিএনপি স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সব সময় ত্যাগ স্বীকার করে আসছে। কখনো কেউ এই অভিযোগ করে নাই যে, বিএনপি দেশ বিক্রি করেছে। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ আছে, নিজেও (প্রধানমন্ত্রী) বলেছেন—আমরা তো সব দিয়ে দিয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘এই সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য এমন কোনো অন্যায় নাই যা করছে না। কী রকম মরিয়া হয়ে গেছে যে, দেশের ক্ষতি করতেও দ্বিধা করছে না। এ ধরনের কথা কোনো দায়িত্বশীল নেতা বলতে পারেন, সরকার চালাচ্ছেন যিনি, তিনি বলতে পারেন, এটা আমরা কল্পনাও করতে পারি না।’
নির্বাচন সামনে রেখে পরিকল্পিত একটা চক্রান্ত শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ফখরুল। তিনি বলেন, ‘নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার, মামলা-হয়রানির পাশাপাশি নানা ষড়যন্ত্র চলছে। একটা ভয়াবহ কথা বলি, এটা জানানো দরকার। আমাদের যারা নির্বাচন করে এবং করবে, তাদের গোয়েন্দা বাহিনী তুলে নিয়ে যাচ্ছে। তাদের বলা হচ্ছে তোমরা নির্বাচন করবা, যদি বিএনপি নির্বাচন না করে তা-ও। আমাদের দলের অনেক নেতা এমন অভিযোগ করেছেন।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তারা (সরকার) বুঝতে পেরেছে যে, তাদের জনগণ আর গ্রহণ করবে না। তাই কোনোভাবেই তারা নিরপেক্ষ নির্বাচনের কথা শুনছে না। একেবারে ওই দিকে যাচ্ছেন না। একটাই কথা বলছে, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। একতরফাভাবে নির্বাচন করতে চাইছে। কিন্তু মানুষ এবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে, তারা প্রতিবাদ করছে। এবার আর সেটা করতে দেবে না।’
‘আমরা কোথায় যাব’—এমন আক্ষেপ করে ফখরুল বলেন, ‘কোর্টে যাওয়ার জায়গা নাই, পুলিশের কাছে যাওয়ার জায়গা নাই, সংসদে যাওয়ার জায়গা নাই। স্বাভাবিকভাবে যদি কোনো পথ খুলে না রাখেন, মানুষ জানে কী করে পথে বের করে নিতে হয়। আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই, আইনশৃঙ্খলার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের কর্মকর্তাদের অনুরোধ করতে চাই, দয়া করে অসাংবিধানিক কাজের সঙ্গে নিজেদের জড়িত করবেন না। জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়াবেন না। এ দেশের মানুষ বরাবরই অগণতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে এবং তাদের অধিকার আদায় করে নিয়েছে। এখনো তারা তাদের অধিকার আদায় করে নেবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যকে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভয়ংকর বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ জন্য তাঁর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয় কি না—প্রশ্ন রেখেছেন বিএনপির মহাসচিব।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ প্রশ্ন রেখে ফখরুল বলেন, ‘তাঁর (প্রধানমন্ত্রী) এ ধরনের কথা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। আমি তাঁকেই (প্রধানমন্ত্রী) জিজ্ঞেস করতে চাই, ওনারা যে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট করেছেন, সেই আইন অনুযায়ী মামলা হতে পারে কি না?’
সরকার ও প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে ফখরুল বলেন, ‘তারা (সরকার) নিশ্চিত হয়ে গেছেন যে, ক্ষমতায় থাকতে পারছেন না। এখন কি ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে মামলা হওয়ার সময় হয়ে গেছে? উনি (প্রধানমন্ত্রী) যে মিথ্যা কথা বলছেন। মিথ্যা, বানোয়াট ও ভয়ংকর কথা বলছেন।’
সরকারকে ইঙ্গিত করে ফখরুল বলেন, মানুষকে ওনারা এত বোকা ভাবেন কেন? জনগণকে এত বোকা ভাবেন কেন? এসব বলে যে পার পাবেন না, এটা বোঝা উচিত। তাঁর (প্রধানমন্ত্রী) কাছে আহ্বান—এখনো সময় আছে। জনগণের যে ভাষা, সেই ভাষা বুঝুন, তাদের চাহিদা বুঝুন। জনগণ চাইছে এই মুহূর্তে আপনারা সরে যান। আজ পর্যন্ত একজনও পাইনি যে বলবে, হাসিনা থাকুক। কিছু সুবিধাভোগী ও উচ্ছিষ্টভোগী ছাড়া এ কথা আর কেউ বলছে না।’
‘আমরা বাংলাদেশের এক ইঞ্চি মাটি কাউকে দেওয়ার পক্ষপাতি না’—এই মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, ‘বিএনপি স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সব সময় ত্যাগ স্বীকার করে আসছে। কখনো কেউ এই অভিযোগ করে নাই যে, বিএনপি দেশ বিক্রি করেছে। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ আছে, নিজেও (প্রধানমন্ত্রী) বলেছেন—আমরা তো সব দিয়ে দিয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘এই সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য এমন কোনো অন্যায় নাই যা করছে না। কী রকম মরিয়া হয়ে গেছে যে, দেশের ক্ষতি করতেও দ্বিধা করছে না। এ ধরনের কথা কোনো দায়িত্বশীল নেতা বলতে পারেন, সরকার চালাচ্ছেন যিনি, তিনি বলতে পারেন, এটা আমরা কল্পনাও করতে পারি না।’
নির্বাচন সামনে রেখে পরিকল্পিত একটা চক্রান্ত শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ফখরুল। তিনি বলেন, ‘নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার, মামলা-হয়রানির পাশাপাশি নানা ষড়যন্ত্র চলছে। একটা ভয়াবহ কথা বলি, এটা জানানো দরকার। আমাদের যারা নির্বাচন করে এবং করবে, তাদের গোয়েন্দা বাহিনী তুলে নিয়ে যাচ্ছে। তাদের বলা হচ্ছে তোমরা নির্বাচন করবা, যদি বিএনপি নির্বাচন না করে তা-ও। আমাদের দলের অনেক নেতা এমন অভিযোগ করেছেন।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তারা (সরকার) বুঝতে পেরেছে যে, তাদের জনগণ আর গ্রহণ করবে না। তাই কোনোভাবেই তারা নিরপেক্ষ নির্বাচনের কথা শুনছে না। একেবারে ওই দিকে যাচ্ছেন না। একটাই কথা বলছে, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। একতরফাভাবে নির্বাচন করতে চাইছে। কিন্তু মানুষ এবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে, তারা প্রতিবাদ করছে। এবার আর সেটা করতে দেবে না।’
‘আমরা কোথায় যাব’—এমন আক্ষেপ করে ফখরুল বলেন, ‘কোর্টে যাওয়ার জায়গা নাই, পুলিশের কাছে যাওয়ার জায়গা নাই, সংসদে যাওয়ার জায়গা নাই। স্বাভাবিকভাবে যদি কোনো পথ খুলে না রাখেন, মানুষ জানে কী করে পথে বের করে নিতে হয়। আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই, আইনশৃঙ্খলার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের কর্মকর্তাদের অনুরোধ করতে চাই, দয়া করে অসাংবিধানিক কাজের সঙ্গে নিজেদের জড়িত করবেন না। জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়াবেন না। এ দেশের মানুষ বরাবরই অগণতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে এবং তাদের অধিকার আদায় করে নিয়েছে। এখনো তারা তাদের অধিকার আদায় করে নেবে।’
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ যখন জামায়াতে ইসলামীকে রাজনীতিতে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে, আমি তার প্রতিবাদ করেছি। একইভাবে এখন বলছি, আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে নির্বাচন করলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না।’
১৪ ঘণ্টা আগেস্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা পদে ইস্তফা দেওয়ার পর রাজনীতিতে যুক্ত হয়ে জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হবেন কি না, তা অবশ্য টক শোতে স্পষ্ট করেননি গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ। একই সঙ্গে গণ-অভ্যুত্থানের ছাত্রনেতাদের নিয়
১৫ ঘণ্টা আগেজুলাই সনদের আইনগত ভিত্তি দেওয়া ছাড়া বিদেশিদের দ্বারা কোনো পাতানো নির্বাচনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী অংশ নেবে না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। আজ বুধবার (১৩ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর বিজয়নগর সড়কে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তেব্য তিনি এ কথা বলেন।
১৬ ঘণ্টা আগেকমরেড হারুন চৌধুরী নিজেকে বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের (এমএল) সভাপতি দাবি করে বলেছেন, ‘দিলীপ বড়ুয়া দলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তবে তিনি এখন কোথায় আছেন, সেই বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। আমি দলের সভাপতি।’
১৬ ঘণ্টা আগে