Ajker Patrika

র‍্যাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিতে এবার ইইউতে চিঠি

কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৫ জানুয়ারি ২০২২, ২৩: ০৯
র‍্যাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিতে এবার ইইউতে চিঠি

র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিতে এবার ইউরোপীয় ইউনিয়নকে (ইইউ) চিঠি দিয়েছেন ইইউ পার্লামেন্টের এক সদস্য। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তা দপ্তরের হাই রিপ্রেজেনটেটিভ ও ইউরোপীয় কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট জোসেপ বরেল বরাবর এ চিঠি দিয়েছেন পার্লামেন্ট সদস্য স্টেফানেক ইভান। 

চিঠিতে ইভান বাংলাদেশের গণতন্ত্র, আইনের শাসন, দুর্নীতি, বিচারব্যবস্থা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, র‍্যাব ইস্যু, বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ সার্বিক মানবাধিকার নিয়ে কড়া সমালোচনা করেছেন। র‍্যাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। 

২০ জানুয়ারি পাঠানো চিঠিতে বাংলাদেশের পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে বলেও উল্লেখ করেছেন স্টেফানেক ইভান। 

ইউরোপিয়ান পিপলস পার্টির সদস্য ইভান তাঁর চিঠিতে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন দলের ‘অমানবিক’ কর্মকাণ্ডের প্রতি জোসেপ বরেলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। সেখানে রাজনৈতিক ভিন্নমতকে দমন অথবা অস্বচ্ছতার মাধ্যমে নির্বাচনের ফল নিজের পক্ষে টানার মতো বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। 

চিঠিতে বর্তমানে বাংলাদেশের পরিস্থিতি খুবই ‘সঙ্গিন’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। কারণ হিসেবে বর্তমান পুলিশপ্রধান বেনজীর আহমেদসহ র‍্যাবের কর্মকর্তাদের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি তুলে ধরা হয়। টেকনাফের কাউন্সিলর একরামুল হককে বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যার কথাও উল্লেখ করেছেন ইভান। 

চিঠিতে আল জাজিরার প্রামাণ্যচিত্র ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস ম্যান’-এর কথাও উল্লেখ করেছেন ইইউ পার্লামেন্ট সদস্য ইভান। 

চিঠিতে পাঁচ শতাধিক বাংলাদেশি গুমের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যাদের কয়েকজনকে মৃত অবস্থায় খুঁজে পাওয়া গেছে। আর এ নিয়ে জাতিসংঘ তদন্ত করছে বলেও জানানো হয়। 

 ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত ১ হাজার ১৩৪ জনকে বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করেছেন ইভান। তিনি লিখেছেন, নির্যাতন বাংলাদেশে একটি নিয়মিত ঘটনা। যা রাজনৈতিক, বিরোধী দল ও সাধারণ মানুষের ওপর ব্যবহার করা হয়। 

চিঠিতে র‍্যাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিতে জোসেপ বরেলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ইভান। সেই সঙ্গে বাংলাদেশ সরকার ও পুলিশের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে বরেলের সহযোগিতাও চান তিনি। 

অবশ্য চিঠিতে বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসাও করেছেন ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সদস্য স্টেফানেক ইভান। বাংলাদেশের উন্নয়নের উদাহরণ টেনে তিনি চিঠিতে লিখেছেন, এর দ্বারা বোঝা যায় যে, বাংলাদেশে আরও কয়েকটি মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের পর আরও অর্থনৈতিক উন্নয়নের সম্ভাবনা রয়েছে। দুর্ভাগ্যক্রমে বাংলাদেশের এ উন্নয়ন মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং দুর্নীতিতে ম্লান হয়েছে। 

বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তা দপ্তরের হাই রিপ্রেজেনটেটিভ ও ইউরোপীয় কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট জোসেপ বরেলের সহযোগিতা কামনা করেছেন ইইউ পার্লামেন্ট সদস্য স্টেফানেক ইভান। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত