নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আগামী ৩০ আগস্টের মধ্যে আত্তীকৃত শিক্ষক-কর্মচারীদের পে-প্রটেকশনের প্রজ্ঞাপন জারি করে ‘আত্তীকরণ বিধিমালা, ২০১৮’ সংশোধনের দাবি জানিয়েছেন সরকারি কলেজ শিক্ষক সমিতির (সকশিস) সদস্যরা। পে-প্রটেকশন বাস্তবায়ন করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।
আজ রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সকশিস আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান শিক্ষকেরা। দাবি মানা না হলে কঠোর কর্মসূচি গ্রহণের কথাও উল্লেখ করেন তাঁরা।
সকশিসের সদস্য শিক্ষকদের দাবি, আত্তীকরণ বিধিমালা-২০১৮-এর অসংগতি দূর করে ১০০ শতাংশ কার্যকর চাকরিকাল নির্ধারণ করে তা সব ক্ষেত্রে কার্যকর করা, পদসোপান তৈরি ও পদোন্নতির ব্যবস্থা করা। শিক্ষক প্রতিনিধি যুক্ত করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিধিমালা সংশোধন করার দাবিও জানানো হয়েছে সকশিসের পক্ষ থেকে।
সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়, প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২০১৬ সালের ১৭ জুন ৩০২টি বেসরকারি কলেজকে সরকারি করার জন্য নির্বাচিত করা হয়। নির্বাচিত কলেজসমূহে ২০১৬ সালের ৩০ জুন নিয়োগ ও অর্থ ব্যয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এরপর শুরু হয় যাচাই-বাছাই কার্যক্রম। প্রথম পর্যায়ে মাউশির নিয়ন্ত্রণাধীন ৯টি আঞ্চলিক কার্যালয়ের পরিচালক, উপরিচালক ও সহকারী পরিচালকের সমন্বয়ে তিন সদস্যের পরিদর্শন টিম নিজ নিজ অঞ্চলের নির্বাচিত প্রতিটি কলেজ সরেজমিন পরিদর্শন ও কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে ‘পরিদর্শন প্রতিবেদন’ মাউশিতে জমা দেন। এরপর সমন্বিত পদ সৃজনের জন্য ঢাকা জেলার চারটি কলেজকে পদ সৃজনের মডেল হিসেবে বিবেচনা করে পাইলটিং করা হয়। দ্বিতীয় ধাপে কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করার লক্ষ্যে মাউশি কর্তৃক প্রদত্ত চাহিদাপত্র মোতাবেক ‘ক’ ‘খ’ ‘গ' ছকে শিক্ষক-কর্মচারী ও প্রতিষ্ঠানের কাগজপত্র ও তথ্যাদির হার্ড কপি ও সফট কপি মাউশি জমা নেয়। তৃতীয় ধাপে ২০১৯ সালের ২৪ জুন থেকে সব কলেজের শিক্ষক-কর্মচারী ও প্রতিষ্ঠানের মূল কাগজপত্র মাউশিতে আনিয়ে যাচাই-বাছাই শুরু করে।
২০১৯ সালের ১৮ নভেম্বর থেকে চতুর্থ ধাপে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রত্যেক শিক্ষক-কর্মচারী ও কলেজের মূল কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শুরু হয়। ১ জানুয়ারি ২০২০-এ যাচাই-বাছাই কাজকে গতিশীল করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঁচটি কমিটি গঠনের অফিস আদেশ জারি করা হয়। এতেও কাজের গতি বৃদ্ধি না পাওয়ায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় পুনরায় ২০টি কমিটি গঠন করলেও অধিকাংশ কমিটি অর্পিত দায়িত্ব পালন না করায় আত্তীকরণ কাজের তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনের পঠিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাগণ ২০২২ সালের ৩০ জুন পদ সৃজনের কাজ সম্পন্ন করার আশ্বাস দিলেও ৩০ জুলাই ২০২২ তারিখেও প্রায় ১২০টি কলেজের পদ সৃজন প্রস্তাব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়নি। বিধি সংশোধনীর জন্য পাঁচবার আবেদনপত্র জমা দেওয়া সত্ত্বেও এর কোনো সুরাহা হয়নি। রিভিউ আবেদনেরও কোনো নিষ্পত্তি হয়নি। ইতিমধ্যে সদ্য সরকারিকৃত কলেজের কিছুসংখ্যক ফাইল অর্থ মন্ত্রণালয়ে গিয়েছে এবং পরের অবস্থা আরও ভয়াবহ বলে উল্লেখ করেন।
সকশিসের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি আ ন ম রিয়াজ উদ্দিন দাবি করেন, ২০১৬ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত এই ছয় বছর মাউশিতে নিযুক্ত বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির অতি উৎসাহী কতিপয় কর্মকর্তা এবং একটি বিশেষ মহলের ষড়যন্ত্রের কারণে প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগ ব্যর্থ হতে চলেছে। তিনি বলেন, একই সময়ে ঘোষিত মাধ্যমিক স্কুলসমূহের আত্তীকরণের কাজ অনেক আগেই সমাপ্ত হয়েছে, যাতে প্রমাণিত হয় ষড়যন্ত্রকারী মহল এই দীর্ঘসূত্রিতা তৈরি করছে। ফলে প্রায় ৪ হাজার শিক্ষক-কর্মচারী আত্তীকরণবঞ্চিত হয়ে চোখে জল নিয়ে অবসরে গেছেন ৷
আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে আত্তীকরণ শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন সংরক্ষণ প্রজ্ঞাপন জারি না হলে আগামী ৭ সেপ্টেম্বর সরকারি প্রতিটি কলেজের শিক্ষক-কর্মচারী কলেজের সামনে ১ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন। সেখান থেকেই পরবর্তী কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হবে বলে জানান আ ন ম রিয়াজ উদ্দিন।
আগামী ৩০ আগস্টের মধ্যে আত্তীকৃত শিক্ষক-কর্মচারীদের পে-প্রটেকশনের প্রজ্ঞাপন জারি করে ‘আত্তীকরণ বিধিমালা, ২০১৮’ সংশোধনের দাবি জানিয়েছেন সরকারি কলেজ শিক্ষক সমিতির (সকশিস) সদস্যরা। পে-প্রটেকশন বাস্তবায়ন করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।
আজ রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সকশিস আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান শিক্ষকেরা। দাবি মানা না হলে কঠোর কর্মসূচি গ্রহণের কথাও উল্লেখ করেন তাঁরা।
সকশিসের সদস্য শিক্ষকদের দাবি, আত্তীকরণ বিধিমালা-২০১৮-এর অসংগতি দূর করে ১০০ শতাংশ কার্যকর চাকরিকাল নির্ধারণ করে তা সব ক্ষেত্রে কার্যকর করা, পদসোপান তৈরি ও পদোন্নতির ব্যবস্থা করা। শিক্ষক প্রতিনিধি যুক্ত করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিধিমালা সংশোধন করার দাবিও জানানো হয়েছে সকশিসের পক্ষ থেকে।
সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়, প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২০১৬ সালের ১৭ জুন ৩০২টি বেসরকারি কলেজকে সরকারি করার জন্য নির্বাচিত করা হয়। নির্বাচিত কলেজসমূহে ২০১৬ সালের ৩০ জুন নিয়োগ ও অর্থ ব্যয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এরপর শুরু হয় যাচাই-বাছাই কার্যক্রম। প্রথম পর্যায়ে মাউশির নিয়ন্ত্রণাধীন ৯টি আঞ্চলিক কার্যালয়ের পরিচালক, উপরিচালক ও সহকারী পরিচালকের সমন্বয়ে তিন সদস্যের পরিদর্শন টিম নিজ নিজ অঞ্চলের নির্বাচিত প্রতিটি কলেজ সরেজমিন পরিদর্শন ও কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে ‘পরিদর্শন প্রতিবেদন’ মাউশিতে জমা দেন। এরপর সমন্বিত পদ সৃজনের জন্য ঢাকা জেলার চারটি কলেজকে পদ সৃজনের মডেল হিসেবে বিবেচনা করে পাইলটিং করা হয়। দ্বিতীয় ধাপে কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করার লক্ষ্যে মাউশি কর্তৃক প্রদত্ত চাহিদাপত্র মোতাবেক ‘ক’ ‘খ’ ‘গ' ছকে শিক্ষক-কর্মচারী ও প্রতিষ্ঠানের কাগজপত্র ও তথ্যাদির হার্ড কপি ও সফট কপি মাউশি জমা নেয়। তৃতীয় ধাপে ২০১৯ সালের ২৪ জুন থেকে সব কলেজের শিক্ষক-কর্মচারী ও প্রতিষ্ঠানের মূল কাগজপত্র মাউশিতে আনিয়ে যাচাই-বাছাই শুরু করে।
২০১৯ সালের ১৮ নভেম্বর থেকে চতুর্থ ধাপে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রত্যেক শিক্ষক-কর্মচারী ও কলেজের মূল কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শুরু হয়। ১ জানুয়ারি ২০২০-এ যাচাই-বাছাই কাজকে গতিশীল করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঁচটি কমিটি গঠনের অফিস আদেশ জারি করা হয়। এতেও কাজের গতি বৃদ্ধি না পাওয়ায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় পুনরায় ২০টি কমিটি গঠন করলেও অধিকাংশ কমিটি অর্পিত দায়িত্ব পালন না করায় আত্তীকরণ কাজের তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনের পঠিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাগণ ২০২২ সালের ৩০ জুন পদ সৃজনের কাজ সম্পন্ন করার আশ্বাস দিলেও ৩০ জুলাই ২০২২ তারিখেও প্রায় ১২০টি কলেজের পদ সৃজন প্রস্তাব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়নি। বিধি সংশোধনীর জন্য পাঁচবার আবেদনপত্র জমা দেওয়া সত্ত্বেও এর কোনো সুরাহা হয়নি। রিভিউ আবেদনেরও কোনো নিষ্পত্তি হয়নি। ইতিমধ্যে সদ্য সরকারিকৃত কলেজের কিছুসংখ্যক ফাইল অর্থ মন্ত্রণালয়ে গিয়েছে এবং পরের অবস্থা আরও ভয়াবহ বলে উল্লেখ করেন।
সকশিসের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি আ ন ম রিয়াজ উদ্দিন দাবি করেন, ২০১৬ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত এই ছয় বছর মাউশিতে নিযুক্ত বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির অতি উৎসাহী কতিপয় কর্মকর্তা এবং একটি বিশেষ মহলের ষড়যন্ত্রের কারণে প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগ ব্যর্থ হতে চলেছে। তিনি বলেন, একই সময়ে ঘোষিত মাধ্যমিক স্কুলসমূহের আত্তীকরণের কাজ অনেক আগেই সমাপ্ত হয়েছে, যাতে প্রমাণিত হয় ষড়যন্ত্রকারী মহল এই দীর্ঘসূত্রিতা তৈরি করছে। ফলে প্রায় ৪ হাজার শিক্ষক-কর্মচারী আত্তীকরণবঞ্চিত হয়ে চোখে জল নিয়ে অবসরে গেছেন ৷
আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে আত্তীকরণ শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন সংরক্ষণ প্রজ্ঞাপন জারি না হলে আগামী ৭ সেপ্টেম্বর সরকারি প্রতিটি কলেজের শিক্ষক-কর্মচারী কলেজের সামনে ১ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন। সেখান থেকেই পরবর্তী কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হবে বলে জানান আ ন ম রিয়াজ উদ্দিন।
ছুটি নিয়ে সরকারি চাকরিজীবীদের সুখবর। আগামী জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে সাপ্তাহিক দুদিন ছুটি মিলিয়ে টানা তিন দিনের ছুটি ভোগ করার সুযোগ পাচ্ছেন চাকরিজীবীরা। কারণ আগামী ৬ জুলাই রোববার পবিত্র আশুরা পালিত হবে। এদিন সরকারি ছুটি। আর আগের দুদিন অর্থাৎ ৪ ও ৫ জুলাই শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি।
২ ঘণ্টা আগেমহিলা ও শিশুবিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, নারী ও শিশুরা পরিবার, কর্মক্ষেত্র, পাবলিক স্পেস, পাবলিক ট্রান্সপোর্ট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অনলাইন, সাইবার স্পেসসহ বিভিন্ন মাধ্যমে নানা ধরনের সহিংসতা ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নারীর প্রতি সহিংসতার ধরনের ক্ষেত্র ও মাত্রা...
৩ ঘণ্টা আগেরায় বা আদেশ হওয়ার পর মামলার নথি সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে পরবর্তী কার্যক্রম সম্পন্ন করে যথাসময়ে অধস্তন আদালতে পাঠাতে নির্দেশনা জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। আজ বৃহস্পতিবার এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়।
৩ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অনুষ্ঠিত হওয়া তিনটি জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও প্রশাসনের ভূমিকাকে ঘিরে ওঠা অভিযোগ তদন্তে ৫ সদস্যদের কমিটি গঠন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) জাহেদা পারভীন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপন
৩ ঘণ্টা আগে