অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী
প্রধানমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেটা উনি দিয়েছেন আবেগের বশে। তিনি মুক্তিযুদ্ধের স্বরূপ দেখেছেন, রাজাকার দেখেছেন, মুক্তিযুদ্ধ দেখেছেন, পরিবারের সবাই সম্পৃক্ত ছিল। সুতরাং তাঁর আবেগের বহিঃপ্রকাশে তিনি এ কথা বলেছেন যে মুক্তিযোদ্ধার নাতিপুতিরা পাবে না তো রাজাকারের নাতিপুতিরা পাবে। এটা ওনার আবেগের বহিঃপ্রকাশ। এটা ওনার নিজস্ব বক্তব্য ও অনুভূতির বহিঃপ্রকাশ। এটা উনি সত্যিই বোঝাতে চেয়েছেন কি না আমি জানি না।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী যারা স্লোগান দিচ্ছে, তারা তো সংখ্যায় বিপুল। এরা তো আর রাজাকারের সন্তান হতে পারে না। উনি (প্রধানমন্ত্রী) হয়তো বলেছেন আবেগের থেকে। মুক্তিযোদ্ধা কোটার বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়াতে উনি আহত হয়েছেন, সে জন্য বলেছেন। এই বলাতে ছাত্রদের মাঝে একটা প্রতিক্রিয়া হতেই পারে। কারণ সবাই নিজেকে প্রশ্ন করেছে যে আমি কি তাহলে রাজাকারের সন্তান? ওই ক্ষোভ থেকে তারাও আবার আবেগের বশে রাতে স্লোগান দিয়ে বেরিয়ে এসে মিছিল দিয়েছে।
আমরা তো ‘তুই রাজাকার’ বলতাম। গালি হিসেবে। ওরা (ছাত্রছাত্রী) বলছে, ‘তুমি কে আমি কে রাজাকার রাজাকার’। কিন্তু এটা গ্রহণযোগ্য নয়। এটাও কিন্তু প্রধানমন্ত্রী আজ (সোমবার) আবার বলেছেন। তিনি বক্তব্যে বলছেন, তারা কি জানে রাজাকার কী। রোকেয়া হলের মেয়েদের হত্যা করেছে রাজাকারেরা, ক্যান্টনমেন্টে নিয়ে গেছে রাজাকারেরা। তাদের পরিচয়ে গর্ববোধ করার কী আছে, এটাও উনি (প্রধানমন্ত্রী) দুঃখবোধ করে বলেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য আবেগের জায়গা থেকে আবার ছাত্রছাত্রীদের স্লোগানও আবেগের জায়গা থেকে। তারা বলেছিল, চেয়েছি অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার। এই পর্যন্ত ঠিক আছে। কিন্তু তুমি কে আমি কে রাজাকার রাজাকার, এটা আমি মানতে পারি না। মানা যায় না। তবে এটাও আবেগের বহিঃপ্রকাশ। আমার মনে হয়, এই ধরনের বহিঃপ্রকাশ যত কম হয়, তত জাতির বিভেদ দূর হবে।
লেখক: অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী, সাবেক উপাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
প্রধানমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেটা উনি দিয়েছেন আবেগের বশে। তিনি মুক্তিযুদ্ধের স্বরূপ দেখেছেন, রাজাকার দেখেছেন, মুক্তিযুদ্ধ দেখেছেন, পরিবারের সবাই সম্পৃক্ত ছিল। সুতরাং তাঁর আবেগের বহিঃপ্রকাশে তিনি এ কথা বলেছেন যে মুক্তিযোদ্ধার নাতিপুতিরা পাবে না তো রাজাকারের নাতিপুতিরা পাবে। এটা ওনার আবেগের বহিঃপ্রকাশ। এটা ওনার নিজস্ব বক্তব্য ও অনুভূতির বহিঃপ্রকাশ। এটা উনি সত্যিই বোঝাতে চেয়েছেন কি না আমি জানি না।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী যারা স্লোগান দিচ্ছে, তারা তো সংখ্যায় বিপুল। এরা তো আর রাজাকারের সন্তান হতে পারে না। উনি (প্রধানমন্ত্রী) হয়তো বলেছেন আবেগের থেকে। মুক্তিযোদ্ধা কোটার বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়াতে উনি আহত হয়েছেন, সে জন্য বলেছেন। এই বলাতে ছাত্রদের মাঝে একটা প্রতিক্রিয়া হতেই পারে। কারণ সবাই নিজেকে প্রশ্ন করেছে যে আমি কি তাহলে রাজাকারের সন্তান? ওই ক্ষোভ থেকে তারাও আবার আবেগের বশে রাতে স্লোগান দিয়ে বেরিয়ে এসে মিছিল দিয়েছে।
আমরা তো ‘তুই রাজাকার’ বলতাম। গালি হিসেবে। ওরা (ছাত্রছাত্রী) বলছে, ‘তুমি কে আমি কে রাজাকার রাজাকার’। কিন্তু এটা গ্রহণযোগ্য নয়। এটাও কিন্তু প্রধানমন্ত্রী আজ (সোমবার) আবার বলেছেন। তিনি বক্তব্যে বলছেন, তারা কি জানে রাজাকার কী। রোকেয়া হলের মেয়েদের হত্যা করেছে রাজাকারেরা, ক্যান্টনমেন্টে নিয়ে গেছে রাজাকারেরা। তাদের পরিচয়ে গর্ববোধ করার কী আছে, এটাও উনি (প্রধানমন্ত্রী) দুঃখবোধ করে বলেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য আবেগের জায়গা থেকে আবার ছাত্রছাত্রীদের স্লোগানও আবেগের জায়গা থেকে। তারা বলেছিল, চেয়েছি অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার। এই পর্যন্ত ঠিক আছে। কিন্তু তুমি কে আমি কে রাজাকার রাজাকার, এটা আমি মানতে পারি না। মানা যায় না। তবে এটাও আবেগের বহিঃপ্রকাশ। আমার মনে হয়, এই ধরনের বহিঃপ্রকাশ যত কম হয়, তত জাতির বিভেদ দূর হবে।
লেখক: অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী, সাবেক উপাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
কাশ্মীরের বুক চিরে বয়ে চলেছে ঝিলাম নদী। কাশ্মীর উপত্যকা হলো ঝিলামের উত্তর ভাগের অংশ। উপত্যকাটি ১৩৭ কিলোমিটার লম্বা এবং ৩০ থেকে ৪০ কিমি চওড়া। নৈসর্গিক সৌন্দর্যের কারণে কাশ্মীরকে বলা হয় ভূস্বর্গ। এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আকর্ষণে সেখানে অনেকে বেড়াতে যান। ১৯৪৭ সালের আগে কেউ ভাবতে পারেননি যে কাশ্মীর হয়ে
৩ ঘণ্টা আগেসমাজের ধনী গরিব বৈষম্যের দূরত্বটাকে কমিয়ে, সম্পদের অধিকতর সুষম বণ্টন নিশ্চিত করে, একটি সুখী বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে মানুষের মৌলিক চাহিদা সম্পন্ন পণ্যের মূল্য নির্ধারণে একটি নতুন প্রস্তাবনা পেশ করছি। প্রথমেই বলে রাখি, এই উদ্যোগটি হবে সীমিত আকারের এবং এর সাফল্যের ভিত্তিতে এটি সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে
৪ ঘণ্টা আগেরাখাইনে মানবিক করিডরের প্রস্তাব বাংলাদেশের জন্য একদিকে মানবিক দায়িত্ব পালনের সুযোগ, অন্যদিকে চরম ভূ-রাজনৈতিক ঝুঁকি। মিয়ানমারের জান্তা, বিদ্রোহী গোষ্ঠী ও ভারত-চীনের প্রতিক্রিয়া না বুঝে করিডর চালু করলে তা ‘প্রক্সি যুদ্ধের ফাঁদে’ পরিণত হতে পারে। ভারতের কালাদান প্রকল্প ও চীনের ২১ বিলিয়ন ডলারের
৬ ঘণ্টা আগেসহজ কথা বলা যেমন সহজ নয়, তেমনি সহজ নয় আমাদের দেশে রাজনৈতিক বিষয়ে একমত হওয়া। আমাদের দেশে যত মাথা, তত মত—যে যার মতে অটল, নিজের বক্তব্যে অনড়। ফলে এখানে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছানোই যেন যুদ্ধ জয়ের সমান। রাজনীতি তো আর গণিতের সূত্র নয়, যেখানে সবাই একই জবাব মেনে নেবে; এখানে আবেগ, স্বার্থ, বিশ্বাস আর...
১৫ ঘণ্টা আগে