Ajker Patrika

ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া আর নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৩ জুলাই ২০২২, ১০: ৪৭
ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া আর নেই

বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া ইন্তেকাল করেছেন। নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় ২২ জুলাই বিকেল ৪ ঘটিকায় মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বীর ভাই ফাহাদ রাব্বী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টের মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া দুরারোগ্য ক্যানসার ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘ ৯ মাস এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ইন্তেকালের সময় মরহুমের বড় মেয়ে অ্যাডভোকেট ফাহিমা রাব্বী রিটা ও তাঁর সহকারী একান্ত সচিব মোহাম্মদ তৌফিকুল ইসলাম হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন। 

এদিকে ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, সংসদ পরিচালনায় মরহুম ফজলে রাব্বী মিয়ার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা এবং সংসদীয় গণতন্ত্রের চর্চা ও বিকাশে তার অবদান জাতি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে। তিনি মরহুম ফজলে রাব্বী মিয়ার রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া ১৯৪৬ সালে গাইবান্ধায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি গাইবান্ধা-৫ আসনের সংসদ সদস্য এবং জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ছিলেন।

শিক্ষাজীবনে ফজলে রাব্বী মিয়া গাইবান্ধা কলেজ থেকে পাস করে পরে বিএ ও এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৬৮ সালে তিনি বাংলাদেশ বার কাউন্সিল সনদ লাভ করেন। এরপর ১৯৮৮ সালে তিনি সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য হন। পেশায় আইনজীবী ফজলে রাব্বী মিয়া ১৯৫৮ সালে রাজনীতিতে আসেন। সে বছর আইয়ুব খান পাকিস্তানে মার্শাল ল চালু করেছিলেন। সে সময় ফজলে রাব্বীর চাচা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। চাচার মাধ্যমে তিনি মার্শাল ল-বিরোধী আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। এভাবেই তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। ১৯৬২-৬৩ সালে শিক্ষা কমিশনের রিপোর্টের বিরুদ্ধে আন্দোলনেও যুক্ত ছিলেন তিনি। 

এরপর ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে ফজলে রাব্বী মিয়া মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করেন। তিনি ১১ নম্বর সেক্টরে যুদ্ধ করেন। এ ছাড়া বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে বৈশ্বিক জনমত গড়ে তুলতে তিনি কাজ করেছেন।

ফজলে রাব্বী মিয়া ১৯৮৬ সালের তৃতীয়, ১৯৮৮ সালের চতুর্থ, ১৯৯১ সালের পঞ্চম ও ১২ জুন ১৯৯৬ সালের সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৫ আসন থেকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে পরাজিত হন। পরে ২০০৮ সালের নবম, ২০১৪ সালের দশম ও ২০১৯ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৫ আসন থেকে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। 

 ১৯৯০ সালে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি। দশম সংসদ থেকে তিনি ডেপুটি স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত