নিজস্ব প্রতিবেদক ঢাকা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে কী শাস্তি হতে পারে, তা জানতে আইনমন্ত্রীর কাছে এসেছিলেন কুমিল্লা-৬ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার।
আজ দুপুরে সচিবালয়ে তিনি আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
একাধিকবার শোকজ করা হয়েছে আপনাকে। বারবার কেন আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন—জানতে চাইলে বাহার বলেন, ‘আমি আচরণবিধি লঙ্ঘন করছি না। আমাকে যে চিঠি দেওয়া হয়েছে, সেই চিঠি আচরণবিধিতে চলে না। আমাকে কী সাজা দেওয়া হবে, সেটা জনতে এসেছিলাম। সেই ব্যাখ্যা জানতে এসেছিলাম। কারণ আমি তো আইনজীবী না।’
নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘিত হয় প্রকাশ্যে এমন কথা বলার পর আপনাকে নির্বাচন কমিশন থেকে শোকজ করা হয়েছে। বিএনপি-জামায়াতের হাত-পা গুঁড়া করে দেব বলেছেন। একজন প্রার্থী হিসেবে আপনি এমন কথা বলতে পারেন কি না—জানতে চাইলে বাহার বলেন, ‘যেদিন আমি বক্তৃতা করি, তার ঠিক আগের দিন একজন রিকশাওয়ালা মারা গেছেন। পত্রিকায় আমি এভাবে পেয়েছিলাম, একজন রিকশাওয়ালা তার সন্তানদের লেখাপড়া করান। তিনি সেদিন একটি গ্যারেজে ঘুমিয়ে ছিলেন। সেখানে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। কারণ তারা (বিএনপি) নির্বাচন প্রতিহত করতে চায়। অগ্নিদগ্ধ হওয়ার পর দুই দিন হাসপাতালে কষ্ট পেয়ে মারা গেছেন।’
১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পর ওই উঠান বৈঠকে এমপি বাহার বলেন, ‘আগামী ৭ জানুয়ারি ভোট। বিএনপি নির্বাচনে হেরে যাবে বলে নির্বাচনে আসেনি। কোনো বিএনপি-জামায়াতের কর্মীকে কোনো প্রার্থীর পক্ষে পাওয়া গেলে তার হাত-ঠ্যাং (পা) ভেঙে দেবেন আপনারা। আমি আপনাদের সঙ্গে আছি। কোনো ভয়ের কারণ নেই। উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিতে যাবে কুমিল্লার মানুষ।’
বাহার বলেন, ‘ট্রেনের চারটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। একজন নারী ও একটি শিশু মারা গেছে। এগুলো আমাকে মানসিকভাবে যন্ত্রণা দিয়েছে। যারা নির্বাচন প্রতিহত করতে চায়, তাদের বিষয়ে বলেছিলাম। তারা তো প্রতিহতের নামে মানুষ হত্যায় লিপ্ত। ২০১৪ সালে তারা ৪০০ থেকে ৫০০ ভোটকেন্দ্র জ্বালিয়ে দিয়েছিল, যাতে ওই কাজগুলো তারা না করতে পারে, সে জন্য মানসিক জোর বাড়াতে এমন কথা বলেছি।’
আপনি কি এমন কথা বলতে পারেন—প্রশ্নে বাহার বলেন, ‘এটা আমার রাজনৈতিক বক্তৃতা ছিল। নির্বাচনের আচরণের ভেতরে যদি না পড়তাম, তাহলে এটি নিয়ে কোনো প্রশ্ন ছিল না। কিন্তু আমি এত বেশি আবেগপ্রবণ হয়ে গিয়েছিলাম, মনে হয়েছে কিসের রাজনীতি আমরা করি, মানুষ হত্যার রাজনীতি করি? আমরা তো প্রোগ্রাম করি, আমরা তো মানুষ হত্যার রাজনীতি করি না। আমি তো মুক্তিযোদ্ধা। আমি একটি থানা দখল করেছিলাম। ৫২টি মেয়েকে সেখান থেকে উদ্ধার করেছি। তখনই উপলব্ধি করতাম, কখন দেশ স্বাধীন হবে, আর আমাদের মেয়েরা নিরাপত্তা পাবে। আজ স্বাধীনতার ৫০ বছর পর আমাদের মেয়েরা নিরাপদ না। ট্রেনে উঠলে সেই ট্রেনের বগিতে আগুন লাগিয়ে দেয়, শিশুসহ মারা যায়।’
আপনার আসনে একজন সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে—এ বিষয়ে বাহার বলেন, ‘৭১ টিভির কুমিল্লা প্রতিনিধি নিরপেক্ষ না থেকে আমার বিপক্ষে খণ্ডিত নিউজ দিচ্ছেন। আমি তাঁকে বলেছিলাম, দয়া করে আমার নিউজ দেওয়া লাগবে না আপনার। এটা কি বলা অপরাধ হয়ে গেছে? খণ্ডিত নিউজ দিয়ে আমাকে বিব্রত করবেন না, এটা বলার অধিকার আমার নেই?’
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে কী শাস্তি হতে পারে, তা জানতে আইনমন্ত্রীর কাছে এসেছিলেন কুমিল্লা-৬ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার।
আজ দুপুরে সচিবালয়ে তিনি আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
একাধিকবার শোকজ করা হয়েছে আপনাকে। বারবার কেন আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন—জানতে চাইলে বাহার বলেন, ‘আমি আচরণবিধি লঙ্ঘন করছি না। আমাকে যে চিঠি দেওয়া হয়েছে, সেই চিঠি আচরণবিধিতে চলে না। আমাকে কী সাজা দেওয়া হবে, সেটা জনতে এসেছিলাম। সেই ব্যাখ্যা জানতে এসেছিলাম। কারণ আমি তো আইনজীবী না।’
নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘিত হয় প্রকাশ্যে এমন কথা বলার পর আপনাকে নির্বাচন কমিশন থেকে শোকজ করা হয়েছে। বিএনপি-জামায়াতের হাত-পা গুঁড়া করে দেব বলেছেন। একজন প্রার্থী হিসেবে আপনি এমন কথা বলতে পারেন কি না—জানতে চাইলে বাহার বলেন, ‘যেদিন আমি বক্তৃতা করি, তার ঠিক আগের দিন একজন রিকশাওয়ালা মারা গেছেন। পত্রিকায় আমি এভাবে পেয়েছিলাম, একজন রিকশাওয়ালা তার সন্তানদের লেখাপড়া করান। তিনি সেদিন একটি গ্যারেজে ঘুমিয়ে ছিলেন। সেখানে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। কারণ তারা (বিএনপি) নির্বাচন প্রতিহত করতে চায়। অগ্নিদগ্ধ হওয়ার পর দুই দিন হাসপাতালে কষ্ট পেয়ে মারা গেছেন।’
১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পর ওই উঠান বৈঠকে এমপি বাহার বলেন, ‘আগামী ৭ জানুয়ারি ভোট। বিএনপি নির্বাচনে হেরে যাবে বলে নির্বাচনে আসেনি। কোনো বিএনপি-জামায়াতের কর্মীকে কোনো প্রার্থীর পক্ষে পাওয়া গেলে তার হাত-ঠ্যাং (পা) ভেঙে দেবেন আপনারা। আমি আপনাদের সঙ্গে আছি। কোনো ভয়ের কারণ নেই। উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিতে যাবে কুমিল্লার মানুষ।’
বাহার বলেন, ‘ট্রেনের চারটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। একজন নারী ও একটি শিশু মারা গেছে। এগুলো আমাকে মানসিকভাবে যন্ত্রণা দিয়েছে। যারা নির্বাচন প্রতিহত করতে চায়, তাদের বিষয়ে বলেছিলাম। তারা তো প্রতিহতের নামে মানুষ হত্যায় লিপ্ত। ২০১৪ সালে তারা ৪০০ থেকে ৫০০ ভোটকেন্দ্র জ্বালিয়ে দিয়েছিল, যাতে ওই কাজগুলো তারা না করতে পারে, সে জন্য মানসিক জোর বাড়াতে এমন কথা বলেছি।’
আপনি কি এমন কথা বলতে পারেন—প্রশ্নে বাহার বলেন, ‘এটা আমার রাজনৈতিক বক্তৃতা ছিল। নির্বাচনের আচরণের ভেতরে যদি না পড়তাম, তাহলে এটি নিয়ে কোনো প্রশ্ন ছিল না। কিন্তু আমি এত বেশি আবেগপ্রবণ হয়ে গিয়েছিলাম, মনে হয়েছে কিসের রাজনীতি আমরা করি, মানুষ হত্যার রাজনীতি করি? আমরা তো প্রোগ্রাম করি, আমরা তো মানুষ হত্যার রাজনীতি করি না। আমি তো মুক্তিযোদ্ধা। আমি একটি থানা দখল করেছিলাম। ৫২টি মেয়েকে সেখান থেকে উদ্ধার করেছি। তখনই উপলব্ধি করতাম, কখন দেশ স্বাধীন হবে, আর আমাদের মেয়েরা নিরাপত্তা পাবে। আজ স্বাধীনতার ৫০ বছর পর আমাদের মেয়েরা নিরাপদ না। ট্রেনে উঠলে সেই ট্রেনের বগিতে আগুন লাগিয়ে দেয়, শিশুসহ মারা যায়।’
আপনার আসনে একজন সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে—এ বিষয়ে বাহার বলেন, ‘৭১ টিভির কুমিল্লা প্রতিনিধি নিরপেক্ষ না থেকে আমার বিপক্ষে খণ্ডিত নিউজ দিচ্ছেন। আমি তাঁকে বলেছিলাম, দয়া করে আমার নিউজ দেওয়া লাগবে না আপনার। এটা কি বলা অপরাধ হয়ে গেছে? খণ্ডিত নিউজ দিয়ে আমাকে বিব্রত করবেন না, এটা বলার অধিকার আমার নেই?’
প্রথমবারের মতো জিয়া সাইবার ফোর্স (জেডসিএফ) অস্ট্রেলিয়া মহাদেশ শাখার ১১ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন করা হয়েছে। ১৫ আগস্ট এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে মো. শরিফুল ইসলাম শিবলীকে আহ্বায়ক এবং মো. বাদশা বুলবুলকে সদস্যসচিব করে কমিটি অনুমোদন দেন জিয়া সাইবার ফোর্সের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির প্রধান সমন্বয়ক
২৩ মিনিট আগেআজ রোববার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির সঙ্গে জাতীয় কবিতা পরিষদের মতবিনিময় সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
২১ ঘণ্টা আগেদুদু বলেন, ‘দেশে এখন জবাবদিহিমূলক সরকার দরকার। এ সরকার পেতে হলে ভালো নির্বাচন দরকার। এই ভালো নির্বাচনের জন্য দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মৃত্যুর খুব কাছাকাছি থেকে ফিরে এসেছেন। তাঁকে চিকিৎসা পর্যন্ত শেখ হাসিনা করতে দেয়নি। মিথ্যা মামলায় তাঁকে ৬ বছর জেলে রেখেছিল।’
১ দিন আগেপ্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল। আজ রোববার বিকেল ৪টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সিইসির কার্যালয়ে এ বৈঠক শুরু হয়।
১ দিন আগে