নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের মন্তব্যের কড়া জবাব দিয়ে সরকারের মন্ত্রী-এমপিদের ভাষা জানার পরামর্শ দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘ওনারা আমাদের বলেন, আমরা নাকি বেশি বুঝি, সবখানে নাকি মাতুব্বরি করি। এটা একটা রাজনৈতিক ভাষা, অশালীন ভাষা। মাতুব্বরি করার প্রশ্ন এটা নয়, ওনাদের ভাষা জানতে হবে। উনি যেটা বলতে পারেন যে, বিশেষজ্ঞের মতো কথা বলেন। কিছুটা হলেও তো বিশেষ কিছু জ্ঞান আছে। আমরা যারা অর্থনীতিতে পড়াশোনা করেছি, অর্থনীতির ছাত্র ছিলাম, শিক্ষকতা করেছি, আমরা প্রকৃত আয়, প্রকৃত ব্যয়—এই জিনিসগুলো ভালো বুঝি।’
আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে জাতীয়তাবাদী তাঁতি দল এই সমাবেশের আয়োজন করে।
গত রোববার এক অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ওটিটি প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে গণমাধ্যম বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কোনো সম্পর্ক নেই। মির্জা ফখরুল সাহেব না পড়ে, না বুঝে এটি নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন, তা “সবজান্তা মাতব্বর” বা “মিস্টার ওয়াইজ ক্র্যাকার”-এর মতো।’
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে গভীর উদ্বেগ জানিয়ে সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের প্রাণ আজ ওষ্ঠাগত। আজকে গোটা বাংলাদেশে একটা নীরব দুর্ভিক্ষের সূচনা হয়েছে। মানুষ বলতে পারে না কথা। মানুষকে প্রতিবাদ জানানোর সুযোগ দেওয়া হয় না।’
সরকারের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘শুভংকরের ফাঁকি দেখিয়ে, মানুষকে বোকা বানিয়ে আর কত দিন চলবেন? আপনারা বেরিয়ে আসুন। রাস্তায় এসে মানুষের সঙ্গে কথা বলুন। তাদের জিজ্ঞেস করুন যে তারা কেমন আছে। ওখানে আরাম-আয়েশে বসে, শীতাতপনিয়ন্ত্রিত অফিস, গাড়িতে বসে এসব কথা বলা সহজ। কিন্তু মানুষের কাছে এসে দুঃখ বোঝা সহজ নয়।’
দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা যেমন নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের দাবিতে সোচ্চার হয়েছি, তেমনিভাবে আমাদের অধিকারের জন্য, আমাদের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য, নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য, আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার জন্য, তাঁর সুচিকিৎসার জন্য আমাদের আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। এজন্য এখন সবাই ঐক্যবদ্ধ হোন। দেশের সর্বস্তরের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেন। এই ঐক্যবদ্ধ করার মধ্য দিয়ে একটা দুর্বার গণ-আন্দোলন গড়ে তুলে এই স্বৈরাচার সরকারকে সরিয়ে একটা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করি।’
ইসি নতুন নাটক শুরু করেছে
বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) চলমান আলোচনাকে ‘নতুন নাটক’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তাঁর মতে, যেখানে সবাই একমত যে, এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়, সেখানে এ ধরনের উদ্যোগ নাটক ছাড়া আর কিছুই নয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ইলেকশন কমিশন একটা নতুন নাটক শুরু করেছে। সেই নাটকটা হচ্ছে, তারা বিভিন্ন পেশা, বিভিন্ন স্তরের লোকজনের সঙ্গে কথা বলবে। গত পরশু তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ডেকেছিল। সেখানে আমন্ত্রিত ৩০ জনের মধ্যে এসেছে মাত্র ১৩ জন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক বলেছেন যে এই আলোচনা করে লাভ নেই।’
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের মন্তব্যের কড়া জবাব দিয়ে সরকারের মন্ত্রী-এমপিদের ভাষা জানার পরামর্শ দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘ওনারা আমাদের বলেন, আমরা নাকি বেশি বুঝি, সবখানে নাকি মাতুব্বরি করি। এটা একটা রাজনৈতিক ভাষা, অশালীন ভাষা। মাতুব্বরি করার প্রশ্ন এটা নয়, ওনাদের ভাষা জানতে হবে। উনি যেটা বলতে পারেন যে, বিশেষজ্ঞের মতো কথা বলেন। কিছুটা হলেও তো বিশেষ কিছু জ্ঞান আছে। আমরা যারা অর্থনীতিতে পড়াশোনা করেছি, অর্থনীতির ছাত্র ছিলাম, শিক্ষকতা করেছি, আমরা প্রকৃত আয়, প্রকৃত ব্যয়—এই জিনিসগুলো ভালো বুঝি।’
আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে জাতীয়তাবাদী তাঁতি দল এই সমাবেশের আয়োজন করে।
গত রোববার এক অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ওটিটি প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে গণমাধ্যম বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কোনো সম্পর্ক নেই। মির্জা ফখরুল সাহেব না পড়ে, না বুঝে এটি নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন, তা “সবজান্তা মাতব্বর” বা “মিস্টার ওয়াইজ ক্র্যাকার”-এর মতো।’
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে গভীর উদ্বেগ জানিয়ে সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের প্রাণ আজ ওষ্ঠাগত। আজকে গোটা বাংলাদেশে একটা নীরব দুর্ভিক্ষের সূচনা হয়েছে। মানুষ বলতে পারে না কথা। মানুষকে প্রতিবাদ জানানোর সুযোগ দেওয়া হয় না।’
সরকারের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘শুভংকরের ফাঁকি দেখিয়ে, মানুষকে বোকা বানিয়ে আর কত দিন চলবেন? আপনারা বেরিয়ে আসুন। রাস্তায় এসে মানুষের সঙ্গে কথা বলুন। তাদের জিজ্ঞেস করুন যে তারা কেমন আছে। ওখানে আরাম-আয়েশে বসে, শীতাতপনিয়ন্ত্রিত অফিস, গাড়িতে বসে এসব কথা বলা সহজ। কিন্তু মানুষের কাছে এসে দুঃখ বোঝা সহজ নয়।’
দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা যেমন নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের দাবিতে সোচ্চার হয়েছি, তেমনিভাবে আমাদের অধিকারের জন্য, আমাদের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য, নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য, আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার জন্য, তাঁর সুচিকিৎসার জন্য আমাদের আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। এজন্য এখন সবাই ঐক্যবদ্ধ হোন। দেশের সর্বস্তরের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেন। এই ঐক্যবদ্ধ করার মধ্য দিয়ে একটা দুর্বার গণ-আন্দোলন গড়ে তুলে এই স্বৈরাচার সরকারকে সরিয়ে একটা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করি।’
ইসি নতুন নাটক শুরু করেছে
বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) চলমান আলোচনাকে ‘নতুন নাটক’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তাঁর মতে, যেখানে সবাই একমত যে, এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়, সেখানে এ ধরনের উদ্যোগ নাটক ছাড়া আর কিছুই নয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ইলেকশন কমিশন একটা নতুন নাটক শুরু করেছে। সেই নাটকটা হচ্ছে, তারা বিভিন্ন পেশা, বিভিন্ন স্তরের লোকজনের সঙ্গে কথা বলবে। গত পরশু তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ডেকেছিল। সেখানে আমন্ত্রিত ৩০ জনের মধ্যে এসেছে মাত্র ১৩ জন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক বলেছেন যে এই আলোচনা করে লাভ নেই।’
আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির সঙ্গে জাতীয় কবিতা পরিষদের মতবিনিময় সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
১১ ঘণ্টা আগেদুদু বলেন, ‘দেশে এখন জবাবদিহিমূলক সরকার দরকার। এ সরকার পেতে হলে ভালো নির্বাচন দরকার। এই ভালো নির্বাচনের জন্য দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মৃত্যুর খুব কাছাকাছি থেকে ফিরে এসেছেন। তাঁকে চিকিৎসা পর্যন্ত শেখ হাসিনা করতে দেয়নি। মিথ্যা মামলায় তাঁকে ৬ বছর জেলে রেখেছিল।’
১৪ ঘণ্টা আগেপ্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল। আজ রোববার বিকেল ৪টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সিইসির কার্যালয়ে এ বৈঠক শুরু হয়।
১৪ ঘণ্টা আগেজুলাই সনদের চূড়ান্ত খসড়ায় কিছু বিষয়ে বিএনপি অসামঞ্জস্য দেখছে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে দলের পক্ষ থেকে শিগগির মতামত জানানো হবে।
১৬ ঘণ্টা আগে