Ajker Patrika

বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৪: ১৯
বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন

নির্বাচন কমিশন গঠনে আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৬ সদস্যবিশিষ্ট সার্চ কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ শনিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, হাইকোর্টের বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মুসলিম চৌধুরী, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন, সাবেক নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ ছহুল হোসাইন এবং কথাসাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হক। আনোয়ারা সৈয়দ হক প্রয়াত সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের সহধর্মিণী। 

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সার্চ কমিটি ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন-২০২২’ অনুযায়ী দায়িত্ব ও কার্যাবলি সম্পন্ন করবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সার্চ কমিটির কাজ সম্পাদনে প্রয়োজনীয় সাচিবিক সহায়তা করবে।

আইনানুযায়ী সার্চ কমিটি ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে আইনে বর্ণিত যোগ্যতা-অযোগ্যতা বিবেচনা করে ১০ জনের নাম রাষ্ট্রপতির কাছে প্রস্তাব করবে। এ ক্ষেত্রে সার্চ কমিটি ইসি গঠনে রাজনৈতিক দল এবং পেশাজীবী সংগঠনের কাছ থেকে নামের সুপারিশ নিতে পারবে।

এর আগে ২০১২ ও ২০১৭ সালে সার্চ কমিটি রাজনৈতিক দল এবং পেশাজীবী সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করে। সেখানে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের কাছে নাম প্রস্তাব করে। পরে সেই প্রস্তাবের ভিত্তিতে ১০ জনের নাম সার্চ কমিটি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠায়। সেখান থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারের নাম ঘোষণা করা হয়।

কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান ইসির মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি। এর মধ্যে নতুন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ না করা গেলে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের কর্মকর্তারা রুটিন কার্যক্রম করবেন। আর নতুন গঠিত কমিশনের অধীনেই হবে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।

সিইসি ও কমিশনারদের যোগ্যতা
সিইসি ও নির্বাচন কমিশনার পদে কাউকে সুপারিশের ক্ষেত্রে তিনটি যোগ্যতা থাকতে হবে বলে আইনে বলা হয়েছে। এর মধ্যে তাদের বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে; ন্যূনতম কোনো গুরুত্বপূর্ণ সরকারি, বিচার বিভাগীয়, আধা সরকারি বা বেসরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে অন্যূন ২০ বছর কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। 

সিইসি ও কমিশনারদের অযোগ্যতা
আইনে সিইসি ও কমিশনার পদের জন্য ছয়টি অযোগ্যতার কথা বলা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, আদালত অপ্রকৃতিস্থ ঘোষণা করলে; দেউলিয়া হওয়ার পর দায় থেকে অব্যাহতি না পেলে; কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব নিলে কিংবা বিদেশি রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য ঘোষণা বা স্বীকার করলে; নৈতিক স্খলনজনিত ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলে; ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস (ট্রাইব্যুনাল) অ্যাক্ট-১৯৭৩ বা বাংলাদেশ কোলাবরেটরস (স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল) অর্ডার-১৯৭২ এর অধীনে কোনো অপরাধের জন্য দণ্ডিত হলে; আইনের দ্বারা পদাধিকারীকে অযোগ্য ঘোষণা করছে না, এমন পদ ব্যতীত প্রজাতন্ত্রের কর্মে লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত থাকলে।

বিচারপতি আরও পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত