আজকের পত্রিকা ডেস্ক

পুরোনো বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে, সবার জীবনে মঙ্গল কামনায় বরাবরের মতো বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট। শুধু ঢাকা নয়, দেশের বিভিন্ন জেলায়ও পয়লা বৈশাখের এই ঐতিহ্যবাহী শোভাযাত্রা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অনুষ্ঠিত হয়।
শোভাযাত্রায় উঠে আসে লোকশিল্পের নানা উপাদানউজ্জ্বল রঙের চিত্রকর্ম, বিচিত্র মুখোশ আর নানান প্রতীকী উপস্থাপনা। প্রতিবছর এই শোভাযাত্রার একটি নির্দিষ্ট মূলভাব থাকে, যা প্রতিবাদ, দ্রোহ ও অশুভ শক্তির বিনাশের বার্তা বহন করে। আহ্বান জানানো হয় সত্য ও সুন্দরের পথে চলার। এ বছরের প্রতিপাদ্য, ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’।
যেভাবে শুরু হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা
বৈশাখী উৎসবের ইতিহাস সুপ্রাচীন হলেও মঙ্গল শোভাযাত্রার ইতিহাস বেশি দিনের নয়। ১৯৮৫ সালের পয়লা বৈশাখ যশোরে প্রথম এই ব্যতিক্রমী শোভাযাত্রার সূচনা হয়। সে সময় দেশে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সামরিক শাসন জারি ছিল। এই শোভাযাত্রার মূল উদ্দেশ্য ছিল দেশের লোকজ সংস্কৃতি তুলে ধরার মাধ্যমে সব স্তরের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করা। একই সঙ্গে অশুভ শক্তির বিনাশ এবং শুভশক্তির আগমন কামনা করা হয়েছিল। এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগের নেপথ্যে ছিলেন চারুশিল্পী মাহবুব জামাল শামিম।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে পড়াশোনা শেষ করে মাহবুব জামাল শামিম যশোরে ফিরে যান এবং সেখানে ‘চারুপিঠ’ নামে একটি শিল্পচর্চা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন। তবে যশোরের গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ থাকেনি এই শোভাযাত্রা।
১৯৮৯ সালের পয়লা বৈশাখে ঢাকার চারুকলা থেকেও শুরু হয় একই ধরনের শোভাযাত্রা। শুরুতে এর নাম ছিল ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’। তবে পরবর্তীতে এটি ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নামেই পরিচিতি লাভ করে।
সেই সময়ের শোভাযাত্রার মূল সুর ছিল অগণতান্ত্রিক শক্তির বিনাশের আকাঙ্ক্ষা। তখন এরশাদবিরোধী আন্দোলন তুঙ্গে। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের প্রচেষ্টায় সব স্তরের মানুষকে একই প্ল্যাটফর্মে আনার চেষ্টা করা হয়েছিল। ১৯৮৫-৮৬ সালের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরাই মূলত প্রথম মঙ্গল শোভাযাত্রার উদ্যোক্তা ছিলেন। শিক্ষকেরা তাঁদের দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন, কিন্তু মূল কাজটি সম্পন্ন করেছিলেন শিক্ষার্থীরাই। বর্তমানে পয়লা বৈশাখের এই শোভাযাত্রা ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সব মানুষের অংশগ্রহণে এক প্রধান জাতীয় উৎসবে পরিণত হয়েছে।
শোভাযাত্রার অনুষঙ্গ
এই শোভাযাত্রা বর্ণিল রঙে সেজে ওঠে। আবহমান বাংলার বিভিন্ন লোকজ উপাদানের উপস্থিতি শোভাযাত্রাকে এক ভিন্ন মাত্রা দেয়। শোভাযাত্রা উপলক্ষে হাতে তৈরি করা হয় বিভিন্ন ধরনের মুখোশ, লোকজ মূর্তি, ট্যাপা পুতুল, নকশি পাখি ও বিভিন্ন জীবজন্তুর প্রতিকৃতি। এই শোভাযাত্রাকে আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য শুরু থেকেই দেশের লোকশিল্পের নানা ধরনের খেলনা ও উপাদান ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া ঘোড়া, নকশি পাখা, ফুল, প্রজাপতি, মানুষ এবং প্রকৃতির বিভিন্ন রূপ শোভাযাত্রায় স্থান পায়। অবশ্য কখনো কখনো এতে রাজনৈতিক অনুষঙ্গও যুক্ত হয়েছে।
১৯৮৯ সালের প্রথম আনন্দ শোভাযাত্রায় পাপেট, ঘোড়া ও হাতির প্রতিকৃতি বিশেষভাবে নজর কেড়েছিল। ১৯৯০ সালের আনন্দ শোভাযাত্রায়ও বিভিন্ন ধরনের শিল্পকর্মের প্রতিকৃতি দেখা যায়। ১৯৯১ সালে চারুকলার শোভাযাত্রা জনপ্রিয়তার এক নতুন শিখরে পৌঁছায়। চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও শিল্পীদের উদ্যোগে আয়োজিত সেই শোভাযাত্রায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য, বিশিষ্ট লেখক, শিল্পীসহ সাধারণ নাগরিকেরা অংশ নেন। শোভাযাত্রায় স্থান পায় বিশালাকার হাতি ও বাঘের কারুকার্যময় প্রতিকৃতি। কৃত্রিম ঢাকের বাদ্য আর অসংখ্য মুখোশখচিত প্ল্যাকার্ড শোভাযাত্রায় এক আনন্দময় ও উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি করে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই শোভাযাত্রা আরও বর্ণিল ও সমৃদ্ধ হয়েছে।
পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়াই পথচলা
মঙ্গল শোভাযাত্রার একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো, এটি আয়োজনের জন্য কোনো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কোনো ধরনের আর্থিক সহায়তা নেওয়া হয় না। চারুকলার শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অনেক চিত্রশিল্পী তাঁদের আঁকা ছবি বিক্রি করে যে অর্থ উপার্জন করেন, সেটাই এই শোভাযাত্রা আয়োজনের মূল উৎস। একসময় শোভাযাত্রায় ব্যবহৃত মুখোশ ও অন্যান্য উপকরণ নিলামে তোলা হতো এবং সেই অর্থ পরবর্তী শোভাযাত্রার জন্য ব্যয় করা হতো। বর্তমানে চারুকলার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা এক মাস আগে থেকেই এই প্রস্তুতি শুরু করেন এবং তাঁদের শিল্পকর্ম বিক্রি করে শোভাযাত্রার তহবিল সংগ্রহ করেন।
বিশ্বদরবারে মঙ্গল শোভাযাত্রা
বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ জাতিসংঘের সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেসকোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান লাভ করে। ইউনেসকো তাদের ‘রিপ্রেজেনটেটিভ লিস্ট অব ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটি’র তালিকায় এই শোভাযাত্রাকে অন্তর্ভুক্ত করে। এর ফলে পয়লা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রা পায় এক আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। এখন এটি শুধু বাংলাদেশের নয়, বিশ্ব সংস্কৃতিরও অংশ। বাঙালি সংস্কৃতি এর মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী আরও বিস্তৃত হয়েছে।
ইউনেসকো মঙ্গল শোভাযাত্রাকে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করে, এটি কোনো একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের নয়, বরং এটি সমগ্র দেশ ও বিশ্বের মানুষের ঐতিহ্য।
তথ্যসূত্র: বাংলাপিডিয়া; হাজার বছরের বাঙালি সংস্কৃতি, গোলাম মুরশিদ

পুরোনো বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে, সবার জীবনে মঙ্গল কামনায় বরাবরের মতো বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট। শুধু ঢাকা নয়, দেশের বিভিন্ন জেলায়ও পয়লা বৈশাখের এই ঐতিহ্যবাহী শোভাযাত্রা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অনুষ্ঠিত হয়।
শোভাযাত্রায় উঠে আসে লোকশিল্পের নানা উপাদানউজ্জ্বল রঙের চিত্রকর্ম, বিচিত্র মুখোশ আর নানান প্রতীকী উপস্থাপনা। প্রতিবছর এই শোভাযাত্রার একটি নির্দিষ্ট মূলভাব থাকে, যা প্রতিবাদ, দ্রোহ ও অশুভ শক্তির বিনাশের বার্তা বহন করে। আহ্বান জানানো হয় সত্য ও সুন্দরের পথে চলার। এ বছরের প্রতিপাদ্য, ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’।
যেভাবে শুরু হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা
বৈশাখী উৎসবের ইতিহাস সুপ্রাচীন হলেও মঙ্গল শোভাযাত্রার ইতিহাস বেশি দিনের নয়। ১৯৮৫ সালের পয়লা বৈশাখ যশোরে প্রথম এই ব্যতিক্রমী শোভাযাত্রার সূচনা হয়। সে সময় দেশে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সামরিক শাসন জারি ছিল। এই শোভাযাত্রার মূল উদ্দেশ্য ছিল দেশের লোকজ সংস্কৃতি তুলে ধরার মাধ্যমে সব স্তরের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করা। একই সঙ্গে অশুভ শক্তির বিনাশ এবং শুভশক্তির আগমন কামনা করা হয়েছিল। এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগের নেপথ্যে ছিলেন চারুশিল্পী মাহবুব জামাল শামিম।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে পড়াশোনা শেষ করে মাহবুব জামাল শামিম যশোরে ফিরে যান এবং সেখানে ‘চারুপিঠ’ নামে একটি শিল্পচর্চা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন। তবে যশোরের গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ থাকেনি এই শোভাযাত্রা।
১৯৮৯ সালের পয়লা বৈশাখে ঢাকার চারুকলা থেকেও শুরু হয় একই ধরনের শোভাযাত্রা। শুরুতে এর নাম ছিল ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’। তবে পরবর্তীতে এটি ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নামেই পরিচিতি লাভ করে।
সেই সময়ের শোভাযাত্রার মূল সুর ছিল অগণতান্ত্রিক শক্তির বিনাশের আকাঙ্ক্ষা। তখন এরশাদবিরোধী আন্দোলন তুঙ্গে। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের প্রচেষ্টায় সব স্তরের মানুষকে একই প্ল্যাটফর্মে আনার চেষ্টা করা হয়েছিল। ১৯৮৫-৮৬ সালের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরাই মূলত প্রথম মঙ্গল শোভাযাত্রার উদ্যোক্তা ছিলেন। শিক্ষকেরা তাঁদের দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন, কিন্তু মূল কাজটি সম্পন্ন করেছিলেন শিক্ষার্থীরাই। বর্তমানে পয়লা বৈশাখের এই শোভাযাত্রা ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সব মানুষের অংশগ্রহণে এক প্রধান জাতীয় উৎসবে পরিণত হয়েছে।
শোভাযাত্রার অনুষঙ্গ
এই শোভাযাত্রা বর্ণিল রঙে সেজে ওঠে। আবহমান বাংলার বিভিন্ন লোকজ উপাদানের উপস্থিতি শোভাযাত্রাকে এক ভিন্ন মাত্রা দেয়। শোভাযাত্রা উপলক্ষে হাতে তৈরি করা হয় বিভিন্ন ধরনের মুখোশ, লোকজ মূর্তি, ট্যাপা পুতুল, নকশি পাখি ও বিভিন্ন জীবজন্তুর প্রতিকৃতি। এই শোভাযাত্রাকে আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য শুরু থেকেই দেশের লোকশিল্পের নানা ধরনের খেলনা ও উপাদান ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া ঘোড়া, নকশি পাখা, ফুল, প্রজাপতি, মানুষ এবং প্রকৃতির বিভিন্ন রূপ শোভাযাত্রায় স্থান পায়। অবশ্য কখনো কখনো এতে রাজনৈতিক অনুষঙ্গও যুক্ত হয়েছে।
১৯৮৯ সালের প্রথম আনন্দ শোভাযাত্রায় পাপেট, ঘোড়া ও হাতির প্রতিকৃতি বিশেষভাবে নজর কেড়েছিল। ১৯৯০ সালের আনন্দ শোভাযাত্রায়ও বিভিন্ন ধরনের শিল্পকর্মের প্রতিকৃতি দেখা যায়। ১৯৯১ সালে চারুকলার শোভাযাত্রা জনপ্রিয়তার এক নতুন শিখরে পৌঁছায়। চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও শিল্পীদের উদ্যোগে আয়োজিত সেই শোভাযাত্রায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য, বিশিষ্ট লেখক, শিল্পীসহ সাধারণ নাগরিকেরা অংশ নেন। শোভাযাত্রায় স্থান পায় বিশালাকার হাতি ও বাঘের কারুকার্যময় প্রতিকৃতি। কৃত্রিম ঢাকের বাদ্য আর অসংখ্য মুখোশখচিত প্ল্যাকার্ড শোভাযাত্রায় এক আনন্দময় ও উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি করে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই শোভাযাত্রা আরও বর্ণিল ও সমৃদ্ধ হয়েছে।
পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়াই পথচলা
মঙ্গল শোভাযাত্রার একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো, এটি আয়োজনের জন্য কোনো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কোনো ধরনের আর্থিক সহায়তা নেওয়া হয় না। চারুকলার শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অনেক চিত্রশিল্পী তাঁদের আঁকা ছবি বিক্রি করে যে অর্থ উপার্জন করেন, সেটাই এই শোভাযাত্রা আয়োজনের মূল উৎস। একসময় শোভাযাত্রায় ব্যবহৃত মুখোশ ও অন্যান্য উপকরণ নিলামে তোলা হতো এবং সেই অর্থ পরবর্তী শোভাযাত্রার জন্য ব্যয় করা হতো। বর্তমানে চারুকলার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা এক মাস আগে থেকেই এই প্রস্তুতি শুরু করেন এবং তাঁদের শিল্পকর্ম বিক্রি করে শোভাযাত্রার তহবিল সংগ্রহ করেন।
বিশ্বদরবারে মঙ্গল শোভাযাত্রা
বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ জাতিসংঘের সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেসকোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান লাভ করে। ইউনেসকো তাদের ‘রিপ্রেজেনটেটিভ লিস্ট অব ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটি’র তালিকায় এই শোভাযাত্রাকে অন্তর্ভুক্ত করে। এর ফলে পয়লা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রা পায় এক আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। এখন এটি শুধু বাংলাদেশের নয়, বিশ্ব সংস্কৃতিরও অংশ। বাঙালি সংস্কৃতি এর মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী আরও বিস্তৃত হয়েছে।
ইউনেসকো মঙ্গল শোভাযাত্রাকে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করে, এটি কোনো একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের নয়, বরং এটি সমগ্র দেশ ও বিশ্বের মানুষের ঐতিহ্য।
তথ্যসূত্র: বাংলাপিডিয়া; হাজার বছরের বাঙালি সংস্কৃতি, গোলাম মুরশিদ
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

পুরোনো বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে, সবার জীবনে মঙ্গল কামনায় বরাবরের মতো বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট। শুধু ঢাকা নয়, দেশের বিভিন্ন জেলায়ও পয়লা বৈশাখের এই ঐতিহ্যবাহী শোভাযাত্রা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অনুষ্ঠিত হয়।
শোভাযাত্রায় উঠে আসে লোকশিল্পের নানা উপাদানউজ্জ্বল রঙের চিত্রকর্ম, বিচিত্র মুখোশ আর নানান প্রতীকী উপস্থাপনা। প্রতিবছর এই শোভাযাত্রার একটি নির্দিষ্ট মূলভাব থাকে, যা প্রতিবাদ, দ্রোহ ও অশুভ শক্তির বিনাশের বার্তা বহন করে। আহ্বান জানানো হয় সত্য ও সুন্দরের পথে চলার। এ বছরের প্রতিপাদ্য, ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’।
যেভাবে শুরু হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা
বৈশাখী উৎসবের ইতিহাস সুপ্রাচীন হলেও মঙ্গল শোভাযাত্রার ইতিহাস বেশি দিনের নয়। ১৯৮৫ সালের পয়লা বৈশাখ যশোরে প্রথম এই ব্যতিক্রমী শোভাযাত্রার সূচনা হয়। সে সময় দেশে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সামরিক শাসন জারি ছিল। এই শোভাযাত্রার মূল উদ্দেশ্য ছিল দেশের লোকজ সংস্কৃতি তুলে ধরার মাধ্যমে সব স্তরের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করা। একই সঙ্গে অশুভ শক্তির বিনাশ এবং শুভশক্তির আগমন কামনা করা হয়েছিল। এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগের নেপথ্যে ছিলেন চারুশিল্পী মাহবুব জামাল শামিম।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে পড়াশোনা শেষ করে মাহবুব জামাল শামিম যশোরে ফিরে যান এবং সেখানে ‘চারুপিঠ’ নামে একটি শিল্পচর্চা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন। তবে যশোরের গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ থাকেনি এই শোভাযাত্রা।
১৯৮৯ সালের পয়লা বৈশাখে ঢাকার চারুকলা থেকেও শুরু হয় একই ধরনের শোভাযাত্রা। শুরুতে এর নাম ছিল ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’। তবে পরবর্তীতে এটি ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নামেই পরিচিতি লাভ করে।
সেই সময়ের শোভাযাত্রার মূল সুর ছিল অগণতান্ত্রিক শক্তির বিনাশের আকাঙ্ক্ষা। তখন এরশাদবিরোধী আন্দোলন তুঙ্গে। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের প্রচেষ্টায় সব স্তরের মানুষকে একই প্ল্যাটফর্মে আনার চেষ্টা করা হয়েছিল। ১৯৮৫-৮৬ সালের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরাই মূলত প্রথম মঙ্গল শোভাযাত্রার উদ্যোক্তা ছিলেন। শিক্ষকেরা তাঁদের দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন, কিন্তু মূল কাজটি সম্পন্ন করেছিলেন শিক্ষার্থীরাই। বর্তমানে পয়লা বৈশাখের এই শোভাযাত্রা ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সব মানুষের অংশগ্রহণে এক প্রধান জাতীয় উৎসবে পরিণত হয়েছে।
শোভাযাত্রার অনুষঙ্গ
এই শোভাযাত্রা বর্ণিল রঙে সেজে ওঠে। আবহমান বাংলার বিভিন্ন লোকজ উপাদানের উপস্থিতি শোভাযাত্রাকে এক ভিন্ন মাত্রা দেয়। শোভাযাত্রা উপলক্ষে হাতে তৈরি করা হয় বিভিন্ন ধরনের মুখোশ, লোকজ মূর্তি, ট্যাপা পুতুল, নকশি পাখি ও বিভিন্ন জীবজন্তুর প্রতিকৃতি। এই শোভাযাত্রাকে আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য শুরু থেকেই দেশের লোকশিল্পের নানা ধরনের খেলনা ও উপাদান ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া ঘোড়া, নকশি পাখা, ফুল, প্রজাপতি, মানুষ এবং প্রকৃতির বিভিন্ন রূপ শোভাযাত্রায় স্থান পায়। অবশ্য কখনো কখনো এতে রাজনৈতিক অনুষঙ্গও যুক্ত হয়েছে।
১৯৮৯ সালের প্রথম আনন্দ শোভাযাত্রায় পাপেট, ঘোড়া ও হাতির প্রতিকৃতি বিশেষভাবে নজর কেড়েছিল। ১৯৯০ সালের আনন্দ শোভাযাত্রায়ও বিভিন্ন ধরনের শিল্পকর্মের প্রতিকৃতি দেখা যায়। ১৯৯১ সালে চারুকলার শোভাযাত্রা জনপ্রিয়তার এক নতুন শিখরে পৌঁছায়। চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও শিল্পীদের উদ্যোগে আয়োজিত সেই শোভাযাত্রায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য, বিশিষ্ট লেখক, শিল্পীসহ সাধারণ নাগরিকেরা অংশ নেন। শোভাযাত্রায় স্থান পায় বিশালাকার হাতি ও বাঘের কারুকার্যময় প্রতিকৃতি। কৃত্রিম ঢাকের বাদ্য আর অসংখ্য মুখোশখচিত প্ল্যাকার্ড শোভাযাত্রায় এক আনন্দময় ও উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি করে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই শোভাযাত্রা আরও বর্ণিল ও সমৃদ্ধ হয়েছে।
পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়াই পথচলা
মঙ্গল শোভাযাত্রার একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো, এটি আয়োজনের জন্য কোনো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কোনো ধরনের আর্থিক সহায়তা নেওয়া হয় না। চারুকলার শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অনেক চিত্রশিল্পী তাঁদের আঁকা ছবি বিক্রি করে যে অর্থ উপার্জন করেন, সেটাই এই শোভাযাত্রা আয়োজনের মূল উৎস। একসময় শোভাযাত্রায় ব্যবহৃত মুখোশ ও অন্যান্য উপকরণ নিলামে তোলা হতো এবং সেই অর্থ পরবর্তী শোভাযাত্রার জন্য ব্যয় করা হতো। বর্তমানে চারুকলার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা এক মাস আগে থেকেই এই প্রস্তুতি শুরু করেন এবং তাঁদের শিল্পকর্ম বিক্রি করে শোভাযাত্রার তহবিল সংগ্রহ করেন।
বিশ্বদরবারে মঙ্গল শোভাযাত্রা
বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ জাতিসংঘের সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেসকোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান লাভ করে। ইউনেসকো তাদের ‘রিপ্রেজেনটেটিভ লিস্ট অব ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটি’র তালিকায় এই শোভাযাত্রাকে অন্তর্ভুক্ত করে। এর ফলে পয়লা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রা পায় এক আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। এখন এটি শুধু বাংলাদেশের নয়, বিশ্ব সংস্কৃতিরও অংশ। বাঙালি সংস্কৃতি এর মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী আরও বিস্তৃত হয়েছে।
ইউনেসকো মঙ্গল শোভাযাত্রাকে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করে, এটি কোনো একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের নয়, বরং এটি সমগ্র দেশ ও বিশ্বের মানুষের ঐতিহ্য।
তথ্যসূত্র: বাংলাপিডিয়া; হাজার বছরের বাঙালি সংস্কৃতি, গোলাম মুরশিদ

পুরোনো বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে, সবার জীবনে মঙ্গল কামনায় বরাবরের মতো বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট। শুধু ঢাকা নয়, দেশের বিভিন্ন জেলায়ও পয়লা বৈশাখের এই ঐতিহ্যবাহী শোভাযাত্রা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অনুষ্ঠিত হয়।
শোভাযাত্রায় উঠে আসে লোকশিল্পের নানা উপাদানউজ্জ্বল রঙের চিত্রকর্ম, বিচিত্র মুখোশ আর নানান প্রতীকী উপস্থাপনা। প্রতিবছর এই শোভাযাত্রার একটি নির্দিষ্ট মূলভাব থাকে, যা প্রতিবাদ, দ্রোহ ও অশুভ শক্তির বিনাশের বার্তা বহন করে। আহ্বান জানানো হয় সত্য ও সুন্দরের পথে চলার। এ বছরের প্রতিপাদ্য, ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’।
যেভাবে শুরু হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা
বৈশাখী উৎসবের ইতিহাস সুপ্রাচীন হলেও মঙ্গল শোভাযাত্রার ইতিহাস বেশি দিনের নয়। ১৯৮৫ সালের পয়লা বৈশাখ যশোরে প্রথম এই ব্যতিক্রমী শোভাযাত্রার সূচনা হয়। সে সময় দেশে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সামরিক শাসন জারি ছিল। এই শোভাযাত্রার মূল উদ্দেশ্য ছিল দেশের লোকজ সংস্কৃতি তুলে ধরার মাধ্যমে সব স্তরের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করা। একই সঙ্গে অশুভ শক্তির বিনাশ এবং শুভশক্তির আগমন কামনা করা হয়েছিল। এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগের নেপথ্যে ছিলেন চারুশিল্পী মাহবুব জামাল শামিম।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে পড়াশোনা শেষ করে মাহবুব জামাল শামিম যশোরে ফিরে যান এবং সেখানে ‘চারুপিঠ’ নামে একটি শিল্পচর্চা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন। তবে যশোরের গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ থাকেনি এই শোভাযাত্রা।
১৯৮৯ সালের পয়লা বৈশাখে ঢাকার চারুকলা থেকেও শুরু হয় একই ধরনের শোভাযাত্রা। শুরুতে এর নাম ছিল ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’। তবে পরবর্তীতে এটি ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নামেই পরিচিতি লাভ করে।
সেই সময়ের শোভাযাত্রার মূল সুর ছিল অগণতান্ত্রিক শক্তির বিনাশের আকাঙ্ক্ষা। তখন এরশাদবিরোধী আন্দোলন তুঙ্গে। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের প্রচেষ্টায় সব স্তরের মানুষকে একই প্ল্যাটফর্মে আনার চেষ্টা করা হয়েছিল। ১৯৮৫-৮৬ সালের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরাই মূলত প্রথম মঙ্গল শোভাযাত্রার উদ্যোক্তা ছিলেন। শিক্ষকেরা তাঁদের দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন, কিন্তু মূল কাজটি সম্পন্ন করেছিলেন শিক্ষার্থীরাই। বর্তমানে পয়লা বৈশাখের এই শোভাযাত্রা ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সব মানুষের অংশগ্রহণে এক প্রধান জাতীয় উৎসবে পরিণত হয়েছে।
শোভাযাত্রার অনুষঙ্গ
এই শোভাযাত্রা বর্ণিল রঙে সেজে ওঠে। আবহমান বাংলার বিভিন্ন লোকজ উপাদানের উপস্থিতি শোভাযাত্রাকে এক ভিন্ন মাত্রা দেয়। শোভাযাত্রা উপলক্ষে হাতে তৈরি করা হয় বিভিন্ন ধরনের মুখোশ, লোকজ মূর্তি, ট্যাপা পুতুল, নকশি পাখি ও বিভিন্ন জীবজন্তুর প্রতিকৃতি। এই শোভাযাত্রাকে আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য শুরু থেকেই দেশের লোকশিল্পের নানা ধরনের খেলনা ও উপাদান ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া ঘোড়া, নকশি পাখা, ফুল, প্রজাপতি, মানুষ এবং প্রকৃতির বিভিন্ন রূপ শোভাযাত্রায় স্থান পায়। অবশ্য কখনো কখনো এতে রাজনৈতিক অনুষঙ্গও যুক্ত হয়েছে।
১৯৮৯ সালের প্রথম আনন্দ শোভাযাত্রায় পাপেট, ঘোড়া ও হাতির প্রতিকৃতি বিশেষভাবে নজর কেড়েছিল। ১৯৯০ সালের আনন্দ শোভাযাত্রায়ও বিভিন্ন ধরনের শিল্পকর্মের প্রতিকৃতি দেখা যায়। ১৯৯১ সালে চারুকলার শোভাযাত্রা জনপ্রিয়তার এক নতুন শিখরে পৌঁছায়। চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও শিল্পীদের উদ্যোগে আয়োজিত সেই শোভাযাত্রায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য, বিশিষ্ট লেখক, শিল্পীসহ সাধারণ নাগরিকেরা অংশ নেন। শোভাযাত্রায় স্থান পায় বিশালাকার হাতি ও বাঘের কারুকার্যময় প্রতিকৃতি। কৃত্রিম ঢাকের বাদ্য আর অসংখ্য মুখোশখচিত প্ল্যাকার্ড শোভাযাত্রায় এক আনন্দময় ও উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি করে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই শোভাযাত্রা আরও বর্ণিল ও সমৃদ্ধ হয়েছে।
পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়াই পথচলা
মঙ্গল শোভাযাত্রার একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো, এটি আয়োজনের জন্য কোনো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কোনো ধরনের আর্থিক সহায়তা নেওয়া হয় না। চারুকলার শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অনেক চিত্রশিল্পী তাঁদের আঁকা ছবি বিক্রি করে যে অর্থ উপার্জন করেন, সেটাই এই শোভাযাত্রা আয়োজনের মূল উৎস। একসময় শোভাযাত্রায় ব্যবহৃত মুখোশ ও অন্যান্য উপকরণ নিলামে তোলা হতো এবং সেই অর্থ পরবর্তী শোভাযাত্রার জন্য ব্যয় করা হতো। বর্তমানে চারুকলার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা এক মাস আগে থেকেই এই প্রস্তুতি শুরু করেন এবং তাঁদের শিল্পকর্ম বিক্রি করে শোভাযাত্রার তহবিল সংগ্রহ করেন।
বিশ্বদরবারে মঙ্গল শোভাযাত্রা
বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ জাতিসংঘের সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেসকোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান লাভ করে। ইউনেসকো তাদের ‘রিপ্রেজেনটেটিভ লিস্ট অব ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটি’র তালিকায় এই শোভাযাত্রাকে অন্তর্ভুক্ত করে। এর ফলে পয়লা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রা পায় এক আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। এখন এটি শুধু বাংলাদেশের নয়, বিশ্ব সংস্কৃতিরও অংশ। বাঙালি সংস্কৃতি এর মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী আরও বিস্তৃত হয়েছে।
ইউনেসকো মঙ্গল শোভাযাত্রাকে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করে, এটি কোনো একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের নয়, বরং এটি সমগ্র দেশ ও বিশ্বের মানুষের ঐতিহ্য।
তথ্যসূত্র: বাংলাপিডিয়া; হাজার বছরের বাঙালি সংস্কৃতি, গোলাম মুরশিদ

বোরো ধানের মৌসুমে দেশে জ্বালানি মজুতে টান পড়েছে। বর্তমান ডিজেলের মজুত একেবারেই তলানিতে রয়েছে। সরকারি তেল বিপণনকারী তিনটি কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েলে মজুত প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে।
১০ ঘণ্টা আগে
রাজবাড়ীর পাংশা থানাধীন এলাকায় গত বুধবার রাতে সংঘটিত একটি দুঃখজনক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে।
১২ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম।
২১ ঘণ্টা আগে
খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎস বড়দিনে খ্রিষ্টান ধর্মের বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
১ দিন আগেআবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম

বোরো ধানের মৌসুমে দেশে জ্বালানি মজুতে টান পড়েছে। বর্তমান ডিজেলের মজুত একেবারেই তলানিতে রয়েছে। সরকারি তেল বিপণনকারী তিনটি কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েলে মজুত প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে। যেকোনো পরিস্থিতিতে তিন মাসের জ্বালানি মজুত থাকার কথা থাকলেও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) নথি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বর্তমানে আর ১৩ থেকে ২০ দিনের জ্বালানি তেলের মজুত রয়েছে। যদিও বিপিসির দাবি, দেশে জ্বালানি-সংকট দেখা দেওয়ার আশঙ্কা নেই।
বিপিসির মজুত প্রতিবেদনে জানা যায়, ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে মোট ডিজেল ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৪৯৭ টন মজুত রয়েছে। এর মধ্যে দেশের ২৪টি ডিপোর ট্যাংকে ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮২৯ টন মজুত রয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন লাইটার জাহাজসহ ট্রানজিটে রয়েছে ৪৯ হাজার ৬৬৮ টন। ২২ ডিসেম্বর বিপিসির বিক্রয় প্রতিবেদনে দেখা যায়, এদিন ১৬ হাজার ৬০১ টন ডিজেল সারা দেশে বিক্রি করা হয়েছে। সে হিসাবে দেখা যায়, বর্তমানে বিপিসির কাছে ২০ দিনের ডিজেল মজুত রয়েছে। একইভাবে বিপিসি বিভিন্ন ডিপোতে পেট্রল মজুত আছে ২২ হাজার ১১৪ টন। ২২ ডিসেম্বর বিপিসির বিক্রয় প্রতিবেদনে দেখা যায়, এদিন ১ হাজার ৬১৮ টন পেট্রল বিক্রি করা হয়েছে। এই হিসাবে বিপিসির কাছে পেট্রল ১৩ দিনের মজুত আছে।
বিপিসির ২৩ ডিসেম্বরের স্টক প্রতিবেদনে দেখা যায়, সারা দেশে মোট ২৮ হাজার ২৭০ টন অকটেন মজুত রয়েছে। ২২ ডিসেম্বর বিপিসির বিক্রয় প্রতিবেদনে দেখা যায়, এদিন ১ হাজার ৮৮৫ টন অকটেন বিক্রি করা হয়েছে। এই হিসাবে বিপিসির কাছে ১৫ দিনের অকটেন মজুত আছে।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে বিপিসির পরিচালক এ কে এম আজাদুর রহমান জানান, সারা দেশে ২৫ দিনের অকটেন ও পেট্রল মজুত রয়েছে। এ ছাড়া ডিজেল ৩৫ দিনের মজুত রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। দেশে ডিজেলের মজুত কম কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন শুষ্ক মৌসুমে সব জায়গায় বিদ্যুতের ব্যবহার হচ্ছে। তাই ডিজেলের চাহিদা কম।
এদিকে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান মেঘনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ২৩ ডিসেম্বরের মজুত প্রতিবেদনে দেখা যায়, সারা দেশে ১৭টি ডিপোতে ৫ হাজার ৬৯৫ টন অকটেন মজুত রয়েছে। আর পেট্রল মজুত রয়েছে ৪ হাজার ২৯৫ টন। সারা দেশের ১৭টি ডিপোতে ৯২ হাজার ৮৯৫ টন ডিজেল মজুত রয়েছে। একইভাবে সরকারি তেল বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ২৩ ডিসেম্বরের মজুত প্রতিবেদনে দেখা যায়, সারা দেশে ১৭টি ডিপোতে ৮০ হাজার ২১৩ টন ডিজেল মজুত রয়েছে। এ ছাড়া ২ হাজার ৯১৪ টন পেট্রল এবং ৪ হাজার ১৮৭ টন অকটেন মজুত রয়েছে। পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ২৩ ডিসেম্বরের মজুত প্রতিবেদনে দেখা যায়, ফতুল্লা, রাজশাহী, হরিয়ান, চিলমারী ডিপোতে কোনো জ্বালানি তেল নাই। পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের নাটোর ডিপোতে ৩০ টন, রংপুর ডিপোতে ৫৭ টন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ডিপোতে ২ টন ডিজেল রয়েছে।
নাম না প্রকাশে সরকারি তেল বিপণনকারী এক কর্মকর্তা জানান, বিপিসির আমদানি করা জ্বালানি তেলের মজুত আশঙ্কাজনকভাবে কম রয়েছে। ডিজেলের মজুত একবারেই কম। তাঁর মতে ১৩ থেকে ১৫ দিনের জ্বালানি মজুত রয়েছে বর্তমানে।
পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক আসিফ মালিক বলেন, দেশে পর্যাপ্ত জ্বালানি মজুত রয়েছে। সংকটের কোনো আশঙ্কা নেই। নিয়মিতভাবে জ্বালানি তেলের জাহাজ আসা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান।
তবে গাজীপুর ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আবদুল মোমিন বলেন, দেশে ধান উৎপাদনের জন্য সবচেয়ে বড় মৌসুম হচ্ছে বর্তমান বোরো মৌসুম। এ সময় প্রায় ৫২ লাখ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়। এই মৌসুমে জ্বালানি-সংকট হলে সেটা দেশের খাদ্য উৎপাদনে ছেদ পড়বে।

বোরো ধানের মৌসুমে দেশে জ্বালানি মজুতে টান পড়েছে। বর্তমান ডিজেলের মজুত একেবারেই তলানিতে রয়েছে। সরকারি তেল বিপণনকারী তিনটি কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েলে মজুত প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে। যেকোনো পরিস্থিতিতে তিন মাসের জ্বালানি মজুত থাকার কথা থাকলেও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) নথি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বর্তমানে আর ১৩ থেকে ২০ দিনের জ্বালানি তেলের মজুত রয়েছে। যদিও বিপিসির দাবি, দেশে জ্বালানি-সংকট দেখা দেওয়ার আশঙ্কা নেই।
বিপিসির মজুত প্রতিবেদনে জানা যায়, ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে মোট ডিজেল ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৪৯৭ টন মজুত রয়েছে। এর মধ্যে দেশের ২৪টি ডিপোর ট্যাংকে ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮২৯ টন মজুত রয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন লাইটার জাহাজসহ ট্রানজিটে রয়েছে ৪৯ হাজার ৬৬৮ টন। ২২ ডিসেম্বর বিপিসির বিক্রয় প্রতিবেদনে দেখা যায়, এদিন ১৬ হাজার ৬০১ টন ডিজেল সারা দেশে বিক্রি করা হয়েছে। সে হিসাবে দেখা যায়, বর্তমানে বিপিসির কাছে ২০ দিনের ডিজেল মজুত রয়েছে। একইভাবে বিপিসি বিভিন্ন ডিপোতে পেট্রল মজুত আছে ২২ হাজার ১১৪ টন। ২২ ডিসেম্বর বিপিসির বিক্রয় প্রতিবেদনে দেখা যায়, এদিন ১ হাজার ৬১৮ টন পেট্রল বিক্রি করা হয়েছে। এই হিসাবে বিপিসির কাছে পেট্রল ১৩ দিনের মজুত আছে।
বিপিসির ২৩ ডিসেম্বরের স্টক প্রতিবেদনে দেখা যায়, সারা দেশে মোট ২৮ হাজার ২৭০ টন অকটেন মজুত রয়েছে। ২২ ডিসেম্বর বিপিসির বিক্রয় প্রতিবেদনে দেখা যায়, এদিন ১ হাজার ৮৮৫ টন অকটেন বিক্রি করা হয়েছে। এই হিসাবে বিপিসির কাছে ১৫ দিনের অকটেন মজুত আছে।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে বিপিসির পরিচালক এ কে এম আজাদুর রহমান জানান, সারা দেশে ২৫ দিনের অকটেন ও পেট্রল মজুত রয়েছে। এ ছাড়া ডিজেল ৩৫ দিনের মজুত রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। দেশে ডিজেলের মজুত কম কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন শুষ্ক মৌসুমে সব জায়গায় বিদ্যুতের ব্যবহার হচ্ছে। তাই ডিজেলের চাহিদা কম।
এদিকে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান মেঘনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ২৩ ডিসেম্বরের মজুত প্রতিবেদনে দেখা যায়, সারা দেশে ১৭টি ডিপোতে ৫ হাজার ৬৯৫ টন অকটেন মজুত রয়েছে। আর পেট্রল মজুত রয়েছে ৪ হাজার ২৯৫ টন। সারা দেশের ১৭টি ডিপোতে ৯২ হাজার ৮৯৫ টন ডিজেল মজুত রয়েছে। একইভাবে সরকারি তেল বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ২৩ ডিসেম্বরের মজুত প্রতিবেদনে দেখা যায়, সারা দেশে ১৭টি ডিপোতে ৮০ হাজার ২১৩ টন ডিজেল মজুত রয়েছে। এ ছাড়া ২ হাজার ৯১৪ টন পেট্রল এবং ৪ হাজার ১৮৭ টন অকটেন মজুত রয়েছে। পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ২৩ ডিসেম্বরের মজুত প্রতিবেদনে দেখা যায়, ফতুল্লা, রাজশাহী, হরিয়ান, চিলমারী ডিপোতে কোনো জ্বালানি তেল নাই। পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের নাটোর ডিপোতে ৩০ টন, রংপুর ডিপোতে ৫৭ টন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ডিপোতে ২ টন ডিজেল রয়েছে।
নাম না প্রকাশে সরকারি তেল বিপণনকারী এক কর্মকর্তা জানান, বিপিসির আমদানি করা জ্বালানি তেলের মজুত আশঙ্কাজনকভাবে কম রয়েছে। ডিজেলের মজুত একবারেই কম। তাঁর মতে ১৩ থেকে ১৫ দিনের জ্বালানি মজুত রয়েছে বর্তমানে।
পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক আসিফ মালিক বলেন, দেশে পর্যাপ্ত জ্বালানি মজুত রয়েছে। সংকটের কোনো আশঙ্কা নেই। নিয়মিতভাবে জ্বালানি তেলের জাহাজ আসা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান।
তবে গাজীপুর ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আবদুল মোমিন বলেন, দেশে ধান উৎপাদনের জন্য সবচেয়ে বড় মৌসুম হচ্ছে বর্তমান বোরো মৌসুম। এ সময় প্রায় ৫২ লাখ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়। এই মৌসুমে জ্বালানি-সংকট হলে সেটা দেশের খাদ্য উৎপাদনে ছেদ পড়বে।

পুরোনো বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে, সবার জীবনে মঙ্গল কামনায় বরাবরের বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট। শুধু ঢাকা নয়, দেশের বিভিন্ন জেলাতেও পহেলা বৈশাখের এই ঐতিহ্যবাহী শোভাযাত্রা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অনুষ্ঠিত হয়।
১১ এপ্রিল ২০২৫
রাজবাড়ীর পাংশা থানাধীন এলাকায় গত বুধবার রাতে সংঘটিত একটি দুঃখজনক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে।
১২ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম।
২১ ঘণ্টা আগে
খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎস বড়দিনে খ্রিষ্টান ধর্মের বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজবাড়ীর পাংশা থানাধীন এলাকায় গত বুধবার রাতে সংঘটিত একটি দুঃখজনক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে।
পুলিশের তথ্য ও প্রাথমিক তদন্ত থেকে প্রতীয়মান হচ্ছে, ঘটনাটি মোটেই সাম্প্রদায়িক হামলা নয়। এটি চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত সহিংস পরিস্থিতির থেকে সৃষ্ট ঘটনা। নিহত ব্যক্তি শীর্ষ সন্ত্রাসী অমৃত মন্ডল ওরফে সম্রাট চাঁদা দাবির উদ্দেশ্যে এলাকায় উপস্থিত হন এবং বিক্ষুব্ধ স্থানীয় জনতার সঙ্গে সংঘর্ষের একপর্যায়ে প্রাণ হারান। তিনি ইতিপূর্বে ২০২৩ সালে রুজুকৃত হত্যা, চাঁদাবাজির মামলাসহ একাধিক গুরুতর মামলার আসামি ছিলেন। এসব মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও রয়েছে।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সম্রাটের সহযোগী সেলিমকে একটি বিদেশি পিস্তল, ১টি পাইপগানসহ আটক করে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে তিনটি মামলা দায়ের হয়েছে।
এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সরকার কঠোর নিন্দা জানায়। সরকার সুস্পষ্টভাবে জানাতে চায়, যেকোনো ধরনের আইনবহির্ভূত কর্মকাণ্ড, গণপিটুনি বা সহিংসতা সরকার কোনোভাবেই সমর্থন করে না। এ ঘটনায় যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তদন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
একই সঙ্গে সরকার গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছে, একটি মহল নিহত ব্যক্তির ধর্মীয় পরিচয়কে সামনে এনে ঘটনাটিকে সাম্প্রদায়িক হামলা হিসেবে উপস্থাপনের অপচেষ্টা চালাচ্ছে, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অসদুদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এ ধরনের অপপ্রচার সামাজিক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে পারে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে।
সরকারসংশ্লিষ্ট সবাইকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানাচ্ছে এবং বিভ্রান্তিকর, উসকানিমূলক ও সাম্প্রদায়িক বক্তব্য প্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছে।
আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ, এ দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করার যেকোনো অপচেষ্টা সরকার কঠোরহস্তে দমন করবে।

রাজবাড়ীর পাংশা থানাধীন এলাকায় গত বুধবার রাতে সংঘটিত একটি দুঃখজনক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে।
পুলিশের তথ্য ও প্রাথমিক তদন্ত থেকে প্রতীয়মান হচ্ছে, ঘটনাটি মোটেই সাম্প্রদায়িক হামলা নয়। এটি চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত সহিংস পরিস্থিতির থেকে সৃষ্ট ঘটনা। নিহত ব্যক্তি শীর্ষ সন্ত্রাসী অমৃত মন্ডল ওরফে সম্রাট চাঁদা দাবির উদ্দেশ্যে এলাকায় উপস্থিত হন এবং বিক্ষুব্ধ স্থানীয় জনতার সঙ্গে সংঘর্ষের একপর্যায়ে প্রাণ হারান। তিনি ইতিপূর্বে ২০২৩ সালে রুজুকৃত হত্যা, চাঁদাবাজির মামলাসহ একাধিক গুরুতর মামলার আসামি ছিলেন। এসব মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও রয়েছে।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সম্রাটের সহযোগী সেলিমকে একটি বিদেশি পিস্তল, ১টি পাইপগানসহ আটক করে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে তিনটি মামলা দায়ের হয়েছে।
এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সরকার কঠোর নিন্দা জানায়। সরকার সুস্পষ্টভাবে জানাতে চায়, যেকোনো ধরনের আইনবহির্ভূত কর্মকাণ্ড, গণপিটুনি বা সহিংসতা সরকার কোনোভাবেই সমর্থন করে না। এ ঘটনায় যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তদন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
একই সঙ্গে সরকার গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছে, একটি মহল নিহত ব্যক্তির ধর্মীয় পরিচয়কে সামনে এনে ঘটনাটিকে সাম্প্রদায়িক হামলা হিসেবে উপস্থাপনের অপচেষ্টা চালাচ্ছে, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অসদুদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এ ধরনের অপপ্রচার সামাজিক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে পারে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে।
সরকারসংশ্লিষ্ট সবাইকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানাচ্ছে এবং বিভ্রান্তিকর, উসকানিমূলক ও সাম্প্রদায়িক বক্তব্য প্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছে।
আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ, এ দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করার যেকোনো অপচেষ্টা সরকার কঠোরহস্তে দমন করবে।

পুরোনো বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে, সবার জীবনে মঙ্গল কামনায় বরাবরের বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট। শুধু ঢাকা নয়, দেশের বিভিন্ন জেলাতেও পহেলা বৈশাখের এই ঐতিহ্যবাহী শোভাযাত্রা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অনুষ্ঠিত হয়।
১১ এপ্রিল ২০২৫
বোরো ধানের মৌসুমে দেশে জ্বালানি মজুতে টান পড়েছে। বর্তমান ডিজেলের মজুত একেবারেই তলানিতে রয়েছে। সরকারি তেল বিপণনকারী তিনটি কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েলে মজুত প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে।
১০ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম।
২১ ঘণ্টা আগে
খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎস বড়দিনে খ্রিষ্টান ধর্মের বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
শফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা তাঁকে (তারেক রহমান) স্বাগত জানাই। উনি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দলের নেতা এবং আমি বলব তাঁর বাংলাদেশে আসা খুবই একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। বাংলাদেশে তো সত্যিকার অর্থে কিছু রাজনৈতিক শূন্যতা আছে। উনি আসলে সেটা পূরণ হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের সামনে আমাদের একটা বড় ইলেকশন, আমরা একটা ডেমোক্রেটিক ট্রানজিশনে (গণতান্ত্রিক উত্তরণে) আছি। আমরা আশা করছি, আমাদের এই ট্রানজিশনটা আরও স্মুথ হবে।’
তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে জবাবে শফিকুল আলম বলেন, ‘তাঁর নিরাপত্তা তো তাঁর পার্টি দেখছেন, তবে তাঁরা আমাদের কাছে যেই ধরনের সহযোগিতা চাচ্ছেন, আমরা সব সহযোগিতাই করছি।’
দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবন কাটানোর পর তারেক রহমানকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে সকাল ৯টা ৫৬ মিনিটে সিলেটে আসে। সিলেটে যাত্রাবিরতি শেষে ফ্লাইটটি বেলা ১১টা ৩৯ মিনিটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেখান থেকে তাঁর বাসটি সংবর্ধনাস্থলে আসে। কিছুক্ষণ আগে তিনি মঞ্চে অবস্থান নিয়ে তিনি বক্তব্য শুরু করেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
শফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা তাঁকে (তারেক রহমান) স্বাগত জানাই। উনি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দলের নেতা এবং আমি বলব তাঁর বাংলাদেশে আসা খুবই একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। বাংলাদেশে তো সত্যিকার অর্থে কিছু রাজনৈতিক শূন্যতা আছে। উনি আসলে সেটা পূরণ হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের সামনে আমাদের একটা বড় ইলেকশন, আমরা একটা ডেমোক্রেটিক ট্রানজিশনে (গণতান্ত্রিক উত্তরণে) আছি। আমরা আশা করছি, আমাদের এই ট্রানজিশনটা আরও স্মুথ হবে।’
তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে জবাবে শফিকুল আলম বলেন, ‘তাঁর নিরাপত্তা তো তাঁর পার্টি দেখছেন, তবে তাঁরা আমাদের কাছে যেই ধরনের সহযোগিতা চাচ্ছেন, আমরা সব সহযোগিতাই করছি।’
দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবন কাটানোর পর তারেক রহমানকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে সকাল ৯টা ৫৬ মিনিটে সিলেটে আসে। সিলেটে যাত্রাবিরতি শেষে ফ্লাইটটি বেলা ১১টা ৩৯ মিনিটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেখান থেকে তাঁর বাসটি সংবর্ধনাস্থলে আসে। কিছুক্ষণ আগে তিনি মঞ্চে অবস্থান নিয়ে তিনি বক্তব্য শুরু করেন।

পুরোনো বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে, সবার জীবনে মঙ্গল কামনায় বরাবরের বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট। শুধু ঢাকা নয়, দেশের বিভিন্ন জেলাতেও পহেলা বৈশাখের এই ঐতিহ্যবাহী শোভাযাত্রা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অনুষ্ঠিত হয়।
১১ এপ্রিল ২০২৫
বোরো ধানের মৌসুমে দেশে জ্বালানি মজুতে টান পড়েছে। বর্তমান ডিজেলের মজুত একেবারেই তলানিতে রয়েছে। সরকারি তেল বিপণনকারী তিনটি কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েলে মজুত প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে।
১০ ঘণ্টা আগে
রাজবাড়ীর পাংশা থানাধীন এলাকায় গত বুধবার রাতে সংঘটিত একটি দুঃখজনক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে।
১২ ঘণ্টা আগে
খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎস বড়দিনে খ্রিষ্টান ধর্মের বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎস বড়দিনে খ্রিষ্টান ধর্মের বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
আজ বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনে তিনি এই শুভেচ্ছা বিনিময় করেন বলে বঙ্গভবনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

সেখানে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি দেশের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়সহ বিশ্ববাসীর প্রতি বড় দিনের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভিনন্দন জানান। জাতি, ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে এ দেশের মানুষের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি চিরকাল অটুট ও অক্ষুণ্ন রাখার আহ্বান জানান তিনি।

খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎস বড়দিনে খ্রিষ্টান ধর্মের বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
আজ বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনে তিনি এই শুভেচ্ছা বিনিময় করেন বলে বঙ্গভবনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

সেখানে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি দেশের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়সহ বিশ্ববাসীর প্রতি বড় দিনের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভিনন্দন জানান। জাতি, ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে এ দেশের মানুষের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি চিরকাল অটুট ও অক্ষুণ্ন রাখার আহ্বান জানান তিনি।

পুরোনো বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে, সবার জীবনে মঙ্গল কামনায় বরাবরের বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট। শুধু ঢাকা নয়, দেশের বিভিন্ন জেলাতেও পহেলা বৈশাখের এই ঐতিহ্যবাহী শোভাযাত্রা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অনুষ্ঠিত হয়।
১১ এপ্রিল ২০২৫
বোরো ধানের মৌসুমে দেশে জ্বালানি মজুতে টান পড়েছে। বর্তমান ডিজেলের মজুত একেবারেই তলানিতে রয়েছে। সরকারি তেল বিপণনকারী তিনটি কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েলে মজুত প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে।
১০ ঘণ্টা আগে
রাজবাড়ীর পাংশা থানাধীন এলাকায় গত বুধবার রাতে সংঘটিত একটি দুঃখজনক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে।
১২ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম।
২১ ঘণ্টা আগে