নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
চলতি জুলাই মাসের মধ্যেই জাতীয় সনদ চূড়ান্ত করতে চায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, ‘জুলাই মাসের মধ্যে জাতীয় সনদ চূড়ান্ত করতে চাই। এটা আপনারাও (রাজনৈতিক দল) নিঃসন্দেহে চান। তাই আমাদের পক্ষে অগ্রসর হওয়া সম্ভব হচ্ছে। ইতিমধ্যে আমরা অনেক বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছি। কিছু কিছু বিষয় আছে, আলোচনার মধ্য দিয়ে নিষ্পত্তি করতে হবে।’
আজ রোববার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের ১৫তম দিনের আলোচনার শুরুতেই এসব কথা বলেন তিনি। আলোচ্য সূচি হচ্ছে—তত্ত্বাবধায়ক সরকার, প্রধানমন্ত্রীর একাধিক পদে থাকার বিধান।
আলী রীয়াজ বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে একটি সনদের জায়গায় যাওয়া। যেটা আপনাদের ইচ্ছা, আমাদের ইচ্ছা, সকলের প্রচেষ্টা। দেশের সবাই সেটা প্রত্যাশা করছেন।’
উচ্চকক্ষ গঠনের সিদ্ধান্ত দেওয়ার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে কমিশনকে দায়িত্ব দেওয়ার কথা জানিয়ে আলী রীয়াজ বলেন, ‘কমিশন বিষয়টি পর্যালোচনা করছে। আশা করেছিলাম, শুক্র ও শনিবার একটা আলোচনার মধ্য দিয়ে কমিশনের সিদ্ধান্তটা জানাতে পারব। কমিশন আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিয়েছে এ বিষয়ে আরেকটু সময় নিয়ে বিবেচনা করা দরকার। আপনাদের বিভিন্ন অবস্থান পর্যালোচনা করছি।’
উচ্চকক্ষের বিষয়ে সংলাপের আলোচনার কথা জানিয়ে আলী রীয়াজ বলেন, ‘আপনাদের আলোচনা-পর্যালোচনার পাশাপাশি উচ্চকক্ষ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে কী কী ধরনের প্রতিক্রিয়া হতে পারে, অন্যান্য বিষয়সংশ্লিষ্ট সেগুলো বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে পারব। আশা করছি, দু-তিন দিন পরে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিতে পারব।’
তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিষয়ে আলোচনার বিষয়ে ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি বলেন, ‘বেশ কয়েক দিন ধরে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে কমিশনের পক্ষ থেকে একাধিক প্রস্তাব বিবেচনার জন্য দেওয়া হয়েছিল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, বিএনপি, এনসিপি এবং জামায়াতের কাছ থেকে প্রস্তাব পেয়েছি। সেটি নিয়ে বিভিন্নভাবে পর্যালোচনার পর দলগুলো ও গত কয়েক দিনের আলোচনার সারাংশের ভিত্তিতে সমন্বিত প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়েছে। আশা করছি, আজকে আলোচনার মাধ্যমে পরিণতির দিকে যেতে পারব।’
আলী রীয়াজ বলেন, ‘গত ১৪ বছরে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে আমরা সবাই যুক্ত ছিলাম। সে জায়গায় আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার বিষয়ে একমত হয়েছি। এখন প্রধান উপদেষ্টার কাঠামো নিয়ে একমতের জায়গায় আসতে পারব। কমিশন শুধু আশা করে না, বিশ্বাস করে।’
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় বৈঠকে আরও উপস্থিত আছেন কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. আইয়ুব মিয়া।
আরও খবর পড়ুন:
চলতি জুলাই মাসের মধ্যেই জাতীয় সনদ চূড়ান্ত করতে চায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, ‘জুলাই মাসের মধ্যে জাতীয় সনদ চূড়ান্ত করতে চাই। এটা আপনারাও (রাজনৈতিক দল) নিঃসন্দেহে চান। তাই আমাদের পক্ষে অগ্রসর হওয়া সম্ভব হচ্ছে। ইতিমধ্যে আমরা অনেক বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছি। কিছু কিছু বিষয় আছে, আলোচনার মধ্য দিয়ে নিষ্পত্তি করতে হবে।’
আজ রোববার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের ১৫তম দিনের আলোচনার শুরুতেই এসব কথা বলেন তিনি। আলোচ্য সূচি হচ্ছে—তত্ত্বাবধায়ক সরকার, প্রধানমন্ত্রীর একাধিক পদে থাকার বিধান।
আলী রীয়াজ বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে একটি সনদের জায়গায় যাওয়া। যেটা আপনাদের ইচ্ছা, আমাদের ইচ্ছা, সকলের প্রচেষ্টা। দেশের সবাই সেটা প্রত্যাশা করছেন।’
উচ্চকক্ষ গঠনের সিদ্ধান্ত দেওয়ার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে কমিশনকে দায়িত্ব দেওয়ার কথা জানিয়ে আলী রীয়াজ বলেন, ‘কমিশন বিষয়টি পর্যালোচনা করছে। আশা করেছিলাম, শুক্র ও শনিবার একটা আলোচনার মধ্য দিয়ে কমিশনের সিদ্ধান্তটা জানাতে পারব। কমিশন আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিয়েছে এ বিষয়ে আরেকটু সময় নিয়ে বিবেচনা করা দরকার। আপনাদের বিভিন্ন অবস্থান পর্যালোচনা করছি।’
উচ্চকক্ষের বিষয়ে সংলাপের আলোচনার কথা জানিয়ে আলী রীয়াজ বলেন, ‘আপনাদের আলোচনা-পর্যালোচনার পাশাপাশি উচ্চকক্ষ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে কী কী ধরনের প্রতিক্রিয়া হতে পারে, অন্যান্য বিষয়সংশ্লিষ্ট সেগুলো বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে পারব। আশা করছি, দু-তিন দিন পরে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিতে পারব।’
তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিষয়ে আলোচনার বিষয়ে ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি বলেন, ‘বেশ কয়েক দিন ধরে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে কমিশনের পক্ষ থেকে একাধিক প্রস্তাব বিবেচনার জন্য দেওয়া হয়েছিল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, বিএনপি, এনসিপি এবং জামায়াতের কাছ থেকে প্রস্তাব পেয়েছি। সেটি নিয়ে বিভিন্নভাবে পর্যালোচনার পর দলগুলো ও গত কয়েক দিনের আলোচনার সারাংশের ভিত্তিতে সমন্বিত প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়েছে। আশা করছি, আজকে আলোচনার মাধ্যমে পরিণতির দিকে যেতে পারব।’
আলী রীয়াজ বলেন, ‘গত ১৪ বছরে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে আমরা সবাই যুক্ত ছিলাম। সে জায়গায় আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার বিষয়ে একমত হয়েছি। এখন প্রধান উপদেষ্টার কাঠামো নিয়ে একমতের জায়গায় আসতে পারব। কমিশন শুধু আশা করে না, বিশ্বাস করে।’
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় বৈঠকে আরও উপস্থিত আছেন কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. আইয়ুব মিয়া।
আরও খবর পড়ুন:
বাংলাদেশ রেলওয়ের ৯০ শতাংশ ইঞ্জিনেরই (লোকোমোটিভ) মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। ৩০ থেকে ৬০ বছরের পুরোনো এসব ইঞ্জিন যাত্রাপথে বিকল হয়ে দুর্ভোগে ফেলছে যাত্রীদের। শুধু পণ্যবাহী, লোকাল বা মেইল নয়; কোনো কোনো আন্তনগর ট্রেনও চলছে কার্যকাল পেরিয়ে যাওয়া ইঞ্জিনে।
৮ ঘণ্টা আগেবিচারিক আদালতের রায়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ হলে আসামিকে কারাগারের কনডেম সেলে (নির্জন প্রকোষ্ঠ) পাঠানো হয়। মৃত্যুদণ্ড চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিকে কনডেম সেলে রাখা ‘দুবার সাজা দেওয়ার শামিল’ উল্লেখ করে এই বিধান বাতিল করেছিলেন হাইকোর্ট। তবে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুই দিন পরই এই রায় স্থগিত করেন আপিল
৮ ঘণ্টা আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সারা দেশে চালানো হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মানবতা-বিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গতকাল রোববার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়েছে। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ অ্যাটর্নি জেনারেল ও
৮ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স-সেবা নিয়ে আবারও অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় বর্তমানে প্রায় ৭ লাখ গ্রাহকের ড্রাইভিং লাইসেন্স ঝুলে আছে। ২০২০ সালের ২৯ জুলাই থেকে পাঁচ বছর মেয়াদে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান মাদ্রাজ সিকিউরিটি প্রিন্টার্স
৯ ঘণ্টা আগে