Ajker Patrika

যা চলছে, তাকে আর রাজনীতি বলা যায় না: অধ্যাপক আবুল কাসেম

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২১ মার্চ ২০২৫, ২১: ৪৩
জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে আজ শুক্রবার বাংলাদেশ গণমুক্তি পার্টি আয়োজিত ‘রাজনীতি কী এবং কেন?’ শীর্ষক আলোচনা সভায় কথা বলেন আবুল কাসেম ফজলুল হক। ছবি: আজকের পত্রিকা
জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে আজ শুক্রবার বাংলাদেশ গণমুক্তি পার্টি আয়োজিত ‘রাজনীতি কী এবং কেন?’ শীর্ষক আলোচনা সভায় কথা বলেন আবুল কাসেম ফজলুল হক। ছবি: আজকের পত্রিকা

বর্তমানে যে নীতি চলছে, তাকে আর রাজনীতি বলা যায় না; বরং নতুন কোনো শব্দ দিয়ে এটাকে চিহ্নিত করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক।

জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে আজ শুক্রবার বাংলাদেশ গণমুক্তি পার্টি আয়োজিত ‘রাজনীতি কী এবং কেন?’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন আবুল কাসেম ফজলুল হক। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের রাজনীতির প্রতি কোনো আগ্রহ নেই, বরং তারা একে ঘৃণা ও ভয়ের চোখে দেখে। রাজনৈতিক নেতাদের তারা সম্মান করে না, বরং ভয়ে সালাম দেয়। অথচ সম্মান ও ভয়ের মধ্যে বিশাল পার্থক্য রয়েছে।

আবুল কাসেম ফজলুল হক আরও বলেন, ‘আমাদের প্রশ্ন করা উচিত—যেসব নেতা সংসদ ও মন্ত্রিসভায় রয়েছেন, তাঁদের প্রতি জনগণের সত্যিকারের শ্রদ্ধা আছে কি? তাঁরা কি জনগণের জন্য কোনো ভালো কাজ করছেন? তাঁদের লক্ষ্য ও অভিপ্রায় কী? খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনার দল থেকে যাঁরা নেতৃত্বে এসেছেন, তাঁদের উদ্দেশ্য কী ছিল? তাঁদের নিজস্ব আকাঙ্ক্ষা কী ছিল?’

বাংলা একাডেমির সভাপতি বলেন, ‘শেখ হাসিনার ক্ষেত্রে দেখা যায়, তিনি বিভিন্নভাবে, নামে-বেনামে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন। খালেদা জিয়ার অবস্থাও একই রকম। তবে জিয়াউর রহমান ক্ষমতার অপব্যবহার করে ব্যক্তিগত সম্পদ অর্জনের চেষ্টা করেননি। তিনি তুলনামূলক সরল জীবন যাপন করতেন। কিন্তু তাঁর স্ত্রীর ক্ষেত্রে দেখা যায়, সম্পদ অর্জনের প্রতি আগ্রহ ছিল। পরবর্তী সময়ে যাঁরা ক্ষমতায় এসেছেন, তাঁদের মূল লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে এমন অর্থ ও সম্পদ অর্জন করা, যা তাঁদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য নিরাপদ জীবন নিশ্চিত করতে পারে।’

আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, শেখ হাসিনা টানা ১৫ বছর এবং এর আগে আরও ৫ বছর ক্ষমতায় ছিলেন। দীর্ঘ এই শাসনামলে আওয়ামী লীগ সীমাহীন সম্পদের মালিক হয়েছে।

আজকের বাংলাদেশে রাজনীতি শুধু রাজনৈতিক দল ও নেতাদের নিয়ন্ত্রণে নেই মন্তব্য করে আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, ‘সিভিল সোসাইটি ও এনজিওগুলোর প্রভাব ক্রমেই বেড়েছে। এসব এনজিও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে কাজ করলেও সিভিল সোসাইটি মূলত বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদদের মধ্যে প্রভাব বিস্তার করে এবং রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করার শক্তি হিসেবে কাজ করে। বর্তমান সরকারও সিভিল সোসাইটি দ্বারা প্রভাবিত। ফলে প্রচলিত রাজনৈতিক নেতৃত্ব কার্যত বিলুপ্ত হয়েছে, যা পুনর্গঠিত করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

দেশের রাজনীতিতে সামরিক শাসন এসেছে প্রধানত রাজনৈতিক দলগুলোর দুর্বলতার কারণে—এ পর্যবেক্ষণ আবুল কাসেম ফজলুল হকের। তিনি বলেন, ‘কেবল মিলিটারি ক্ষমতার লোভে শাসনভার নিয়েছে, এই ব্যাখ্যা যথেষ্ট নয়। আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাস বারবার সংকট ও বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে গেছে। বঙ্গবন্ধুর শাসন শেষ হওয়ার পর থেকেই দেখা যায় রাজনীতি আর জনসেবার মাধ্যম থাকেনি, বরং পার্লামেন্ট সদস্য ও মন্ত্রী হয়ে সম্পদ গঠনের সুযোগে পরিণত হয়েছে।’

আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক এম এ আলীম সরকারের সভাপতিত্বে সভায় মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সদস্য বিজন হাওলাদার। এ ছাড়াও বক্তব্য দেন ইউসেট বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক শরীফ আব্দুল্লাহ হিল সাকী, শামীম ইশতিয়াক চৌধুরী প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রেড ক্রিসেন্টের চেয়ারম্যানের পদত্যাগ চাওয়া মুনতাসিরকে এনসিপি থেকে চূড়ান্ত অব্যাহতি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
মুনতাসির মাহমুদ। ছবি: সংগৃহীত
মুনতাসির মাহমুদ। ছবি: সংগৃহীত

সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় কেন্দ্রীয় সংগঠক মুনতাসির মাহমুদকে স্থায়ীভাবে অব্যাহতি দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান এনসিপির দপ্তর সেলের সদস্য সাদিয়া ফারজানা দিনা।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ১২ অক্টোবর এনসিপি/কেন্দ্র/শোকজ/২০২৫-২০২৬/১৪ স্মারকে আপনাকে (মুনতাসির মাহমুদ) সাময়িক অব্যাহতি প্রদান করা হয় এবং আপনাকে কেন স্থায়ীভাবে অব্যাহতি দেওয়া হবে না তার লিখিত ব্যাখ্যা জানতে চাওয়া হয়।

ওই নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে বিগত ১৪ অক্টোবর মুনতাসির মাহমুদ লিখিত জবাব প্রদান করেন। ওই জবাব পর্যালোচনা করে তাঁর প্রদত্ত ব্যাখ্যা সন্তোষজনক না হওয়ায় এবং পূর্বোক্ত ঘটনায় শৃঙ্খলা কমিটির কার্যক্রম চলমান অবস্থায় তাঁকে সতর্ক করা সত্ত্বেও বারবার সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব আখতার হোসেনের নির্দেশক্রমে তাঁকে দল থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হলো।

উল্লেখ্য, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. আজিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের লোকজনকে পুনর্বাসনের অভিযোগ তুলে একদল লোক নিয়ে সম্প্রতি মগবাজারে সংস্থাটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢুকে বিক্ষোভ করেন মুনতাসির মাহমুদ। সেদিনই মুনতাসির মাহমুদকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ও অব্যাহতির চিঠি পাঠায় এনসিপি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিএনপির মনোনীত প্রার্থীদের পক্ষে সবাইকে কাজ করতে হবে, নেতা-কর্মীদের নজরুল ইসলাম খান

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) ভবনে আজ বুধবার আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। ছবি: ফোকাস বাংলা
রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) ভবনে আজ বুধবার আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। ছবি: ফোকাস বাংলা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করার জন্য নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) ভবনে আজ বুধবার জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ‘শহীদ জিয়া: শ্রমিক জাগরণ, উৎপাদন ও উন্নয়ন শীর্ষক’ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘বিএনপির পক্ষ থেকে যাঁদের মনোনীত করা হবে, তাঁদের বিজয়ী করার জন্য সবাই মিলে কাজ করতে হবে। ৩১ দফা যে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে, সেখানে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের কথা বলা আছে। শ্রমিকদের কথা বিশেষ করে বলা আছে। আমরা যদি এই পরিবর্তন আমাদের পক্ষে নিয়ে আসতে পারি, তাহলে আমাদের আকাঙ্ক্ষার অনেক কিছুই পূরণ হবে।’

রাষ্ট্রপতি প্রয়াত জিয়াউর রহমান দেশের জন্য ‘যুগান্তকারী উন্নয়নের ভিত্তি তৈরি করেছিলেন’-এ মন্তব্য করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, সেই ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীদের বিজয়ী করতে হবে। শুধু ঢাকায় নয়; সারা দেশে সবাইকে সংগঠিতভাবে কাজ করতে হবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘জিয়াউর রহমান ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প, শিশুদের উন্নয়ন, কৃষি, শিল্প উৎপাদন বৃদ্ধিসহ সর্বস্তরের মানুষের উন্নয়নের জন্য কাজ করেছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন সবার জন্য উন্নয়ন—কিছু মানুষের জন্য নয়। কিন্তু আজ দেশে অসম উন্নয়ন চলছে। কেউ কোটি টাকার মালিক হচ্ছেন, আবার কেউ দিন দিন দরিদ্র হচ্ছেন—এটা শহীদ জিয়ার চাওয়া বাংলাদেশ নয়।’

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন, জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইন প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতা রিজভীকে দল থেকে সাময়িক অব্যাহতি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আজিজুর রহমান রিজভী। ছবি: সংগৃহীত
আজিজুর রহমান রিজভী। ছবি: সংগৃহীত

দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) আজিজুর রহমান রিজভীকে দল থেকে সাময়িক অব্যাহতি ও কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানান এনসিপির দপ্তর সেলের সদস্য সাদিয়া ফারজানা দিনা।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘আজিজুর রহমান রিজভীর বিরুদ্ধে গুরুতর দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের একটি ঘটনায় অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে এবং ওই ঘটনায় তাঁর আচরণ সংগঠনের নীতিবিরুদ্ধ বলে আমাদের নিকট প্রতীয়মান হয়েছে। এমতাবস্থায় তাঁকে দলের সব দায়িত্ব থেকে সাময়িক অব্যাহতি প্রদান করা হলো।’

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, একই সাথে তাঁকে কেন দল থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না, তার যথাযথ ব্যাখ্যা আগামী ৩ কার্যদিবসের মধ্যে শৃঙ্খলা কমিটির প্রধান অ্যাড. আব্দুল্লাহ আল-আমিন বরাবর দাখিলের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিএনপির ফাঁকা রাখা ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে মাথাল প্রতীকের প্রার্থী জোনায়েদ সাকি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ১৯: ৩৫
জোনায়েদ সাকি। ছবি: সংগৃহীত
জোনায়েদ সাকি। ছবি: সংগৃহীত

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৯৪টি সংসদীয় আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে গণসংহতি আন্দোলন। দলটির প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে নির্বাচন করবেন। এই আসনে বিএনপি এখনো কোনো প্রার্থী মনোনয়ন দেয়নি।

আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর হাতিরপুলে গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল।

সংবাদ সম্মেলনে জোনায়েদ সাকি বলেন, নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য একটা অপরিহার্য ব্যাপার। সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হলে আবশ্যিকভাবে নির্বাচন লাগবে।

সাকি বলেন, ‘গণসংহতি আন্দোলনের প্রার্থীরা নিজ দলীয় প্রতীকেই নির্বাচন করবেন। কিন্তু কোনো দল যদি কোনো জোটের প্রতীকে নির্বাচন করতে চায়, সেই সুযোগটা রাখাও আমরা সমীচীন মনে করি।’

জোনায়েদ সাকি আরও বলেন, সংশোধিত আরপিওতে প্রার্থীদের জামানতের টাকার অঙ্ক বৃদ্ধি করা হয়েছে। এটা পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে যে নির্বাচন পদ্ধতি ক্রমাগত অর্থনির্ভর হচ্ছে এবং যাদের অর্থের দিক থেকে কম সক্ষমতা আছে, তাদের জন্য বিষয়গুলো কঠিন হয়ে উঠছে।

সাকি বলেন, ‘আমরা একটা ঐতিহাসিক কালে আছি। ২০২৪ সালের ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থান পুরো বাংলাদেশকে আবার একটা পুনর্গঠনের দাবি নিয়ে সামনে এসেছে। সেই পুনর্গঠন কালটাতেও ন্যূনতম জাতীয় ঐকমত্য আমাদের জন্য অত্যন্ত জরুরি। এই ন্যূনতম জাতীয় ঐকমত্য হচ্ছে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের জন্য, যেটা রাষ্ট্রব্যবস্থা সংস্কারের মধ্য দিয়ে আমরা অর্জন করব। এবং এসবের মধ্য দিয়ে একটা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, সামাজিক নতুন বন্দোবস্ত আমরা কায়েম করতে চাই।’

পরে গণসংহতি আন্দোলনের ৫৫ সদস্যবিশিষ্ট নবনির্বাচিত কেন্দ্রীয় কমিটির পরিচিতি ও ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে দলের সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকা ঘোষণা করেন আবুল হাসান রুবেল। একই সঙ্গে রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশের এক দশক পূর্তিতে ১৪ নভেম্বর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে দলীয় সমাবেশ ও মাথাল র‍্যালি কর্মসূচির ঘোষণা দেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন দলের রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য দেওয়ান আবদুর রশীদ নীলু, তাসলিমা আখতার, হাসান মারুফ রুমী ও মনির উদ্দীন পাপ্পু; কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য বাচ্চু ভুইয়া, জুলহাসনাইন বাবু, দীপক কুমার রায় প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত