নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নতুন দলের নিবন্ধন দৌড়ে পিছিয়ে পড়া এবি পার্টি নির্বাচন কমিশনে (ইসি) প্রতিবাদ জমা দিয়েছে। এ ছাড়া নিবন্ধন পুনর্বিবেচনা করার আবেদন করেছে বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি (বিএমজেপি)। আজ সোমবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের প্রাপ্তি জারি শাখায় নিবন্ধনপ্রত্যাশী এই দুই দল ইসিতে আলাদা চিঠি জমা দেয়।
এবি পার্টির আহ্বায়ক এএফএম সোলায়মান স্বাক্ষরিত ইসিতে জমা দেওয়া চিঠিতে বলা হয়, যথাযথ এবি পার্টি নিবন্ধনের জন্য আবেদন জমা দেওয়ার পর নির্বাচন কমিশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী এর নানা ত্রুটি সংশোধন প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়। আবেদন করা ৯৩টি দল থেকে ১২টি রাজনৈতিক দলকে ইসি প্রাথমিক বাছাইয়ে যোগ্য বিবেচনা করে। এবি পার্টির নাম মনোনীত ১২টি দলের নামের তালিকায় ১ নম্বরে ছিল। ১২টি রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় দপ্তর, জেলা ও মহানগর, উপজেলা ও মেট্রোপলিটন থানাসমূহে দলের কার্যকর দপ্তর এবং তৎপরতা যাচাই-বাছাই কার্যক্রম গত ২ মে থেকে সারা দেশে একযোগে শুরু হয়। এবি পার্টির পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও যাচাই-বাছাই কার্যক্রমে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হয়।
চিঠিতে আরও বলা হয়, মাঠপর্যায়ে এই যাচাই-বাছাই কার্যক্রমে বিভিন্ন জেলার এবং বেশ কিছু উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে রহস্যজনকভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে এবি পার্টির প্রতি বিদ্বেষ ও হয়রানিমূলক আচরণ করতে দেখা যায়। উপায়ান্তর না দেখে গত ২৩ মে কমিশন সচিব বরাবর একটি চিঠি ও স্মারকলিপি দেওয়া হয়। দুঃখজনক হলেও সত্য, ইসি এ ব্যাপারে কোনো তদন্ত বা প্রতিকারমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।
এবি পার্টিকে অযাচিতভাবে নিবন্ধনের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয় উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়, গত ২৫ জুন নির্বাচন কমিশন একটি পরিপত্র মারফত ১২টি দলের মধ্য থেকে এবি পার্টিসহ চারটি দলকে বাছাইয়ে সঠিক পাওয়ায় পুনঃতদন্তের নির্দেশ দেয়। গত ৩ থেকে ৭ জুলাই পরিচালিত কার্যক্রমেও এবি পার্টির পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা দেওয়া হয়। এই পুনঃতদন্তের রিপোর্টেও এবি পার্টি সব বাস্তব তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরে। পরম পরিতাপের বিষয় হলো, ১৬ জুলাই ইসি শুধু দুটি দলকে নিবন্ধনের জন্য বিবেচিত হিসেবে ঘোষণা দেয়। এবি পার্টিসহ বাকি অন্যান্য দলকে অযাচিতভাবে বাদ দেওয়া হয়।
ইসি বৈষম্যমূলক আচরণ করছে বলে চিঠিতে এর প্রতিবাদ জানানো হয়। বলা হয়, ‘আমরা মনে করি মাঠে ময়দানে সক্রিয়, কার্যকর এবং নিবন্ধনে নির্বাচন কমিশন নির্ধারিত সব শর্ত পূরণ করা সত্ত্বেও এবি পার্টিসহ একাধিক রাজনৈতিক দলকে নিবন্ধন না দিয়ে অপরিচিত, ভুঁইফোঁড়, অকার্যকর দলকে নিবন্ধন দিয়ে নির্বাচন কমিশন চরমভাবে বিতর্কিত হয়েছে। একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচন কমিশনের এমন পক্ষপাতমূলক ও বাস্তবতা-বিবর্জিত সিদ্ধান্ত আমাদের ক্ষুব্ধ করেছে এবং জাতির কাছে এই কমিশনের গ্রহণযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন কমিশনের কাছে এ রকম অগ্রহণযোগ্য, বৈষম্যমূলক, অনিয়মতান্ত্রিক অন্যায্য সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং এবি পার্টিসহ কার্যকর দলগুলোর নিবন্ধন দেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।’
এদিকে বিএমজেপি সভাপতি সুকৃতি কুমার মণ্ডলের ইসিতে জমা দেওয়া চিঠিতে বলা হয়, ‘বিএমজেপির নিবন্ধন সম্পর্কিত বিষয়টি পুনঃবিবেচনা করবে ইসি। যারা এ দেশের নিপীড়িত মানুষের কথা রাজনৈতিকভাবে তুলে ধরার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠী এ দলের দিকে তাকিয়ে আছে, তাদের একটি কথা বলার জায়গা হবে এটা আশা করে। তাদের সেই চাওয়াকে বঞ্চিত করবেন না আশা করি। এটা বিশ্বাস করতে চাই যে, নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হয়ে এ দলের মর্মকথা বুঝতে সমর্থ হবে।’
নতুন দলের নিবন্ধন দৌড়ে পিছিয়ে পড়া এবি পার্টি নির্বাচন কমিশনে (ইসি) প্রতিবাদ জমা দিয়েছে। এ ছাড়া নিবন্ধন পুনর্বিবেচনা করার আবেদন করেছে বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি (বিএমজেপি)। আজ সোমবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের প্রাপ্তি জারি শাখায় নিবন্ধনপ্রত্যাশী এই দুই দল ইসিতে আলাদা চিঠি জমা দেয়।
এবি পার্টির আহ্বায়ক এএফএম সোলায়মান স্বাক্ষরিত ইসিতে জমা দেওয়া চিঠিতে বলা হয়, যথাযথ এবি পার্টি নিবন্ধনের জন্য আবেদন জমা দেওয়ার পর নির্বাচন কমিশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী এর নানা ত্রুটি সংশোধন প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়। আবেদন করা ৯৩টি দল থেকে ১২টি রাজনৈতিক দলকে ইসি প্রাথমিক বাছাইয়ে যোগ্য বিবেচনা করে। এবি পার্টির নাম মনোনীত ১২টি দলের নামের তালিকায় ১ নম্বরে ছিল। ১২টি রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় দপ্তর, জেলা ও মহানগর, উপজেলা ও মেট্রোপলিটন থানাসমূহে দলের কার্যকর দপ্তর এবং তৎপরতা যাচাই-বাছাই কার্যক্রম গত ২ মে থেকে সারা দেশে একযোগে শুরু হয়। এবি পার্টির পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও যাচাই-বাছাই কার্যক্রমে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হয়।
চিঠিতে আরও বলা হয়, মাঠপর্যায়ে এই যাচাই-বাছাই কার্যক্রমে বিভিন্ন জেলার এবং বেশ কিছু উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে রহস্যজনকভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে এবি পার্টির প্রতি বিদ্বেষ ও হয়রানিমূলক আচরণ করতে দেখা যায়। উপায়ান্তর না দেখে গত ২৩ মে কমিশন সচিব বরাবর একটি চিঠি ও স্মারকলিপি দেওয়া হয়। দুঃখজনক হলেও সত্য, ইসি এ ব্যাপারে কোনো তদন্ত বা প্রতিকারমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।
এবি পার্টিকে অযাচিতভাবে নিবন্ধনের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয় উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়, গত ২৫ জুন নির্বাচন কমিশন একটি পরিপত্র মারফত ১২টি দলের মধ্য থেকে এবি পার্টিসহ চারটি দলকে বাছাইয়ে সঠিক পাওয়ায় পুনঃতদন্তের নির্দেশ দেয়। গত ৩ থেকে ৭ জুলাই পরিচালিত কার্যক্রমেও এবি পার্টির পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা দেওয়া হয়। এই পুনঃতদন্তের রিপোর্টেও এবি পার্টি সব বাস্তব তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরে। পরম পরিতাপের বিষয় হলো, ১৬ জুলাই ইসি শুধু দুটি দলকে নিবন্ধনের জন্য বিবেচিত হিসেবে ঘোষণা দেয়। এবি পার্টিসহ বাকি অন্যান্য দলকে অযাচিতভাবে বাদ দেওয়া হয়।
ইসি বৈষম্যমূলক আচরণ করছে বলে চিঠিতে এর প্রতিবাদ জানানো হয়। বলা হয়, ‘আমরা মনে করি মাঠে ময়দানে সক্রিয়, কার্যকর এবং নিবন্ধনে নির্বাচন কমিশন নির্ধারিত সব শর্ত পূরণ করা সত্ত্বেও এবি পার্টিসহ একাধিক রাজনৈতিক দলকে নিবন্ধন না দিয়ে অপরিচিত, ভুঁইফোঁড়, অকার্যকর দলকে নিবন্ধন দিয়ে নির্বাচন কমিশন চরমভাবে বিতর্কিত হয়েছে। একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচন কমিশনের এমন পক্ষপাতমূলক ও বাস্তবতা-বিবর্জিত সিদ্ধান্ত আমাদের ক্ষুব্ধ করেছে এবং জাতির কাছে এই কমিশনের গ্রহণযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন কমিশনের কাছে এ রকম অগ্রহণযোগ্য, বৈষম্যমূলক, অনিয়মতান্ত্রিক অন্যায্য সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং এবি পার্টিসহ কার্যকর দলগুলোর নিবন্ধন দেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।’
এদিকে বিএমজেপি সভাপতি সুকৃতি কুমার মণ্ডলের ইসিতে জমা দেওয়া চিঠিতে বলা হয়, ‘বিএমজেপির নিবন্ধন সম্পর্কিত বিষয়টি পুনঃবিবেচনা করবে ইসি। যারা এ দেশের নিপীড়িত মানুষের কথা রাজনৈতিকভাবে তুলে ধরার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠী এ দলের দিকে তাকিয়ে আছে, তাদের একটি কথা বলার জায়গা হবে এটা আশা করে। তাদের সেই চাওয়াকে বঞ্চিত করবেন না আশা করি। এটা বিশ্বাস করতে চাই যে, নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হয়ে এ দলের মর্মকথা বুঝতে সমর্থ হবে।’
সাইবার নিরাপত্তা আইনের বিতর্কিত ৯টি ধারা বাতিল করছে সরকার। গতকাল সোমবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সাইবার নিরাপত্তা অধ্যাদেশের বিতর্কিত ধারাগুলো বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেপবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ১০ দিন ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ এ ছুটি ঘোষণা করেছে। আজ মঙ্গলবার উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ছুটির এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেএপ্রিল মাসে ৫৬৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৮৩ জন নিহত ও ১২০২ জন আহত হয়েছে। এই সময়ে ২১৫টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২২৯ জন নিহত ও ২২৪ জন আহত হয়েছে। যা মোট দুর্ঘটনার ৩৭ দশমিক ৯১ শতাংশ, নিহতের ৩৯ দশমিক ২৭ শতাংশ ও আহতের ১৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
৫ ঘণ্টা আগে১১তম গ্রেডে বেতনের দাবিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকেরা প্রতিদিন এক ঘণ্টা কর্মবিরতি শুরু করেছেন। এ কর্মসূচি চলবে ১৫ মে পর্যন্ত। পরে পর্যায়ক্রমে কর্মবিরতির ব্যাপ্তি বাড়বে। প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের সংগঠনগুলোর মোর্চা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এ কর্মসূচি চলছে।
১৯ ঘণ্টা আগে