Ajker Patrika

জুলাই সনদে শাপলা হত্যাকাণ্ডের স্বীকৃতি চায় ইসলামী আন্দোলন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বাসাবো খেলার মাঠে নির্বাচনী জনসংযোগ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ রেজাউল করিম। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বাসাবো খেলার মাঠে নির্বাচনী জনসংযোগ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ রেজাউল করিম। ছবি: আজকের পত্রিকা

নির্বাচনের আগেই জুলাই সনদের আইনি স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ রেজাউল করিম (চরমোনাই পীর)। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বাসাবো খেলার মাঠে ইসলামী আন্দোলন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আয়োজিত ঢাকা-৭ আসনের নির্বাচনী জনসংযোগ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ দাবি জানান।

রেজাউল করিম বলেন, ‘২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আমাদের দেশে যে পরিবর্তন এসেছে, তা দেশ গড়ার, দেশকে স্বাধীন করার এবং বাংলাদেশের মানুষকে স্বাধীনভাবে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর একটি সুযোগ তৈরি করেছে। এই সুযোগ যদি আমরা কাজে লাগাতে না পারি, তাহলে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যখন ইতিহাস লিখবে, তখন তারা আমাদের ধিক্কার দেবে, আমাদের নিয়ে সমালোচনা করবে। আমরা তাদের এই সুযোগ দিতে পারি না। এই পরিবর্তনের জন্য আমরা দেশের কাঠামো পুনরুদ্ধারের কথা বলেছি।

‘যাঁরা জুলাই অভ্যুত্থানে জীবন দিয়েছেন, তাদের জন্য আমরা রাস্তায় নেমেছি এবং দাবি জানিয়েছি যে জুলাই সনদের আইনি স্বীকৃতি দিতে হবে। যদি আইনি স্বীকৃতি না দেওয়া হয়, তাহলে সরকারে কে আসবে তা তো জানা নেই।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বাসাবো খেলার মাঠে নির্বাচনী জনসংযোগ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ রেজাউল করিম। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বাসাবো খেলার মাঠে নির্বাচনী জনসংযোগ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ রেজাউল করিম। ছবি: আজকের পত্রিকা

‘জুলাই সনদ যদি আইনি স্বীকৃতি না পায়, তাহলে বর্তমান সংবিধানের আলোকেই যদি আবার ফ্যাসিস্ট খুনিরা ক্ষমতায় আসে, তখন আপনাদের বিরুদ্ধে এই সংবিধান অনুযায়ী সর্বোচ্চ ফাঁসির আইন পর্যন্ত প্রয়োগ হতে পারে। এই কারণেই আমাদের জুলাই সনদের আইনি স্বীকৃতি দরকার।’

ইসলামী আন্দোলনের আমির বলেন, ‘১৯৭১ সালে লাখো মানুষের আত্মত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে। সাম্য, সামাজিক ন্যায়বিচার ও মানবিক মর্যাদা—এই তিনটি মূল স্লোগানের ভিত্তিতেই দেশ স্বাধীন হয়েছিল। কিন্তু গত ৫৩ বছরে যাঁরা দেশ পরিচালনা করেছেন, তাঁদের কাছ থেকে আমরা এই তিনটির একটিও কি পেয়েছি? না। বরং আমরা পেয়েছি বিশ্বে পাঁচবার চোরের দিক থেকে প্রথম হওয়ার মতো কলঙ্ক। আমরা পেয়েছি আমাদের দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে বেগমপাড়া তৈরি হওয়ার দৃশ্য। আমরা পেয়েছি হাজার হাজার মায়ের সন্তান হারানোর বেদনা।’

চরমোনাই পীর আরও বলেন, ‘আমরা বাকি সব বুঝি না, শুধু বুঝি কাজ বাকি রাখা যাবে না। নির্বাচনের আগেই আমাদের এই জুলাই সনদের আইনি স্বীকৃতি দিতে হবে। আর একই সঙ্গে জুলাই সনদে যেসব ঘাটতি রয়েছে, সেগুলোও পূরণ করতে হবে। যেমন—পিলখানা হত্যা এবং শাপলা চত্বরের আলেম-ওলামাসহ বাংলাদেশের মানুষকে নির্মমভাবে হত্যার মতো ঘটনাগুলো জুলাই সনদে অন্তর্ভুক্ত হয়নি। এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো জুলাই সনদের মধ্যে আসা উচিত।’

আরেকটি মৌলিক দাবি পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন উল্লেখ করে চরমোনাই পীর বলেন, ‘পিআর পদ্ধতির নির্বাচনের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট চরিত্রের সরকার তৈরি হওয়ার সুযোগ থাকে না। এককভাবে ক্ষমতায় যাওয়ার সুযোগ থাকে না। প্রতিটি ভোটারের ভোটের মূল্যায়ন হয় এবং বাংলাদেশের সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি সংসদে থাকার সুযোগ তৈরি হয়। এই জন্যই আমরা পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চেয়েছি।’

সভায় আরও বক্তব্য দেন দলটির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা-৭ আসনের মনোনীত প্রার্থী সম্পাদক শাহ ইফতেখার তারিক, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত