Ajker Patrika

গণপরিষদের অ্যাজেন্ডা এনে নতুন কিছু প্রভোক করছেন, সরকারকে সিপিবি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৩ মার্চ ২০২৫, ২০: ৫৩
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। ফাইল ছবি
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। ফাইল ছবি

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবনায় গণপরিষদের অ্যাজেন্ডা এনে নতুন কিছুকে প্রভোক বা উসকে দেওয়া হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। আজ রোববার দুপুরে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে সংস্কার নিয়ে লিখিত মতামত জমা দিয়েছে সিপিবি। পরে সাংবাদিকদের কাছে এ কথা বলেন দলটির এ নেতা।

সিপিবি রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠানো স্প্রেডশিটে টিক চিহ্নের অংশে কোনো মতামত দেয়নি বলেও জানিয়েছেন সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। তিনি বলেন, ‘তারা (ঐকমত্য কমিশন) বাস্তবায়নের জন্য বলছে- গণপরিষদ করবে কি- করবে না! আমরা মনে করি- এ আলোচনা এখন কেন? কারণ, গণপরিষদ তো আমাদের অ্যাজেন্ডা নয়। আদৌ গণপরিষদ করব কি করব না, এটা তো ঠিকই হয়নি। কিন্তু এ প্রশ্নপত্র করার মধ্য দিয়ে আপনি নতুন কিছুকে প্রভোক করছেন।’

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের অনেকগুলো প্রস্তাবে সিপিবি একমত হলেও, কিছু প্রস্তাবে তারা মৌলিকভাবে দ্বিমত পোষণ করে। দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘অনেকগুলো প্রস্তাবের বিকল্প প্রস্তাব রয়েছে। কিছু প্রস্তাব একেবারে নাকচ করে দেওয়াও আছে। কিন্তু এ কাজগুলোর করার উপযুক্ত পদ্ধতি টিক চিহ্ন দিয়ে করা নয়। উপযুক্ত পদ্ধতি হচ্ছে আলাপ-আলোচনা করা।’

কমিশনের ১৬৬টি প্রস্তাবে অনেক কিছু অস্পষ্ট বলে মনে করে সিপিবি। দলটির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘এটার অনেক কিছুতে যদি আমরা হ্যাঁ ও না এর মধ্যে থাকি, সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির জায়গায় যাবে।’

সংবিধান সংস্কার প্রস্তাবনা প্রসঙ্গে প্রিন্স বলেন, ‘বাংলাদেশের নাম বাংলায় নতুন করে লেখার প্রস্তাবকে অপ্রয়োজনীয় ও অহেতুক বলে মনে করে সিপিবি।’

সিপিবির এ নেতা আরও বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত সংবিধানে অনেক অসম্পূর্ণতা আছে তা দূর করতে হবে। সংস্কার করতে হবে, সিপিবি এটা মনে করে। যা মুক্তিযুদ্ধের চার মূলনীতি ঠিক রেখেই হতে হবে।’

সংস্কার করার মূল দায়িত্ব জনগণের উল্লেখ করে সিপিবির এ নেতা বলেন, ‘এ জন্য জনগণকে সংযুক্ত করতে হবে। এর জন্য, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য, যা যা সংস্কার প্রয়োজন তা আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে আমরা যতটুকু ঐকমত্য হতে পারি অথবা ঐকমত্য না হলেও আলোচনা যতটুকু হলো এটি নির্বাচিত সরকারের কাছে হস্তান্তর করতে হবে। যাতে করে তারা জনগণের মতামত নিয়ে ভবিষ্যতে এই সংস্কারের কাজকে এগিয়ে নিতে পারে।’

প্রিন্স বলেন, ‘নির্বাচিত পার্লামেন্টই হচ্ছে ক্ষমতার উৎস। জনগণের প্রতিনিধি তারা। আমাদের পরিষ্কার কথা- সংবিধান সংশোধন। বাংলাদেশের বাস্তবতায় এখন সংবিধান নতুন করে লেখা একেবারেই অপ্রয়োজনীয় মনে করি।’

বাংলাদেশে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে গেলে- বিপ্লবী গণতান্ত্রিক পরিবর্তন আনতে হবে জানিয়ে প্রিন্স বলেন, ‘শুধু অল্পস্বল্প সংস্কার করলে হবে না। পুরো মৌলিক পরিবর্তন করতে হবে। সেই সংস্কারের জন্য আমাদের বিকল্প প্রস্তাবনা আছে, সবাই এটা জানেন। সুতরাং আমরা সেই পদ্ধতিতে আমরা মৌলিক সংস্কার করতে চাই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

নতুন মেট্রো নয়, রুট বাড়ানোর চিন্তা

সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত সড়ক কার্পেটিং বিচারপতি খিজির হায়াতের, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত