Ajker Patrika

দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকদের নিয়ে কোনো চাপ নেই: ইসি আলমগীর

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৬ আগস্ট ২০২৩, ১৯: ৫২
দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকদের নিয়ে কোনো চাপ নেই: ইসি আলমগীর

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনিয়ম ঠেকাতে যেসব জায়গায় যোগাযোগব্যবস্থা ভালো, সেসব কেন্দ্রে হয়তো ভোটের দিন সকালে ব্যালট পেপার পাঠানো হবে। আজ রোববার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের নিজ কার্যালয়ে এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। এ সময় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকদের নিয়ে নির্বাচন কমিশনের ওপর কোনো চাপ নেই। 

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, ‘ব্যালটে নির্বাচনে যাতে কোনো রকম অপব্যবহার না হতে পারে, সে জন্য আমাদের কিছু কৌশল আছে। সেগুলো আমরা প্রয়োগ করার চেষ্টা করব। যেমন—যোগাযোগ যেখানে ভালো, ভোর ৪টায় রওনা হলে ভোট শুরু হওয়ার আগেই পৌঁছাতে পারবে, সেসব কেন্দ্রে আমরা সকালে ব্যালট পাঠাই। যতগুলো নির্বাচন ব্যালটে করেছি, ব্যালট এভাবেই সকালে পাঠানো হয়েছে। আমরা জাতীয় নির্বাচনের ক্ষেত্রেও এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে পারি। যেগুলোতে সকালে ব্যালট পেপার পাঠানো সম্ভব সেগুলোকে চিহ্নিত করা এবং যেখানে পাঠানো সম্ভব নয়, সেখানে আমরা বিশেষ ব্যবস্থায় রাতে ব্যালট পেপার পাঠাব, পথে যেন কোনো রকম অপব্যবহার বা ছিনতাই না হতে পারে।’ 

ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা বসানোর পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে আলমগীর বলেন, ‘এ বিষয়টি আমাদের মধ্যে তেমন আলোচনা হয়নি। আনুষ্ঠানিক কোনো আলোচনা হয়নি। চিন্তাভাবনা নেই। কারণ, আপনারা জানেন যে ৩০০ আসনে চার লাখ কেন্দ্র থাকে। সেখানে হয়তো বেশ কিছু ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র থাকবে, এতগুলো কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে তা দেখা কঠিন। আমরা সে ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে বিশেষ ব্যবস্থা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বেশি সদস্য নিয়োগ করব। সবগুলো (রাজনৈতিক দল) যদি অংশগ্রহণ করে সেখানে এমনিতেই একটা ভারসাম্য থাকে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চেয়ে বরং তারাই শৃঙ্খলা রক্ষায় একটা ভূমিকা নেয়। কারণ, তারা জানে যে নির্বাচনে যদি কোনো পরিস্থিতির অবনতি হয় বা ভন্ডুল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’ 

দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকের বিষয় নিয়ে কোনো ‘চাপ’ আছে কি না? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে কোনো চাপ নেই। থাকবে কেন? আমরা প্রথম থেকেই বলছি, বিদেশি পর্যবেক্ষক যত খুশি আসতে পারে। আমাদের পক্ষ থেকে কোনো লিমিটেশন নেই। আমাদের কাছে আবেদন করলে সেটা পাঠিয়ে দিই পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। তারা আবার এটা পর্যালোচনা করে দেখে যে আবেদনকারীরা আসলেই পর্যবেক্ষক কি না, অতীতে পর্যবেক্ষণে সম্পৃক্ত ছিল কি না। অনেক সময় তারা মানব পাচারের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে পারে অথবা অন্য অন্যায় কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে পারে, তারা এগুলো দেখে আর কি। এরপর ভিসা দেওয়া হলে আমাদের তরফ থেকে আপত্তি থাকে না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত