নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
একসময়ের রাজনৈতিক মিত্র বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছিল অনেক দিন ধরে। গণ-অভ্যুত্থানের পর পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বাগ্যুদ্ধের পাশাপাশি কোথাও কোথাও সংঘর্ষেও জড়িয়েছেন দল দুটির নেতা-কর্মীরা। নির্বাচনের সময়কাল নিয়ে ভিন্ন মেরুতে অবস্থান দল দুটির মধ্যে দূরত্ব আরও বাড়িয়ে দেয়। অবশেষে সে নির্বাচন নিয়েই আবারও এক মোহনায় মিলিত হয়েছেন তাঁরা। জানা গেছে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগের গুঞ্জনকে ঘিরে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বৈঠক করেছেন দল দুটির নেতারা। সেই বৈঠকে জাতীয় নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়কাল নিয়ে একমত হয়েছেন তাঁরা।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, বিরাজমান সংকট নিরসনে গত বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর রমনার একটি বাসায় ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান নিজেই দলের পক্ষে এ বৈঠকে অংশ নেন। অন্যদিকে বিএনপির পক্ষে ছিলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। বিএনপি ও জামায়াত ছাড়াও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামও বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠকে বিরাজমান সমস্যা এবং সেগুলো নিরসনে তিন দলের মধ্যে আলোচনা হয়। আলোচনার একপর্যায়ে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে এক জায়গায় আসে বিএনপি ও জামায়াত। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে সম্ভব না হলেও নির্বাচন অনুষ্ঠানে সর্বোচ্চ আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সরকারকে সময় দেওয়ার পক্ষে থাকার বিষয়ে একমত হয় দল দুটি।
তবে বৈঠকের পরও নির্বাচন অনুষ্ঠান প্রশ্নে আগের অবস্থানেই আছে এনসিপি।
বৃহস্পতিবার রাতের এই বৈঠকের বিষয়টি স্বীকার করেনি কোনো পক্ষই। বিরাজমান পরিস্থিতি এবং নির্বাচন নিয়ে জামায়াতের সঙ্গে সম্প্রতি কোনো বৈঠক হয়েছে কি না, জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জামায়াতের সঙ্গে আমাদের এ রকম কোনো বৈঠক হয়নি।’ জামায়াতের পক্ষ থেকেও বিষয়টি নিয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলা হয়নি।
তবে নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের মতভিন্নতা যে দূর হয়েছে, তার ইঙ্গিত পাওয়া গেল দলটির নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরের বক্তব্যে। গতকাল শুক্রবার কুমিল্লায় এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, ‘সরকার যদি ডিসেম্বরে নির্বাচন করে জামায়াতের কোনো আপত্তি নেই। দুই মাস পর করলেও আপত্তি নেই। তবে সরকারের উচিত একটি সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ দেওয়া। জামায়াত দুটি রোডম্যাপ চেয়েছে; একটি হচ্ছে নির্বাচনের রোডম্যাপ, অন্যটি হচ্ছে সংস্কারের রোডম্যাপ।’
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। শুরু থেকেই ওই সরকারের কাছে দ্রুততম সময়ে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়ে আসছে বিএনপি। দলটির দাবি, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে হবে এবং এর জন্য সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ দিতে হবে। তবে সরকারের দিক থেকে সুনির্দিষ্ট কিছু না বলে ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। নির্বাচন নিয়ে বিএনপির এই দাবির সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করে সংস্কারে গুরুত্বারোপ করে জামায়াতে ইসলামী। একই সঙ্গে জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠানে সুপারিশ করেন তাঁরা।
একসময়ের রাজনৈতিক মিত্র বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছিল অনেক দিন ধরে। গণ-অভ্যুত্থানের পর পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বাগ্যুদ্ধের পাশাপাশি কোথাও কোথাও সংঘর্ষেও জড়িয়েছেন দল দুটির নেতা-কর্মীরা। নির্বাচনের সময়কাল নিয়ে ভিন্ন মেরুতে অবস্থান দল দুটির মধ্যে দূরত্ব আরও বাড়িয়ে দেয়। অবশেষে সে নির্বাচন নিয়েই আবারও এক মোহনায় মিলিত হয়েছেন তাঁরা। জানা গেছে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগের গুঞ্জনকে ঘিরে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বৈঠক করেছেন দল দুটির নেতারা। সেই বৈঠকে জাতীয় নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়কাল নিয়ে একমত হয়েছেন তাঁরা।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, বিরাজমান সংকট নিরসনে গত বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর রমনার একটি বাসায় ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান নিজেই দলের পক্ষে এ বৈঠকে অংশ নেন। অন্যদিকে বিএনপির পক্ষে ছিলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। বিএনপি ও জামায়াত ছাড়াও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামও বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠকে বিরাজমান সমস্যা এবং সেগুলো নিরসনে তিন দলের মধ্যে আলোচনা হয়। আলোচনার একপর্যায়ে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে এক জায়গায় আসে বিএনপি ও জামায়াত। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে সম্ভব না হলেও নির্বাচন অনুষ্ঠানে সর্বোচ্চ আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সরকারকে সময় দেওয়ার পক্ষে থাকার বিষয়ে একমত হয় দল দুটি।
তবে বৈঠকের পরও নির্বাচন অনুষ্ঠান প্রশ্নে আগের অবস্থানেই আছে এনসিপি।
বৃহস্পতিবার রাতের এই বৈঠকের বিষয়টি স্বীকার করেনি কোনো পক্ষই। বিরাজমান পরিস্থিতি এবং নির্বাচন নিয়ে জামায়াতের সঙ্গে সম্প্রতি কোনো বৈঠক হয়েছে কি না, জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জামায়াতের সঙ্গে আমাদের এ রকম কোনো বৈঠক হয়নি।’ জামায়াতের পক্ষ থেকেও বিষয়টি নিয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলা হয়নি।
তবে নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের মতভিন্নতা যে দূর হয়েছে, তার ইঙ্গিত পাওয়া গেল দলটির নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরের বক্তব্যে। গতকাল শুক্রবার কুমিল্লায় এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, ‘সরকার যদি ডিসেম্বরে নির্বাচন করে জামায়াতের কোনো আপত্তি নেই। দুই মাস পর করলেও আপত্তি নেই। তবে সরকারের উচিত একটি সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ দেওয়া। জামায়াত দুটি রোডম্যাপ চেয়েছে; একটি হচ্ছে নির্বাচনের রোডম্যাপ, অন্যটি হচ্ছে সংস্কারের রোডম্যাপ।’
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। শুরু থেকেই ওই সরকারের কাছে দ্রুততম সময়ে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়ে আসছে বিএনপি। দলটির দাবি, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে হবে এবং এর জন্য সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ দিতে হবে। তবে সরকারের দিক থেকে সুনির্দিষ্ট কিছু না বলে ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। নির্বাচন নিয়ে বিএনপির এই দাবির সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করে সংস্কারে গুরুত্বারোপ করে জামায়াতে ইসলামী। একই সঙ্গে জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠানে সুপারিশ করেন তাঁরা।
দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে অবিলম্বে ফ্যাসিবাদবিরোধী নেতৃত্ব, শ্রম-কর্ম-পেশার জনগণ ও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধির সমন্বয়ে জাতীয় সরকার গঠনের দাবি জানিয়েছে যুব বাঙালি। গতকাল শুক্রবার সংগঠনটির সংগঠক শরিফুল ইসলাম হৃদয়ের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
১০ ঘণ্টা আগেশনিবার (২৪ মে) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাত করবে বিএনপি ও জামায়াত। বিকেল ৪টা থেকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিএনপির সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ হওয়ার কথা রয়েছে বলে আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা।
১০ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে আরেকটি এক-এগারোর পাঁয়তারা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। আজ শুক্রবার এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এমনটি জানান।
১৩ ঘণ্টা আগেদেশের তরুণ প্রজন্ম এবং খুদে বিজ্ঞানীদের উৎসাহ দিলেন জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের (জেডআরএফ) ভাইস প্রেসিডেন্ট ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সহধর্মিণী জোবাইদা রহমান। আজ শুক্রবার বিকেলে জেডআরএফ কার্যালয়ে ‘ভার্চুয়াল বিজ্ঞান মেলা’র পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন।
১৩ ঘণ্টা আগে