নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রশাসনে যেসব কর্মকর্তাকে পদায়ন করা হয়েছে তাঁরা রাজনৈতিকভাবে হয় বিএনপি, নয় জামায়াত বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের। তিনি বলেছেন, ‘নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পুলিশ, ডিসি, ইউএনওদের যেভাবে হেস্তনেস্ত করা হয়েছে, তাঁরা ডিমোরালাইজড। তাঁদের সরিয়ে নির্বাচন করতে এখন যাঁদের আনা হয়েছে, তাঁরা হয় বিএনপি থেকে এসেছেন, নয়তো জামায়াত থেকে এসেছেন। তাঁরা পলিটিসাইজড।’
আজ শনিবার দুপুরে বনানীর জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের কার্যালয় মিলনায়তনে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় বর্ধিত সভার প্রথম দিনে এ কথা বলেন তিনি।
দেশের বর্তমানে রাজনৈতিক সংকট সমাধানের প্রথম ধাপ একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন উল্লেখ করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেছেন, একটি অবাধ ও সুষ্ঠু ইনক্লুসিভ নির্বাচন সমস্যা সমাধানের প্রথম ধাপ। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এটি করা উচিত। তার আগে নির্বাচন যেন অবাধ-সুষ্ঠু হতে পারে তার জন্য যে কাঠামো দরকার, পুলিশ, প্রশাসন যেন নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারবে, সরকার নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারবে, তার নিশ্চয়তা দরকার। ডিসেম্বরে হলেও আপত্তি নেই, তার আগে হলেও আপত্তি নেই।
তবে বর্তমান সরকার সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করতে পারবেন কি না—এমন সন্দেহ প্রকাশ করে জি এম কাদের বলেন, ‘তাদের কি সে সক্ষমতা আছে? সে ইচ্ছা আছে? নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পুলিশ, ডিসি, ইউএনওদের যেভাবে হেস্তনেস্ত করা হয়েছে, তাঁরা ডিমোরালাইজড। তাঁদের সরিয়ে নির্বাচন করতে এখন যাঁদের আনা হয়েছে তাঁরা হয় বিএনপি থেকে এসেছেন, নয়তো জামায়াত থেকে এসেছেন। তাঁরা পলিটিসাইজড।’
জি এম কাদের বলেন, ‘নির্বাচনের সময় পুলিশ সঠিকভাবে কাজ করতে পারবে কি না, আমরা প্রচারণা করতে পারব কি না, ডিসি-এসপিরা কাজ করতে পারবেন কি না। একতরফা নির্বাচন করে কারও লাভ হবে না, আবার একটা গণ্ডগোল হবে।’
আওয়ামী লীগের বিচার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের বিচার করার জন্য কেউ বাধা দিচ্ছে না। এগুলো একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। বিচারের সঙ্গে নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই। নির্বাচন সমঝোতা সময়ে হতে হবে। নির্বাচন পেছানো এবং বিলম্বিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করে তাঁরা একটা ব্যর্থ রাষ্ট্র করতে চাচ্ছেন।’
সংস্কারের আলোচনা পুরোপুরি ‘ভিত্তিহীন’ উল্লেখ করে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, সংস্কারের কোনো যৌক্তিকতা নেই। নির্বাচিত সরকার ছাড়া যেসব সংস্কার করতে চাচ্ছেন, সেসব সংস্কার সম্ভব নয়।
এদিকে একই দিনে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বর্ধিত সভা করেছে রওশন এরশাদ নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির আরেক অংশ। সভায় পার্টির মহাসচিব কাজী মামুনুর রশিদ বলেন, ‘পল্লিবন্ধু এরশাদের অসুস্থতার সুযোগে দলীয় চেয়ারম্যান পদ দখল করেন জি এম কাদের। দলীয় নেতা-কর্মীরা তাঁকে এই পদে কখনোই দেখতে চাননি। আজ জি এম কাদেরকে গ্রেপ্তার শুধু জনগণ নয়, দলীয় নেতা-কর্মীদেরও প্রধান দাবিতে পরিণত হয়েছে। তিনি মনোনয়ন-বাণিজ্য করেছেন, দলীয় চাঁদা আত্মসাতের সঙ্গে জড়িত। ইতিমধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশন অনুসন্ধান শুরু করেছে।’
কাজী মামুনুর রশিদ আরও বলেন, ‘একের পর এক ত্যাগী নেতা-কর্মীরা অপমানিত হয়ে পদত্যাগ করছেন। এভাবে দল চলতে পারে না। আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। দলকে সুসংগঠিত করতে হবে।’
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রশাসনে যেসব কর্মকর্তাকে পদায়ন করা হয়েছে তাঁরা রাজনৈতিকভাবে হয় বিএনপি, নয় জামায়াত বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের। তিনি বলেছেন, ‘নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পুলিশ, ডিসি, ইউএনওদের যেভাবে হেস্তনেস্ত করা হয়েছে, তাঁরা ডিমোরালাইজড। তাঁদের সরিয়ে নির্বাচন করতে এখন যাঁদের আনা হয়েছে, তাঁরা হয় বিএনপি থেকে এসেছেন, নয়তো জামায়াত থেকে এসেছেন। তাঁরা পলিটিসাইজড।’
আজ শনিবার দুপুরে বনানীর জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের কার্যালয় মিলনায়তনে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় বর্ধিত সভার প্রথম দিনে এ কথা বলেন তিনি।
দেশের বর্তমানে রাজনৈতিক সংকট সমাধানের প্রথম ধাপ একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন উল্লেখ করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেছেন, একটি অবাধ ও সুষ্ঠু ইনক্লুসিভ নির্বাচন সমস্যা সমাধানের প্রথম ধাপ। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এটি করা উচিত। তার আগে নির্বাচন যেন অবাধ-সুষ্ঠু হতে পারে তার জন্য যে কাঠামো দরকার, পুলিশ, প্রশাসন যেন নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারবে, সরকার নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারবে, তার নিশ্চয়তা দরকার। ডিসেম্বরে হলেও আপত্তি নেই, তার আগে হলেও আপত্তি নেই।
তবে বর্তমান সরকার সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করতে পারবেন কি না—এমন সন্দেহ প্রকাশ করে জি এম কাদের বলেন, ‘তাদের কি সে সক্ষমতা আছে? সে ইচ্ছা আছে? নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পুলিশ, ডিসি, ইউএনওদের যেভাবে হেস্তনেস্ত করা হয়েছে, তাঁরা ডিমোরালাইজড। তাঁদের সরিয়ে নির্বাচন করতে এখন যাঁদের আনা হয়েছে তাঁরা হয় বিএনপি থেকে এসেছেন, নয়তো জামায়াত থেকে এসেছেন। তাঁরা পলিটিসাইজড।’
জি এম কাদের বলেন, ‘নির্বাচনের সময় পুলিশ সঠিকভাবে কাজ করতে পারবে কি না, আমরা প্রচারণা করতে পারব কি না, ডিসি-এসপিরা কাজ করতে পারবেন কি না। একতরফা নির্বাচন করে কারও লাভ হবে না, আবার একটা গণ্ডগোল হবে।’
আওয়ামী লীগের বিচার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের বিচার করার জন্য কেউ বাধা দিচ্ছে না। এগুলো একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। বিচারের সঙ্গে নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই। নির্বাচন সমঝোতা সময়ে হতে হবে। নির্বাচন পেছানো এবং বিলম্বিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করে তাঁরা একটা ব্যর্থ রাষ্ট্র করতে চাচ্ছেন।’
সংস্কারের আলোচনা পুরোপুরি ‘ভিত্তিহীন’ উল্লেখ করে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, সংস্কারের কোনো যৌক্তিকতা নেই। নির্বাচিত সরকার ছাড়া যেসব সংস্কার করতে চাচ্ছেন, সেসব সংস্কার সম্ভব নয়।
এদিকে একই দিনে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বর্ধিত সভা করেছে রওশন এরশাদ নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির আরেক অংশ। সভায় পার্টির মহাসচিব কাজী মামুনুর রশিদ বলেন, ‘পল্লিবন্ধু এরশাদের অসুস্থতার সুযোগে দলীয় চেয়ারম্যান পদ দখল করেন জি এম কাদের। দলীয় নেতা-কর্মীরা তাঁকে এই পদে কখনোই দেখতে চাননি। আজ জি এম কাদেরকে গ্রেপ্তার শুধু জনগণ নয়, দলীয় নেতা-কর্মীদেরও প্রধান দাবিতে পরিণত হয়েছে। তিনি মনোনয়ন-বাণিজ্য করেছেন, দলীয় চাঁদা আত্মসাতের সঙ্গে জড়িত। ইতিমধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশন অনুসন্ধান শুরু করেছে।’
কাজী মামুনুর রশিদ আরও বলেন, ‘একের পর এক ত্যাগী নেতা-কর্মীরা অপমানিত হয়ে পদত্যাগ করছেন। এভাবে দল চলতে পারে না। আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। দলকে সুসংগঠিত করতে হবে।’
ভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনের সঙ্গে দেখা করে রাষ্ট্র সংস্কার, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ বিভিন্ন বিষয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অবস্থান তুলে ধরেছেন দলটির নেতারা। আজ সোমবার রাজধানীর গুলশানে রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে বিকেল ৫টা থেকে এক ঘণ্টার বৈঠক হয়...
১ ঘণ্টা আগেভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা। আজ সোমবার (১১ আগস্ট) বিকেলে গুলশান-২ নম্বরে রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে যান আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ দলটির কেন্দ্রীয় চার নেতা। এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব মুশফিক উস সালেহীন বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত...
২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের ইতিহাসে আগামী নির্বাচন সবচেয়ে কঠিন হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, অনেকে ভাবছে, একটি প্রতিপক্ষ তো আর মাঠে নেই, তাই আগামী নির্বাচন কী আর কঠিন হবে। তবে আগামী নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে কঠিন হবে।
৩ ঘণ্টা আগেগত বছরের অক্টোবরের তুলনায় বর্তমানে দেশের বড় দল বিএনপির জনপ্রিয়তা কমলেও বাড়ছে তরুণদের নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জনপ্রিয়তা। সম্প্রতি এক জরিপে দেখা যায়, ২০২৪ সালের অক্টোবরে বিএনপির জনপ্রিয়তা ছিল ১৬ দশমিক ৩ শতাংশ, গত জুলাইয়ে তা ১২ শতাংশে নেমেছে..
৫ ঘণ্টা আগে