বাংলাদেশের বিভিন্ন কারাগারে থাকা ৯৫ ভারতীয় জেলেকে মুক্তি দিয়েছে ঢাকা। বিপরীতে ভারতে আটক ৯০ বাংলাদেশিকেও মুক্তি দিয়েছে নয়া দিল্লি। গতকাল রোববার উভয় পক্ষ এই বিনিময় কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। দুই দেশের হেফাজতে থাকা জেলেদের পারস্পরিক প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া এমন সময় সম্পন্ন হলো, যখন ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক বেশ টানাপোড়েনের মধ্যে রয়েছে।
উভয় দেশের জেলেদের এই বিনিময় কার্যক্রম সমন্বয় করেছে ভারতীয় কোস্ট গার্ড এবং বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড। ভারত সরকার বিবৃতিতে বলেছে, বাংলাদেশি পক্ষ ৯৫ জন ভারতীয় জেলে এবং চারটি মাছ ধরার নৌকা ভারতীয় কোস্ট গার্ডের কাছে হস্তান্তর করেছে।
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, অন্যদিকে, ভারতীয় কোস্ট গার্ড ৯০ জন বাংলাদেশি জেলে মুক্তি দিয়েছে। এর মধ্যে ১২ জন এমন জেলে ছিলেন, যাদের ডুবে যাওয়া মাছ ধরার নৌকা ‘কৌশিক’ থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল এতে আরও বলা হয়েছে, ‘ভারতীয় জেলেদের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মৎস্য বিভাগের কাছে দক্ষিণ ২৪-পরগনার পোস্টে প্রত্যাবাসন পরবর্তী হস্তান্তর করা হয়েছে।’
গত অক্টোবরে বাংলাদেশের বাগেরহাট জেলায় চারটি ট্রলারে থাকা ৬৪ জন ভারতীয় জেলে গ্রেপ্তার হন। পরে পটুয়াখালী জেলায় আরও দুটি ট্রলারে থাকা ৩১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাংলাদেশে তাঁরা কয়েক মাস বন্দী থাকার পরিপ্রেক্ষিতে পশ্চিমবঙ্গের একাধিক মৎস্যজীবী সংগঠন অভিযোগ করে, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নতুন সরকার অপ্রয়োজনীয়ভাবে কঠোর হয়েছে।
সুন্দরবন সামুদ্রিক মৎস্যজীবী শ্রমিক ইউনিয়নের সম্পাদক সতীনাথ পাত্র বলেন, ‘আগে বাংলাদেশের উপকূল প্রশাসন আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক সীমানা ভুলবশত অতিক্রম করা জেলেদের ফিরিয়ে দিত...এবার অপ্রয়োজনীয়ভাবে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।’
বাংলাদেশি আদালতে বন্দীদের মুক্তির জন্য মৎস্যজীবীদের সংগঠন একাধিক আইনি পদক্ষেপ নিলেও তা সফল হয়নি। গত ২ ডিসেম্বর বিধানসভায় দেওয়া এক বক্তব্যে মমতা দুঃখ প্রকাশ করেন যে তাঁর সরকার প্রতিবেশী দেশে জেলেদের পরিবারকে আইনি সহায়তা প্রদানে সহযোগিতা করলেও কেন্দ্র এ বিষয়ে বিশেষ কিছু করেনি।
জেলেদের সংগঠন যখন বন্দীদের মুক্তি নিশ্চিত করার চেষ্টা করছিল, তখন ভারতীয় কোস্ট গার্ড ওডিশার পারাদ্বীপের কাছে ভারতীয় জলসীমায় প্রবেশ করা ৭৮ জন বাংলাদেশি জেলেকে গ্রেপ্তার করে। একটি সূত্র বলেছে, ‘আরও প্রায় ১২ জন বাংলাদেশি জেলে আগে গ্রেপ্তার হয়েছিল...আমাদের হেফাজতে প্রায় ৯০ জন বাংলাদেশি থাকায় আমাদের জেলেদের মুক্তির জন্য দর-কষাকষি শুরু করা সহজ হয়েছিল।’
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘অবশেষে, উভয় সরকার সামুদ্রিক সীমানা রেখায় বিনিময় প্রক্রিয়া চালু করার জন্য একমত হয়।’
ভারতীয় জেলেদের মুক্তির প্রক্রিয়া শুরু হয় গত ২৬ ডিসেম্বর। বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন উপসচিব আটক ৯৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত ঘোষণার মধ্যে দিয়ে এই প্রক্রিয়ার সূচনা হয়। পরে ভারত সরকারও ৯০ জন বাংলাদেশি জেলের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করে। অবশেষে, দুই দেশের সিনিয়র কর্মকর্তারা ৫ জানুয়ারি যৌথ প্রত্যাবাসন বাস্তবায়নের জন্য সম্মত হন।
বাংলাদেশের বিভিন্ন কারাগারে থাকা ৯৫ ভারতীয় জেলেকে মুক্তি দিয়েছে ঢাকা। বিপরীতে ভারতে আটক ৯০ বাংলাদেশিকেও মুক্তি দিয়েছে নয়া দিল্লি। গতকাল রোববার উভয় পক্ষ এই বিনিময় কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। দুই দেশের হেফাজতে থাকা জেলেদের পারস্পরিক প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া এমন সময় সম্পন্ন হলো, যখন ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক বেশ টানাপোড়েনের মধ্যে রয়েছে।
উভয় দেশের জেলেদের এই বিনিময় কার্যক্রম সমন্বয় করেছে ভারতীয় কোস্ট গার্ড এবং বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড। ভারত সরকার বিবৃতিতে বলেছে, বাংলাদেশি পক্ষ ৯৫ জন ভারতীয় জেলে এবং চারটি মাছ ধরার নৌকা ভারতীয় কোস্ট গার্ডের কাছে হস্তান্তর করেছে।
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, অন্যদিকে, ভারতীয় কোস্ট গার্ড ৯০ জন বাংলাদেশি জেলে মুক্তি দিয়েছে। এর মধ্যে ১২ জন এমন জেলে ছিলেন, যাদের ডুবে যাওয়া মাছ ধরার নৌকা ‘কৌশিক’ থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল এতে আরও বলা হয়েছে, ‘ভারতীয় জেলেদের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মৎস্য বিভাগের কাছে দক্ষিণ ২৪-পরগনার পোস্টে প্রত্যাবাসন পরবর্তী হস্তান্তর করা হয়েছে।’
গত অক্টোবরে বাংলাদেশের বাগেরহাট জেলায় চারটি ট্রলারে থাকা ৬৪ জন ভারতীয় জেলে গ্রেপ্তার হন। পরে পটুয়াখালী জেলায় আরও দুটি ট্রলারে থাকা ৩১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাংলাদেশে তাঁরা কয়েক মাস বন্দী থাকার পরিপ্রেক্ষিতে পশ্চিমবঙ্গের একাধিক মৎস্যজীবী সংগঠন অভিযোগ করে, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নতুন সরকার অপ্রয়োজনীয়ভাবে কঠোর হয়েছে।
সুন্দরবন সামুদ্রিক মৎস্যজীবী শ্রমিক ইউনিয়নের সম্পাদক সতীনাথ পাত্র বলেন, ‘আগে বাংলাদেশের উপকূল প্রশাসন আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক সীমানা ভুলবশত অতিক্রম করা জেলেদের ফিরিয়ে দিত...এবার অপ্রয়োজনীয়ভাবে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।’
বাংলাদেশি আদালতে বন্দীদের মুক্তির জন্য মৎস্যজীবীদের সংগঠন একাধিক আইনি পদক্ষেপ নিলেও তা সফল হয়নি। গত ২ ডিসেম্বর বিধানসভায় দেওয়া এক বক্তব্যে মমতা দুঃখ প্রকাশ করেন যে তাঁর সরকার প্রতিবেশী দেশে জেলেদের পরিবারকে আইনি সহায়তা প্রদানে সহযোগিতা করলেও কেন্দ্র এ বিষয়ে বিশেষ কিছু করেনি।
জেলেদের সংগঠন যখন বন্দীদের মুক্তি নিশ্চিত করার চেষ্টা করছিল, তখন ভারতীয় কোস্ট গার্ড ওডিশার পারাদ্বীপের কাছে ভারতীয় জলসীমায় প্রবেশ করা ৭৮ জন বাংলাদেশি জেলেকে গ্রেপ্তার করে। একটি সূত্র বলেছে, ‘আরও প্রায় ১২ জন বাংলাদেশি জেলে আগে গ্রেপ্তার হয়েছিল...আমাদের হেফাজতে প্রায় ৯০ জন বাংলাদেশি থাকায় আমাদের জেলেদের মুক্তির জন্য দর-কষাকষি শুরু করা সহজ হয়েছিল।’
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘অবশেষে, উভয় সরকার সামুদ্রিক সীমানা রেখায় বিনিময় প্রক্রিয়া চালু করার জন্য একমত হয়।’
ভারতীয় জেলেদের মুক্তির প্রক্রিয়া শুরু হয় গত ২৬ ডিসেম্বর। বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন উপসচিব আটক ৯৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত ঘোষণার মধ্যে দিয়ে এই প্রক্রিয়ার সূচনা হয়। পরে ভারত সরকারও ৯০ জন বাংলাদেশি জেলের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করে। অবশেষে, দুই দেশের সিনিয়র কর্মকর্তারা ৫ জানুয়ারি যৌথ প্রত্যাবাসন বাস্তবায়নের জন্য সম্মত হন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘এবারের নির্বাচন যাতে উৎসবমুখর ও সুশৃঙ্খল পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়, সে জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তরুণ ভোটারদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি ও তাদের আকৃষ্ট করার জন্য প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে তাদের জন্য আলাদা বুথ থাকবে।’
১৩ মিনিট আগেপ্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের আমন্ত্রণে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে মালয়েশিয়ার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ সোমবার দুপুর ২টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে করে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন তিনি।
৩৫ মিনিট আগেআগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুলিশ ও আনসার বাহিনীর পাশাপাশি ৮০ হাজারেরও বেশি সেনাসদস্য মোতায়েন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
২ ঘণ্টা আগেযান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ইতালি থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ঢাকাগামী ফ্লাইট (বিজি ৩৫৬) বাতিল করা হয়েছে। স্থানীয় সময় রোববার (১০ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে রোমের লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি ফিউমিসিনো বিমানবন্দর থেকে ফ্লাইটটি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা ছিল।
৬ ঘণ্টা আগে