নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দুপুর থেকে বেশ সরব ছিল পুলিশ ৷ তবে বিকেলে নয়াপল্টনে সমাবেশের অনুমতি দেওয়ার পর থেকে সংযত আচরণ করছে তারা ৷ অনুমতির খবর পাওয়ার পরপরই আগে থেকে বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেওয়া নেতা-কর্মীরা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আবার জড়ো হওয়ার চেষ্টা করেন। তবে এবার এসব নেতা-কর্মীকে সরিয়ে কার্যালয়ের সামনের স্থান ফাঁকা করতে নেমে আসেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা-কর্মীরা ৷ একপর্যায়ে নেতা-কর্মীদের ওপর মারমুখী ভূমিকাতেও অবতীর্ণ হন এসব জ্যেষ্ঠ নেতা।
বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিটের দিকে দলীয় কার্যালয় থেকে সংবাদ সম্মেলন শেষ নিচে নামেন দলটির জ্যেষ্ঠ নেতা ঢাকা মহানগর বিএনপি দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান এবং দলটির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি।
প্রথমে তাঁরা জড়ো হওয়া নেতা-কর্মীদের ভালোভাবে কার্যালয়ের সামনের স্থান ও আশপাশের এলাকা থেকে চলে যাওয়ার আহ্বান জানান। এতে কাজ না হলে মারমুখী হয়ে ওঠেন আমান উল্লাহ আমান। তিনি অন্তত তিন, চারজন নেতা-কর্মীদের চর-থাপ্পড় দিয়ে কার্যালয়ের সামনে থেকে হোটেল মিডওয়ের গলি দিয়ে বের করে দেন। এরপর এ্যানি ও সালাম নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে চিৎকার করে পার্টি অফিস এলাকা ফাঁকা করে দিতে বলেন। এ সময় শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিকে চিৎকার করে বলতে শোনা যায়, ‘তোমরা এখন এখান থেকে চলে যাও। জায়গাটা ফাঁকা করে দাও। আর একটা রাত ধৈর্য ধরো। বাকিটা কাল দেখা যাবে।’
জ্যেষ্ঠ নেতাদের আহ্বান উপেক্ষা করে বিএনপির প্রধান কার্যালয়ের সামনে নেতা-কর্মীরা খণ্ড খণ্ড দল নিয়ে জড় হওয়ার চেষ্টা করতে থাকেন। পুলিশ তাঁদের কার্যালয়ের দুই পাশ থেকে বাধা দেয়। এ সময় কর্মীরা স্লোগান দিতে থাকেন।
রাস্তায় থাকা নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালামকে বলতে শোনা যায়, ‘আমাদের কর্মসূচি আগামীকাল। আজ কোনো ধরনের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হোক—তা আমরা চাই না। কোনো ইস্যুতে আগামীকালের মহাসমাবেশ বানচাল হতে দেওয়া যাবে না।’
এ সময় পুলিশকে তেমন কিছু করতে দেখা যায়নি। এর আগে মহাসমাবেশ উপলক্ষে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করা হয় বিএনপির পক্ষ থেকে। বিএনপি কোনো ধরনের সংঘাতময় ও উসকানিমূলক আচরণ করবে না বলে জানান দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, ‘কয়েক মাস ধরে বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ধারাবাহিক কর্মসূচিতে সরকারের পক্ষ থেকে হামলা হলেও বিএনপি ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে কখনোই সহিংস সন্ত্রাসের পথে পা বাড়ায়নি; বরং সরকারের পক্ষ থেকেই গুলি ও সশস্ত্র অস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়ে আমাদের নেতা-কর্মী খুন, জখম ও পঙ্গু করা হয়েছে। বিএনপির সমাবেশ, পদযাত্রা, তারুণ্যের সমাবেশ ইত্যাদি কর্মসূচিতে সরকারি দল বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে হামলা হলেও এর প্রতিবাদ জানাতে বিএনপি তার নিয়মতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি থেকে সরে আসেনি এবং কোনো উসকানিতে পা দেয়নি। বন্ধুরা, আজ ২৭ জুলাই মহাসমাবেশের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি ছিল। এ বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আজ কর্মদিবসের অজুহাত তোলা হয়। কিন্তু আমরা দেখেছি আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো যেকোনো দিবসেই, সেটি কর্মদিবসই হোক অথবা বন্ধের দিনই হোক, তা পালন করতে বাধা দেওয়া হয় না। তারপরেও সকল দিক বিবেচনা করে দলের পক্ষ থেকে আজকে ২৭ জুলাইয়ের কর্মসূচি পরিবর্তন করে আগামীকাল শুক্রবার বন্ধের দিন জুমার নামাজের পরে বেলা ২টায় নয়াপল্টনে অনুষ্ঠিত করার ঘোষণা দেওয়া হয়।’
এদিকে পুলিশ ও বিএনপি নেতারা চেষ্টার পরেও তেমন লাভ হচ্ছে না। সরিয়ে দেওয়ার পরপরই আবার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এসে জড়ো হচ্ছেন নেতা-কর্মীরা।
দুপুর থেকে বেশ সরব ছিল পুলিশ ৷ তবে বিকেলে নয়াপল্টনে সমাবেশের অনুমতি দেওয়ার পর থেকে সংযত আচরণ করছে তারা ৷ অনুমতির খবর পাওয়ার পরপরই আগে থেকে বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেওয়া নেতা-কর্মীরা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আবার জড়ো হওয়ার চেষ্টা করেন। তবে এবার এসব নেতা-কর্মীকে সরিয়ে কার্যালয়ের সামনের স্থান ফাঁকা করতে নেমে আসেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা-কর্মীরা ৷ একপর্যায়ে নেতা-কর্মীদের ওপর মারমুখী ভূমিকাতেও অবতীর্ণ হন এসব জ্যেষ্ঠ নেতা।
বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিটের দিকে দলীয় কার্যালয় থেকে সংবাদ সম্মেলন শেষ নিচে নামেন দলটির জ্যেষ্ঠ নেতা ঢাকা মহানগর বিএনপি দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান এবং দলটির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি।
প্রথমে তাঁরা জড়ো হওয়া নেতা-কর্মীদের ভালোভাবে কার্যালয়ের সামনের স্থান ও আশপাশের এলাকা থেকে চলে যাওয়ার আহ্বান জানান। এতে কাজ না হলে মারমুখী হয়ে ওঠেন আমান উল্লাহ আমান। তিনি অন্তত তিন, চারজন নেতা-কর্মীদের চর-থাপ্পড় দিয়ে কার্যালয়ের সামনে থেকে হোটেল মিডওয়ের গলি দিয়ে বের করে দেন। এরপর এ্যানি ও সালাম নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে চিৎকার করে পার্টি অফিস এলাকা ফাঁকা করে দিতে বলেন। এ সময় শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিকে চিৎকার করে বলতে শোনা যায়, ‘তোমরা এখন এখান থেকে চলে যাও। জায়গাটা ফাঁকা করে দাও। আর একটা রাত ধৈর্য ধরো। বাকিটা কাল দেখা যাবে।’
জ্যেষ্ঠ নেতাদের আহ্বান উপেক্ষা করে বিএনপির প্রধান কার্যালয়ের সামনে নেতা-কর্মীরা খণ্ড খণ্ড দল নিয়ে জড় হওয়ার চেষ্টা করতে থাকেন। পুলিশ তাঁদের কার্যালয়ের দুই পাশ থেকে বাধা দেয়। এ সময় কর্মীরা স্লোগান দিতে থাকেন।
রাস্তায় থাকা নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালামকে বলতে শোনা যায়, ‘আমাদের কর্মসূচি আগামীকাল। আজ কোনো ধরনের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হোক—তা আমরা চাই না। কোনো ইস্যুতে আগামীকালের মহাসমাবেশ বানচাল হতে দেওয়া যাবে না।’
এ সময় পুলিশকে তেমন কিছু করতে দেখা যায়নি। এর আগে মহাসমাবেশ উপলক্ষে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করা হয় বিএনপির পক্ষ থেকে। বিএনপি কোনো ধরনের সংঘাতময় ও উসকানিমূলক আচরণ করবে না বলে জানান দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, ‘কয়েক মাস ধরে বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ধারাবাহিক কর্মসূচিতে সরকারের পক্ষ থেকে হামলা হলেও বিএনপি ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে কখনোই সহিংস সন্ত্রাসের পথে পা বাড়ায়নি; বরং সরকারের পক্ষ থেকেই গুলি ও সশস্ত্র অস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়ে আমাদের নেতা-কর্মী খুন, জখম ও পঙ্গু করা হয়েছে। বিএনপির সমাবেশ, পদযাত্রা, তারুণ্যের সমাবেশ ইত্যাদি কর্মসূচিতে সরকারি দল বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে হামলা হলেও এর প্রতিবাদ জানাতে বিএনপি তার নিয়মতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি থেকে সরে আসেনি এবং কোনো উসকানিতে পা দেয়নি। বন্ধুরা, আজ ২৭ জুলাই মহাসমাবেশের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি ছিল। এ বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আজ কর্মদিবসের অজুহাত তোলা হয়। কিন্তু আমরা দেখেছি আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো যেকোনো দিবসেই, সেটি কর্মদিবসই হোক অথবা বন্ধের দিনই হোক, তা পালন করতে বাধা দেওয়া হয় না। তারপরেও সকল দিক বিবেচনা করে দলের পক্ষ থেকে আজকে ২৭ জুলাইয়ের কর্মসূচি পরিবর্তন করে আগামীকাল শুক্রবার বন্ধের দিন জুমার নামাজের পরে বেলা ২টায় নয়াপল্টনে অনুষ্ঠিত করার ঘোষণা দেওয়া হয়।’
এদিকে পুলিশ ও বিএনপি নেতারা চেষ্টার পরেও তেমন লাভ হচ্ছে না। সরিয়ে দেওয়ার পরপরই আবার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এসে জড়ো হচ্ছেন নেতা-কর্মীরা।
গত বছরের অক্টোবরের তুলনায় বর্তমানে দেশের বড় দল বিএনপির জনপ্রিয়তা কমলেও বাড়ছে তরুণদের নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জনপ্রিয়তা। সম্প্রতি এক জরিপে দেখা যায়, ২০২৪ সালের অক্টোবরে বিএনপির জনপ্রিয়তা ছিল ১৬ দশমিক ৩ শতাংশ, গত জুলাইয়ে তা ১২ শতাংশে নেমেছে..
১ ঘণ্টা আগেমিডিয়াকে ব্যবহার করে এনসিপির নেতা-কর্মীদের গ্রহণযোগ্যতা ‘নষ্ট’ করার জন্য অনেক ‘অপশক্তি’ কাজ করছে অভিযোগ করে এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান তরিকুল।
১ দিন আগেসংসদে উচ্চকক্ষের মতো নিম্নকক্ষেও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন বাস্তবায়নের দাবিতে জামায়াত ইসলামী আন্দোলন করবে বলে জানিয়েছেন দলটি নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের। রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে আজ রোববার (১০ আগস্ট) প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ
১ দিন আগেবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ, চাঁদাবাজি এবং দলের নীতি ও আদর্শ পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সহসভাপতি এস এম আসলাম এবং সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক টিএইচ তোফাকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রাথমিক সদস্যস
১ দিন আগে