রুশা চৌধুরী, আবৃত্তিশিল্পী
বিচারহীনতা আজ এই দেশের অলিখিত ঐতিহ্য হয়ে গেছে। এই বিষয়ে আমি-আমরা সবাই আজ নিশ্চিত। তবে বিচার চাই, ফাঁসি চাই, গ্রেপ্তার চাই—এইসব চলছে আর চলবে। শেষ পর্যন্ত কেউ বিচার করবে না, কারও বিচার হবে না, কিচ্ছু পাল্টাবে না।
আসলে বিচার হয় কিসের? অপরাধের। কাদের বিচার হয়? অপরাধীর। আর কারা বিচার করে? এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গেলেই গোলমালের শুরু হবে। কে, কারা আর কীভাবে বিচার করবে? তার্কিক বাঙালি তার তালি মারা ঝা চকচকে বিষ বাষ্পময় থলে থেকে একের পর এক কথার ফুলঝুরি ছুড়ে ছুড়ে দেবে। কেউ কেউ মশাল ধরাবে, কেউ কলম চালাবে, রাস্তার মোড়ের চায়ের দোকানের বিক্রি বাড়বে, অফিসে-বাড়িতে-তারহীন ফোনে অবিরত কথা কথা আর কথা চলতে থাকবে। সেই কথার তোড়ে নাবালিকা, শিক্ষিতা, বয়সী সব মানুষের আত্মা পর্যন্ত বিষিয়ে উঠবে। অপরাধীদের কিচ্ছু হবে না।
আমাদের দেশের বয়স কিন্তু ৫০ পেরিয়েছে। যদি এই পঞ্চাশোর্ধ্ব দেশটির পুরোটা বয়সজুড়ে ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, মানুষ, প্রকৃতি সবটার সঙ্গে সবচেয়ে বেশি কী জড়িয়ে আছে তা যদি একটু ভাবতে যাই, প্রথমেই বুকের ভেতর যন্ত্রণা দানা বাঁধবে। এই দেশের জন্ম হয়েছিল ৩০ লাখ প্রাণের বিনিময়ে। এই দেশের স্বাধীনতা আদায়ের জন্য কিছু বুঝে ওঠার আগেই ধর্ষিত হয়েছিলেন লক্ষাধিক নারী। এটুকু ভাবতেই বিভাজন চোখের সামনে।
গত ৫০ বছরে স্বাধীনতা, দেশ, শহীদ, স্বাধীনতার ইতিহাস, রূপকার এই সবকিছু নিয়ে যত রাজনীতি, কথার খেলা, পুরস্কার, শাস্তি দেওয়া, প্রতিশোধ নেওয়া হয়েছে তার মধ্যে সেই ধর্ষিত নারীদের কথা কতবার এসেছে? কত জন মানুষ এই দেশে জানে সেইসব নারীর কথা?
হ্যাঁ, আমি শুধু ‘কথা’ শব্দটিই ব্যবহার করছি, সময়ের তাৎক্ষণিক প্রয়োজনে তাঁদের যেই পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছিল তা লিখতে আমার হাতে বাধছে। সেই ‘বীরাঙ্গনা’ খেতাবটা আসলেই তাঁদের জন্য ‘মনিহার’ ছিল, যা ধরতে গেলে তাঁদের সমস্ত শরীরে ব্যথার বিষবাষ্প আর ছিঁড়তে গিয়ে তারা শিকড়সহ স্মৃতিসমেত এই ভূখণ্ড থেকে উৎপাটিত হয়ে গেছিলেন। একদম গোড়ার কথা বললাম। জানি এইসব বলে কোনো লাভ নেই। একটি অশিক্ষিত সমাজে, মুখরোচক কথায় পটু মানুষে ভরা ভূখণ্ডে এমন বিশেষ একটা নাম দিয়েই বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছিল এই দেশে ‘নারী’ সহজে সমান অধিকার পাবে না।
কাদের সমান? পুরুষ? আমার কাছে অবশ্যই তা নয়, আমি বলতে চাইছি ‘মানুষের’ সমান অধিকার। সবাই বলবে মানুষের সমান আবার কেন? নারী তো মানুষই। আসলেই কি তাই? আমাদের প্রতিদিনের জীবন কি তাই বলে? এই দেশে প্রতিটা ক্ষেত্রে নারী নাম দিয়ে মানুষকে নির্মমভাবে বিভাজিত করা হয়েছে বারবার। পোশাকের ধরন, পোশাক পরবার ধরন, চুলের কাট, প্রসাধনী, চলার ধরন—সবটাতে তাঁকে প্রশ্নবিদ্ধ হতে হয়েছে এবং হচ্ছে। এই প্রশ্নকারীরা তাঁদের নিকটতম স্বজন থেকে পথের পাশের নির্লজ্জ নির্লিপ্ত মানুষেরা। সবার যেন অধিকার আছে নারীকে নিয়ে কথা বলবার, কথায় না পারলে শারীরিক শক্তি দিয়ে আদিম আর পৈশাচিক সাহস দেখাবার।
যার যাবে, যে যাবে, যে হারাবে, যারা হারাবে তারা ছাড়া অল্পকিছু মানুষ শুধু হাহাকার করবে। এই দেশের বাকি কোটি কোটি মানুষ শুধু ভুলে যাবে। শুধু ভুলে যাওয়া নয়। ভুলে যাবার আগে আমরা নির্মমভাবে কটূক্তি করব, নির্বিকারভাবে পাশবিক অত্যাচারের বর্ণনা দেব, স্বার্থপর গোষ্ঠী তাদের স্বার্থ আদায়ের জন্য তুলনা করতে বসবে, কেউ কেউ কর্মসূচি দেবে...
তারপর? তারপর আমজনতা আরও ভয়ানকভাবে ভুলে যাবে। নারী পোশাক পাল্টাবে, প্রসাধন সংশোধন করবে, চলাফেরা সংযত করবার চেষ্টা করবে, সমস্ত সৎ ইচ্ছার গলা টিপে ধরে ভুলে ভরা সমাজ নামক জায়গাটাতে টিকে থাকার চেষ্টা করবে।
নীলিমা ইব্রাহিমের ‘আমি বীরাঙ্গনা বলছি’ বইটির অখণ্ড সংস্করণের ভূমিকার কিছু কথা উদ্ধৃতি করছি—
‘বীরাঙ্গনাদের নিয়ে লিখতে গিয়ে আমার হৃদয় ও মস্তিষ্কের ওপর প্রচুর চাপ সৃষ্টি হয়েছে। সুতরাং নতুন করে আর এ অন্ধকার গুহায় প্রবেশ করতে পারলাম না।’
‘দ্বিতীয়ত, বর্তমান সমাজের রক্ষণশীল মনোভাব। বর্তমান সমাজ ’৭২ এর সমাজের থেকেও অধিকতর রক্ষণশীল। বীরাঙ্গনাদের পাপী বলতেও তাঁরা দ্বিধাবোধ করেন না। সুতরাং ২৫ বছর আগে যে স্বাভাবিক জীবন থেকে তাঁরা বঞ্চিত হয়েছেন, তাঁদের নতুন করে অপমানিত করতে আমি সংকোচ বোধ করছি!’
‘একদিন যাঁদের অবহেলাভরে সমাজচ্যুত করেছি, আজ আবার নতুন করে তাঁদের কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা দিয়ে তাঁদের বেদনার্ত ও অপমানিত করা ঠিক হবে না।’
(১০/১২/১৯৯৭)
’৯৭ থেকে ২০২৫। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এমন গভীর বোধের জায়গা থেকে বাঙালির মন সরে এসেছে এ বিষয়ে আমি আজ দ্বিধাহীন। ‘মানুষ’ নামটিকে দুই ভাগ করে তার এক ভাগ নিয়ে তাই এক বিশাল দল এক ভয়ানক হিংস্র খেলায় নেমেছে। আমজনতাও সেখানে নির্লিপ্ত মাতামাতি আর ভয়াবহ পৈশাচিকতা করছে। এর সামনে অতীত ম্লান আর ভবিষ্যৎ বর্তমানের চাইতেও ভয়ানক আঁধার নয় কি?
খুব নিয়মিতভাবে নারীদের ওপর, মানুষের ওপর একের পর এক ভয়ানক পৈশাচিক ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। একটি ঘটনার পরেই এমন আর একটা ঘটছে যা আগেরটাকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে। এই ভয়াবহ অমানবিক, নির্মম, পৈশাচিক কাজগুলোর বিচার করবার মতো মানবিক মানুষ আর প্রশাসনিক নিয়ম কি এই ভূখণ্ডে সত্যি সত্যি আছে?
বিচারহীনতা আজ এই দেশের অলিখিত ঐতিহ্য হয়ে গেছে। এই বিষয়ে আমি-আমরা সবাই আজ নিশ্চিত। তবে বিচার চাই, ফাঁসি চাই, গ্রেপ্তার চাই—এইসব চলছে আর চলবে। শেষ পর্যন্ত কেউ বিচার করবে না, কারও বিচার হবে না, কিচ্ছু পাল্টাবে না।
আসলে বিচার হয় কিসের? অপরাধের। কাদের বিচার হয়? অপরাধীর। আর কারা বিচার করে? এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গেলেই গোলমালের শুরু হবে। কে, কারা আর কীভাবে বিচার করবে? তার্কিক বাঙালি তার তালি মারা ঝা চকচকে বিষ বাষ্পময় থলে থেকে একের পর এক কথার ফুলঝুরি ছুড়ে ছুড়ে দেবে। কেউ কেউ মশাল ধরাবে, কেউ কলম চালাবে, রাস্তার মোড়ের চায়ের দোকানের বিক্রি বাড়বে, অফিসে-বাড়িতে-তারহীন ফোনে অবিরত কথা কথা আর কথা চলতে থাকবে। সেই কথার তোড়ে নাবালিকা, শিক্ষিতা, বয়সী সব মানুষের আত্মা পর্যন্ত বিষিয়ে উঠবে। অপরাধীদের কিচ্ছু হবে না।
আমাদের দেশের বয়স কিন্তু ৫০ পেরিয়েছে। যদি এই পঞ্চাশোর্ধ্ব দেশটির পুরোটা বয়সজুড়ে ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, মানুষ, প্রকৃতি সবটার সঙ্গে সবচেয়ে বেশি কী জড়িয়ে আছে তা যদি একটু ভাবতে যাই, প্রথমেই বুকের ভেতর যন্ত্রণা দানা বাঁধবে। এই দেশের জন্ম হয়েছিল ৩০ লাখ প্রাণের বিনিময়ে। এই দেশের স্বাধীনতা আদায়ের জন্য কিছু বুঝে ওঠার আগেই ধর্ষিত হয়েছিলেন লক্ষাধিক নারী। এটুকু ভাবতেই বিভাজন চোখের সামনে।
গত ৫০ বছরে স্বাধীনতা, দেশ, শহীদ, স্বাধীনতার ইতিহাস, রূপকার এই সবকিছু নিয়ে যত রাজনীতি, কথার খেলা, পুরস্কার, শাস্তি দেওয়া, প্রতিশোধ নেওয়া হয়েছে তার মধ্যে সেই ধর্ষিত নারীদের কথা কতবার এসেছে? কত জন মানুষ এই দেশে জানে সেইসব নারীর কথা?
হ্যাঁ, আমি শুধু ‘কথা’ শব্দটিই ব্যবহার করছি, সময়ের তাৎক্ষণিক প্রয়োজনে তাঁদের যেই পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছিল তা লিখতে আমার হাতে বাধছে। সেই ‘বীরাঙ্গনা’ খেতাবটা আসলেই তাঁদের জন্য ‘মনিহার’ ছিল, যা ধরতে গেলে তাঁদের সমস্ত শরীরে ব্যথার বিষবাষ্প আর ছিঁড়তে গিয়ে তারা শিকড়সহ স্মৃতিসমেত এই ভূখণ্ড থেকে উৎপাটিত হয়ে গেছিলেন। একদম গোড়ার কথা বললাম। জানি এইসব বলে কোনো লাভ নেই। একটি অশিক্ষিত সমাজে, মুখরোচক কথায় পটু মানুষে ভরা ভূখণ্ডে এমন বিশেষ একটা নাম দিয়েই বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছিল এই দেশে ‘নারী’ সহজে সমান অধিকার পাবে না।
কাদের সমান? পুরুষ? আমার কাছে অবশ্যই তা নয়, আমি বলতে চাইছি ‘মানুষের’ সমান অধিকার। সবাই বলবে মানুষের সমান আবার কেন? নারী তো মানুষই। আসলেই কি তাই? আমাদের প্রতিদিনের জীবন কি তাই বলে? এই দেশে প্রতিটা ক্ষেত্রে নারী নাম দিয়ে মানুষকে নির্মমভাবে বিভাজিত করা হয়েছে বারবার। পোশাকের ধরন, পোশাক পরবার ধরন, চুলের কাট, প্রসাধনী, চলার ধরন—সবটাতে তাঁকে প্রশ্নবিদ্ধ হতে হয়েছে এবং হচ্ছে। এই প্রশ্নকারীরা তাঁদের নিকটতম স্বজন থেকে পথের পাশের নির্লজ্জ নির্লিপ্ত মানুষেরা। সবার যেন অধিকার আছে নারীকে নিয়ে কথা বলবার, কথায় না পারলে শারীরিক শক্তি দিয়ে আদিম আর পৈশাচিক সাহস দেখাবার।
যার যাবে, যে যাবে, যে হারাবে, যারা হারাবে তারা ছাড়া অল্পকিছু মানুষ শুধু হাহাকার করবে। এই দেশের বাকি কোটি কোটি মানুষ শুধু ভুলে যাবে। শুধু ভুলে যাওয়া নয়। ভুলে যাবার আগে আমরা নির্মমভাবে কটূক্তি করব, নির্বিকারভাবে পাশবিক অত্যাচারের বর্ণনা দেব, স্বার্থপর গোষ্ঠী তাদের স্বার্থ আদায়ের জন্য তুলনা করতে বসবে, কেউ কেউ কর্মসূচি দেবে...
তারপর? তারপর আমজনতা আরও ভয়ানকভাবে ভুলে যাবে। নারী পোশাক পাল্টাবে, প্রসাধন সংশোধন করবে, চলাফেরা সংযত করবার চেষ্টা করবে, সমস্ত সৎ ইচ্ছার গলা টিপে ধরে ভুলে ভরা সমাজ নামক জায়গাটাতে টিকে থাকার চেষ্টা করবে।
নীলিমা ইব্রাহিমের ‘আমি বীরাঙ্গনা বলছি’ বইটির অখণ্ড সংস্করণের ভূমিকার কিছু কথা উদ্ধৃতি করছি—
‘বীরাঙ্গনাদের নিয়ে লিখতে গিয়ে আমার হৃদয় ও মস্তিষ্কের ওপর প্রচুর চাপ সৃষ্টি হয়েছে। সুতরাং নতুন করে আর এ অন্ধকার গুহায় প্রবেশ করতে পারলাম না।’
‘দ্বিতীয়ত, বর্তমান সমাজের রক্ষণশীল মনোভাব। বর্তমান সমাজ ’৭২ এর সমাজের থেকেও অধিকতর রক্ষণশীল। বীরাঙ্গনাদের পাপী বলতেও তাঁরা দ্বিধাবোধ করেন না। সুতরাং ২৫ বছর আগে যে স্বাভাবিক জীবন থেকে তাঁরা বঞ্চিত হয়েছেন, তাঁদের নতুন করে অপমানিত করতে আমি সংকোচ বোধ করছি!’
‘একদিন যাঁদের অবহেলাভরে সমাজচ্যুত করেছি, আজ আবার নতুন করে তাঁদের কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা দিয়ে তাঁদের বেদনার্ত ও অপমানিত করা ঠিক হবে না।’
(১০/১২/১৯৯৭)
’৯৭ থেকে ২০২৫। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এমন গভীর বোধের জায়গা থেকে বাঙালির মন সরে এসেছে এ বিষয়ে আমি আজ দ্বিধাহীন। ‘মানুষ’ নামটিকে দুই ভাগ করে তার এক ভাগ নিয়ে তাই এক বিশাল দল এক ভয়ানক হিংস্র খেলায় নেমেছে। আমজনতাও সেখানে নির্লিপ্ত মাতামাতি আর ভয়াবহ পৈশাচিকতা করছে। এর সামনে অতীত ম্লান আর ভবিষ্যৎ বর্তমানের চাইতেও ভয়ানক আঁধার নয় কি?
খুব নিয়মিতভাবে নারীদের ওপর, মানুষের ওপর একের পর এক ভয়ানক পৈশাচিক ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। একটি ঘটনার পরেই এমন আর একটা ঘটছে যা আগেরটাকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে। এই ভয়াবহ অমানবিক, নির্মম, পৈশাচিক কাজগুলোর বিচার করবার মতো মানবিক মানুষ আর প্রশাসনিক নিয়ম কি এই ভূখণ্ডে সত্যি সত্যি আছে?
রাজনীতির মাঠে অশালীন শব্দ ব্যবহার করলে আর মিথ্যা কথা বললে জনপ্রিয়তা বাড়ে—এ রকম বক্তব্যসহ সহকর্মী জাহাঙ্গীর আলমের লেখা একটি উপসম্পাদকীয় প্রকাশিত হয়েছে বৃহস্পতিবারের আজকের পত্রিকায়। ব্যাপারটা বেশ কৌতূহলোদ্দীপক।
৫ ঘণ্টা আগেসম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটা ভাইরাল নিউজ চোখে পড়ল। একটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজন ক্লিনার বকশিশ চেয়ে না পেয়ে অসুস্থ শিশুর মুখ থেকে অক্সিজেনের মাস্ক খুলে ফেলেন। এতে সেই শিশুর একপর্যায়ে করুণ মৃত্যু হয়। এমন অভিযোগ শিশুর মায়ের।
৫ ঘণ্টা আগেবাগছাস নেতা এসে স্কুলের ফেল করা শিক্ষার্থীদের বেধড়ক পিটিয়ে যাচ্ছেন—এটাকে কি রূপকথার গল্প বলে মনে হচ্ছে? মনে হচ্ছে কারও অলীক কল্পনা? চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে হারাটি উচ্চবিদ্যালয়ের অস্থায়ী (অ্যাডহক) কমিটির আহ্বায়ক হন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ আহম্মদ।
৫ ঘণ্টা আগেদেশের দু’টি সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ—ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রশিবিরের অভাবনীয় উত্থান সাম্প্রতিক ছাত্রসংসদ নির্বাচনে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যে সংগঠনটি অতীতে রাজনৈতিক সহিংসতা, সন্ত্রাস ও সাম্প্রদায়িক রাজনীতির কারণে নিষিদ্ধ ছিল, তারাই কীভাবে এত সংখ্যক পদে জয়ী হলো—এই প্রশ্ন শিক্ষিত সমাজকে
১২ ঘণ্টা আগে